
জাতির জীবনের অত্যন্ত ঘৃণিত লজ্জাজনক দুঃখজনক কলঙ্কজনক হৃদয়বিদারক কালো দিন ১৫ আগস্ট আজ। উল্লেখ্য, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং শেখ মুজিবুর রহমান তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। পরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত খন্দকার মোশতাক আহমেদ অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেসামরিক প্রশাসনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে প্রথমবারের মতো সামরিক ক্ষমতার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ঘটে।[ হত্যাকাণ্ডটি বাংলাদেশের আদর্শিক পটপরিবর্তন বলে বিবেচিত। বর্তমানে ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের “জাতীয় শোক দিবস” হিসেবে পালিত হয়”। পহেলা আগষ্ট থেকে শুরু হয়েছে শোকের মাস। আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার ব্যানারে দেখছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য ছবি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদেরকে প্রকাশ আর প্রচার করতে গিয়ে নিজেদের ঢাউস সাইজের ছবির সঙ্গে দুঃখজনকভাবে সাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে জাতির জনকের ষ্ট্যাম্প সাইজের ছবি। আমরা বাহ্যিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে প্রচার আর প্রকাশ করছি আমাদের অন্তরে কী বিন্দুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উদ্দেশ্য ধারণ, লালন, পালন এবং অনুসরণ করছি। বঙ্গবন্ধু বাংলার দুঃখী মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য আজীবন আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। বরণ করেছেন জেল জুলুম নির্যাতন। সকল ধরণের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। তাঁর অনন্য বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের ফলে আমরা আজ মুক্ত স্বাধীন ভূমিতে বসবাস করছি।
বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন পাশাপাশি নির্যাতন নিপীড়ন জেল-জুলুম খেটেছেন সে সম্পর্কে আমরা কতটুকু ওয়াকিবহাল। তাঁর অপ্রকাশিত আত্মজীবনী আমরা কয়জনে পড়েছি। যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উদ্দেশ্য দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম আর লড়াইয়ের কথা জানে তাহলে ভুঁইফোড়া সংঘটন বানিয়ে এবং মূল দলের কিছু সদস্য বিপথগামী হয়ে দলের মান সম্মান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল অর্জন কীভাবে ধূলোয় মিশিয়ে দেয়ার সাহস পায়। হেলেনা জাহাঙ্গীর, মহিলা আওয়ামী লীগের পাপিয়া, যুবলীগের সম্রাট, শামীম গংরা কীভাবে সেই মহান নেতার আদর্শের দলকে আজ কলঙ্কিত করছে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য। কীভাবে সেই নেতার আদর্শ উদ্দেশ্য আর সারা জীবনের আন্দোলন সংগ্রামের অর্জন এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে পদদলিত করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলে। কীভাবে ছাত্রলীগ যুবলীগ আর আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে রাতারাতি টাকার কুমীরে পরিণত হচ্ছে। তথাকথিত এসব নেতারা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙ্গিয়ে, বঙ্গবন্ধুর ষ্ট্যাম্প সাইজ ছবি ব্যবহার করে নিজেদের হীন স্বার্থ হাসিল করছে। এখন সময় এসেছে এসব দল ও দেশের দুশমনদের দল থেকে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বের করে দেওয়া। দলের নেতৃত্বকে অবশ্যই মনে রাখা উচিৎ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে দেশের মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর ব্রতে ব্রতী হওয়ায় তাঁদের দায়িত্ব আর কর্তব্য। তবেই এই মহান নেতার ত্যাগ এবং আদর্শের প্রতি সম্মান দেখানো হবে এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হবে।
২১টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
কোথায় সেই অন্যায়ে বিরুদ্ধে তর্জুনী আঙ্গুল তোলা বালক।যুগ যুগেও একটা মিলে না।
বিনম্ভ্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
বিষ বৃক্ষ একদিনে তৈরি হয়নি, একদিনে ওপড়ানো ও হ্য়ত যাবে না, তবে চিহ্নিত অচিহ্নিতদের জবাব দিহির
আওতায় না আনা গেলে কাঁদাকাটাই সাড়।
বিনম্র শ্রদ্ধা এমন বেদনা-দিনে।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এদের বেশিরভাগই হচ্ছে লোকদেখানো আদর্শে বিশ্বাসী। এদের ভিতরে দেশপ্রেম, নাগরিক সেবা, জাতির পিতার আদর্শ কিছুই নেই। এরা নাম, যশ আর টাকার পাহাড় গড়ার হাতিয়ার হিসেবে এই সরকারকে সঙ্গী করেছে। এরা হচ্ছে আদর্শবিহীন মানুষ। এদের কাছ থেকে কিভাবে ভালো কিছু আশা করবেন?
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
অপ্রিয় সত্য কথা বলেছেন দিদি। আপনার মতামতের জন্য শুভ কামনা অবিরাম।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি আপনার সঙ্গে একমত ভাইজান।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইজান।
আরজু মুক্তা
একমত ভাই।
লোকদেখানি এগুলো পছন্দ নয়।
হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু সবসময়
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন — “হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু সবসময়”।
নিতাই বাবু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও ১৫ই আগস্টের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ধ্যন্যবাদ দাদা।
হালিমা আক্তার
বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই বঙ্গবন্ধুকে কপট ভালোবাসার লোকের অভাব নাই। এর প্রমাণ অলরেডি পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসা মানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবাসা। দেশকে ভালোবাসা। বেশিরভাগ তো নিজের স্বার্থের জন্য বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে। তবে এদের চিহ্নিত করা উচিত। না হলে এরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাবে না তার কোন হিসাব নেই। শুভ কামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্লেষণধর্মী মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার সাথে একমত। তবে এদের উপরে ফেলা সহজ হবে না।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জ্বি ঠিকই বলেছেন – “তবে এদের উপরে ফেলা সহজ হবে না”।
ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
লাল স্যালুট জানাই কবি দা অনেক শুভেচ্ছা রইল
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাইয়া , ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই সাব কিছু বলার নাই, টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধাকে খুনের জন্য শাস্তি পেলো এম পি রানা, পরে মনোনয়ন দিলেন তাঁর বাবাকে কি দারুন পুরুস্কার।
আবার কক্সবাজারের মাদক ব্যাবসায়ী কে বাদ দিয়ে তাঁর বউকে নমিনেশন দিলেন কোথায় দেবেন পাপিয়া, সমত্রাটকে দোষ।
কার কাছে আশ্রয় নেবেন।
কাদের ও তাঁর ভাইয়ের গন্ডগোলের মাঝে প্রাণ গেলে এখন দুই ভাই এক কার বিচার করবেন???
এইরকম অনেক অনেক কাহিনী আছে মুক্লহে কুলুপ দিয়ে আছি। দলকে সমর্থন করি এটাও মাঝে মাঝে লজ্জা ও ঘৃনা হই নিজের উপর।
https://sonelablog.com/%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b8-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%b9/
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
আমরাও মনে মনে মানসিক রোগি দেশপ্রেম হারায়ে গেছে। নিজ সন্তান ভেবেই শেষ. আমিও বলব না।