
আগস্ট আসে ফিরে বারে বারে
অভিশপ্ত আগষ্ট খুনীদের পদচারনায় এই বাংলায়
২১ আসে ফিরে বেদনার অশ্রু ঝড়ে।
সেদিন মুখরিত ছিল ঢাকা জনতার পদভারে
নেত্রীর পদচারনায় ধন্য জনতা তুলেছিল উর্মিতাল
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জেগেছিল রাজপথ উন্মুক্ত প্রান্তরে।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যখন তোমার সুস্পষ্ট উচ্চারণে
রাজপথ প্রকম্পিত হল
পাকি আর্জেস গ্রেনেড ছুড়ে তোমাকে নিশানা করে।
তোমাকে বাঁচাবে বলে ঢাকার মেয়র হানিফ
বিশ্বস্ত সেনা মাহাবুব, জাতীয় নেতারা মানব বর্ম
রচনা করে তোমার চারপাশ ঘিরে।
প্রাণচঞ্চল ঢাকা নিমিষে মৃত্যুপুরীতে ঢাকা পড়ে যায়
হতবিহব্বল মানুষ পাগল প্রায় হয়ে ছোটে
দিক বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে।
শ্বেত শুভ্র বিকেল বেলা বারুদের গন্ধে আচ্ছন্ন হয়ে যায়
খুনীর বিষাক্ত নি:শ্বাসে তছনচ হয়ে যায় সাজানো বাগান গুলি
পাকি গ্রেনেড আর্জেসের বিষাক্ত ছোবলে।
উড়ে যায় হাত পা ছিন্ন মস্তক খানি।
পচাত্তরের খুনীর প্রেতাত্বারা মিলেছিল
সেদিন সুরক্ষিত বিশেষ ভবনে
হত্যা যজ্ঞের নতুন মিশনে।
নেত্রী তুমিই ছিলে হত্যাকারীর বিশেষ নিশানায়।
নেত্রী তোমাকে বাঁচাবে বলে যারা গড়েছিল মানব ঢাল
কারও উড়ে যায় খুলি, কারও উড়ে গেছে আপদ মস্তকখানি।
কার ও উড়েছে হাত পা খানি।
দুই পা হারিয়ে রক্ত সাগরে ভেসেছিল তোমার আজন্ম
পথের সাথি রাষ্ট্রপতি পত্নী আইভির বিবর্ণ মুখখানি।
নিমিষে লুটিয়ে পড়ে ২৪টি তরতাজা প্রাণ।
শত সহস্র জীবন্ত শব দেহ আজ খুঁড়িয়ে মরে
খুনীর গডমাদার সংসদে দাঁড়িয়ে বিদ্রুপ করে।
জজ মিয়া নাটকের মঞ্চে আনে
পার্থ সাহাদের জীবন বিপন্ন করে।
জয়নুল মিয়াদের তদন্তের পোষ্ট মর্টেম করে।
আগষ্ট আসে ফিরে বারে বারে
পাকি প্রেতাত্বার খুনীদের দাম্ভিকতা ঘিরে।
ওরা খুনী, ওদের কবর রচনা হবে এই বাংলায়
মানুষ গড়বে মানবের আবাস শান্তির নীড়ে।
২৪টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
রাখে আল্লাহ মারে কে? সময়োপযোগী কবিতা। ধন্যবাদ কবি দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান।
মানুষ খুন খারাবী পছন্দ করে না।
এতগুলো মানুষ হত্যা করলো পঙ্গু হলো।
কিন্তু আমরা খুনীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাই।
কিংবা মতামত দিতে পাই।
তাহলে খুন খারাবী কমবে কিভাবে ?
এই খুনীরা নিপাত কেমনে যাবে ?
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
আলমগীর সরকার লিটন
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই—————
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
বিধাতাই তাঁকে সেদিন বাঁচিয়েছে নর-ঘাতকদের হাত থেকে।
কাব্যে এক দারুন উপস্থাপন।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
এই নরঘাতক দের থেকে জাতি মুক্তি চায়।
তা না হলে বারবার হানা দেবে এই বাংলায়।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
বিনম্র শ্রদ্ধা।
শুভ কামনা রইলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপু।
ঐ পাপীষ্ট খুনীদের থেকে জাতি মুক্তি চায়।
ভাল থাকবেন শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
পচাত্তরের প্রেতাত্মারা যোগ দিয়েছিলো নতুন অভিশপ্ত আত্মাদের সাথে। কিন্তু বিধাতা আবারও তাকে বাচিঁয়ে দিয়েছেন, যেমন করে বাচিঁয়ে দিয়েছিলেন পচাত্তরের সেই কালরাতে।
শ্রদ্ধা সেইসব নিবেদিত নিহত আত্মাদের প্রতি। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
ভালো থাকুন দাদা। শুভ কামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
পাকি প্রেতাত্মা আর পচাত্তরের ঘাতক
বারবার হানা দেয় এই বাংলায়
ওরা ধ্বংস হোক নিপাত যাক
জাতি রক্ষা পাক এই কামনায়।
ভাল থাকবেন আপু। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জাস্ট অসাধারণ অনবদ্য লাগলো দাদা। এযে রক্তঝরা আগষ্ট । একবার পঁচাত্তরে আরেকবার ২০০৪ সালে মাসটা কিন্তু একই ছিল। সেদিনের বিভৎসতার কথা মনে হলে আৎকে উঠি আজো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অফুরন্ত
সুপায়ন বড়ুয়া
ওরা আগস্ট মাসে তাদের স্বাধীনতার মাসে
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে না
বলেই বারবার মুক্তিযুদ্ধের সুর্যসন্তানদের হত্যা করে
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নষাৎ করতে চায়।
ভাল থাকবেন দিদি। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সময়োপযোগী কবিতা দাদা।
পড়ন্ত বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ- এর নিথর লাশগুলো ছিলো ভুলন্ঠিত মানবতার এক স্মারক!
বিভীষিকাময় ছিলো ২১শে আগস্ট।
সেইদিনের এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত হওয়া সকলের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
.
২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ডসহ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই মানবতার শত্রুরা যতদিন বেঁচে থাকবে
ততদিন এই বিভষ্য নারকীয় ঘটনাগুলো ঘটাবে।
তাই সমূলে উৎপাটন করা আজ সময়ের দাবী
যাতে ভবিষতে কেউ মাথা তোলার সাহস না পায়।
ভাল থাকবেন দাদা। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
আগষ্ট শোকের মাস, কিন্তু দেখুন এই মাসেরই ২২ ও ২৮ তারিখে আমার আমার দুই ছেলে জন্ম গ্রণ করেছে। আজ আমার ছোট ছেলের জন্মদিন।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনার ছোট ছেলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা।
অনেক বড় হোক। এই ঘৃন্য নরপিশাচদের মুখোশ খুলুক।
এই ২১শে আগস্ট কত শত সহস্র মানুষের জীবন বিপন্ন হলো। কত পরিবার হল অসহায়। তাদের জীবনের সুখ আনন্দ ভুলে গেল মৃত আত্মা আর স্প্রিন্টারের অসহায় যন্ত্রনায়।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনায়।
তৌহিদ
২১ শে আগস্ট আমি সেদিন তোপখানা রোডে ছিলাম সেই সময়। কি যে এক দূর্বিসহ রাত গিয়েছে! মতিঝিল থেকে হেঁটে শ্যামলী এসেছিলাম সেদিন।
বর্বরোচিত সে হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। নেত্রীকে চিরতরে শেষ করার এই ঘৃণ্য অপচেষ্টাকারীদের কঠোর শাস্তি চাই।
শুভকামনা রইলো দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
সেই দুর্বিসহ রাত ভুলা যায় না ভাইজান।
পাগলের বেশে মানুষ এদিক ওদিক ছোটাছোটি করছে। তাঁদের আত্মনাদে আল্লাহর আড়শ কেঁপেছে।
জীবন্মৃত মানুষ গুলো নিয়ে মানুষ ছোটছে এদিক ওদিক একটু চিকিৎসা পাবার আশায়। বাঁচার তাগিদে।
আজও মানুষ কাতর যন্ত্রনায় ছটপট করে।
এই বিভৎসতা মানবিক বিপর্যয় পাকি প্রেতাত্মারা ঘটিয়েছে বাংলার বুকে।
মানুষ এদের থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু ভয়ে মুখ খোলে না বলেই ওরা সাহস পায়।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
দাদা আপনার শানিত কলমে একুশে আগস্টকে জীবন্ত অনুভব করলাম।
সেসময় স্টুডেন্ট ছিলাম খবরে খুব শুনতাম।
এমন প্রাণঘাতী হামলা কখনও কাম্য নয়।
আল্লাহ পাক মৃতদের আত্মাকে শান্তি দিন।
জীবিতদের হেফাজত করুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপু।
সেদিনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞের
বিবর্ণ ফ্যাকাশে মুখ গুলো আজও হৃদয়ের মানষপটে ভেষে উঠে। কেঁপে উঠে অন্তরাত্মা।
ধীক্কার জানানোর ভাষা জানা নেই।
সেদিন মানুষ আল্লাহর কাছে ফরিহাদ করে বলেছিল
আল্লাহ খুনীদের তুমি তুলে নাও, করে দাও নি:শেষ।
আমরা আজও আছি প্রতীক্ষায়।
আপনার জন্য। শুভ কামনায়।
আরজু মুক্তা
এগুলো ভাবলে নির্ঘুম হয় রাত।
এই ধরণের বর্বরতার রাজনীতি মোটেও ভালো লাগে না।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপু।
আপনি আর আমি আর আমরা এড়িয়ে চলি বলেই
স্বাধীনতার ঊষা লগ্ন থেকে মুক্তিযোদ্ধা আর প্রগতিশীল চিন্তা চেতনার মানুষদের হত্যা করে
একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয় বারে বারে
তাদের পোষ্য প্রেতাত্মাদের দিয়ে।
আবার একযোগে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেই। ওরা ভয়ে পাততারি গুটাত।
আমরা চুপ করে থাকি বলেই ওরা পেয়ে বসে বারে বারে।
ভাল থাকবেন আপু। শুভ কামনা।
উর্বশী
আল্লাহ পাক যদি চান কারো অনিষ্ট করা যাবেনা। তো কারো সাধ্য নেই সেটা।করা।তার নেক নজর ছিল বিধায় তিনি সেদিন বেঁচে ছিলেন। দীর্ঘজীবি হোক। সবাই ভাল থাকার চেষ্টা করি। আমীন।
সুপায়ন বড়ুয়া
সবই আল্লার ইচ্ছা।
জনগনের সেবা করার জন্যই হয়ত বেঁচে রাখলেন।
নতুবা পাপীর প্রায়শ্চিত দেখার জন্য।
অনেক দিন পরে এলেন আপু।
শুভ কামনা।