
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গত তিন নভেম্বর। নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে আমেরিকার জনগণের সাথে সমগ্র বিশ্ব।স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পরে আমেরিকা সারা বিশ্বেই একক মোড়লগিরি চালিয়ে আসছে। তাই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশটির প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে আগ্রহ সবারই আছে।
২০২০ এর নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। অনেকেই আছেন যারা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে বেশ ধূম্রজালের মধ্যে আছেন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিঃ
* প্রতি চারবছর পরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ একজন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ থাকে চার বছর। এক ব্যাক্তি দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
* পূর্বের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চলাকালেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরদিন মংগলবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এভাবেই নির্বাচনের তারিখ সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। নির্বাচনের তারিখ তাই পালটে যাবার সুযোগ নেই।
* আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে হলে তাকে অবশ্যই জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হতে হবে এবং কমপক্ষে ১৪ বছর আমেরিকায় অবস্থান করতে হবে , তার নর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ৩৫ বছর এবং তাকে নির্বাচনে জয়লাভ করতে হবে।
* ভোটার হবার সর্বনিম্ম বয়স ১৮ বছর।
যে পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হনঃ
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি কিছুটা জটিল। ভোটারদের সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পরোক্ষ ভোটে। এই পরোক্ষ ভোট সংখ্যাকেই ইলেকট্রোরাল ভোট বলা যায়। ভোটারগণ প্রতি রাজ্যে ভোট দিয়ে প্রথমে ইলেকট্রোরাল কলেজ বা নির্বাচক মণ্ডলী নির্বাচিত করেন। নির্বাচক মন্ডলীর সংখ্যা প্রতিটি রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারন করা আছে। ব্যালট পেপারে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম মুদ্রিত থাকে। ভোটারগণ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে ভোট দিলে ধরে নেয়া হয় উনি যে দলের মনোনীত সেই দলকে ভোট দেয়া হয়েছে।
যেমন টেক্সাস রাজ্যে ইলেকট্রোরাল কলেজ বা নির্বাচক মণ্ডলী ৩৮ জন নিয়ে। এখানে ইলেকট্রোরাল ভোট ৩৮ টি। ট্রাম্প এই রাজ্যে এবারে ভোট পেয়েছেন ৫৮,৭০,৯০১ ভোট। বাইডেনের প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৫২, ১৩, ৮০৩। এই রাজ্যে ট্রাম্প বেশি ভোট পাওয়ায় ৩৮ টি ইলেকট্রোরাল ভোটার সবকটিই পাবেন। যদি এক ভোটও বেশি পেতেন তাহলেও ৩৮ টি ইলেকট্রোরাল ভোটার সবকটিই ট্রাম্প পাবেন।
সমস্ত আমেরিকার রাজ্যসমূহের মোট ইলেক্ট্রোরাল ভোট সংখ্যা ৫৩৫ টি এবং ওয়াশনিংটন ডিসির জন্য ৩ টি, সর্বমোট ৫৩৮। নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী দল সমূহের মধ্যে যে যে রাজ্যে বেশি ভোট পাবেন, সে রাজ্যের সব ইলেক্ট্রোরাল ভোট সে দল পাবে। প্রেসিডেন্ট হতে হলে তাকে কমপক্ষে ২৭০ টি ইলেক্ট্রোরাল ভোট পেতে হবে। সমগ্র আমেরিকায় প্রাপ্ত ভোটে বেশি হলেই সে প্রেসিডেন্ট হবে এমন কোনো কথা নেই। ইলেক্ট্রোরাল ভোট পেতে হবে কমপক্ষে ২৭০ টি। ২০১৬ সনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারী ক্লিনটন ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশী ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেননি।
২০২০ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন:
২০২০ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন জো বাইডেন। রিপাকলিকান পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দ্বারা আমেরিকায় বেশ সমালোচিত হচ্ছিলেন। কভিড ১৯ করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবের পরে এই ভাইরাসকে গুরুত্ব না দেয়া্র ফলে বিশ্বের মধ্যে আমেরিকায় সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প চীনকে দোষারোপ করে আসছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আমেরিকার অনুদান বন্ধ করে দেন। এর ফলে আমেরিকা এবং সারা বিশ্বে ট্রাম্প সমালোচিত হন প্রবল ভাবে। করোনা পূর্ব সময়ে জনমত জরিপে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও করোনা পরবর্তী সময়ে তার জনপ্রিয়তা অনেক কমে যায়। বিভিন্ন জনমত জরিপে ট্রাম্পের তুলনায় বাইডেন বেশ এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ধারনা করা হয়েছিল নির্বাচনে বাইডেন এর চেয়ে ট্রাম্প অনেক পিছিয়ে থাকবেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল দেখে বুঝা যায় যে বাই্ডেন এবং ট্রাম্প প্রায় সমান সংখ্যক ভোট পাচ্ছেন।
The Associated Press এর আমেরিকার নির্বাচনের লাইভ ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে আজ পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪ টি ইলেকট্রোরাল ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ টি ইলেকট্রোরাল ভোট। চারটি রাজ্যের ফলাফল চুড়ান্ত হয়নি এখনো।করোনার কারনে এই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। ভোটারগণ পোষ্ট অফিস মারফত যে ভোট দিয়েছেন তা পৌঁছুতে বিলম্ব হওয়ায় এবং ট্রাম্পের সমর্থকরা ভোট গননা স্থগিতের আবেদন জানিয়ে কয়েকটি কেস করায় চারটি রাজ্যে প্রাপ্ত ভোট চুড়ান্ত করা যায়নি।
এই চারটি রাজ্যে মোট ইলেকট্রোরাল ভোট ৫৭ টি। এরমধ্যে বাইডেন নেভাডা রাজ্যে এগিয়ে আছেন। এই রাজ্যে ৬ টি ইলেকট্রোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে বাইডেনের ৬ টি ইলেকট্রোরাল ভোট প্রয়োজন। পক্ষান্তরে ট্রাম্প তিনটি রাজ্যে এগিয়ে আছেন, যেখানে ইলেকট্রোরাল ভোট ৫১ টি। এই তিন রাজ্যে ট্রাম্প জয়ী হলে তার প্রাপ্ত ইলেকট্রোরাল ভোট হবে ২৬৫। ঘোষিত ফলাফল এবং ধারা আনুযায়ী ধরে নেয়া যায় যে নেভাডা রাজ্যের ৬ টি ইলেকট্রোরাল ভোট বাইডেন পেয়ে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। তবে নেভাডায় দুজনের প্রাপ্ত ভোটার ব্যবধান খুব কম। বাইডেন পেয়েছেন ৬,০৪,২৫১ ভোট, ট্রাম্প পেয়েছেন ৫,৯২,৮১৩। এখনো ২৪% কাস্টিং ভোট ঘোষণার অপেক্ষায় আছে। ট্রাম্প যদি এই ২৪% ভোট থেকে বাইডেনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে যান তাহলে ট্রাম্পই হবেন পরবর্তী আমরিকান প্রেসিডেন্ট।
সবাইকে চুড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। **************************************************
সর্বশেষ আপডেট দেয়া হচ্ছে পোষ্টের শেষ দিকে।
আপডেট: ৬ নভেম্বর বিকেল ৬:০৫
সর্বশেষ প্রাপ্ত নির্বাচনের ঘোষিত কাউন্টিং এ দেখা যাচ্ছে যে জর্জিয়ার ১০ টি ইলেক্টলোরাল ভোট বাইডেন পেতে যাচ্ছেন। ৯৯% ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। যদিও দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান এক হাজারের কম।
আপডেট: ৭ নভেম্বর রাত ১০ঃ৩০মিনিট
সর্বশেষ পোষ্টে প্রেরিত ভোটগননায় পেনসিলভানিয়া রাজ্যেও বাইডেন এগিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্পের তুলনায়। এরফলে পেনসিলভানিয়ার ২০ ইলেক্টলোরাল ভোট বাইডেন পেতে যাচ্ছেন। মুলত পোষ্টাল ব্যালটের ভোটেরধিকাংশই বাইডেন পেয়ে যাচ্ছেন। কে আমেরিকার পরবর্তি প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তা এবারের পোষ্টাল ব্যালট নির্ধারন করে দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অংগ রাজ্যের আইন জর্জিয়ায় ফলাফলকে বিলম্বিত করছে। দুইপ্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যাবধান যদি ০.০৫% হয় তবে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী ভোট পুনঃগননার আবেদন করতে পারবেন। এই আইনের বলে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পুনঃগননার আবেদন করা হয়েছে।
** গুগল সার্চ বক্সে us election 2020 live লিখে সার্চ দিলে The Associated Press এর লাইভ ফলাফল দেখা যাবে।
তথ্য সূত্রঃ
উকিপিডিয়া United States Electoral College
২১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এখানের নির্বাচন পদ্ধতি বেশ জটিল, তবুও সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
ফলাফলের জন্য আমরা অপেক্ষা করেই আছি।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ওদের নিরবাচন পদ্ধতি আসলেই জটিল।
কংগ্রেস, সিনেট নির্বাচন – এসব বাদ দিয়ে যতটা সম্ভব সহজ করে লেখার চেস্টা করেছি।
২৬৪ – ২১৪ তে এসে ফলাফল আটকে গিয়েছে। ট্রাম্প টুইট করেছে ভোট যেন আর গননা না করা হয়।
তৌহিদ
অসম্ভব সুন্দর সহজ করে মার্কিনীদের ভোটগ্রহন প্রকৃয়া আমাদের বোঝানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আজকের আগে এতকিছু জানতামইনা। আজ জানলাম।
আমার কাছে বরং এটি সঠিক পদ্ধতি মনে হয়েছে। ভোটার ভোট দেয়ার পরে নির্বাচকদের যাকে ইকেক্ট্রলাল ভোটার বলা হচ্ছে তাদের ভোট প্রাপ্তির ভিত্তিতেই একজন প্রার্থি সেই রাজ্যের ভোট পাবেন।
এমন যদি হতো আমাদের দেশে জেলাভিত্তিক ভোটারের ভিত্তিতেও ইলেক্ট্ররাল ভোটিং সিস্টেম হতো তাহলে কিন্তু ভোটে টাকার খেলা বন্ধ হতো।
অনেকদিন পরে প্রিয়তে রাখার মত একটি লেখা পেলাম। ভালো থাকুন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
আমার কাছেও এটি সঠিক মনে হয়।
এমন নির্বাচন আমাদের দেশে হলে নির্বাচনে টাকার লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে।
চেষ্টা করেছি সহজ ভাবে বলার।
ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাপরে দাদা ভাই খুব কঠিন সিস্টেম। মাথার উপরে বাড়ি খেল। এমনিতেই রাজনীতি কম বুঝি তার উপর ওদের যে নিয়ম কানুন। তবে এতো টুকু বুঝি ওদের ওখানে নিয়ম বহির্ভূত নির্বাচন সম্ভব নয়। ট্রাম্পের খামখেয়ালিপনা সত্যিই খারাপ লাগে। আপনার চমৎকার উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
চেষ্টা করেছি আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি সহজ ভাবে বর্ননা করার।
হ্যা,ওদের ওখানে নিয়ম বহির্ভূত নির্বাচন সম্ভব নয়।
শুভ কামনা ছোটদি।
কামাল উদ্দিন
ওদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। তবে ওখানে যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোক ওদের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি বদলাবে না। মানে হলো বিশ্ববাসীর জন্য খুব একটা সুখবর নাই।
জিসান শা ইকরাম
এসব দেশের পররাষ্ট্রনীতি পালটায় না কখনোই। কিছুটা পালটায় আভ্যন্তরীণ নীতি।
শুভ কামনা কামাল ভাই।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময়।
আলমগীর সরকার লিটন
আসলেই কঠিন সমীকরণ
জিসান শা ইকরাম
২০২০ এর নির্বাচনে এখন আর কঠিনতা নেই। বাইডেন জয়ী হয়েছেন বলা চলে।
শুভ কামনা ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক কঠিন সহজেই জানলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
সহজ ভাবে বলার চেষ্টা করেছি।
শুভ কামনা ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভকামনা রইল ভাইজান।
আরজু মুক্তা
এতো তথ্য জানা ছিলো না।
সুন্দর উপস্থাপন। ধন্যবাদ আপনাকে
জিসান শা ইকরাম
সবাই যাতে বুঝতে পারে,এমন ভাবেই বর্ননা করা হয়েছে আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি এ সাবজেক্ট এর শিক্ষক। এত সহজে বোঝানো যায় এ প্রথম আপনার লেখায় পেলাম। ভাবছি এটা কপি করে এর পর থেকে এভাবেই পড়াব। সহজে বুঝবে। খুবই সুন্দর হয়েছে।
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
শিক্ষকের কাছে এমন প্রশংসা পেয়ে অনেক ভালো লাগছে ম্যাডাম।
লেখাটি স্বার্থকতা পেয়েছে এমন মন্তব্যে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু
অবশ্যই আপনার প্রত্যেকটি লেখাই ব্যতিক্রম এবং স্বার্থক। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া॥ 🌹🌹
প্রদীপ চক্রবর্তী
সত্যি বলতে এসব কখনো জানা ছিলোনা।
খুবি সুন্দর সহজ ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন, দাদা।
জিসান শা ইকরাম
কিছুদিন আগে ফেসবুকে একজনের স্টাটাসে অনেকের মন্তব্যে বুঝলাম যে আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেরই তেমন ধারনা নেই। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এ সম্পর্কে লিখবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে প্রদীপ।
শুভ কামনা।