
তছনছ করা জাস্তি রাধাচূড়া,গুচ্ছের কদম-সুঘ্রাণ,
খরাঋতুতে বৈশাখী ঝড়ে পাল উড়িয়ে হেঁটে যাব নক্ষত্র পথে,
নকশীকাঁথা-ভোর আমায় পথ দেখাবে, উচ্ছল হৃদ-স্পন্দনে;
শরৎ-মেঘ পেছনে ফেলে এসেছি, হাবুডুবু জল-মেঘের প্রতীক্ষায়,
উঠোন জুড়ে বর্ষণ-মুখর ভিজে যাওয়ার আবেগ আঞ্জাম,
দোলন চাঁপা ঘুম সে-ও আসবে;
কিছু স্বপ্ন স্বপ্নেই থেকে যায়, সময়ের আলিঙ্গনে,
সবুজ প্রান্তরের নীল-দিগন্ত বৃষ্টির ঝর্ণা হয়ে ধরা দেয়-না,
ক্লান্তি-বিহীন শূন্যতা চোখের আড়াল হয়-না,
পূর্ণতার আনন্দ অতি-সহ্যে, প্রচণ্ডতাভরা মুখে;
নিঃসহায় সাঁজ বেলায় ভর করে নিঃসঙ্গতা বরাবরের দক্ষিণ দুয়ারে,
মাটির শয়ানে, চমকে-ওঠা আমার চোখ অপরিচিততা ঘোষণা করে,
মেঘজমা-আকাশ ভুলে যায় বৃষ্টিকে, ইচ্ছে ঘুড়ির মত;
সাঁতার কাটে সুনামি-ঢেউ, চোরাবালির আধারে, দুর্বহ ফাঁদ, ঘন জালের;
এ কোন স্মৃতির যাদুঘর নয়, সম্বিত না হারিয়েই টের পাই,
গা-ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছে কেউ এক-জন, মিশে আছে আমার সাথে
সুহৃদ-স্বজন, পুনঃসৃজন পুনঃজাগরণের মত, ধূসর সোনালী আলো ফেলে,
ফরাসী সুগন্ধ ঢেলে, জীবনের নিষ্প্রাণ প্রান্তরে;
হাতে কবিতার চাবি নিয়ে, হাজার বন্ধ দরজা খুলে দেবে সে,
নিঃশব্দ অহংকারে চোখের নিমিষে, মগজ বিনাশী পৌরুষে,
চুপচাপ সুখ নিঃশ্বাসে; কালের/অনাগত কালের প্রতিধ্বনি থাকুক বা না-থাকুক;
কানে কানে বলি, এত তাড়া কিসের! সাবধানী হও,
কবিতার কুড়িগুলো হাসুক ঘটা করে সবুজে সবুজে, অলৌকিক মিছমারে
বিশেষিত-বিভাজিত হতে হতে শব্দ-স্বাদহীন হয়ে যেও-না।
গোলাপ ফোটানো হাসিতে নিঃশব্দতা ছড়িয়ে
শব্দ-ঝংকারে স্নায়ুর স্বাধীনতায় বলে ফেলে………
শব্দরে তুহু মম শ্যাম সমান;
দু’ঠোঁট বরাবর আগুন চেপে ক্রোধসুন্দর দৃষ্টি মেলে আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখালাম,
ওই দূরে দেখ দেখ, জল প্রপাত, চাঁদ-ভাসা মেঘের মেলা,
ছুটে চলা পাহাড়ি-ঝর্ণা, চৈত্রের পিঠা সোওয়ার হয়ে ভেসে চলা
তীব্র বৈশাখ লুকিয়ে প্রমত্ত কাল বৈশাখীর আঁচল,
চোখের গভীরে লুকিয়ে থাকা স্বপ্ন পরাভবের এক-সমুদ্র রঙের ঝিলিক;
উত্থিত প্রমত্ত আবেগে সূর্য শাসনের ন্যায় অপাপ বিদ্ধ চোখ তুলে
প্রশ্ন রেখে বলে ওঠে, আমাকে কী এক্ষুণি কবিতা লিখে দেখাতে বলো?
পারি কী না-পারি? কবিতা খুলতে পারেনা এমন কোন তালা
ঈশ্বর তৈরি করেনি, করেছি কী? আমি তো তা জানিনা।
প্রতিদিনের পবিত্র পাঠে আবৃত্তি থাকে, সে-তো আমরাই জানি।
১৮:২৭, ১৯:৫৮, ২২:৫২/৭২, ২৮:৫৯, ২৯:৪৫/৫১।
ছবি নেটের।
১৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম 🙂
মিষ্টি খেয়ে নিই, তারপর আলোচনায় বসবো।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, খাইতে থাহেন।
তৌহিদুল ইসলাম
সাতশোতম পোষ্ট এটি!! অভিনন্দন ভাই। যাই আমিও সাবিনা আপার লগে মিষ্টি খেয়েই ফিরে আসছি।
আপনি খানাপিনার অন্যকিছু রেডি রাখেন।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, খাওয়ার আগে লেখা পড়তে হবে, মনে থাকে যেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
অভিনন্দন ভাইয়া। কেমন করে লিখলেন এমন সব অসাধারণ কবিতা। ভালো থাকবেন সবসময়। আর আমাদেরও মিষ্টি মুষ্টি দিয়েন।
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকি দেয়া ফাঁক দেয়া চলিবে না।
আগে লেখা পড়ুন।
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অভিনন্দন ও শুভকামনা অফুরন্ত। মিষ্টি চাই সাথে চাইনিজ তানা হলে এতোবড় সুখবরের সম্মান রাখা যাবেনা শুধু মিষ্টি তে। যেভাবে লেখা দিচ্ছিলেন জানতাম খুউব শীঘ্রই সাতশত পোস্ট ছুঁয়ে যাবেন। মহারাজ বলেই সম্ভব। এবার সহস্র পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ঈশ্বর আপনার সহায় হোন। প্রার্থনা করি আপনার মনোষ্কামনা পূরণ হোক। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা অবিরাম। শুভ রাত্রি
ছাইরাছ হেলাল
প্রার্থনা সহ আর যা যা বলছেন সব ঠিক আছে,
এখানে তো একটি লেখা ঝুলে আছে!! সে দিকে চোখ দিন।
ভাল থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
আপনি একা যাইয়েন্না, আমাদেরও নিয়া যাইয়েন।
কবিতায় মগ্ন কবি, আরো মগ্নতা আসুক, ইশ্বরের সাথে,
মন্তব্যে শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন দিয়ে মন ভরবে না,
তারপরেও ইট্টুস শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতায় মগ্নতা আসবে কি না জানি না, তবে ঈশ্বরে মগ্নতার অবিরাম চেষ্টা করছি।
ধন্যবাদ।
তৌহিদুল ইসলাম
আপনি একান্ত অনুভূতিতে কবিতা লিখেন কিন্তু কবিতা বিভাগে প্রকাশ করেননা। তারপরেও কবিতা ভেবেই পড়ে যাই। কিছু সময় বুঝি, কিছু সময় মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। তারপরেও জীবনযাপন এবং প্রকৃতি নিয়ে আপনার সব লেখা পড়ে ভালো লাগে। ভাবি আমিও যদি আপনার মত লিখতে পারতাম।
একবসাতেই যিনি ছন্দ মিলিয়ে ডায়েরির পাতা ভরে ফেলতে পারেন তিনিই প্রকৃত লেখক। আমার আর লেখক হওয়া হবেনা। মাথায় উপরে হাত রেখে ফুঁ দিয়ে দিন ভাই।
আবারো অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে কবিতা সম্বন্ধে আমার ধারণা খুব জটিল, পৃথিবীর বহু বহু বিখ্যাত কবিদের কিছু কিছু পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে/হচ্ছে।
সেখানে লিজের লেখা কে কবিতা বলে চালাতে ঠিক ভারসা পাচ্ছি না, তাই সহজ করে নিজের অনুভুতির কথাই বলতে
সচ্ছন্দ বোধ করি। আমার লেখাকে আবর্জনা থেকে বেশী কিছু মনে হয় না, যদিও লেখাদের আমি খুব ভালোবাসি।
ভাল থাকবেন, নিরাপদে থেকে আমাদের দোয়ায় রাখবেন।
ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
কবিতা বা আপনার ভাষায় একান্ত অনুভূতি লেখা কিন্তু কঠিন। Wordsworth said, “All good poetry is the spontaneous overflow of powerful feelings ; and it takes its origin from emotion recollected in tranquility. ”
মেধা, মনন মগজ সব দরকার। আর যেটা আপনার মাঝেই বিদ্যমান।
কবিতা কলমে কাব্যকথন বা সত্য কথন।
ছাইরাছ হেলাল
পান্তা ভাতে ঘি ঢালছেন!!
শুধুই নিজের মত করে নিজেকে প্রকাশ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
লেখার সাড়াশি অভিযান চালিয়েছেন, দাদা।
সবার সাথে মিষ্টির ভাগ যাতে আমিও পাই।
.
আপনার প্রতিটা লেখা আমি দু – তিনবার পড়ি তারপর মতামত। খুবি ভালো প্রকাশ করলেন।
.
অভিনন্দন রইলো, দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন লিখতে আমি পছন্দ করি, যা দেখতে পাচ্ছেন ের থেকে সামান্য বেশী
নিজের কাছে থেকে যায়, যাচ্ছে।
সোনেলা সবার, ভাগ-ভুগ ও সবার।
ভাল থাকবেন।