
দুপুর বেলায় চুপচাপ শুয়ে উদাস নয়নে ঘরের সিলিংফ্যানের দিকে তাকিয়ে আছি। মেয়ের বাবা ঘরে ফিরেছেন অনেকক্ষণ, খেয়েদেয়ে আবার বাইরে যাবেন। কিন্তু আমি বাতাস খেয়েই যাচ্ছিলাম। সে আমার পাশে এসে হাতে একটা বই দিলো, পড়ো। তাকিয়ে দেখি শার্লক হোমস সমগ্র! হাত নেড়ে নিষেধ করে দিলাম। এরপর হাতে দিলো ফোন!
ফেসবুক চালাও, ভালো লাগবে।
– ওটার স্ক্রিন নস্ট। কাজ করে না,মেয়ে আমার হয়ে জবাব দিলো।
= তাহলে একটা গান শোনাই? বলেই গানটা সবে শুরু করেছিলো,
একলাফে বিছানা ছেড়ে উঠে খাবার বেড়ে দিলাম। নাও, খেয়েদেয়ে আমাকে ধন্য করো। আমি একদম ঠিকঠাক সুস্থ অবস্থাতেই আছি।
এটা বলতে গিয়েই টের পেলাম আমার মুড আসলেই ঠিক হয়ে গেছে। মন খারাপ ভাবটা উধাও 😮
আমি নানা সময়ে নানা কারণে মন খারাপ করে থাকি। আমার মনটাই এমন। যেকোনো কারনে খারাপ হতে পারে। কখনো এমনি এমনিতেও খারাপ হয়। তখন কি করি? অনেক কিছু করে ফেলি। কিছু কিছু কাজ নিজের কাছেই হাস্যকর মনে হয়। কিন্তু মন খারাপটা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেই। কিভাবে? ভুলে যাবার আগে লিখে রাখছি।
* যখন মেয়ের বাবার সাথে ঝগড়া করি-
কয়েক বালতি কাপড় বেশি করে সার্ফ এক্সেল দিয়ে ভিজিয়ে রাখি। বাড়িঘর ঝেড়েমুছে ক্লিন করি। তারপর বাথরুমে গিয়ে আচ্ছামতো কাপড় গুলোকে কাচতে থাকি। বিশেষ করে তার জামাকাপড় গুলো। এমন ভাবে আছড়ে দেই যতক্ষণ না তার শার্ট/টি-শার্টের দুয়েকটা বোতাম ভেঙে যায়। এগুলো করার পর যখন বের হয়ে আসি, তখন আমি একদম শান্ত-স্থির 🙂
* যখন মেয়েদের উপর বিরক্ত হই-
মেয়েরা বড়ো হচ্ছে। অনেক সময়েই তাদের আবদার আর আমার মেন্টালিটি মিলছে না। কিন্তু তাদের উপর রাগ করা যাবে না। বোঝাতে হবে। এই জন্য আগে নিজেকে সংযত করার সময় চাই। ফ্রিজে রাখা জিনিস গুলো বের করি। ফ্রিজটা পরিস্কার করে জিনিসগুলো যথাস্থানে সাজিয়ে রাখি। কি আছে, কি নেই লিষ্ট বানাই। মেয়েদের কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করি। এগুলো করতে করতে যে সময় ব্যয় হয়, ততোক্ষণে আমি তাদের সাথে আলোচনা করার মতো স্থিতিশীল অবস্থানে চলে আসি। মেয়েরা আমার বক্তব্য বুঝতে পারে,আমিও তাদেরটা 😇
* যখন পরিবারের কারো সাথে মনোমালিন্য ঘটে-
যদি সে বয়সে বড় হয়, চুপচাপ তার কথা শুনতে থাকি। একদম টু শব্দ করি না। তিনি বলতেই থাকেন, বলতেই থাকেন। এক সময় ক্লান্ত হয়ে তিনি যখন চুপ হয়ে যান, তখন তার-আমার ভুল ভ্রান্তি নিয়ে কথা বলি। এতে কাজ হয়। যেহেতু বকাঝকা সব হজম করে ফেলেছি, তাই অপর পক্ষ খুব বেশি কিছু আর বলেন না। কারন আমরা সবাই জানি, রাগ কমে গেলেই বড়রা তাদের স্নেহ ভালোবাসার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেন। ছোটদের সাথে আমার মনোমালিন্য হয় না 😀
* ভাই-বোনদের সাথে কথায় না মিললে-
মায়ের কাছে বিচার দেই। মা চিল্লাক, আমরা ভাই-বোনেরা মিলেমিশে আনন্দে থাকি 😊
* যখন অনলাইন ভিত্তিক কোন কারনে মন খারাপ হয়-
ফেসবুক আইডি ডিজেবল করি। মেসেঞ্জার অন করি। বন্যার সাথে চ্যাট করি। মনের যত প্যানপ্যানানি, যত রাগ-ক্ষোভ, কথা-ব্যাথা সব পইপই করে তাকে বলি। বন্যাও! মনোযোগী শ্রোতা হয়ে, অন্যতম ত্রাতা হয়ে, দুঃখ নির্মুল কমিটির সভাপতির মতোন আমার সব কষ্ট গুলোকে জরিমানা সহ অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করে দেয়। আমি উচ্ছ্বসিত হই সোনালী আভায়, সোনেলার মতো 😍
* যখন কাউকে মিস করি-
রক্তের নয়, পারিবারিক নয়, সামাজিকতা রক্ষার্থেও নয়, কিছু মানুষ জড়িয়ে থাকে আত্মায়। কেন জানি মাঝে মাঝে সেই আত্মার আত্মীয়ের উপরই বেশি অভিমান হয় আমার। হয়তো আত্মার অধিকারেই। খুব ঝগড়াঝাটি করে নিজে নিজেই সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়ে ভাবি, একদম ভুলে যাবো। কিন্তু কিভাবে!🙄
ভুলে যেতে হলে, সম্পর্ক নিঃশেষ করতে হলে আরও বেশি বেশি ঝগড়া করা দরকার। ভাবতে ভাবতেই ফিরে আসি। তুমুল ঝগড়াঝাটির পর, জিড়িয়ে নেয়ার অবসরে উপলব্ধি আসে, আসলে ঝগড়া করতে নয়, এসেছি কাছে থাকতে। মিস করছিলাম বলেই ফিরে আসা ❤
অবস্থা যাইহোক, যত প্রতিকূল হোক, মন খারাপ ভাব আমি বেশিক্ষণ নিতে পারি না। আর হ্যা, হোক শত-সহস্রবার ঝগড়া, তবুও মিসিং ফিভার আমার চাই না।
আজকে এই পর্যন্তই।
সবাই ভালো থাকুন। শুভ কামনা অবারিত 🌹🌹
ছবি- নেট থেকে নেয়া।
২৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
তাই বুঝি সোনেলার জন্মদিনে র উপস্থিতি আজ দিলে!
অনেক অনেক ঝামেলা মুক্ত থাকতে ভালই অবস্থান নিয়ে নিজেকে ফ্রেশ করে নিতে যা সবার মংগল হয়। বাহ! খুব ভাল
দেখি আমারও এই রকম অবস্থান গ্রহণের পন্থা বাহির করতেই হবে। কিন্তু অফিসের চাপ কেমনে সামলাব?
বুঝতেছিনা। আপু।
সুপায়ন বড়ুয়া
মান অভিমান ঝগড়া ফ্যাসাদ তাতো চীরন্তন
কেউ হজম করে কেউ ফুঁসে উঠে
আবার কেউ বন্যা আপুর সাথে শেয়ার করে।
এরকম সবার একটা করে বন্যা আপু দরকার।
মনের টুকিটাকিতে জানা হলো অজানা ব্যাপার।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
ওরেব্বাবা!! দাদা আপনি তো সাবিনার চেয়েও আমারে আরো কয়েকধাপ ঊর্ধে তুলে দিলেন! সবার একটা করে বন্যাপু থাকা দরকার? থাকলে অন্তত মন্দ হবে না নিশ্চিত। কারন বন্যা’রা প্লাব্ণ হয়ে ভাসিয়ে দিতে জানে মনখারাপের খড়কুটো!😊😊😊 অশেষ কৃতজ্ঞতা For your kind compliment।
বন্যা লিপি
ইংরেজী তে জাহাজ, ভুল বানানে মাফ কইরা দিয়েন দাদা😊😊
সুরাইয়া পারভীন
দাদা আমারও কিন্তু একটা বন্যাপু আছে
সে হিসেবে আমি যথেষ্ট ভাগ্যবতী কিন্তু হুম
ছাইরাছ হেলাল
আত্মপক্ষের সুন্দর যুক্তি, আত্মপক্ষ সমর্থন! তাও বেশ যুক্তিযুক্ত। এবং প্রয়োগযোগ্য।
কেউ যদি স্বভাবগত ভাবে, নখ চালিয়ে দেয় বা রাম চিমটি দিয়ে ফেলে, একটু পরে ছরি-টরি বলে দিল, ছরি পেলচ-ও।
কিন্তু যে ক্ষরণ হলো নখের আক্রমনে এবং রাম চিমটির যন্ত্রণা, তা নিরসনের তরিকা কিন্তু বাৎলে দেন-নি।
‘কি’ শব্দ ব্যবহারের দিকে খেয়াল দিন।
বন্যা লিপি
হায়রে মানুশজন!!! খোঁচা কে খায় আর কে ব্যাতা পায়😊😊রাম ছাগল শুনছি, রাম চিমটি এই পেরতম শোনলাম☺☺☺
সুরাইয়া পারভীন
আপনাগো মন্তব্য আর জবাবে আমার ব্যাপক মজা লেগেছে। তাই সীমিত আকারে সীমিত করে হাসতে চাই। হাসি, হাসি একটু?
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার হয়েছে অনেক শুভ কামনা রইল————
রেজওয়ানা কবির
রক্তের নয়, পারিবারিক নয়, সামাজিকতা রক্ষার্থেও নয়, কিছু মানুষ জড়িয়ে থাকে আত্মায়। কেন জানি মাঝে মাঝে সেই আত্মার আত্মীয়ের উপরই বেশি অভিমান হয় আমার। হয়তো আত্মার অধিকারেই। খুব ঝগড়াঝাটি করে নিজে নিজেই সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়ে ভাবি, একদম ভুলে যাবো। কিন্তু কিভাবে!🙄
ভুলে যেতে হলে, সম্পর্ক নিঃশেষ করতে হলে আরও বেশি বেশি ঝগড়া করা দরকার। ভাবতে ভাবতেই ফিরে আসি। তুমুল ঝগড়াঝাটির পর, জিড়িয়ে নেয়ার অবসরে উপলব্ধি আসে, আসলে ঝগড়া করতে নয়, এসেছি কাছে থাকতে। মিস করছিলাম বলেই ফিরে আসা ❤
খুব সত্যি এবংং আমার মনের কথা।
মন বড়ই বিচিত্র আপু।আমারও কারনে অকারণে অল্পতেই মন খারাপ হয় আবার অল্পতেই মন ভালো হয়ে যায়।অনেকদিন পর লেখা দিলেন।মনখারাপের সময়গুলো তাড়াতাড়ি শেষ হোক, সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন,ভালোবাসা অবিরাম❤❤❤
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনি যে পয়েন্ট গুলো তুলে ধরলেন সেগুলো কি সবার ক্ষেত্রে কাজে দেয়? আমার মনে হয় না সবসময় কাজে দিবে, মাঝে মাঝে দেয়। তবে অবশ্যই এগুলো সবাই চেষ্টা করে দেখতে পারেন । তবে মনের ক্ষতটা সেরে যায় না শুধু আস্তরণে ঢেকে থাকে। আপনার অ-কবিতা খুব মিস করি। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
আরজু মুক্তা
ফিরে এলেন, এটাই ভালো লাগছে।
শুভকামনা
ফয়জুল মহী
অসামান্য ও অতুলীয় ভাবনায় নান্দনিক লেখনী, খুব ভালো লাগলো,
জিসান শা ইকরাম
খাবার বেড়ে দিলেও মন খারাপ ভালো হয়ে যায়! দারুন তো।
কাপড় কেচে আছড়িয়ে শার্ট/টি- শার্ট এর বোতাম ভাঙা তো ভালোই বুদ্ধি। ‘ তোর সাথে পারুম না তো কি হইছে, তোর বোতামের সাথে তো পারুম’ – এই সিস্টেম। বোতাম হন্তারক আপনি।
মেয়েদের উপর বিরক্তির উপশমের পদ্ধতিটা খুবই কিউট।
পরিবারের কারো সাথে মনোমালিন্যর বেলায় আমিও আপনার পদ্ধতি অবলম্বন করি।
অনলাইন ভিত্তিক কোন কারনে মন খারাপ অবস্থা এখনো চলমান, বন্যা মন ভালো করতে পারেনি। প্রমান- ফেসবুক আইডি এখনো ডিজবল।
যখন কাউকে মিস করেন তার সাথে ঝগড়া করেন! সম্পুর্ন ভাবে চিরজীবনের জন্য ভুলে যেতে হলে বন্যা লিপির এই পোষ্ট পড়তে হবে।
তবে আদৌ ভুলে যেতে পারবেন কিনা তা বুঝতে হলে রেজওয়ানা কবিরের এই পোষ্ট পড়তে হবে।
অনেক দিন পরে আপনার লেখা পড়লাম। মনোবিশ্লেষন মূলক লেখা। আপনার পরিবারের সবার কাছে তো কট হয়ে যাবেন, কখন কি করেন আপনি, তা পর্যবেক্ষন করবে সবাই।
লেখা ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
বন্যা যা পেরেছে তা কি কম লাগলো আপনার চোখে? সাবিনা তো বলেছে, আইডি ডিজেবল করে মেসেঞ্জারে বন্যা> ময়না-২ র সাথে প্যানর প্যানর করে। বন্যা ব্লগে এনে টপাৎ করে আছড়ে ফেলে দিলো তা কি কম? আরেকটু ধৈর্য ধরেন, আইডিও এ্যাক্টিভেট হয়েই যাবে ইনশাল্লাহ্😊😊😊😊😊 এত্ত এত্ত খারাফ আফনেরা! মোডেও ভালো কিচু সিকার করেন না, ক্যান এট্টু ক্রিডিট দিলি পরে কি হইতু বন্যা লিপিরে😁😁
রেজওয়ানা কবির
ভালো বলেছেন ভাইয়া।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আপনার লেখা খুব বেশি পড়া হয়নি তবুও যতোটুকু পড়েছি এটাই মনে হয়েছে পড়তে ভালো লাগে। আপনার পজিটিভ ভাবনাগুলো ও ভালো লাগে। যদিও আমি একদম উল্টো। রাগ হলে আমি শান্ত থাকতে পারি না। ধুমধাম বলে ফেলি। আশ্চর্য ব্যাপার হলো আমার পরিবারের কেউ আমার কথায় কষ্ট নেয় না।
আপনার এ লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে টেকনিক গুলো এপ্লাই করতে হবে।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা জানবেন আপু।
বন্যা লিপি
কমের পক্ষে ৩/৪বার পড়লাম এ লেখা! কি মন্তব্য করবো ভেবেই পাচ্ছি না, আমি নিজেই ইয়াব্বরো টাস্কিত! ইজ ইট ট্রু?? বোমা মেরেও তোমার থেকে কথা বের করা যাচ্ছিলো না। আমার হাবিজাবি মার্কা লেখা দেখার পরই তোমার পোষ্ট? 👏👏👏👏 তারওপর বন্যারে যে স্থানে তুলে দিয়েছো!! বন্যা সন্মানিত বোধ করেছে সাবিনা। রাগ বা মেজাজ খারাপ হলে আগে কি করতাম তা আজ আর নাইবা বল্লাম! গত কয়েকবছরে আমি একদম চুপ থাকতে শিখে গেছি। কী দারুন শান্তি যে লাগে, বলে বোঝানো সম্ভব না। দিন যত গড়ায় মানসিক অশান্তিও তত রকম বদলায়, আর ততই কায়দা করো চুপ হয়ে যাচ্ছি মৌখিকভাবে। লেখায় এখন তারচে বেশি বলি বোধহয়। রাগ হলে এখন বেশ গড়গড় করে টাইপিং চলে, এটা ভালো পদ্ধতি না বলো??
রেজওয়ানা কবির
ভালো বলেছেন আপু।
তৌহিদ
আপু মন খারাপ আমাদের সবারই হয়। তবে মন খারাপের পরে সেও রাগ অন্যকিছুর উপর ঝাড়তে পারলে মন কিছুটা শান্ত হয় নিশ্চিত। এর আবার উলটা দিকও আছে, এসব করার পরে দেখা যায় নিজেরই মন আবার খারাপ হয়ে যায়। প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি আসলে বেশীক্ষণ রেগে থাকাও যায়না।
অনলাইন বিড়ম্বনা এড়ানো মুশকিল। কিছু ছ্যাচ্চোরের জন্য নারীরা এখানে সাবলীলতা পাননা। সতর্ক থাকাই উত্তম।
সবাই ভালো থাকুন আপনারা এটাই প্রার্থণা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বোঝাই যাচ্ছে আপনি বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন,ধীর-স্থির,ঠান্ডা মাথার মানুষ। এজন্যই সব ম্যানেজ করেন সুন্দর করে। আপনার মত মানুষরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে সব কিছু দ্য্যখে বলে মন খারাপ হলেও,বেশি সময় থাকেনা।
তারপরও ভালো সময় তারাতারি আসুক এই কামনা করি।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়তে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।
শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
রেহানা বীথি
‘বোবার শত্রু নাই’ বহু জল ঘোলা করে অবশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে, শান্তিতে থাকে অনেকেই। আমিও । টেকনিকগুলো বাৎলে দিয়ে বেশ উপকার করলেন আপু। আমার টেকনিক সেম না হলেও কাছাকাছি।
বন্যা আপু ভালো চিকিৎসক, ধারণা করেছিলাম। আপনার পোস্টে সেই ধারণা পোক্ত হল। দু’জনকেই ভালোবাসা।
মোঃ খুরশীদ আলম
টেকনিকগুলো ভাল। এপ্লাই করতে পারলে ভাল কাজ দেবে। আমি যতটা শান্ত থাকার পরিকল্পনা করি পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ততোটা অশান্ত হয়ে পড়ি। কোনভাবেই নিজেকে সামলে রাখতে পারি না। আমার যে কি হবে কে জানে !
নাসির সারওয়ার
আপনি শুধু আপনাদের মানে ম্যাডামদের তরিকা বলেই শেষ দিলেন। আমাদের কি হবে! নিশ্চয়ই কেউ না কেউ এসব নিয়ে এগিয়ে আসবে একদিন। তখন আমিও তাদের রসদ যোগাড় করে দেবো। যেমন, আস্ত এবং জীবন্ত্ তেলাপোকা তাহার জুতার মাঝে রেখে দিয়ে রাগ কমিয়ে ফেললাম। এখবার ভাবুন, আপনি সেজেগুজে বেড়াতে যাবার জন্য একপায়ে দাড়িয়ে আছে। সব শেষে জুতো পরা বাকী এবং সেই মুহূর্তে আপনি আবিষ্কার করলেন আপনার জুতোয় ঐ জিনিসটা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে!
আরো আছে, আরো আছে। দেব সময় মত।
ইঞ্জা
সংসার জীবনে তাল মেলানো সবসময় হয়ে না উঠলেও, নারী জাতিরা এক সময় সব কিছুই মানিয়ে নেয়, ছিড়ুক দুই চারটা বোতাম, যা আবার লাগানোও সময়ের ব্যাপার না, এইতো জীবন আপু।
শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
আরে বাহ্ দুর্দান্ত সব টিপস্ পেলাম। এগুলো সঠিক ভাবে এপ্লাই করতে পারলে আমিও মিষ্টি আপুর মতো মিষ্টি মেয়ে হয়ে যেতে পারবো। কিন্তু এ কি আমাকে দিয়ে সম্ভব? আমি রেগে গেলে অগ্নিমূর্তি ধারণ করি
আমি আর আমার মধ্যে থাকি না। ইভেন মানুষ ই থাকি না।