
অনেক দিন হলো আমি কিছু লিখতে পারছি না। পড়ছি, কিন্তু কি পড়ছি সেটা দেখার জন্য আবারও প্রথম থেকে পড়ে নিতে হচ্ছে।
আসলেই আমি পারছি না। যেন সবকিছু থমকে গেছে, যেন ছন্দপতন হয়ে গেছে সময়ের, আমার!
এলোমেলো-অগোছালো আমিটাকে যতই গোছানোর চেষ্টা করছি ততোই আরও দুর্বোধ্য হয়ে যাচ্ছে সব।
কিছু কথা, কিছু ব্যাথা, কিছু প্রশ্ন, আর অনেক অনেক বোঝা নিজেকেই বয়ে বেড়াতে হয়। দাঁতালো কিছু স্মৃতি কামড়ে ধরে রাখে, মুছে ফেলা যায় না। মেরে ফেলারও উপায় নেই, মনে হয় স্মৃতিরা অমর হয়ে জন্ম নেয়। স্মৃতিদের মৃত্যু নেই।
গত সপ্তাহে আমাদের পরিবারের প্রবীণতম সদস্য আমার নানী চলে গেছেন না ফেরার পথে। সকল মৃত্যুই যন্ত্রণার, প্রিয়জনের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠা সহজ কাজ নয়। নানীর মৃত্যু একইভাবে আমার জন্য যতটা কষ্টদায়ক, তেমনি আমি নতুনভাবে নতুন করে পুরনো অনেক জিনিস হাতে কলমে শিখতে পেরেছি, জেনেছি। আরও উপলব্ধি করেছি নিজস্ব জীবনের প্রতিটি ঘটনা আমাদের যা শেখায় তা অন্য কোথাও থেকে শেখা যায় না।
আমরা যতক্ষণ বেঁচে থাকি ততক্ষণই পৃথিবীটা আমার, আমাকে ঘিরে থাকা সবার মাঝে আমি পৃথিবীর সব কিছু পাই। কিন্তু চিরবিদায়ের সময় কেউই সাথে যায় না, যা কিছু একান্ত আমার বলে জানতাম সেসব কিছুই সাথে দেয়া হয় না। পৃথিবীতে আমার আগমন হয়েছে নিশ্চিত প্রস্থানের জন্যেই, এটাই একমাত্র সত্যি, রুঢ় বাস্তব।
আমার বয়স কমে যাচ্ছে প্রতিদিন একটু একটু করে। অথচ আমার জানা নেই আমার মোট আয়ুর কতটা ফুরালো!
ইদানীং আমি শুধু দেখি। শুধু দেখার জন্য নয়, নিজেকে দেখানোর জন্য দেখি। করোনার প্রভাবে চলমান জনজীবনে যাকিছু হয়েছিল তার সবই মোটামুটি কেটে গেছে। মানুষের জীবনে গতি ফিরেছে, প্রায় সব ক্ষেত্রেই মানুষ নিজেদের ছন্দে ফিরে গেছে। শুধু আটকে আছে বাচ্চাদের নিয়মিত পড়াশোনা। ঘরের চারদেয়ালে বন্দি সময় পার করছে আমাদের শিশুরা। অন্যান্য বাচ্চাদের মতোই আমার ছোট্ট মেয়েটা স্কুলে যেতে চাচ্ছে,নিজের ক্লাসরুমে বসে লেখাপড়া করতে চাইছে। আর আমি অসহায়ের মতো নির্বিকার হয়ে থাকছি।
আজ আমার পাঁচ বছরের ছোট ভাগ্নী আমাকে শোনালো ” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ”,, আমি হতভম্ব হয়ে শুনছিলাম। মনে হয়েছিল এই বুঝি পরের লাইনটা ভুল হবে, অথবা ধৈর্য হারিয়ে ফেলবে। কিন্তু আমি অবাক হয়ে শুনে গেলাম, ওর গানে কোথাও ভুল হচ্ছিলো না। পরম মমতায় যথাযথ মর্যাদা দিয়েই ও গানটি গেয়েছে। এটা ওকে ওর স্কুল থেকে শিখিয়েছে, ওর মা ওকে অনুপ্রাণিত করেছে। শিশুরা শিখতে চায়, বুঝে শুনে সেসব শিক্ষার অনুসরণ করতে চায়। কিন্তু দুঃখজনক সত্যি হলো সব স্কুলে শিশুদের শিক্ষার্থী ভাবা হয় না। স্কুল কর্তৃপক্ষ বাচ্চাগুলোকে জাস্ট তোতা পাখি মনে করে। কিছু মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে বছর টপকে দেয় পাসের সার্টিফিকেট দিয়ে। প্রকৃতি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।
খবরের কাগজ পড়ি না বহুদিন হয়ে গেছে। টিভি খুললেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠে একের পর এক দুর্ঘটনার ভয়ালচিত্র, দুঃসংবাদ। শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন কত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, কে রাখে তার খবর! ছোট্ট শিশুর লাস পড়ে থাকে পানির ট্যাংকে অজ্ঞাত পরিচয়ে, শহীদ মিনারের পাশে পড়ে রয় কিশোরীর নিস্প্রাণ দেহ! অভিমান-আত্মগ্লানীর সব বেদনার অবসান ঘঠাতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে তরতাজা জিবন্ত মানুষেরাও। স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার মাসে নিরবে কত প্রাণ ঝরে যাচ্ছে বিনা বিচারে অন্ধকার কারাগারে, কেউ কি শুনতে পায় তাদের বিদেহী আত্মার আর্তনাদ? দেশ স্বাধীন হয়, জাতি স্বাধীনতা পায়, কিন্তু মানুষ? মানুষ কি প্রকৃতঅর্থে স্বাধীন হতে পারে?
সবই দেখি, নিজেকে দেখাই, ভুলে যাই বারবার মনে না রাখার ব্যর্থতায়..।
* ছবি- আমার।
৩৫টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
খুব হৃদয়গ্রাহী লেখাটি।
প্রথমে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি
মহান আল্লাহ তায়ালা যেন উনাকে রহমতের ছায়াতলে স্থান দেন।
স্কুলে বাচ্চাদের মুলতঃ ফলাফলের আশায় শিক্ষা দেয়া হয় তাই
প্রকৃত শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত বললে ভুল হবে না।
অনেক অনেক মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রেখে গেলাম পাতায়।
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের দোয়া কবুল করুন।
আগামী প্রজন্মকে যদি প্রকৃতি শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করা নাহয় তবে এর মাশুল একদিন গোটা জাতিকেই দিতে হবে।
ভালো থাকুন আপনিও, শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
এটা য় ও আমার রোগ, “অনেক দিন হলো আমি কিছু লিখতে পারছি না। পড়ছি, কিন্তু কি পড়ছি সেটা দেখার জন্য আবারও প্রথম থেকে পড়ে নিতে হচ্ছে।” সাবিনা আপু।
হ্যাঁ বাচ্চাদের সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে শিখাতে পারাই কঠিন হলেও পড়ানো উচিত আমাদের।
সাবিনা ইয়াসমিন
দুঃসময় কেটে যাক এটাই প্রার্থনা করি।
আপনি ভালো থাকুন মজিবর ভাই, শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
আলহামদুল্লাহ, আল্লাহপাক সবাইকে ভালো রাখুক কামনা করি।
ফয়জুল মহী
মরণ সবসময় সত্য এবং হৃদয় বিদারক । কালকে ঢাকা সিলেট রোড়ে অ্যাকসিন্ডের ছবি দেখলাম ক্ষত-বিক্ষত লাশ। লেখক মুসতাক জেলে মরে গেল ছয়বার জামিন হয়নি। অথচ এই বগ্লে একজন লেখকও এই অসম মরণ নিয়ে লিখে নাই। মহামারীতে কত মানুষ আপনজন হারালো ।
সাবিনা ইয়াসমিন
চারপাশে যা কিছু ঘটে/ঘটছে এগুলো এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই মহী ভাই। এসবই আমাদের বাস্তব বর্তমান। ঘটমান কোনকিছুই শুধু আমার আপনার বেলায় নয় সবার বেলাতেই ঘটতে পারে। আমরা যতই বলি লিখতে পারি, বলতে পারি, চাইতে পারি, কিন্তু আসলেই কি আমরা পারি? পারি না।
ব্লগে কে কি লিখবে এটাতো যারযার নিজস্ব ব্যাপার। কেউ লিখতে চাইলে যেমন থামানো হয় না, তেমনই না লিখলেও তাকে জোর করা হবে না।
ব্লগটা আপনারও। আপনি চাইলেই আপনার ভালো লাগা, মন্দ লাগা নিয়ে লিখতে পারেন।
সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছেই, সাথে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য দুর্ঘটনা কম ঘটছে না। করোনা, রোগ, শোক, যানজট, লেখাপড়া, আয়-রুজি কোন কোন ক্ষেত্রটাতে মানুষ শান্তিতে আছে বলতে পারেন? পরিপূর্ণ হয়ে কেউ ভালো নেই। অস্থির সময়ে থেকে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লিখতে হলে যেটুকু মানসিক ধৈর্য দরকার হয়তো সেটাও অনেকের নেই।
আপনি লেখা দিন, অনেক দিন হলো কিছু লিখছেন না।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা 🌹🌹
শামীনুল হক হীরা
আপ্লুত হলাম।।
অশেষ শুভেচ্ছা আর দোয়া রইল।
সাবিনা ইয়াসমিন
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আপনাকেও।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
পপি তালুকদার
লেখা টা পড়ে কোথায় যেন হাড়িয়ে গেলাম! গত কয়েক দিন আমিও বিশেষ কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যা লেখা খুঁজে পেলাম। যাই হোক সমস্যা থাকবে কারন সমস্যা ছাড়া জীবন কে উপভোগ করা যায়না!! জীবনে চলার পথে সমস্যাগুলো চারপাশের আপন জন হিসাবে আখ্যায়িত ব্যক্তিদের চিনিয়ে দেয়।জানি সমস্যা গুলো দীর্ঘস্থা্য়ী কিছু এর সমাধান একদিন ঠিকই হবে।
আশা রাখি আবার ছন্দময় জীবনে ফিরে আসবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
সমস্যা, ঝুট-ঝামেলা আমাদের নিত্যদিনের সাথী। এসব উপেক্ষা করার উপায় নেই। জীবন গতিময় ততক্ষণই থাকে যতক্ষণ আমরা সবকিছু নিয়েই এগিয়ে চলতে পারি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
প্রদীপ চক্রবর্তী
যদিও ব্যতিক্রম!
বিভিন্ন সমস্যায় আমিও ভুগছিলাম।
গতবছর বইমেলা থেকে বেশ কয়েকটা বই এনেছিলাম এছাড়া অনলাইনেও কিছু বই সংগ্রহ করেছিলাম।
যদিও কয়েকটা পড়া শেষ।
কিন্তু দশ পনেরো দিন থেকে লিখতে পড়তে এবং কোন কাজ করতে ভালো লাগছে না। এরমধ্য পরীক্ষা বাতিল!
ইত্যাদির জন্য নিজেই ভারাক্রান্ত আছি।
.
আপনার নানীর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করি।
.
শোক কেটে পুনরায় লেখা নিয়ে ফিরবেন বলে আশাকরি।
শুভকামনা, দিদি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ব্যক্তি-ক্ষেত্র-পরিস্থিতির কারণে সমস্যা গুলো ব্যতিক্রম হয়,প্রকাশ হয় আলাদা আলাদা ভাবে, কিন্তু একটা জায়গায় এসে সবারই অনুভূতি মিলে যায়। সব কিছু নিয়েই বেঁচে থাকা।
ভালো থেকো প্রদীপ। শুভ কামনা নিরন্তর 🌹🌹
ইঞ্জা
আপু প্রথমেই নানীর ইন্তেকালে গভীর শোক জ্ঞাপন করছি, নানীকে যেন আল্লাহ রহমানুর রহিম জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন এই দোয়া করছি।
খেয়াল করে দেখছি শুধু আপনি নন, আমরা অনেকেই এক অস্থিরতার মাঝে সময় কাটিয়েছি, আশা করছি দ্রুতই সবাই স্বাভাবিক হয়ে উঠবো।
অনেকদিন পর আপনি, আমি ব্লগে ফিরে এলাম, আশা করছি ব্লগ দ্রুতই আগের মতোই প্রাণ উচ্ছল হয়ে উঠবে।
শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের দোয়া কবুল করুন।
আসলেই অস্থির সময় চলছে। প্রাকৃতিক দুঃসময়ের সাথে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে মানুষ দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা গুলোও। এর প্রভাব থেকে শরীর মন কোন কিছুই মুক্তি পাচ্ছে না। তবুও আমরা আশা রাখি সকল দুঃসময় একদিন কেটে যাবে, পৃথিবীটা শান্তিতে ভরে উঠবে।
ব্লগের সার্বিক সাফল্য কামনা করি আমরা সবাই। ইনশাআল্লাহ আমাদের চেষ্টা সফল হবে।
ভালো থাকুন ভাইজান, শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
ইঞ্জা
আমীন।
ধন্যবাদ আপু।
তৌহিদ
আপনার নানীর কথা জেনে ব্যথিত হলাম আপু। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসীব করুন।
জীবনে অনেক এলোমেলো সময় আসে। বিচ্ছিন্নতায় জড়ানো জট খুলতে সময় লাগে। সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিন।
ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে, সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি। ভালো থাকুন সব সময়, শুভ কামনা রইলো 🌹🌹
আরজু মুক্তা
অস্থির এলোমেলো জীবন নিয়ে আমরা ক্লান্ত। বললেই তো মানিয়ে নেয়া যায় না। কঠিন মুহূর্ত গুলো সামলিয়ে আবার আগের মতো চলা হয়না।
তবুও চাই, আগামী দিনগুলি ভালো হোক।
আপনি, আমি, বা আমাদের পরিবার সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠুক।
সাবিনা ইয়াসমিন
❝অস্থির এলোমেলো জীবন নিয়ে আমরা ক্লান্ত। বললেই তো মানিয়ে নেয়া যায় না। কঠিন মুহূর্ত গুলো সামলিয়ে আবার আগের মতো চলা হয়না❞
এরপর আর কিছু বলার থাকে না, হয়তো আমিও এটাই লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমরা সবাই কিন্তু একটা অস্থির, এলোমেলো জীবনযাপন করছি। আপনার নানীর মৃত্যুর খবরে কষ্ট পেলাম। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন। আপনাকে অনেক দিন পর পেলাম , খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
সাবিনা ইয়াসমিন
দীর্ঘদিন পর ফিরতে পেরে আমারও ভালো লাগছে, আমি আপনাদের মিস করেছি কিন্তু কিছু ঝামেলার কারণে নিয়মিত হতে পারিনি। আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ, এবং অবশ্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি আমাকে এমন করে মনে রাখার জন্য। খুব ভালো থাকুন, শুভ কামনা নিরন্তর 🌹🌹
রেজওয়ানা কবির
এফ বিতে বার বার ‘একান্ত আমি’ ঘুরছে চোখের সামনে। ভাবলাম সময় নিয়ে পড়ি,যখন পড়তে শুরু করলাম তখন নিজেকেই এলোমেলো লাগছিল আর ভাবছি,সবার জীবনটাই এরকম অস্থির হয়ে গেছে আর কোন না কোন সমস্যা সবার জীবনে লেগেই থাকে। কোথাও কেউ কি ভালো নেই??? হয়ত ভালো থাকি আবার কখনো বুঝতেই পারি না যে কেন ভালো নেই??এরকম অনেক ব্যাপার,তবু ভালো থাকার উপায় খুঁজে নিতে হয় নিজেদের ভালো রাখার তাগিদে,চলতে হয় এভাবেই,তখন নিজেকে দেখি কিন্তু সত্যি দেখার জন্য দেখি।তারপর যখন ডাক আসে যখন, তখন যেতে হয়।নানীর আত্নার শান্তি কামনা করছি।আল্লাহ জান্নাত নসিব করুক।আমিন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার কমেন্ট কয়েকবার পড়লাম, আর প্রতিবারই অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করলো। আপনি শুধু ভালো লেখেনই না, অনেক ভালো মন্তব্য দিতে জানেন। মন দিয়ে প্রতিটি অক্ষর পড়তে পারলেই এভাবে লেখায় ঢুকতে পারা যায়, লেখক কি বলতে চাচ্ছে সবই বুঝে ফেলা যায় এক নিমিষেই!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা দিলাম।
আপনার পোস্ট দিন, পড়ার অপেক্ষায় আছি।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু। ইনশাল্লাহ লিখব খুব তাড়াতাড়ি।
বন্যা লিপি
“সবই দেখি, নিজেকে দেখাই, ভুলে যাই বারবার মনে না রাখার ব্যর্থতায়..।”
আকাশটা থরে বিথরে কাঁদছে। কাঁদছে আত্মার শোক বুকে ধরে রেখে। আমাদের আঙুলগুলো অসাঢ়তায় ডুবে আছে যাবতীয় সব দেখা- দেখির বোঝা বহন করে। একবার নাটাই থেকে সুঁতো ঊর্ধে উঠে গেলে গুছিয়ে ফিরিয়ে আনতে দক্ষ হাতের কৌশল লাগে। ভূগছি এখন নানান দেখাদেখির মধ্যিখানে।
কি মন্তব্য করব আর কি লিখব? মাথার সুঁতোয় জটলা লেগেছে। হাঁটছি সেই পুরোনো রাস্তাগুলো ধরে ধরে….. ওসবে আজ পড়েছে নতুন পিচঢালা পথের পোষাক। যেখানে নেই অগুণতি স্বস্তি,শান্তির আশ্বাস। তবুও চোখ বড় বেহায়া; সুদিনের আশে করেই যায় নির্লজ্জ বায়না…….
সাবিনা ইয়াসমিন
একটা পাখি পুষি বুক পাঁজরের মধ্যখানে,
প্রতিদিন তার একেকটা পালক ঝরে পড়ে নির্জনে-অভিমানে,
যখনই সে গেয়ে উঠে,, আমি চমকে উঠি বিলাপ ভেবে,
ডানা ঝাপিয়ে ওড়তে নিলেই ছড়িয়ে দেই মায়াজাল/
পাখি আমার মায়া বোঝে না, জানি না তাকে আঁকড়ে ধরার মন্ত্র;
আমরা লেপ্টে থাকি আপনাপন খোলস নিয়ে..
তোমার মন্তব্যর জবাব দিতে আমি অক্ষম,
ভালোবাসা নিও বন্যা ❤️❤️
বন্যা লিপি
আমারে করেছ যতন
কেড়ে নিয়ে যক্ষের ধন
পোষা পাখি পোষ মানেনা
এমনই তার ধরন।
চরন ধরি তারে করি মিনতি
বশ্যে- মন্ত্রে আমারেই করিস জ্যোতি!
কি জানি কি লিখলাম!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি জানি তুমি কি লিখেছো, এটাকে বলে ধুলোযাদু। আমি এই লেখার জবাব খুঁজতে খুঁজতে রাত পার করবো আর তুমি দূর থেকে দেখে হাসতে হাসতে ভোর ডেকে আনবে 🙁
এই ছিলো তোমার মনে! এত ভালো ভালো শব্দ দিয়ে কমেন্ট দিলে আমি রিপ্লাই দিবো ক্যামনে!!
আশরাফুল হক মহিন
লেখাটা পড়ে হারিয়ে গেলাম
অশেষ শুভেচ্ছা জানাই প্রিয় কবিকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা ও শুভ কামনাও দিচ্ছি। ভালো থাকুন 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ আপনার নানীকে সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন, তা কামনা করি।
রাইটারর্স ব্লক খুব সাধারণ ঘটনা আমাদের জীবনে। এ এমন কিছু না, শুধু আল্লাহ-বিল্লাহ একটু বাড়িয়ে দিলেই
রহমত এসে যাবে, ভাল থাকবেন নিরন্তর, বেহিসেবি সময়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমীন।
সময়ের হিসাব আসলেই বেহিসেবের খাতায় জমে যাচ্ছে। সময় এমনই এক খাতা যার কেবল পিছনের পাতা দেখা যায়, হালখাতা খোলার নিশ্চয়তা নেই। দোয়ায় রাখুন, দোয়ায় থাকুন মহারাজ।
আশরাফুল হক মহিন
খুব ভালো হয়ছে প্রিয় কবি
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্বী, বুঝতে পেরেছি আপনার একটু বেশিই ভালো লেগেছে 🙂