
নাগরিক বন্দিত্বে একাকার আমার এ বন্দিত্ব,
ঝলমলে আলোয় নিঃশ্বাস নিচ্ছে বুক ভরে,
দারুণ কৌতূহল-আনন্দে;
যদিও এখানে রাহুগ্রস্ত সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত
প্রীতিতির মিলন হাওয়া সচল-সবল
দারুণ কর্মক্ষমতায় উপরে উপরে
উপর চালাকিতে;
দখিনা উল্লাস একফোঁটা-ও গলে পড়ে না
গরিমার দেয়াল-ছিদ্র বেয়ে,
শার্সি আঁটা হিম ঘরে মুখে-বুকে কুলুপ এঁটে
শোক-জ্বালা-জড়া বুকে বেঁধে সং সাজি সং খেলি;
লীলাময় ঐ ঝলমলে চৌরাস্তায় ইচ্ছে হয় না
পা-ফেলি, পা-দেই।
দু’চারটে কেনাকাটা বেসামাল ভেজালের ভিড়ে
চালু থাকে চালু রাখি আত্মবিস্মৃত হতে হতে;
ম্লান হেসে গ্রাফিতি দেয়াল একাকী নিঃসঙ্গ
ঘাড় গুঁজে পালিয়ে বাঁচে,
নির্লজ্জ শহুরেপনা ধিক তোমাকে, এ-বেলা।
এ শহর আমাকে নেবে-না,
আমিও-না।
স্বপ্ন ইচ্ছে নিয়ে দু’চোখ শুধুই নিঝুম-বসতির ছবি আঁকে,
সারা-বেলা সারাদিন, এই প্রাণের মন্বন্তরে।
ছবি নেটের।
১৮টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
“স্বপ্ন ইচ্ছে নিয়ে দু’চোখ শুধুই নিঝুম-বসতির ছবি আঁকে,
সারা-বেলা সারাদিন, এই প্রাণের মন্বন্তরে।“
যেমন করে মহারাজের কবিতায় বন্দীত্বের অবষরে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আটকে দিলে/পড়লে বুঝতেন বন্দিত্ব কী এবং কত কত প্রকার।
আপনিও ভাল থাকবেন বন্দিত্ব এড়িয়ে।
হালিম নজরুল
অসাধারণ একটি কবিতা পড়লাম। পুরোটাই চমৎকার। তবে এটুকু বেশিবার পড়লাম।
হালিম নজরুল
যদিও এখানে রাহুগ্রস্ত সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত
প্রীতিতির মিলন হাওয়া সচল-সবল
দারুণ কর্মক্ষমতায় উপরে উপরে
উপর চালাকিতে
ছাইরাছ হেলাল
যা লিখতে চাই তা তো পারি না, ইনিয়ে বিনিয়ে কত কী ই না বলি,
বলতে চাই- ও ।
অনেক ভাল থাবেন এই বৈরী সময়-প্রকোপে।
ছাইরাছ হেলাল
আহ্ ,এত মিডা মিডা লাগে ক্যা!!
বুঝছি!!
ছড়া-ভাই ভাল কইছে!!
শামীম চৌধুরী
মহারাজের কবিতা যতই পড়ি ভাল লাগে তবে কিছুই বুঝি না। কারন কবির ভিতর থেকে হৃদয় নিঙরানো কথাগুলি কি পাঠক বুঝতে পারে? খুব ভাল লাগলো ভাই কবিতা পঠনে। শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
পাঠক নিজের মত করে বুঝে নেবে, ভাল-মন্দ যে যাই হোক না কেন।
লেখকের ভাবনা লেখকের থাকুক।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নাগরিক বন্দী জীবনের পুরো চিত্র দেখা হলো। এ যেন আমাদের সবার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনার ছবি। এ বন্দীত্ব আর ভালো লাগছেনা। চমৎকার কবিতা। তবে ‘গ্রাফিতি’ হবে মনে হয়! শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন, বানান ঠিক কর নিয়েছি।
জানি না এর অবসান কীভাবে হবে, হাঁসফাঁস এ বন্দিত্ব।
আপনার জন্য ও শুভ কামনা একরাশ।
আরজু মুক্তা
দিন যায় কথা থাকে। এখন আমরা দুঃখের কাছে বন্দী
অবসন্ন আমরা। ক্লান্ত আমরা। মনে মনে কতো কিছু ভাবি।
ছাইরাছ হেলাল
এই ভাবনায় আমাদের কাঁটাতারের বাইরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায় /দেখি।
ভাল থাকুন।
তিন চারটে কি যেন পড়তে দিবেন! বলেছিলেন!!
আরজু মুক্তা
দুইটা রেডি আছে। দিবো।
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
দেরি কেন!! আজিব!!
তৌহিদ
ইট পাথরের দেয়াল ঘেরা এ শহরে দমবন্ধ হয়ে আসে। খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়েও দক্ষিণা বাতাসের ছোঁয়া পাইনা আর।
ভালো থাকুন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এই নিরুপায় বন্দিত্বেই কেটে-ফেটে যাবে বাকী জীবন। আহা জীবন।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
সুরাইয়া পারভীন
এই অসময়ে ঘরবন্দি জীবনে নিয়ন বাতির উজ্জ্বল ঝলমলে আলোতেই দু’চোখ ভরে স্বপ্ন সাজাতেই হবে।
বিভৎস সময়ে ঐ স্বপ্নটুকুই হোক দুঃসময়ের সঙ্গী, নিষ্প্রাণ নিস্তব্ধ দেহের প্রাণের স্পন্দন
ছাইরাছ হেলাল
অধরা স্বপ্নের জাল বুনে দিন গুজরান !!
পারলে মন্দ কী !! চোখ উল্টানো দু:স্বপ্ন তো পিছু ছাড়ার নয়!!
তবুও জীবন, একটাই জীবন।
ধন্যবাদ।