
প্রত্ন-খননে খুঁজে পাই অসংখ্য আনন্দ-শব্দ, বিষাদের মোড়কে,
কিছু স্বপ্ন-পোড়া-ছাই, সহমরণ ও;
আকাশ যেদিন পোয়াতি হলো, নীলাকাশ স্বেচ্ছা-নির্বাসনে
যাবে বলে চোখ ভরে কাঁদতে লেগে গেল, এক চূড়ান্ত
অবিশ্বস্ততা, মেনে নেয়া যাচ্ছে না; নির্ঘাত পরীদের কারসাজি;
দীর্ঘ-চুলের সিঁথি বেয়ে সকাল বৃষ্টি নেমে এলো শরৎ নৈকট্যে,
দূরত্বের ফিতে ফেলে রেখে, কুচি কুচি করা সৌহার্দ্যের উষ্ণতা নিয়ে;
বিশ্বাস খুইয়ে পরকীয়া শেষে, মেঘ-আড়ালের বিপরীতে
ছেনাল-পনার হু হু করে দোল খাওয়া কাশবন মন্দ লাগে না,
স্যাঁত স্যাঁতে প্ররোচনায় সিঁড়িতে সিঁড়িতে চুনকামের হাসি,
ছুটে চলা নিষ্পাপ নৌকার পুলক বিস্ময়ে জড়িয়ে থাকে,
গুঁড়ি গুঁড়ি জল-বৃষ্টির শরৎ সরোবর।
ছবি নেটের।
১৮টি মন্তব্য
রিতু জাহান
এটা সেরাদের সেরা।
সবই কি পরীদের দোষ!
আহ! লাইনটা কি সাজালেন,’দীর্ঘ-চুলের সিঁথি বেয়ে সকাল বৃষ্টি নেমে এলো শরৎ নৈকট্যে,
দূরত্বের ফিতে ফেলে রেখে, কুচি কুচি করা সৌহার্দ্যের উষ্ণতা নিয়ে;”
পরকীয়া করলে বুঝি সে ছেনাল হয়ে যায়!
তবে প্রেম কোথায় রাখে!
আকাশ তবে বুঝি, পাল তুলে নেমে আসে পাতালপুরিতে!
ঘোরে রাখলেন গুরুজি,,,
ছাইরাছ হেলাল
আপাত দৃষ্টিতে নেগেটিভ শব্দগুলো এখানে প্রচণ্ড পজেটিভ ভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে।
এই লেখার প্রাণভোমরাটি আপনি ছুঁয়ে ফেলেছেন, অবশ্যই ধন্যবাদ।
ত্রিস্তান
হোক না পরকীয়া তবু তো কাশবনের আড়ালতো অন্তত ছিলো….
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, পরকীয়ায় তো একটু রাখঢাক থাকেই, আপনি সহজেই বুঝে নিয়েছেন।
ধন্যবাদ, হঠাৎ উদয় হয়ে হাওয়া হওয়া!! তা মন্দ না।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পরকীয়া কে কি সুন্দর পজিটিভলি উপস্থাপন করলেন! শরতের সৌন্দর্যে পরকীয়াকে আড়াল করে দিলেন মনে হয়? আপনি তো মহারাজ তাই কেমন করে কি যে লিখে যান, মাথাই নষ্ট। অবিরাম শুভ কামনা
ছাইরাছ হেলাল
আমি কিচ্ছুটি জানি না, বুঝিও না, সব আপনাদের লেখা পড়ে পড়ে লেখা!!
লেখা কোথায়?
ভাল থাকবেন।
রেজওয়ানা কবির
কিভাবে নেগেটিভ বিষয়কে পজিটিভলি উপস্থাপন করা যায় এটাইতো লেখার চরম স্বার্থকতা। পরকীয়া থাকলেও তো আঁড়ালেই ছিল,,,,, ভাগ্যিস শরতের সৌন্দর্য্য ছিল ঢাকার জন্য।। অসম্ভব সুন্দর শব্দচয়নে আবার মুগ্ধ হলাম অনেক শব্দ শিখি আপনার লেখা পড়ে। শুভকামনা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
শরৎ এসে সব কিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
শুভেচ্ছা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এইসব পরকীয়া টরোকীয়া আমি বুঝিনা। আর এমন লেখা পড়লেও সারাদিন মাথা ঠিক থাকে না। ভাবতেই থাকি গড গিফটেড ব্যাপারটা ছাড়া এমন সৃষ্টি সম্ভব নয়
শুভ সকাল।
ছাইরাছ হেলাল
গডের ঠিকানা দেন, দেখি লাইন করতে পারি কী না!!
আপনিও ভাল থাকবেন।
আরজু মুক্তা
মেকি কান্না, অযাথা মায়া কান্না সব ছেড়ে বর্ষা বিদায় নিলেও। শরতের সকালে একটু বৃষ্টি, একটু রোদ কিংবা তাদের খুনসুটি। চমৎকৃত করে বটে। হৃদয় খুঁড়ে আনন্দে ভেসে হাসলেই না ক্ষতি কি? পরীরা একটু এমন বাহানায় আসুক। হাসি সবাই দিতে পারে না।
মুগ্ধতা মুগ্ধতা মুগ্ধতা
ছাইরাছ হেলাল
আহা আহা, আমিও মুগ্ধ এত্ত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য,
শরৎ আমাদের একটু লাগেই, প্রাণের শরৎ।
অটুট শুভেচ্ছা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
বাহ ভারী চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ — দীর্ঘ-চুলের সিঁথি বেয়ে সকাল বৃষ্টি নেমে এলো শরৎ নৈকট্যে,
দূরত্বের ফিতে ফেলে রেখে, কুচি কুচি করা সৌহার্দ্যের উষ্ণতা নিয়ে;
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ভাল থাকবেন।
হালিমা আক্তার
পরকীয়ায় শুধু পরীদের নাম কেন আসে। পরীরা কি এমনি মাটিতে নেমে আসে, না তাদেরকে আহ্বান করে। পরকীয়া একটু আড়ালে আবডালে হলে মন্দ কি। আপনার লেখা পড়ি আর অবাক হই। কি চমৎকার শব্দের কারুকার্য। শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
আমি কিচ্ছু জানি না, আন্তাজি মান্তাজি লেহি!!
এগুলা কোন কারুকাজ না, কুড়িয়ে নিয়ে বিছিয়ে দেয়া। কৃতিত্ব নয় মোটেই।
নিরাপদে থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
কমেন্ট পড়ে পড়ে লেখা বোঝার চেষ্টা করছি। মাথার ভেতর কিছু ঢুকেনি।
তবে একেবারে কিছুই বুঝতে পারছি না তাও নয়,
এতদিন শুনেছি গল্পের গরু আকাশে উড়ে আর এখন দেখলাম কবিতার নৌকা মেঘের উপ্রে দিয়ে চড়ে বেড়াচ্ছে! এটা বোঝা গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
কল্পনা মেঘ সমুদ্র পাহাড় মানে না। জুত মত লাগাম ধরতে পারলেই হয়।
দেখুন আমিও না-বুঝেই গপ দেই।
ধন্যবাদ।