
সায়ন্তনির ঘুম খুব পাতলা। জানালার বাইরে মৃদু ঠুক– ঠুক শব্দ কানে আসায় সে চোখ মেলে তাকায়। বাইরে দাড়িয়ে খুব সাবধানে জানালার কপাটে কেউ টোকা দিচ্ছে।সায়ন্তনি খুব সাহসী মেয়ে। দেরি না করে বিছানায় উঠে বসে ভিতর থেকে টিটকিনি তুলে এক পাশের কপাট মেলে ধরে। গভীর রাতে এভাবে ছিটকিনি খোলাটা বেশ ঝুকিপূর্ণ। গ্রামের বখাটে ছেলেপেলেরা প্রেমে দাগা খেয়েগভীর রাতে জানালা খোলা পেলে এসিড ছুঁড়ে মারে। এসিড কার গায়ে ছুড়লো তা মূখ্য বিষয় নয়।ছোঁড়ার পরে আর জানালার কাছে দাঁড়িয়ে থাকেনা। এসিড ছুঁড়ে তাদের প্রতিশোধের জ্বালার উপশম ঘটায়। এটাই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়। গ্রামে দেখতে শুনতে একিটু ভাল হলে,বিয়ের কথাবার্তা চলাকালীন সময়ে ব্যাপার গুলো বেশী ঘটে। যিদিও বেশীরভাগ ছেলেরই প্রেম থাকে এক তরফা। মেয়ের দিক থেকে কখনোই কোন সাড়া পায়নি।তবুও সেই মেয়েটিকেই নিজেদের সম্পত্তি হিসাবেই গন্য করে। গত বছর টিনার বিয়ের সময় এমন টাই হয়েছিল। টিনা সায়ন্তনির খুব ভাল বান্ধবী। দেখতে সায়ন্তনির থেকে অনেক সুন্দরী। গ্রামের প্রায় তিন ভাগের দুইভাগ ছেলেরাই টিনার পিছনে ঘুরতো। সে যাই হোক এসিড টিনার মুখে পড়েনি।পড়েছিল টিনার মায়ের কোমরে দিকে। কদিন বাদে মেয়ে পরের বাড়িতে চলে যাবে,তাই শেষ কটা দিন মা — মেয়েতে এক সাথে ঘুমাচ্ছিল। দিন তিনেক বাদে পোড়া কোমর নিয়েই মেয়েকে পার করেছিলেন টিনার মা।
সায়ন্তনির বিয়ের কথাবার্তা চলছে। পাত্রের লম্বা লিষ্ট কাট– ছাঁট করে তিনজন ছেলেকে বাছাই করা হয়েছে। সায়ন্তনিকে সুযোগ দেয়া হয়েছে তার মতামত জানাবার জন্য। সচারাচর গ্রামের মেয়েদের এরকম সুযোগ দেয়া হয়না। সায়ন্তিকে দেয়া হয়েছে তার বাবা তাকে অত্যন্ত আদর করেন,এটা বড় কারণ।
সায়ন্তনি জানালা খুলে দেখে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে সোপান। তার বাবা– মায়ের ঠিক করা তিনজন পাত্রের একজন। সোপান ওদের গ্রামের ই ছেলে।বাকি দুজন পাশের গ্রামের ছেলে তারা। সোপান কিছুটা উড়নচণ্ডী প্রকৃতির। পাত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এখনো চুড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সায়ন্তনি। তবে পাত্র হিসাবে সোপানের নাম টি সবার উপরেই রেখেছে। ছেলেটাকে সে ছোট বেলা থেকেই চেনে। তা ছাড়া সোপান উড়নচণ্ডী হলেও সে বি এ পাশ করেছে। সদরে গিয়ে বই কিনে নিয়ে আসে। গ্রামের উঠতি ছেলে মেয়েদের বই পড়ার উতসাহ যোগায়। সোপান গ্রামে একটি পাঠাগার করতে। যাতে গ্রামের মানুষ বই পড়ে সারা বিশ্বকে জানতে পারে। অনেক টাকা পয়সার অভাবের জন্য তা আর করে উঠতে পারছেনা। গ্রামে মুরুব্বীদের পাঠ্য বইয়ের বাইরে কোন বইয়ের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ নেই। সোপান নিজের ঘরেই ব্যাক্তিগত ভাবে একটি পাঠাগার চালু করেছে। সায়ন্তনি পাঠাগারের শুরুর দিকের সদস্য। গত সপ্তাহে দুটো বই এনেছিল পড়ার জন্য। বই দুটো এখনো ফেরত দেয়া হয়নি। এত রাতে সোপান কি বই চাইতে এসেছে? বলা যায়না আসতেও পারে। গ্রামের সবাই বলাবলি করে সোপানের মাথার স্ক্রু নাকি খানিকটা টিলা। সোপানের সাথে সায়ন্তনির বিয়ে হলে সে স্ক্রু ভালভাবেই টাইট দিবে।
সোপান ভাই, আপনি এত রাতে? বই ফেরত নিতে আসছেন?
না,বই নিতে আসি নাই। সায়ন্তনি তুমি একটু বাইরে আসতে পারবা?
” এত রাতে? সোপান ভাই আপনি জানেন না আপনার সাথে আমার ”
জানি,
তাহলে এত রাতে বাইরে ডাকেন ক্যান? কেউ দেখলে কি ভাববে?
খেতের দিকে যাচ্ছিলাম। যাবার পথে ভাবছিলাম তোমাকে একবার বলে দেখি।যদি তুমি আমার সাথে যেতে চাও।
এত রাতে খেতের দিকে যাচ্ছেন মানে?
একটা মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে যাচ্ছি।ভাবলাম দৃশ্যটি তোমাকেও দেখাই।একা একা সুন্দর দৃশ্য দেখে জুত পাওয়া যায়না। তৃপ্ত মানুষের মুখ দেখতে আমার খুব ভাল লাগে। নিজের মুখ নিজে দেখা যায়না বলেই তোমাকে ডাক দিছি। তা ছাড়া এই দৃশ্য দেখে বোঝার মত মন সবার নাই।তোমার আছে।
নিজের তৃপ্ত মুখ দেখা যায়না, আপনাকে কে বলেছে? এরপর থেকে সাথে আয়না নিয়ে যাবেন। তৃপ্ত মুখ আয়নায় দেখবেন। যাই হোক আমার যে, মনোমুগ্ধকর দৃশ্য বুঝার মত মন আছে, সেইটা আপনি বুঝলেন কিভাবে ?
তুমি কবিতার বই পড় তাই ভাবলাম—- তুমি কি আসবা?
সায়ন্তনি হুট করে কিছু বলেনি।খানিকটা চিন্তা করে।এই যুবক টির মাথায় ব্যাপক পাগলামি আছে। এই ধরনের মানুষ দের বিয়ে করলে নানান অসুবিধায় পড়তে হয়। দেখা যাবে মাছ কিনে আনতে বললে শুধুই সব্জি নিয়েই হাজির। কেন মাছ আনা হলোনা, কারণ হিসাবে হয়তো বলবে মাছের চোখ দেখে এত মায়া লাগলো তাই আর আনা হলো না।
সায়ন্তনি তারপরও শেকল উপরে তুলে উঠোনে বেরিয়ে এলো। এই পাগল মানুষটাকেই তার চাই। মানুষটার পাগলামি গুলো তার ভালই লাগে।
চলেন, তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে হবে।কেউ দেখে ফেললে বারোটা বাজাবে।
সায়ন্তনিদের বাড়ি থেকে খেতের দুরত্ব বেশী দূর নয়। কারতিক মাসের শেষের দিকে।খেতে ধান পেকে বাদামী রঙ ধারন করেছে। আর দু, এক দিনের ভিতরেই ধান কাটা শুরু হবে। মাথার উপর কাঁসার থালার মত পূর নিমার চাঁদ। তার আলো পাকা ধানের উপর পড়ায় অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে।
সোপান মুগ্ধ দৃষ্টিতে একবার খেতের দিকে তাকায়,আবার সায়ন্তনির মুখের দিকে। টের পেয়ে সায়ন্তনি জিজ্ঞাসা করে কি দেখেন?
চাঁদের আলোর প্রতিফলণ।
সেইটা বাদামী ধানের ডগার দিকে তাকায়া দেখেন।
আমি দুইটাই দেখতেছি।
তুলনা করতেছেন নাকি কোন অটা বেশী সুন্দর?
সুন্দরের কোন তুলনা হয়না,এক্টা কবিতা শুনবা?
সায়ন্তনি আন্মনা কন্ঠে বলে কি কবিতা?
সোপান প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলে ওঠে
কবে কার এলোকেশ ছুঁয়েছিল মুখ,ভেবে তা আজও যেন কাঁপে এই বুক।
সায়ন্তনি অপ্রস্তুত হয়ে চুল ঠিক করে বসে। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় চুল বাধার কথা মনে হয়নি৷ কারতিকের লু হাওয়ায় চুল উড়ে সোপানের মুখে গিয়ে পড়েছে।
এইভাবে বললেন কেন? সায়ন্তনির অনুযোগ।
এমনি। যদি আর কোনও দিন বলার সুযোগ না পাই? সোপান ম্লান হেসে বলে, আচ্ছা চলো, তোমাকে বাড়ি দিয়ে আসি। গ্রামের কেউ দেখে ফেললে তোমার বদনাম হয়ে যাবে।
এত রাতে কেউ দেখবে না। আর একটু থাকি, সায়ন্তনির অনুনয়ের সুর।
দোপান কিছু বলে না। তবে এরপরে চলে যাওয়ার জন্য আর তাড়া দেয়নি। সায়ন্তনি সোপানের কাছে ঘেষে বসে।সোপানের বাহুর সাথে। নরম ঘাসের উপর, চাঁদের আলো,বাদামী রঙের ডগায় চাঁদের আলো,লু হাওয়ায়,কখন যে সোপানের কাধে মাথা এলিয়ে দেয় সায়ন্তনি নিজেও জানে না।
দুইঃ—
দিন তিনেক পরে খবর আসে সোপানের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে সায়ন্তনি উদ্ভ্রান্তের মত ছুটে চলে যায় সোপান কে দেখতে। সোপান তাকে চিনতে পারেনা। ফ্যাল ফ্যাল করে শুধু তাকিয়ে থাকে।
উন্নত চিকিৎসার আশায় সোপান কে সদরে নিয়ে যাওয়া হলো।সদরের ডাক্তারেরা কোন আশা দিতে পারলেন না। রোগীকে তারা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।সোপাবের বাবা সামান্য স্কুল শিক্ষক। তারপরও তিনি চেষ্টা করে ঢাকায় নিয়ে গেলেন। টানা ছয় মাস নিবিড় ভাবে চিকিৎসা করার পরেও কোন আশা দেখা না দেয়ায়,সোপানের বাবা তাকে নিয়ে গ্রামে ফিরে এলেন।না ফিরে অবশ্য কোন উপায়ও ছিলনা। হাতের টাকা পয়সা সব আগেই ফুড়িয়ে গেছে,বিনা টাকায় চিকিৎসা হয়না। ঢাকায় তাদের কোন আত্মীয় স্বজন ছিলনা৷ থাকলে থাকা খাওয়ার খরচ বাঁচত।
একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সোপানের বাবা ফতুর হয়ে গিয়েছেন।গ্রামের সব জমি জমা বন্ধক রেখে,ধার দেনা করে ঁছেন। সেই টাকা পরিশোধ করবেন কোথা থেকে তিনি ভেবে পান না।
মেয়ের জেদের কারনে সায়ন্তনির বাবা সোপানের জন্য মাস তিনেক অপেক্ষা করেছিলেন।যদিও পাগল ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়ার কোনও ইচ্ছাই ছিলনা তার।সুস্থ হলে ফিরলেও না তার ধারনা, পাগল কখন পুরাপুরি ভাল হয়না। যে কোন সময় আবার পাগল হয়ে যেতে পারে। এমন মানুষের কাছে যে মেয়ে বিয়ে দেয়, সে তো নিজেও পাগল ছাড়া কিছু নয়।
তিন মাস অপেক্ষার পরে মাঘ মাসের শেষে পাশের গ্রামের অপেক্ষাকৃত ধনবান ছেলেটির সাথে সায়ন্তনির বিয়ে হয়ে যায়। বিয়েতে সায়ন্তনির বাবা অনেক টাকা খরচ করেন।যৌতুক চাননি তারপরও সায়ন্তনির বাবা দামি মটর সাইকেল উপহার দেন।ঘর সাজিয়ে দেন মেয়ের,এবং পঞ্চাশ শতক জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দেন ছেলেকে।
বছর ঘুরে আবার কারতিক মাস এসেছে।আজ পূরনিমা নয়। তবে আগামী দুই চারদিনের মধ্যেই হবে৷ আকাশের চাঁদ প্রায় গোল আকার ধারণ করেছে৷ সায়ন্তনি তার বাপের বাড়ি বেড়াতে এসেছে। রাসেলের সংসারে ভালই আছে।রাসেল দের যৌথ পরিবার। ভাইদের মধ্যে রাসেল ছোট। খুব আদরের সবার। সায়ন্তনিও সেই আদরের ভাগ পায়। ঘরের কাজ তেমন একটা করতেই হয়না। বড় তিন ভাবী ভাগাভাগি করে কাজ করেন।সোপানের স্কুল শিক্ষক বাবার সংসারে গেলে হয়তো তাকে সারাদিন কাজ করতে হতো।তবুও সেই সংসারে যেতে চেয়েছিল, অদৃষ্ট তা হতে দেয়নি। রাসেলের ঘুম খুব গাঢ়, ঘুমালে নাক ডাকে।
তারপরও বিছানা থেকে নামার সময় সায়ন্তনি খুব সাবধানে নামে। দরজার শেকল উপরে তুলে, পা টিপে টিপে বাইরে বের হয়। সায়ন্তনি নিজেও জানেনা সে কি করছে,। তার মন তাকে বিছানায় শুতে দিচ্ছে না। এই একটি বছরে অনেক কিছু পাল্টে গিয়েছে। আগের সেই সোপান আর নেই। সায়ন্তনি যদিও আছে,তবে আগের মত নয়। তবে কিছু জিনিসের পরিবর্তন আজও হয়নি।কাঁসার থালার মত চাঁদটা আজও আলো বিতরণ করে যাচ্ছে। পাকা ধানের খেত গুলো মাথা উঁচু করে সে আলো চুষে চুষে খাচ্ছে।
বাড়ি থেকে বের হয়ে সে এক ছুটে খেতগুলোর কাছে যায়। সেই আগের মতই চাঁদের আলো পাকা ধানের উপর পড়ে অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য অবতারণা করেছে।
অসহ্য সুন্দর দৃশ্য, সেই চাঁদ,সেই ধান খেত, সেই কারতিক মাস,সেই সায়ন্তনি,।হোক সে আজ পরের ঘরের বউ,তবুও।যদিও জানে,ব্যাপারটা অসম্ভব,তবুও মনে মনে এখানে সোপান কে আশা করেছিল। তার আশা ভংগ হয়েছে। খেতগুলোর পাশে দাড়িয়ে হাঁউ মাঁউ শব্দে কেঁদে ওঠে। এত গুলো দিন মন খুলে সে কাঁদতে পারেনি। আজ প্রান খুলে কেঁদেছে।এই কান্না তার আশা ভংগের কান্না৷ স্বপ্ন ভংগের কান্না। সোপান কে ঘিরে তার অনেক আশা ছিল। ছিল অনেক স্বপ্ন।কোন টি পূরণ হয়নি।
খেতগুলো থেকে খানিক টা দূরে একটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে সায়ন্তনির দিকে চেয়ে আছে সোপান। গ্রামের ছেলে পেলের দল বাড়ির বাইরে দেখলে তাকে ঢিল ছুঁড়ে। পিছু ধাওয়া করে। ইদানিং তাই মানুষ দেখলে তার ভয় করে। সায়ন্তনিকে দূর থেকে আসতে দেখে একটি গাছের আড়ালে লুকিয়েছে। ওকে দেখলে এই মেয়েটাও যদি তাকে ঢিল ছোঁড়ে। পিছু ধাওয়া করে। সোপান চাঁদের আলো খেতে এসেছে। মেয়েটা এখান থেকে চলে গেলে খেতের মাঝখানে দাঁড়িয়ে হা করে আকাশ পানে চাঁদের আলো খাবে। পেট পুরে খাবে। এত রাতে গ্রামের কেউই তাকে বিরক্ত করতে আসবে না।
৪০টি মন্তব্য
ইঞ্জা
চমৎকার গল্প, বেশ ভালো লাগলো আপু।
বিস্তারিত মন্তব্য পড়ে করবো।
উর্বশী
ইঞ্জা ভাইয়,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
ইঞ্জা
আপনিও ভালো থাকবেন প্রিয় বোন। 😊
উর্বশী
ইঞ্জা ভাইয়া,
শুকরিয়।
ধন্যবাদ সহ শুভ কামনা।
ইঞ্জা
আপু আপনি নিয়মিত লিখছেন দেখে খুব ভালো লাগলো, অনুরোধ থাকবে অন্য ব্লগারদের লেখা পড়ুন, ওদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলুন, এতে আপনার লেখার পাঠক আকাশ ছুঁবে।
উর্বশী
ইঞ্জা ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা,
ইদানিং চোখে বেশ সমস্যা হচ্ছে। পড়তেও ঝামেলা। একটু ঠিক হই, তারপরে নিয়মিত হতে পারবো আশা করি। ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ আপু
উর্বশী
ইঞ্জা ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম। আম্মা তো মারা ই গেলেন,পুরোপুরি সুস্থ নই তবুও ফিরে এলাম একটু ভাল থাকার চেষ্টা মাত্র। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ইঞ্জা
ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
আল্লাহ ভরসা আপু
সুপায়ন বড়ুয়া
কার্তিকের চাঁদের আলোয় নিজের মুখ
দেখার জন্য প্রিয়জনের চোখে আমন্ত্রন
কে বা ফেলতে পারে বলেন ?
সায়ন্তনী ও পারে নাই ফেলতে।
ভালই লিখলেন। শুভ কামনা।
উর্বশী
সুপায়ন বড়ুয়া দাদা,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
খুব সুন্দর মন্তব্য। কথা তো সত্যই।
ভাল থাকুন, শুভ কামনা সব সময়।
বন্যা লিপি
সোপানের পাগল হওয়ার কারনটা বোঝা গেলো না। সায়ন্তনীর জন্য কষ্ট লাগলো। কার্তিকের চাঁদ আজো ওঠে আধাপাকা ধানখেতের দিগন্তে। পাগল সোপান আজো জ্যোৎস্না খাবে বলে ফিরে আসে, শুধু সাথে থাকে না মুগ্ধ হওয়া মুখ সায়ন্তনী। সায়ন্তনী আজ ভালোই আছে রাসেলের সংসারে।
বানানগুলো একটু চেক করে নেবেন। পড়তে আরো ভালো লাগবে।
শুভ কামনা।
উর্বশী
বন্যা লিপি আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থতা লাভ করতে পারিনি।, চোখ, ঘাড় খুব সমস্যা করছে আপু।অনেক গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে বলে প্রেজেন্ট প্লিজ করেছি মাত্র।অবশ্য আমার কীবোর্ড এর ঝামেলা আছে। এক টানা বসেও থাকতে পারিনা। সমস্যার ডিপোতে অবস্থান করছি।বানানের দিকে খেয়াল করবো।
অনেক ভাল থাকুন।শুভ কামনা সব সময়
খাদিজাতুল কুবরা
হৃদয় বিদারক গল্প। গরিব ঘরের ছেলের প্রেমিকার আনন্দিত মুখ দেখা কার্তিকের পূর্ণিমায় একবারই হয়।
অসহ্য সুন্দর তাদেরকে সয় না। আমাদের চারপাশের বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে।
অনেক শুভকামনা রইলো।
উর্বশী
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
গল্পটির গভীরতা অনেক, সুস্থ হলে এটিকে আবার নতুন মোড়ে নিয়ে আসবো।। সোপানের ব্যাপারে আরও জানানো উচিৎ হবে ।
ভাল থাকুন। শুভ কামনা। সব সময়।
খাদিজাতুল কুবরা
অপেক্ষায় রইলাম আপু
উর্বশী
খাদিজাতুল কুবরা আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ ভালোবাসা রইলো।
ফিরে এলাম একটু ভাল থাকার চেষ্টা মাত্র। পুরোপুরি সুস্থ হইনি হয়তো এভাবেই জীবন চলবে।
ফয়জুল মহী
নন্দিত অনুভূতি চলনসই প্রকাশ
উর্বশী
ফয়জুল মহী,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থেকো সব সময়। শুভ কামনা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার একটা গল্প পড়লাম আপু
উর্বশী
আলমগীর সরকার লিটন ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন,শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার একটি গল্প পড়লাম।এসিড ছোঁড়ার কথাগুলো শুনে খুব খারাপ লাগলো। গ্রাম গঞ্জে, মফস্বলে এমনি হয়। যাকে চাই তাকে পাইনা মনটা সত্যিই অদ্ভুত, কখন যে কার মাঝে সুখ, ভালোবাসা খুঁজে পায় এটা কেউ জানে না। চাঁদের বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো
উর্বশী
সুপর্ণা ফাল্গুনী আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। বাস্তবতার আলোকে কিছু জিনিস তো ঘটেই যায় জনজীবনে। আশে পাশে একটু খেয়াল করলেই আমরা এসব দেখতে পাই।
ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
শামীম চৌধুরী
গল্পটা দারুন লাগলো।
শুভ কামনা রইলো।
উর্বশী
শামীম চৌধুরী ভাইয়া ,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল লেগেছে আপনার জেনে খুশি হলাম।ভাল থাকবেন,শুভ কামনা সব সময়।
আরজু মুক্তা
গল্পের ধারাবাহিকতায় একটু ছেদ। ছোট গল্পে এটা থাকা দরকার।
তবে পটভূমি ভালো।
বানানগুলো সম্পাদন করে নিবেন।
শুভকামনা
উর্বশী
আরজু মুক্তা আপ,
আন্তরিক ভালোবাসা রইলো ও কৃতজ্ঞতা। নিউ আপডেট আসার পরে অনেক কিছুই কীবোর্ডর চেঞ্জ হয়েছে।কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বটে।আর আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নই।চোখ ও ঘাড়ে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। টানা লিখে যাওয়া এই মুহূর্তে আমার জন্য খুব কষ্টকর। তবে চেষ্টা থাকবে।
ভাল থাকুন, সব সময়। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আপি, আমি দুঃখিত। জানতামনা।
দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি
উর্বশী
আরজু মুক্তা আপু,
অনেক ধন্যবা। দোয়া করবেন। সুস্থতা লাভ করে ভাল লেখা নিয়ে আসবো। শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
ইনশাল্লাহ্
উর্বশী
আরজু মুক্তা আপু,
আন্তরিক ভালোবাসা রইলো। এই বছর বেঁচে থাকাটাই আমার জন্য বোনাস মনে হয়। ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
রেজওয়ানা কবির
গল্পে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।ভালো লাগল।শুভকামনা।
উর্বশী
রেজওয়ানা কবির আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অজস্র ভালোবাসা রইলো । ভাল থাকুন।শুভ কামনা সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
সুস্থতা নিয়ে ফিরে আশার জন্য ধন্যবাদ।
আর একটু ভালোবেসে লিখুন।
আমরা আপনার পাঠক।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।জেনে ভালো লাগল আপনি আমার লেখা পড়েন।শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়।
উর্বশী
ছাইরাছ হেলাল ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনি এবং আপনারা আমার পাঠক সেটা আমার জন্য পরম পাওয়া। আমার চলার পথ তাতে আরও সুগম হচ্ছে,নতুন নতুন প্রেরণা পাচ্ছি।
ভাইয়া, আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নই। নতুন আরও দুটো জিনিস যুক্ত হয়েছে চোখ ও ঘাড়ে সমস্যা। কীবোর্ডও নিউ আপডেট এসে আরও সমস্যা বাড়িয়েছে।এই মুহূর্তে আমার জন্য কিছুটা কষ্টকর বটে। তবে সব ঠিক রাখার চেষ্টা থাকবে আশা করি। ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
হালিম নজরুল
হাত তো ভাল পেকেছে মনে হচ্ছে। শুভকামনা সবসময়।
উর্বশী
হালিম নজরুল ব্যস্তপাখি ভাইয়া ,
হুম,চেষ্টা মাত্র ছড়াকার ব্যস্তপাখি ভাইয়া। এই মন্তব্য আমার কাছে অনেক পাওয়া। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
সাখাওয়াত হোসেন
দারুণ মনোমুগ্ধকর লেখনি।
উর্বশী
সাখাওয়াত হোসেন ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলাম,গত ২৮ শে আমার আম্মা মৃত্য বরন করেন।ভাল থাকার চেষ্টায় সোনেলায় আবার ফিরে এলাম, আশা করি সিব সময় পাশেই পাবো ভাইয়া,।ভাল থাকুন অফুরান শুভ কামনা সব সময়।