পৃথিবী’র অর্ধেকাংশ জুড়ে এখন শীতার্ত হাওয়া। অধরা রয়ে যায় কুয়াশা ভাঙা রোদের এক চিলতে রোদ। অদৃশ্যময়তায় কল্পনারাজ্যে আমি ঘুরে বেড়াই এখানে সেখানে-,
কচুরিপানা, বেগুনী হলদে টগর, উঠোনের কোনে সজনে ডালে টুনটুনি,গোলপাতা ছাউনির ঘর,মাটির চুলায় পাতা পোড়া ধোঁয়া,
পুকুর ধারে থানকুনি পাতার বুনো ঘ্রান
ঠান্ডা জলে হাঁসেদের সাঁতার
সর্ষে ক্ষেতে সুর্যের দাপট
হলুদ সমুদ্র
সবুজ হলুদের স্বপ্ন
তেঁতুলের পাতায় পাতায় ফিকে রঙের ফুল, ফুলহীন হিজলের ডাল ছুঁয়ে আছে পুকুরের জল, ফুলহীন হিজলের ডাল ছুঁয়ে আছে পুকুরের জল- সরিসৃপ নেমে যাচ্ছে সরু খালের জলে
একটু দুরের পাইতরা বন
ঘন সবুজের আঁধার…….আমি আবার ফিরে আসি আমার বাস্তকোনের ঘরে। কতদিন!! কতদিন হয়ে গেলো বারান্দার রকিং চেয়ারে বসে বিকেল দেখিনা! কতদিন হয়ে গেলো একটা ঘর অন্ধকারে ডুবে আছে। আমায় খোঁজে না সে ঘর থেকে- বন্যা
আছো? তুমি লেখা দিচ্ছো না কেন? আমার বড্ড একা লাগে ব্লগে গেলে। তোমাকে পাইনা কেন? আজ লেখা দাও, আমি আছি ব্লগে, তুমিও আসো। আজ কমেন্টে কমেন্টে আড্ডা দেব ” হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম, আমার ময়না কোথাও নেই। আমি একা হয়ে পড়েছি, একা একা একা কেবল একা। এখানে এসে না পাই ময়নার উপস্থিতীর চিহ্ন! না পাই ইনবক্স ঘরে টোকা।
সেই কবে কখন ময়না ডাকে এসেছিলাম একে অন্যের কাছাকাছি! তারপর হাত ধরে হেঁটেছি এতটা পথ। কতশত কথা গল্পে আমাদের ডাকাডাকি!! কত ঝড় এলো, তবু শক্ত ছিলেম তুমি আমি। তোমার আমার উঠোন ছিলো এইখানে। আমাদের দেখা হয়েছিলো সোনালী ছাউনীর তলে। আমরা ছাড়িয়ে গেলাম সব ছাউনী’র উপরে। আমাদের বন্ধুত্বে ছাড়িয়ে গেছে সকল বাঁধন! নিভৃতে রেখেছি একান্ত কতশত খোশগল্পের মায়া। তুমি আজ নেই কেন কোথাও? একরাতে তোমাকে খুব দরকার ছিলো আমার, তোমাকে ডেকেছি বারবার, ছিলেনা তুমি। পরেরদিন তুমি একটা নাম্বার দিলে আমায়, কতবার ফোন করেছি তোমায়!!! যান্ত্রিক একটা ডাইনী কন্ঠ আমাকে বললো, ” আপনি যে নাম্বারে কল করেছেন, তা এই মুহুর্তে বন্ধ আছে।অনুগ্রহ করে আবার কল করুন!” প্রতিবার একই বুলি আওড়ে যাচ্ছিলো ডাইনী বুি। জানো আমার কেমন রাগ হচ্ছিলো তখন?
রেগেমেগে তোমাকে মেসেজ দিলুম, -” তুমি কোথাও নেই কেন? একটা নাম্বার দিয়েছো, তাও পাইনা তোমায়! তোমাকে খুঁজবো কি করে?” তারও তিনদিন পরে তুমি উত্তর দিলে, আমি খুব ব্যাস্ত বন্যা!” ব্যস! আর কোনো খোঁজ নেই। নেই নেই নেই……..আমি আর লিখতে পারিনা কিছু ময়না! আমার আর ভালো লাগেনা এখানে আসতে। আমি যে তোমাকে খুব মিস করি! কিছু বন্ধুত্ব থাকে এমন, খুব বেশি দেখাদেখি নয়, খুব বেশি হাতে হাত রাখা নয়, খুব বেশি কাছাকাছি থাকা নয়…..তবুও হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় বন্ধুত্বের বন্ধন। তুমি আমার এমনই একজন ময়না……। এখানে আর তোমাকে পাই বা না পাই, তুমি থেকো তবু হাওয়া কাগজের পৃষ্ঠা যতদিন থাকে ততদিন। আমাদের দেখা হবে কোনো একদিন। ইনশাল্লাহ্ আমাদের দেখা হবে কোনোএকদিন নিশ্চই। আমি সেদিনের অপেক্ষায় থেকে যাব নিরবে। তোমাকে ছাড়া হয়ত ঠিকই চলবে এই সোনালী উঠোন। এ উঠোন তোমাকেও খুব খুব খুব অভাব বোধ করবে জেনে রেখো। কারন এই উঠোন তোমাকে নাম দিয়েছে # সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে সোনেলা ইয়াসমিন।
তুমি যেখানেই থাকো খুব ভালো থাকো। মনে রেখো এই বন্যা তোমাকে আমৃত্যু ভালবেসে যাবে বন্ধুত্বের দাবিতে। ভালবাসি ময়না❤❤
২৯টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
পৃথিবীর অর্ধাংশে এখন রাত, অর্ধাংশে দিন
এইসব রাত্রিদিনে কেটে যায় দিন, সমস্ত দিন,
আমরা জেগে থাকি আক্ষেপের দিনে
আমরা গুনতে থাকি সংক্ষিপ্ত রাত
প্রাপ্তির বৈচি মুঠোয় ভরে ভুলে যাই অপ্রাপ্তির ক্ষোভ;
এইতো জীবন!
আশা-আবেগ-বিবেক-রুদ্ধতার সংস্কারহীন সংরক্ষণ..
তুমি ডাকবে আর আমি শুনবো না তাই-কি হয়!
ভালো থেকো বন্যা, অফুরান ভালবাসা তোমাকেও
❤️❤️❤️❤️
বন্যা লিপি
কোন সুদূরের ওপার হতে ডাক’এর সাড়া দিলে……..
যেখানে যোগ-বিয়োগের ফলাফল সংরক্ষিত বিবাদের নিয়তি! সেখানেই চিরায়ত আয়না ঝিকিয়ে ওঠে রুদ্র আলো’র মত। সে তুমিও যেমন বোঝ! তেমনি আমিও…… আমাদের আঙুলগুলো দাসত্বে অসাড়।।ভালো থেকো তুমিও। ভালবাসা ❤❤❤❤
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অটুট থাকুক বন্ধুত্বের বন্ধন।
আত্মার সম্পর্ক হয়তো এমনই হয়
যতই দূরে থাকুক না কেন আবেশিত ছোঁয়া সর্বদা যেন জেগে থাকে অন্তরে।
খুব সুন্দর অনুভূতিতে লেখা চিঠি।
ভীষণ মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা রেখে গেলাম অন্তহীণ।
বন্যা লিপি
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
একজন বন্ধু তার বন্ধুর আলিঙ্গনে,কেমন আছো জানার এমন ব্যাকুল ইচ্ছে-এতো চমৎকার আহবানময় উপস্থাপনা আপনার এ লেখা না পড়লে বুঝতেই পারতাম না। আপনাদের এ বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন।
শীতের তীব্র ঠান্ডায় সূর্যের উষ্ণতায় যেমন মানবকুলএকটু স্বস্তি খুজেঁ পায় তেমনি আপনার নিখোজ বন্ধুর খোজে মরিয়া হয়ে অবশেষে সোনেলার উঠোনে দাওয়াত দিলেন দোয়া আরজে যেন শীগ্রই ঘটে মিলন।আমরাও প্রান ভরে দোয়া করি বন্ধন যেন আর হয়না ছিন্ন।
আফারে কইয়েন তার এ ছোট ভাইটিও সোনেলায় তার অভাব ফিল করে।
ভাল থাকুন।সুস্থ থাকুন।নিরাপদে থাকুন।
বন্যা লিপি
আফারে মিসফিল করে সক্কলে মমি ভাই। আফায় হয়ত আর আগের মত আইব না এইখানে। তবু আমার ডাকে যে সে সাড়া দিয়েছে এখানে, এই ঢের। তবু ভালো থাকুক নিজের মত দোয়া করি সবাই তার জন্য। আপনাকেও ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা সবসময়।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির ছোঁয়া প্রিয় লিপি আপু
বন্যা লিপি
আপনাকে ধন্যবাদ।
স্বপ্ন গোধূলি
চিঠি পড়ে ভাবছি আর ভাবছি। কিছুটা হিংসাও হচ্ছে। এমন এক বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার বন্ধু এবং আপনার জন্য রাশিরাশি শুভ কামনা করি।
বন্যা লিপি
স্বপ্ন গোধূলী, আপনার মতই হয়ত কেউ কেউ ভীষণ হিংসা করত আমাদের বন্ধুত্বের। তাই নজর লেগেছে, বলতে পারেন কুনজর।
আপনার প্রতি শুভ কামনা।
স্বপ্ন গোধূলি
আরে! আপনি দেখছি ভুল বুঝলেন!! আপনাদের বন্ধুত্বের প্রতি আমি মোটেই নজর দেইনি। আচ্ছা হিংসার লাইন বাদ। আপনাদের বন্ধুত্ব অটুট হোক। দোয়া করি।
বন্যা লিপি
স্বপ্ন গোধূলী, আমি ভুল বুঝব সে সুযোগ আপনি রেখেছেন? #স্বপ্ন গোধূলী এমন একটা নামের আড়ালে নিজেকে লুকিয়েছেন, যে আমি আপনাকে মেল না ফিমেল ভাববো! তাইতো বুঝতে পারছি না, তায় আবার আপনি এলেন মাত্র দিনে দিনে দুদিনও পুরা হয়নি।
তবে আপনার দোয়াটুকুতে জোড় থাকুক, থাকুক আমাদের বন্ধুত্বের অমরত্ব। আপনি আবার আমার কথায় মাইন্ড খাবেন না প্লিজ। আমি আবার একটু সোজাসাপ্টা কথা বলি কিনা! আপাত পুরাতন ব্লগবাসি অনেকের কাছেই আমার আবার বড় বদনাম আছে রে ভাই……বইন, যা হোক কিছু তো একটা হবেন আপনি, যেটাই হোন, সেটাই নিয়ে নেবেন নিজ দায়িত্বে।
স্বপ্ন গোধূলি
প্রথমত একজন লেখক/ব্লগারের জেন্ডার নিয়ে ভাবাভাবিতে সময়ক্ষেপণ করার কোন মানে হয়না। লেখকের পরিচয় পরিচিত হয় তার লেখায়, লিঙ্গে নয়। আর ২য় ব্যাপার হলো ব্লগের মতো প্লাটফর্মে যারা লেখালেখি করেন তাদের সম্পর্ক হওয়া উচিত সহযোগীতা, তর্ক, বিতর্কের মধ্যে দিয়ে। ভাইয়া আপু সম্বোধনে সম্পর্কের উন্নতি/অবনতি হতে পারে কিন্তু এসব সম্বোধন বস্তুত কোন কাজে আসে না। আমার লিখবো, আলোচনা সমালোচনা করবো। আপু/ভাইয়াদের থেকে সমালোচনা কেউই হয়তো নিতে পারবো না। আর আলোচনা সমালোচনা ছাড়া ব্লগে লেখা নিরর্থক। আশা করছি আপনি আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন।
বন্যা লিপি
আপনি ছিলেন কই এতকাল? আপনার এই মন্তব্যের বক্তব্যের মর্মার্থ নিয়ে আপনি একটা বিস্তারিক পোষ্ট লিখে ফেলুন। এ আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ। একচুয়ালি আমি চাইছি আপনার বক্তব্যের ভাবার্থ মোতাবেক একটা শানিত লেখা লিখেই ফেলুন। বর্তমানে খুব দরকার এখন। ভাই /বোন বন্ধু সম্পর্ক বা ডাকাডাকির জের ধরে আর যাই হোক লেখা এবং লেখা সংলগ্ন তর্ক,সমালোচনা, বিতর্ক, দেয়া নেয়া নিয়ে এখানে আকাল চলে। বলা যেতে পারে চলে স্বজনপ্রিতী বা মুখ রক্ষা। যা কাম্য নয়। লেখা নিয়ে ভাবুন, লেখা নিয়ে বলুন, বুঝতে না পারলে লেখকের ব্যাক্তিগত ইমেজ নিয়ে টানাহেঁচড়া ছাড়ুন। সোজা মোদ্দা কথা হলো, এখানে লেখক প্রিতী হতে পারে। স্বজনপ্রিতী নয়। ছদ্মনামের আড়ালে জেন্ডার নিয়েও কৌতুহল থাকার দরকার নেই কারো। আপনাকে ধন্যবাদ, বিষয়টা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য। আপনার মঙ্গল কামনা করছি।
তৌহিদ
বন্ধুর জন্য এমন আকুতিপূর্ন আবেগী লেখা পড়ে বন্ধু না এসে থাকতে পারেনা তা প্রথম মন্তব্যেই দেখলাম। সাবিনা আপুকে ব্লগে খুবই মিস করি। তিনি ফিরে আসুন এটাই চাই।
শুভকামনা সকলের জন্য।
বন্যা লিপি
আমিও অবাক হয়েছি তৌহিদ ভাই, বোঝা যাচ্ছে, তিনি সক্রিয় না হলেও ব্লগে চুপিসারে ঢুঁ মারেন ঠিকই, চিঠি লেখার সার্থকতা বলা যায় নিশ্চই!
আমরা সবাই চাই তিনি ফিরে আসুন।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আহা! এমন আহ্বান। হবারই কথা। আমরাও তাকে অনেক অনেক মিস করি। জানতে চাই কেন তিনি নিয়মিত আসবেন না। তাকে ছাড়া ব্লগ সত্যিই সুনা সুনা।
বন্যা আপুর জন্য অন্তত ফিরে আসুক। আমরা তাকে চাই।
শুভ কামনা দুজনের জন্যই❤️❤️
বন্যা লিপি
বন্যা আপুর জন্যই ফিরে আসুক” এই কমপ্লিমেন্ট বিরাট বড়! যদি এমনটাই হত তাহলে মন্দ না হলেও দৃষ্টান্ত হতে পারত😊 কিছু কারন জানতে চাইলেও জানা হয়না আসলে কখনো, কেন? কি? কারন? তেমনি আমিও জানিনা সাবিনা আর কেন ব্লগে নিয়মিত বা অনিয়মিত কেন আসবেন না।
তবু বলা যায়…..শো মাস্ট গো অন”
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রকৃতির অপরূপ বন্দনায় লেখার শুরুতে মুগ্ধ হলেও পরবর্তীতে বন্ধুর সাথে যোগাযোগ হীন সময়টা মনকে ব্যথায় ভরিয়ে দিল। সাবিনা আপু ছাড়া ব্লগটা যে শূণ্যতায় ভরে থাকে সেটা কি উনি জানেন না? কার উপর এতো অভিমান, কিসের জন্য আমাদের কে দূরে সরিয়ে দিলেন? মিষ্টি আপু প্লিজ ‘ভালোবাসা অবিরাম 🌹🌹’ হয়ে ফিরে আসুন আমাদের মাঝে। দু বন্ধু ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অফুরন্ত
বন্যা লিপি
আমাদের সবার প্রিয় সাবিনা কারো ওপর অভিমানে দূরে সরেছেন কিনা, তা আমার জানা নেই। তবে যেটা লক্ষ করেছি তার পাবলিক ফেসবুক আইডি ডিজেবল। ব্লগের কার্যবিধিতেও তাকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা। যোগাযোগটা সিথীল হয়েছে ঠিকই, তবে একেবারে বন্ধ হয়নি, এটুকু নিশ্চিত করাই যায়। ব্যাক্তি জীবনে নারীদের অনেক ধরনের হ্যাপা পোহাতে হয়, হয়ত হতে পারে তেমন কোনো হ্যাপার কারনে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে তিনি যেভাবেই থাকুন, ভালো থাকুন সর্বতঃ এ দোয়া আমরা করতেই পারি তার জন্য।
ভালো থাকবেন ছোটদিভাই।
জিসান শা ইকরাম
চিঠির মূলভাব যেন সোনেলার প্রতিটি ব্লগারেরই মনের কথা।
সোনেলায় বিচরণকারী সমস্ত ব্লগারের কাছে তিনি অতি আপনজন।
তাঁর শূন্যতা সবাই অনুভব করেন তীব্র ভাবেই।
সোনেলা ব্লগ পুনর্গঠনে তিনি একজন অগ্রজ সিপাহশালার। আজ সোনেলা যে একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে, সে ভিতের প্রধান শিল্পীদের মধ্যে তিনি অন্যতম প্রধান শিল্পী।
তাঁর আন্তরিকতা, ব্লগারদের সাথে তাঁর যোগাযোগ এবং ব্লগের প্রতি তাঁর একনিষ্ঠতা তাঁকে সোনেলা ইয়াসমিন বানিয়ে দিয়েছে।
কোন কারনে হয়ত তিনি নিয়মিত হতে পারছেন না, আশাকরি তিনি আবার নিয়মিত হয়ে সবার মধ্যমণি হয়ে সোনেলায় বিচরন করবেন।
এমন চমৎকার একটি চিঠির প্রশংসা করার ভাষা আমার নেই।
দুজনের বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক।
শুভকামনা দুজনের জন্য।
বন্যা লিপি
সোনেলার প্রতিটি ব্লগার, পরিচালক,সঞ্চালক বিনাবাক্যব্যয়ে মানতে বাধ্য ভেঙে পড়া সোনেলা পুনর্গঠনে শক্তপোক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন সাবিনা। তিনি দিনরাত এক করে ফেলেছিলেন তার কর্ম দিয়ে, ব্লগার আনয়নের ব্যাপারে, ব্লগিং বুঝিয়ে দেয়া ব্যাপারে।
আর তাই তিনি হয়ে উঠেছিলেন সোনেলা ইয়াসমিন। তাকে ছাড়া সোনেলা ভাবা প্রায় অসম্ভব। ব্যাক্তিগত কারন থাকতেই পারে তার অনিয়মিত হবার। নারী লেখক বা ব্লগারদের নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হয়, যদি না সমমনা সহযোগীতা না পাওয়া যায়।
যেমনই হোক, ভালো থাকুন তিনি। তিনি সোনেলায় ঠিকই হয়ত আসেন, লেখা পড়তে, মন্তব্য করতে মাঝে মাঝে, হয়ত লিখবেনও, আমরা আশা করতেই পারি। পূর্ণ উদ্দোমে তিনি ফিরে আসুক আপন ঔজ্জল্যে।
কৃতজ্ঞতা সহ শ্রদ্ধা জানবেন।
স্বপ্ন নীলা
সোনেলাকে ঢেলে যারা সাজিয়েছেন তার ভেতর সাবিনা আপু অন্যতম অগ্র সৈনিক। আপুকে স্যালুট।
আর এই ধরণের বন্ধুই তো দরকার সবচেয়ে বেশি– আসলে আমরা সবাই এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে কোনটা ছেড়ে কোনটা করি—আমিও ব্যস্ততার ভীড়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম দীর্ঘ সময়–
আপুনি ! তোমায় অনেক অনেক ভালবাসা
বন্যা লিপি
আমি আসলেই ভাগ্যবান (এখানে জেন্ডার বিভাজন করলাম না ভাগ্যবান এর) সাবিনার মত বন্ধু পেয়ে। বলতে গেলে সোনেলায় আমরা একই সময়ে প্রবেশ করেছিলাম। ব্লগিং বিষয়ে আজ যতটুকু জেনেছি, তা সাবিনা এবং জিসান ইকরামের জন্যে। আমাদের বন্ধুত্ব একটু আলাদা রকম। যে কোনো সম্পর্কে একটা মার্জিন থাকতে হয়, সেটা হাড়ে হাড়ে পাই সাবিনার কারনে। যখনই কথা(চ্যাটিংএ) হয় আমাদের, আমি তার প্রতিটি অক্ষরে বায়োনকুলার লাগিয়ে বোঝার চেষ্টা করি, তখন তার মুখটা দেখতে কেমন লাগে, ব্যাক্তিত্ব মানুষের এক পরম অর্জন। এবং সাবিনা সেই ব্যাক্তিত্বের অধিকারি। ওর কাছ থেকে শেখার আছে অনেক।
এবার আসি আপনার কথায়…….. ২ বছর ৫ মাস ১৯ দিনের হিসেবে ১৪৬ তম আমার কোনো পোষ্টে এটা বোধহয় আপনার প্রথম মন্তব্য। আমার ভুলও হতে পারে। আমি আবার ভুলোমনা প্রচন্ড। আপনি আমাকে “আপুনি, তুমি, এবং ভালবাসা দিয়েছেন। আমি আপ্লুত। আপনাকেও ভালবাসা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ অজস্র।
নবকুমার দাস
সুন্দর লেখা । মুগ্ধতা । আরো লেখা পড়ার আশায় রইলাম ।🌱
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ আপনাকে।। আমার ব্লগ আউডিটা ঘুরে আসবেন সময় করে যদি পড়তে চান আমার লেখা। শুভ কামনা আপনার জন্য
নবকুমার দাস
অবশ্যই । অনেক ধন্যবাদ ।
আরজু মুক্তা
ভালো থাকুন দুজনে।
শুভকামনা
বন্যা লিপি
আপনিও ভালো থাকুন