
স্বপ্ন নাকি হাতের মুঠোয় ধরে রেখে দিতে হয়, ওড়াতে নেই।
ছোটবেলায় ৭ রং এর বেলুনে সাতটা স্বপ্ন উড়িয়েছিলাম। একটাতে ছিলো, বাবা মাকে হারাবো না। ২ নং এ ছিলো, পড়াশোনা শেষ করে শিরিন আপার মতো রাগি টিচার হবো। ৩ নং এ ছিলো, এক বাক্স আইসক্রীম কিনে এক সাথে খাবো। ৪ নং এ ছিলো, যতো রং এর গোলাপ আছে তা কিনে এক ফুলদানীতে রাখবো। ৫ নং এ ছিলো, অনেকগুলো পুতুল কিনে সাজিয়ে রাখবো। ৬ নং এ ছিলো, স্কুলের আলীর ফুচকার পুরা এক হাঁড়ি কিনে বসে বসে খাবো। ৭ নং এ ছিলো, মেকাপবক্স সামনে নিয়ে ইচ্ছেমতো সাজবো।
সুইট সিক্সটিনে এসে, ওকে বলেছিলাম, বেলুন কিনে দিবে?
“কতোগুলো চাও?”
একশো!!
দেখি, ও দৌড়ে গিয়ে কিনে আনলো। অদ্ভুত ভালোলাগায় কান্না চলে আসে।
ও বললো, ” ওড়াও!”
বেলুনগুলো উড়িয়ে দিয়ে এক অজানা শিহরণে লাফ দিয়েছিলাম।
আরিফ বলেছিলো, ” বড্ড ছেলেমানুষ, তুমি! ছোটবেলায় কি বেলুন কেনার জন্য জেদ ধরতে?”
বলেছিলাম, অনেকেরি ছোটবেলা বেশিদিন স্থায়ী হয়না!
আরিফ বলেছিলো, ” পাগলী, খুব কষ্ট করেছিলে?”
আমার কান্না পেলেও, আমি কাঁদি না।
আরিফ আবার বলে, ” বিয়ের দিন তোমাকে এক লক্ষ বেলুন কিনে দিবো।”
২৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
একদম খান্দানি অণু-গল্প পড়ে ভাল লাগল,
আপনি এটি চর্চায় রাখুন, আরও পোলিশ হবে নির্ঘাত।
অপেক্ষা করতে চাই।
আরজু মুক্তা
ওরে বাপরে কঠিন কাজ। অল্প কথায় মুল থিম নিয়ে আসা অনেক বুদ্ধিমত্তার কাজ। যেটা আমার ল্যাক।
চর্চা রাখবো। আমি যখন লিখি তখন একবারে ৩/৪ টা লিখি। ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। আমি পারবো হয়তো।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
বাকিগুলো দ্রুত দিন।
কবে যে এমন অণু অণু লিখতে পারব কে জানে!
ইচ্ছে কিন্তু হচ্ছে, অস্বীকার করছি না। যদিও এতে অভ্যস্ততা নেই মোটেই।
আরজু মুক্তা
পারবেন। আমরাও অপেক্ষায়।
ছোট কথায় ছোট প্রাণ।
ফয়জুল মহী
অপূর্ব গাঁথুনিতে অনবদ্য লেখা
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই।
এবার থেকে একটু বড় মন্তব্য করবেন
খাদিজাতুল কুবরা
ভীষণ সুন্দর অণু গল্প লিখেছেন আপু। বেলুন ওড়ানো স্বপ্নগুলি অসাধারণ মনে হলো ছোটবেলায় ফিরে গেলাম।
আরজু মুক্তা
স্মৃতির পাতা একটু ঘুরে আসেন আমার সাথে।
আপনাকে ধন্যবাদ
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালোবাসা, স্বপ্ন, ঘুড়ি যেন একই সুতায় বাঁধা পড়ে মনের সুখে উড়াল দিলো আকাশে। এতো সুন্দর করে বললেন যে মনে হলো বাস্তব। ইস একসাথে এতো ঘুড়ি! চমৎকার আপু। শুভ কামনা রইলো
আরজু মুক্তা
বেলুন ঘুড়ি এইসব রঙিন কিছু দেখলেই মন কেমন করে।
ধন্যবাদ দিদি
সুপর্ণা ফাল্গুনী
একদম আমার মনের কথা আপু। এখনো ছোট বেলার মতো বেলুনের নানান রঙ দেখলে দোলা দেয় মনে। ভালো থাকবেন
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর এক লক্ষ বেলুন নিয়ে থাকেন কবি আপু অনেক শুভ কামনা রইল
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ আপনাকে
তৌহিদ
অনুগল্পের প্রতিটি বাক্যে লুকিয়ে থাকে হাজারো স্বপ্নের ব্যঞ্জনা। এটিও তার ব্যতিক্রম নয়।
ভালো থাকুন আপু।
আরজু মুক্তা
ভাইয়া, চমৎকার মন্তব্যে আমি অভিভূত।
শুভকামনা
ইঞ্জা
এমন চাওয়া এক সময় ভুলতে বসি আমরা, কখনো যদি সেই চাওয়া পূরণ হয় তাহলে আনন্দাশ্রু সেই আনন্দকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
চমৎকার পোস্ট দিলেন আপু।
আরজু মুক্তা
ভাই, আমি মুগ্ধ আপনার কমেন্ট পড়ে।
শুভকামনা
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু
সুপায়ন বড়ুয়া
আপুর আশা পূর্ণ হোক
লক্ষ বেলুনের স্বাধ মিঠুক
বিয়ের আসর জাকজমক হোক।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
হা হা।
গল্পে গল্পে পুরণ হোক।
শামীম চৌধুরী
আপু,
আপনার ৭ টি স্বপ্ন সম্পর্কে জানলাম। ভাবলাম স্বপ্নগুলি উড়িয়ে যতটুকু আনন্দ না পেয়েছেন তার চেয়ে বেশী আনন্দ পেয়েছেন যখন আরিফ সাহেব বললেন বিয়ের পর এক লক্ষ বেলুন কিনে দিবো শুনে।
আর আমারও ৮ নং স্বপ্ন পূরন হলো আপনার স্বপ্নগুলি জেনে।
আরজু মুক্তা
তাই? তাহলে তো একরাশ মুগ্ধতা কাজ করলো।
ধন্যবাদ ভাই। সুন্দর কমেন্ট করে ধন্য করলেন
রোকসানা খন্দকার রুকু
বিয়ের দিন একলক্ষ বেলুন নিশ্চয়ই কিনে দিয়েছিল?
বেলুনের ছবি দেখতে চাই।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
উপরে কিন্তু বেলুনের ছবি!
বন্যা লিপি
বলেছিলাম, অনেকেরি ছোটবেলা বেশিদিন স্থায়ী হয়না!
এইটুকুর পরে ভুলে গেছি কি মন্তব্য করবো?
গতানুগিতক হলেও বলতেই হচ্ছে…..অনেক ভালো লেগেছে এই “স্বপ্ন ওড়াই”……
আরজু মুক্তা
শেষের লাইনটাই মাথা পেতে নিলাম। কৃতজ্ঞ আমি।
শুভকামনা