
একটা জনমে একটা মানুষের আর কত টাকা হলে জীবন চলে বলেনতো ? বছরে ১০০কোটির উর্ধেতো নয় ! তাহলে এরা এসব কেন করছে?একশ,হাজার লক্ষ-কোটি টাকার পরও শুধু তাদের টাকা চাই ভাবনাটা মনে থেকেই যাচ্ছে কিন্তু কেন? টাকা আসুক বৈধ কী অবৈধ! সবটুকুই সে হালাল ভাবেন আবার হালাল ভেবেই আমরা মসজিদ মাদ্রাসায় তাদের ডুনেট লই।সমাজ জানে তার এ দানকৃত অর্থ হারাম নাকি হালাল অথচ তার অবৈধ টাকায় গড়া মসজিদ মন্দির গীর্জায় আমরা স্রস্টার নাম নিয়ে তার অবৈধ টাকা উপার্জনকে আমরাই বৈধতা দেই।লেবাস যাই হোক তা মুখ্য নয়,তার অপরাধটাই মুখ্য।স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের সামান্য একজন ড্রাইভারের যদি কোটি কোটি টাকার সম্পদ থেকে থাকে তাহলে মন্ত্রনালয়ের অন্য সব বড় কর্মকর্তাদের কত শত কোটি টাকার সম্পদ আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আজ মরলে দুনিয়ায় কালকেই তুই পর তাহলে এতো অবৈধ সম্পদের পাহাড় করে কার জন্য রেখে যাবি বল?!
মেজর সিনা হত্যা!ওসি প্রদীপের অপরাধী রাজত্য,আমার সিদ্ধিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার এখন স্বরণেও আসেনা।আসামীরা জেলে আছেন রাজার হালে; তাদের আশা একদিন এ শৃখল খুলবে-ভাঙ্গবে তালা-এ আমার স্বদেশের চিরাচরিত যেন নীতিমালা।
তনু হত্যা যার ইতিহাসটাও স্পষ্ট নয় কারন হত্যাটা হয়েছিল দেশের স্বনামধন্য কুমিল্লা সেনানিবাসে,মামলার সঠিক রায় পাওয়াতো দূরের বাক্য শেষ পর্যন্ত মামলা বহাল থাকবে কীনা এটাই সন্দেহ।
ক্যাশিনোর অপরাধীরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচার করছে,সমাজকে একটা জুয়ার রাজ্য বানিয়ে দিচ্ছে।সরকার তাদের ধরছেন তাদের নামে মামলা দিচ্ছেন,সম্পদ ক্রোক করছেন-এটা ভাল কথা কিন্তু মামলার রায় এর মেয়াদ যেন শেষ নেই!যেন ছাড় পাবার কোন এক সুখকর সুযোগের অপেক্ষায়।
স্বাস্থখাতে দূর্ণীতি থাকলে দেশের জনগনের মৌলিক অধিকার আর থাকল কই! বিদ্যুত,গ্যাস ফিল্ডে দূর্ণূতি! জনগনের টাকায় খাবেন পড়বেন আবার জনগনকে হুগাও মারবেন-তা কী সয়! কয়দিন আগে নারায়ণগঞ্জ তল্লার মসজিদে গ্যাস পাইপ বিস্ফোরনে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা।প্রায় ৩৫ জনের মৃত্যু,দুজন আশংখাজনক অবস্থায় বেচে আছে।মসজিদ কমিটি এবং গ্যাসের দূর্ণীতিবাজদের কবলে এতোগুলো মৃত্যুর দায় এবার কে নিবে ? আগুনে পোড়ে যাওয়া দেহের কী যে যন্ত্রণা বা ব্যাথা হয় তা কেবল ভুক্তভোগীরাই অনুভব করতে পারেন।জনগনের চাকর হয়ে জনগনের সাথে টুপাই কামাইয়ে অবৈধ গ্যাস লাইনের ব্যাবসা এখন ওপেন সিক্রেট।গ্যাস,বিদ্যুত,ভুমি অর্থাৎ দেশের প্রায় সব নয় বলা যায় সরকারী সব মন্ত্রনালয়গুলোতে আশপাশে থাকা কুকুরগুলোও কয়েক দিনেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যায়।এটা এদেশের এটকা চিরাচরিত সিষ্টেম।চাকুরীতে সিষ্টেমে নিয়োগ পান তেমনি সিষ্টেমেই নিজের গরীবত্বকে বদলান।
আমার কেবলি মনে হয়- গোড়ায় যদি পচন ধরে সেটা সারাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়।আমাদের সমাজে চার পাশে যে সব অন্যায় অত্যাচার হয় বা হচ্ছে তার সবটাই আমরা সবাই জানি।আমাদের চোখের সামনেই হয় এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা তা আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনা।সমুহ বিপদ থেকে বেচে থাকার একটা আত্ম কেন্দ্রিক মনোভাবে থাকি।আর এ সুযোগে অপরাধীরা অপরাধ করেই যাচ্ছে।সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হতে হবে,প্রতিবাদে পাল্টা আঘাত করতে হবে।
তেমনি সম্প্রতি একটি ঘটনা এখন অনলাইনে ভাইরাল।সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি। এটা চলমান! যেন সিনেমার দৃশ্যের চিত্রায়ন।স্বামীকে কয়েকজনে আটকে রেখে স্ত্রীকে আরো কয়েকজনে তুলে নিয়ে গিয়ে কলেজের ক্ষমতাসীনদের ছাত্রাবাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এ যেন স্যালুলয়ের ফিতায় এক একটি খন্ড নাটক যা দেখার কিছুক্ষণ পর আর ভাববার সময় থাকে না।এক সময় ভুলে যাই আমরা আরো একটি নতুন দৃশ্য চিত্রায়নের অপেক্ষায়।কিন্তু কেউ ভাবেন না এ রাষ্ট্রটির গোড়াপত্তনের ইতিহাস!কেউ মনে রাখেনা-না আমি,তুমি না রাষ্ট্রের বাঘা বাঘা নেতা নেত্রীরা।ঘটনার অন্তরালে ভুলে যাই সবাই।মাদ্রসার ছাত্রী নূসরাতকে পুড়িয়ের মারার দৃশ্য এখনো আমরা ভুলি নাই,রায় কার্যকরে বাচতে আইনের ফাকফুকরে বের হয়ে যাওয়ার মানষিকতায় এখনো ঝুলন্ত।
এদেশে নারীরা সব সময় সর্বো ক্ষেত্রেই অবহেলিত উপেক্ষিত।সামাজিক ভাবে কিংবা রাষ্ট্রীয় ভাবে নারী হয়ে জন্ম নেয়া যেন আজন্ম পাপ।একটা সংসারে পর পর কয়েকটা কন্যা সন্তান জন্ম নিলে দোষ পড়ে গিয়ে নারীর উপর আবার সংসারে কোন সন্তান না হলেও দোষ পড়ে গিয়ে নারীর কাধেই,ধর্মান্ধ মুসলিম পরিবারে নারীরাই হয় গৃহ বন্দী,কর্মক্ষেত্রে পুরুষরা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারলেও পুরুষের মন মগজে একজন নারী হয় ভোগবিলাসীতার বস্তু কিন্তু কেন?এ দেশের সর্বোত্র পুরুষদের স্বাধীনতা থাকলেও নারীদের কেন নয় ?
অনলাইনে পাওয়া মুক্তিযুদ্ধ এবং বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশ পাওয়া নারীর ভুমিকার কিছু ত্যাগ তিতিক্ষার ইতহাস জানার চেষ্টা করব।
যুদ্ধ চলছিলো পুরো নয় মাস।মাত্র এই নয়টি মাসে একটি দেশ স্বাধীন করে বিশ্ব মানচিত্রে একটি নতুন দেশ স্থান নিবে এটা কিন্তু কম সহজ নয়।বিশ্বে বহু জাতি আছে যারা বছরের পর বছর যুদ্ধ করেও স্বাধীনতার মুখ দেখতে পাচ্ছেনা অথচ আমরা মাত্র নয় মাসেই ম্যাজিকের মতই আমরা যুদ্ধ করে একটি দেশ স্বাধীন করে ফেলেছি।এটা ভাববার বিষয় ! এতোটা সহজে বঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার মুখ দেখা আমি পুরো কৃতিত্বের মাঝে ৮০ ভাগ দেব নারীদের আর ২০ ভাব দেব পুরুষদের।এটা কী কইলাম যদি ভাবেন তাহলে পড়ুন আর একটু ভাবুন কথাটার যুক্তিযুদ্ধ কোথায়।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্যারের লেখা বীরাঙ্গনা ৭১ বইটিতে মুক্তিযুদ্ধে নারী নির্যাতন,নির্মম হত্যা কান্ডের জরিপে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।দেশের প্রায় ৪২টি জেলার ৮৫টি থানার পাঠ পর্যায়ে নির্বাচীত ২৬৫ জনের তথ্যের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে এসেছে তা বেশ ভয়ংকর- উৎকণ্ঠার বিষয়।তার জরিপে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত নারী সংখ্যা ছিলো ২,০২,৫২৭ জন।নির্যাতীত নারীদের মধ্যে মুসলমান ৫৬.৫০%,হিন্দু ৪১.৪৪%,খ্রিস্টান ও অন্যান্য জাতি ছিলো ২.০৬% এরা সবাই এদেশের সহজ সরল নারী।এদের মধ্যে বিবাহীত নারী ৬৬.৫০% এবং অবিবাহীত ৩৩.৫০% এর মধ্যে ভারতে আশ্রয় নেয়া নির্যাতীত নারীর সংখ্যা ছিলো ৪৪%।স্বামী বা নিকট আত্মীয়দের সামনে নির্যাতীত নারীর সংখ্যা ছিলো ৭০%।স্পট ধর্ষণ বা গণ ধর্ষণ ছিলো ৭০%।কারাগার ও অন্যান্য ক্যাম্পে ছিলো ১৮%।অন্যান্য অবস্থায় নির্যাত ১২%।
নির্যাতন ধর্ষণের পর এ দেশের মা বোনদের শারীরিক সমস্যা অথাৎ শ্বেতস্রাব ৮০%,তলপেট ব্যাথা ৬৬%,রক্তস্রাব ৩৪% এবং মাসিকের সমস্যা ছিলো দীর্ঘকাল।বিষাদগ্রহস্ত ছিলো ৮০%,গ্লানি ও দুঃস্বপ্নতে ভুগেছেন ৯০%,মানষিক রোগী হয়েছিলেন ৮০%।
এবার আসি যুদ্ধ পরবর্তী সামাজিক ভাবে গ্রহন বর্জনের বিষয়ে আরো ভয়ংকর রূপ উঠে আসে যা আমাদের মোটেই কাম্য নয়।অধিকাংশ নির্যাতীত নারীরা সামাজিক ভাবে হেয় অবাঞ্চিত হয়েছেন,হয়েছেন পরিবার স্বামী দ্বারা তিরস্কীত-অনেকে তিরষ্কারের জ্বালা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস বা জলে ডুবে নিজের জীবন দিয়েছেন।অনেক নারীকে বিবাহ দিতে পরিবারকে নিতে হয়েছে গোপনীয়তা অথবা নিজ ভিটা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে অন্যত্র।
এতো গেল যুদ্ধে নির্যাতীত নারীর উপর পাকিদের অমানবিক নির্যাতনের কিঞ্চিৎ তথ্য কিন্তু যে তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের বড় বড় নেতাদের তরিৎ নজর কাটে তা হল-এ সব নির্যাতীত ধর্ষিত লোমহর্ষকর তথ্যগুলো।যা পূর্ব বংলার অতি সহজ সরল মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ জয়ের অভাবনীয় সহযোগী হয়।
৴মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে পিআর ক্যাম্পেন করার সময় সেসব ধর্ষিত নারীদের ছবি ও নির্যাতনের ভয়ংকর সব ঘটনা বলে প্রকাশ করেন।
৴ আমেরিকার সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির লেখা একটি আর্টিক্যালে মিসেস কেনেডির রেফারেন্সে জানা যায়-নিজেদের দেশ আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির বিপক্ষে গিয়ে একমাত্র নারীদের নির্যাতন আর অমানবিক গণ ধর্ষণের কারা তারা আমাদের পক্ষ নিয়েছিলেন।
৴বোন রওশনারা পাকিদের ট্যাংকের সামনে বোমা ফাটিয়ে আত্মহুতি দেন জয় বাংলা বলে, এমন কিছু কল্পকাহিনীর ভিত্তিতে কোলকাতায় পিআর ক্যাম্পেনের পর লেখক সূনীল গাংগুলী বলেছিলেন-ঐ ঘটনার পর পুরো কলকাতায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে-পাড়ায় মহল্লায় রাজ পথে মিছিল বের হয় যেখানে ছিলো অধিকাংশই ভারতীয় কবি সাহিত্যিক।তারা বিশ্ব নেতাদের মাঝে নারী নির্যাতন ও গণধর্ষণের কথা বলে চিঠি চালাচালি করেন।
৴ দেশের নরীদের নিয়ে যুদ্ধের সময় যে শুধু পিআর ক্যম্পেন হয়েছিলো তা কিন্তু নয়!যুদ্ধের পরেও নির্যাতীত ও ধর্ষিত নারী সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচরের বিরুদ্ধেও এই সব নারীদের নিয়ে পিআর ক্যাম্পেন করতে হয়েছিলো।
৴পাকিদের যুক্তি বা তথ্য ছিলো ৭১ যুদ্ধে নারী নির্যাতন বা ধর্ষণ ১০০ কী ২০০ জনের বেশী নয় আর নিহত বিশ একুশ হাজারের বেশী নয় কিন্তু এই সব মিথ্যে বলে প্রতিবাদ জানান ম্যাসিভ ওয়্যার ক্রাইমস।
৴পাকিদের তথ্যকে মিথ্যে বলে অবহিত করা বা খন্ডানো আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না কারন আমাদের সে সময় তথ্য সংরক্ষনের তেমন কোন ব্যাবস্থাই ছিলোনা-যুদ্ধের সময় অসংখ্য বিদেশী স্বদেশী সাংবাদিক বুদ্ধিজীবিদের দেয়া পাকিদের নারী নির্যাতন ও গণধর্ষণের ভয়ংকর পুরো তথ্য বিশ্ব জেনে গিয়েছিলো আগবাগে তাইতো প্রতিবাদ করেছিলো WHO,IPP সহ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংস্থগুলো।তারা বলেন পাকিদের দেয়া নারী ধর্ষণ ১০০ কিংবা ২০০ জন নয় যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধের পর লক্ষ লক্ষ নারীর গর্ভপাত হয়।৩ মাসেই কেবল ৩০ হাজার যুদ্ধশিশু জন্ম নেয় বলে স্বীকার করে জাতিসংঘের নির্মিত রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার।
৴অষ্ট্রেলিয়ান ডাক্তার জিওফ্রে ডেভিস জানান তার চেম্বারেই কেবল ধর্ষিতা নারীর প্রায় ৫০০০জনকে এবরোসন করা হয়েছে।তার সহকর্মীদের রিসার্চে বিশ্বকে এটাও জানান যে ৭১ যুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ পাকিদের তথ্য ১০০/২০০ জন কিংবা বাংলাদেশের তথ্য মতে ২ লক্ষও নয় ধর্ষিতা হয়েছেন লক্ষ লক্ষ তিন লক্ষেরও বেশী।লোক লজ্জা আর সামাজিকতার বাধ্যবাধকতায় অনেক ধর্ষিত নারী প্রকাশ্যে আসেননি।
এভাবেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষিতা নারীদের সাইনবোর্ড বানিয়ে যুদ্ধকালীন পাকিদের তোপের মুখে ফেলতে বিশ্ব মোড়লদের নজর কাটেন পূর্ব বাংলা এবং যুদ্ধাস্ত বাংলাদেশের স্বীকৃতি লাভে সব চেয়ে বেশী সহায়ক হয়।
এরপর বর্তমানে এ দেশের সব চেয়ে বড় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন দেশের নারীরা। গার্মেন্টসে হাজারো লক্ষ নরীদের কর্ম সংসারে আর্থীক ভাবে পুরুষের অনেকটা সহায়ক।দেশে ও আন্তজার্তিক ভাবে বিভিন্ন মেধাবী অঙ্গণে গৌরবের স্বাক্ষর রাখছেন এ দেশের নারী সমাজ।এরপরও এদেশের নারীদের চলার পথে এতো বাধা কেন?কেন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে?
ভাবতেও অবাক লাগে ধর্ষণ-নির্যাতনের সেই একই ঘটনার পূণরাবৃত্তি যেন এখনো হচ্ছে।এখনো আমি আমার মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়ে বড় উৎকন্ঠার মধ্যে আছি।যে ভাবে,যে হারে লোক চক্ষুর আড়ালে ধর্ষণের মহড়া হচ্ছে তাতে জগৎ শ্রেষ্ট মা জাতি বিষয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।যে দেশটার খুটি দাড়িয়েছিলো নারীদের ইজ্জতের বিনিময়ে সে দেশে নারীরাই আজও অবহেলিত,উপক্ষেতিত,ধর্ষিত-এটা ভাবতেই অবাক লাগে।
এই টুকুতো আশা করতে পারি যেখানে দেশের জন্মদাতা বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং বাংলার মেহনতি মানুষের,আমজনতার ভরসার একমাত্র প্রিয় মুখ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায়ণে- এর শেষ কোথায় তা দেখে যেতে।অন্ততঃ দেশের ভেতরে বাহিরে যেন আর কোন ধর্ষক -তা হউক নারী নিরাপত্তায় এবং আড়াঁলে সরকারী মন্ত্রনালয় কিংবা কিংবা ব্যাক্তি বিশেষ দেশ ও জনগনের ক্ষতি সাধনে লিপ্তরা যেন ফের জননী জন্মভুমিকে ধর্ষণে সাহস না পায়-এমন একটি কঠিন এবং দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক বিচার দেখার আমরা অপেক্ষায়।
তথ্যসুত্রঃ
বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা,ওয়েভ সাইট।
বিশেষ কৃতজ্ঞতায়ঃ হাসনাত
ছবিঃঅনলাইন সংগৃহীত
৩১টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ভাই আবার পড়তে হবে, পরে মন্তব্য করবো।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।অপেক্ষায় রইলাম।
ইঞ্জা
ভালোবাসা অফুরান
ইঞ্জা
পড়েছি ভাই, সম্পূর্ণ একমত, সময়ের স্বল্পতায় বেশি মন্তব্যে গেলাম না।
ছাইরাছ হেলাল
খুব আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে সোনায় সোনায় ভরে যাবে আমার দেশ
সোনার বাংলা, কবে তা জানি না।
সাবাস মনির ভাই, এমন লেখা যা আপনি ই শুধু এখানে লেখেন ,
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
একদিন কবে সেই ছেলে হবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এতো বড়মাপের উপস্থাপন।
সেখানে মতামত করতে নিজেকে হিমসিম খেতে হয়।
আমরা চাই,
অন্ততঃ দেশের ভেতরে বাহিরে যেন আর কোন ধর্ষক -তা হউক নারী নিরাপত্তায় এবং আড়াঁলে সরকারী মন্ত্রনালয় কিংবা কিংবা ব্যাক্তি বিশেষ দেশ ও জনগনের ক্ষতি সাধনে লিপ্তরা যেন ফের জননী জন্মভুমিকে ধর্ষণে সাহস না পায়-এমন একটি কঠিন এবং দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক বিচার দেখার আমরা অপেক্ষায়।
হ্যাঁ এটাই একমাত্র চাওয়া আমাদের।
রুখে দিতে হবে অন্যায়ের সকল কালো হাত।
না হলে এর মাত্রা দিনদিন বেড়েই বলবে।
.
সত্যিই এমন লেখা দাদা আপনার দ্বারা সম্ভব।
মনির হোসেন মমি
চমৎকার গঠনমুলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় দাদা।ভাল থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি নিরাশা ভবিৎষত খুব পংগকিলিতা তা অনুমেয়। এই সরকার, এই আইনের মার প্যাচ সাধারণ জনতাকে আর শান্তি, স্বস্তি ও আশা দেখাতে পারবেনা।
বাংলায় প্রবাদ আছে, শেষ ভাল যার আওব ভাল তার। তাই খুব খুব মনকষ্ট নিয়েই বলতে হয় রাজাকার যে কয়জন মন্ত্রী ছিল। তারা কুকাজ, অনৌতিক, নারীধর্ষন, ছিন্তাই, ঘুষ, অর্থলোভী ছিলনা। তারা দলের স্বার্থে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যে কুকাজ করেছে। সেটা স্বীকার করি। অন্যায়।
কিন্তু এরা কার জন্য করছে???
মনির হোসেন মমি
রাজাকাররা ধর্ষণ কু-কর্ম কী আর করবেন তারাতো পুরো দেশটাকেই ধর্ষণ করেছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা করেছিল। আর এখন কি আপনার লেখায় পুরো দেশ ধর্ষিত হচ্ছেনা???
কিভাবে হচ্ছে তাও আপনিই তুলে ধরেছেন।
পুর্বের জন্য যদি শাস্তি পায় এখন দল প্রধান কি পাবেনা।
আর যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন, তবে আল্লাহই করবে, রাজাকার ও আওয়ামিলিগের। এটা তো ঠিক????
মনির হোসেন মমি
সহমত ভাইয়া।তখনের চেয়ে এখন ধর্ষণ হত্যা কম নয় কিন্তু আর করার।আমারা সাঃ জনগনতো দেখলাম কয়েক শাষকের শাসন-এরশাদ খালেদা হাসিনা-সব রসুনের গুয়াই এক গুয়া এ কারনেই জনগন আজ শত অন্যায় হলেও রাস্তায় তেমন একটা নামতে চায় না -চায় না ভোটের অধিকারও।যে দেশে শক্তিশলী বিরোধীদল নেই সেই দেশের অবস্থা এর চেয়ে ভাল হবার কথা নয়।
ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এত কষ্ট করে ১/২ ঘন্টা ধরে মন্তব্য করে লোড দেয়ার পরে কিছুই নাই। আর পারছিনা বলে দু:খিত।
অসাধারন লিখলেন। নীচের তথ্যটা একটু ঠিক করে নিয়েন।
“নির্যাতীত নারীদের মধ্যে মুসলমান ৫৬.৫০%,হিন্দু ১.৪৪%,খ্রিস্টান ও অন্যান্য জাতি ছিলো ২.০৬% “
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
আপনার মন্তব্য দেয়ার বিড়ম্বনা দেখে মনটা আমার খারাপ হলেও আপনার চোখে ধরা পড়া টাইপিং মিস্টেকটা জেনে খুবই ভাল লাগছে এবং গর্ববোধ হচ্ছে এ সোনেলা ব্লগের ব্লগাদের নিয়ে।কতটা মন দিয়ে পড়লে ভুলগুলো ধরা যায় তা আজ আবারো প্রমানীত।
নির্যাতীত নারীদের মধ্যে মুসলমান ৫৬.৫০%,হিন্দু ৪১.৪৪%,খ্রিস্টান ও অন্যান্য জাতি ছিলো ২.০৬% “ ঠিক করে দিয়েছি।অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞা।ভাল থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
আরজু মুক্তা
আমি বলবো, সরকার সাধারণ মানুষের মতো বোঝে না। তাহলে, যে ভাবে মহড়া চলছে। এতোদিন কঠোর হওয়া দরকার ছিলো। উনি তো নিজেই মেয়ে। তারপর প্রতিদিন পাঁচটা পত্রিকা তিনি পড়েন। তাহলে, ওনার পরিবার বা তাঁকে নিয়ে কেউ কিছু বললে, তড়িৎ সিদ্ধান্তে জেল জরিমানা হয়। অথচ ধর্ষিতারা এখনো আইনের ফাঁকে ঘুরপাক খায়। আমি পুরাই হতাশ।
আচ্ছা, আমাদের দেশের একজন প্রধান আসনে আছেন, এমন একজনার এমন ঘটনা হলে কি ওনারা চুপ করে থাকতো। না ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতো?
প্রশ্নটা থাকলো
মনির হোসেন মমি
আপনার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর “চাচা আপনা জান বাচা”।আমাদের হয়েছে একই অবস্থা যখন নিজের উপর পড়বে তখনি টনক হয়তো নড়বে।চমৎকার গঠনমুলক মন্তব্যের ধন্যবাদ।
রেহানা বীথি
সমসাময়িক বিষয়ে চমৎকার পোস্ট মমি ভাই। তবে আমার একটা কথা আছে, পোস্টটা যদি দু’ভাগে ভাগ করে দিতেন, মানে দুটো আলাদা আলাদা পর্ব করে দিতেন, তাহলে বিষয়বস্তু আরও বেশি স্পষ্ট হতো পাঠকের কাছে। অনেকগুলো তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, যা হয়তো লেখাটার দৈর্ঘ্যের কারণে কিছুটা এলোমেলো লাগলো। আমি চাই এত তথ্যবহুল সুন্দর পোস্টের প্রতিটি বাক্য আমাদের নজরে আসুক।
ভালো থাকবেন সবসময়।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ প্রিয় আপু।লেখাটার শিরোনামটাই লেখার বিষয়বস্তু বহন করে।ধর্ষিত জননী জন্মভুমি-এক দিকে নারী মা জাতিকে নিয়ে অন্যদিকে মানে প্রথম দিকের লেখায় সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরেছি দেশের ভেতরে দূর্ণীতিও যে ধর্ষণ স্বরূপ সাম্যহীনতায় দেশ যে ধর্ষিত হচ্ছে তাই বুঝানোর চেষ্টা করেছি।তবে হ্যা আপনার মতামতও ফেলনার নয়।বিষয়বস্তু ধরে পোষ্ট দিলে তা সিরিজ আকারে দিতে হবে।অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আশাবাদী হতে পারছিনা বলে দুঃখিত ভাইয়া। যেদিন প্রতিটি পরিবার তার ছেলে সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবে, মানবতা শিখাবে, নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বাধ্য করবে সেদিন মনে হয় আর কোন বিচার, প্রশাসনের দরকার হবেনা। ছোটবেলা থেকেই আমরা পুরুষকেই সবসময় সাপোর্ট করতে শিক্ষা পাই পরিবার, বাবা-মা, আত্নীয় স্বজন থেকে, ক্ষুদ্র থেকে শুরু হয় বিশালতার। এটা ঠিক অনেকে বন্ধুবান্ধবের পাল্লায় পড়ে এভাবে অন্ধকারে ডুবে যায় সেক্ষেত্রে ও পরিবার সাপোর্ট দিয়ে ছেলে সন্তানটিকে এগিয়ে দেয় এসব নোংরামির পথে আরো একধাপ বা চরম অনৈতিকতার পথে। আপনার লেখনীতে তথ্য ভান্ডার এ বিমুগ্ধ হলাম। অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে সমসাময়িক নিয়ে এতো তথ্যবহুল পোস্ট শেয়ার করার জন্য আমাদের সাথে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা অহর্নিশি
মনির হোসেন মমি
আশাই মানুষ বেচে থাকে।আশাহীন মানুষ কোমায় নাম মাত্র বেচে থাকে।দেশটা এক সময় পাকিদের ছিলো এখন আমাদের,এক সময় এদেশেই নারীরা ছিলো দাসি-বান্দির মতন-স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহস্ত এখন দিন পাল্টে বদলে গেছে অনেকাংশে-এ সবিই কোন কোন নেতৃত্বের আশার ফল।সুতরাং ভাঙ্গতে নেই হয়তো এমন একটি প্রজন্ম আসবে যারা সব কিছুতেই স্বচ্ছতা আনবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
“ আজ মরলে দুনিয়ায় কালকেই তুই পর তাহলে এতো অবৈধ সম্পদের পাহাড় করে কার জন্য রেখে যাবি বল?! ”
ভাইরে, চোরে না শুনে ধর্মের বাণী। তেমনি ধর্ষক খোঁজে না আবাল, বৃদ্ধা, স্বধর্মীয় নারী।
অনেক দিন পর আপনার সমসাময়িক পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। আশা করছি নিয়মিত মমি ভাইয়ের লেখা পড়তে আর আমাদের বঞ্চিত হতে হবে না 🙂
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ বড় আপু।আমিও মিস করছি সোনেলাকে কিন্তু সাধ থাকলেও উপায় আপাতত নেই।দোয়া করবেন যেন কঠিন সময়গুলো পার হতে পারি।ভাল থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
সঞ্জয় মালাকার
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এতো বড়মাপের উপস্থাপন।
সেখানে মতামত করতে নিজেকে হিমসিম খেতে হয়।
দাদা পড়ে মন্তব্য করার সাহস হয়নি।
শুভ কামনা থাকলো সব সময়।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।সমস্যা নেই বুঝতে পারলেই হল।
আলমগীর সরকার লিটন
কিবা করার আছে প্রতিদিন একটা একটা ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে গায়ে কোন জ্বালা নেই ফুরা নেই এভাবেই চলতে হবে————
মনির হোসেন মমি
হুম।ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
তৌহিদ
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন ভাই। আসলে এদেশের স্বার্থলোলুপ ব্যক্তিদের লোভ লালসার শিকার হচ্ছেন আমাদের মা বোন এবং দেশ। লোভের তাড়নার একদিকে যেমন হরিলুট হচ্ছে তেমনি লুট হচ্ছে ইজ্জতের, সম্মানের। এদেশে আইন আছে শাসন নেই। আদালত আছে, দীর্ঘসূত্রতারর কারনে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। পুরো সিস্টেমটারই পরিবর্তন দরকার। তবে কোন এক অদ্ভুত কারনে সবাই সব জানে কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা অনেকক্ষেত্রেই।
আশাবাদী হতেতো আর দোষ নেই। অদূর ভবিষ্যতে আশার আলো দেখবে ওই জাতি এটাই কাম্য।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
মনির হোসেন মমি
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
উর্বশী
সময়পোযোগী দারুন পোষ্ট । সঠিক পরিবেশ,সুস্থ ধারা কোনো টাই বিরাজ করছেনা। তোরা যে যা বলিস ভাই,আমার সোনার হরিণ চাই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মমি ভাই।তবে সোনার হরিণ চাওয়ার মাঝেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং নিয়েছেন বা নিবেন।কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হলেই হয়।সঠিক ধারায় না এগোলে কিছুই হবেনা। সিষ্টেম চেঞ্জ করতে হবে এবং সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সব ক্ষেত্রে। আমরা তো আশাবাদী। আশা ই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।হয়তো একদিন নতুন প্রভাতের আলোয় সব ঠিক হবে।এটাই সবার কামনা।
ভাল থাকুন অফুরন্ত শুভ কামনা সব সময় ।
মনির হোসেন মমি
গঠনমুলক মন্তব্যদানে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উর্বশী
শুকরিয়া।
ভাল থাকুন শুভ কামনা অবিরাম।