
পথ চলতে চলতে নামি নামি সন্ধ্যায়, জল প্রপাতের শব্দে থমকে গেলাম,
শীষ দেয়া উড়াল পাখি, গাছের চূড়ায় ভেসে থাকা সরু চাঁদ;
শতচ্ছিন্ন দিগন্তে আকাশের ফাঁদে আটকে পড়া উজ্জ্বল শরৎ মেঘের দীর্ঘশ্বাস;
এই বুঝি অঝোরে কেঁদে ফেলবে।
শরতের উষ্ণ শাসনের প্রমত্ত একঘেয়েমিতে স্বপ্ন পরাভব লুকিয়ে ফেলে
প্রস্থান করি এ-বেলায়;
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্তহীন সময়ের প্রান্ত রেখায় দেখি, এক সমুদ্র যন্ত্রণার ছায়াতল,
গেঁথে আছে অবিমিশ্র সীমাহীন চিৎকার চেঁচামেচি, ক্ষুধা দারিদ্র্য, সমৃদ্ধি সহ;
নৈঃশব্দের বিশ্বাস অবিশ্বাস, নিরন্তর অস্তময়তা;
সন্তানসম্ভবা স্বপ্নগুলো অগোছালো চিত্রকল্পের মত নিরাভরণ হতে হতে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে, কখন একটু নিদ্রায় আর্দ্র হবে;
প্রত্ন-শব্দগুলো প্রতিনিয়ত দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে, চমৎকার ভালবাসা-বাসির অপেক্ষায়;
ফুলেদের মৌ মৌ গন্ধ-স্পর্শে;
বিষণ্ণ পাথর দেয়ালের আলিঙ্গন বিস্মৃত হয়-ই-না,
কাতর শব্দেরা শুধুই নিষ্ফল কবিতার মত দৃষ্টি মেলে নির্ঘুমে থাকে;
গান ও ছবি নেটের।
১৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জীবন মানেই যন্ত্রণা , ক্ষুধা, দারিদ্র্য । তবুও পথ চলা থেমে থাকে না।শরতের আচরণের মতো জীবন টাও এই মেঘ, বৃষ্টি, রোদ নিয়ে এগিয়ে চলে । নির্ঘুম শব্দরা ঘুমিয়ে যাক কিছুক্ষণের জন্য যাতে করে ঘুম ভেঙ্গে আলোর ঝলকানি ছড়িয়ে দিক চারপাশে। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু এমন পানি-পানি হলে শ শব্দেরা কবিতার মত জ্বলে উঠতো।
তবুও অপেক্ষা নির্ঘুম রাত্রিতে ঘুমের চোখ নেমে আসবে, বেহিসেবি সময়ের হাত ধরে।
ভাল থেকে, কিছু ল্যাহা-লুহ্যা দ্যান, পড়ি।
আরজু মুক্তা
নির্ঘুম শব্দগুলো জাগুক।
হা হতাশা ফেলে সবাই এগিয়ে যাক। শুদ্ধ ভালোবাসায় প্রস্ফুটিত হোক আগামীর বারতা।
ছাইরাছ হেলাল
আহা আহা, আশাবাদ গড়িয়ে -জড়িয়ে যাচ্ছে!!
এমন হলে তো ভালই, কিন্তু লেখারা তো এমন করে ধরা দিচ্ছে না।
শুভেচ্ছা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হুম লেখার সাথে এমন অসাধারন গান!! কবি দিনে দিনে বড় হয়ে উঠছে।।শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সব ই আপনাদের দুয়া!! ভাল লেখকদের সাথে থাকার ফল হাতে হাতে পাচ্ছি!!
শুভেচ্ছা।
ত্রিস্তান
অপ্রকাশ্যে প্রকাশ্য আর্তনাদ, শব্দ ছন্দ ঝংকার
কোথায় যেন বিষন্নতা, বিচ্ছেদের সুর
অমনিবাস আলিঙ্গনে অনুজ – গন্তব্যের শির:বিন্দু
তোমাকে হারাতে চাইনা- আমৃত্যু আলিঙ্গনে যেন রই
তোমার ঝাঁঝালো শব্দের সুযোগ্য উত্তরসূরী যেন হই।।
ছাইরাছ হেলাল
ঝাঁঝ-ফাঁঝ কৈত্থে পাইলেন!!
এতো শুধুই তুলা তুলা ল্যাহা।
ভাল থাকুন। নিয়মিত লিখে, পড়ে।
হালিমা আক্তার
সবকিছু নিয়েই আমাদের জীবন। চলার পথের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকে দুঃখ-কষ্ট আনন্দ-বেদনা কত কিছু।
নির্ঘুম শব্দরা জেগে উঠুক আলোর ঝরনা হয়ে।
শুভ কামনা অবিরাম।
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু নিয়েই আমদের চলা সময়ের সাথে, পথে, নিয়ম অনিয়মের গ্যাঁড়াকলে।
তবুও জীবন তো একটাই।
শুভেচ্ছা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
“ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্তহীন সময়ের প্রান্ত রেখায় দেখি, এক সমুদ্র যন্ত্রণার ছায়াতল,
গেঁথে আছে অবিমিশ্র সীমাহীন চিৎকার চেঁচামেচি, ক্ষুধা দারিদ্র্য, সমৃদ্ধি সহ;
নৈঃশব্দের বিশ্বাস অবিশ্বাস, নিরন্তর অস্তময়তা”; যাপিত জীবনের ধ্রুব সত্যগুলো সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। শুভ কামনা ।
ছাইরাছ হেলাল
লেখন শুধুই তার অনুভুতি প্রকাশের চেষ্টায় ব্যাপৃত।
ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
সাবিনা ইয়াসমিন
মৌ-গন্ধ্যা ফুলেদের ভালোবাসা-বাসির এত অপেক্ষার কি দরকার! শরতেও অনেক ফুল ফোটে। কিছু বাগানে, কিছু আসমানে, আর কিছু পথের দুই রেখায়। দেখার জন্য নির্ঘুম চোখ দুটো আরেকটু মেলে ধরলেইতো পারেন!
এই একান্ত অনুভূতি কিন্তু নিস্ফল হয়নি, স্যাড কবিতা হিসেবে সার্থকই বলা চলে।
শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
কোবতে ধরা না দিলে একটু স্যাড স্যাড ভাব নিতেই হয়, এটিকে ভড়ং হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
চোখ তো সব সময় সময়ের সাথে চলতে পারে না, ইচ্ছে হলেও।
ভাল থাকুন।