
প্রেমে পড়া/অরুণিমা মন্ডল দাস
শোনো আজ তোমার প্রেমে পড়লাম
না আমি প্রেমিকা নই আ্যকচুয়ালি আমি একজন বিবাহিত মহিলা”
তুমি ভালোবাস জানি
তোমার চোখের লাল আভা গুলি আমার হৃদয়ে জমা হচ্ছিল
শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল
হা ত পা গুলো কেমন একটা অদ্ভুত ভাবে নাড়াচাড়া করছিল
গাছপালা প্রকৃতি চেয়ার টেবিল সব যেন কেমন খুব সুন্দর লাগতে শুরু করল
আমি বিবাহিত জানি
জানি
বারবার বলে বদনামের ভয়ে দূরে থাকতে হবে না
বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না
আমাকে দেখার জন্য বসে থাকতেও হবেনা
আমি জানি আমাকে না দেখলে তোমার চারিদিকটা আঁধার হয়ে যায়
তুমি কাঁদতে থাক
বড় রাস্তার বাস ট্রামগুলোকে গালি দিতে থাক
তবু তুমি সামনে এসে বলবে না
বলবে না
কখনই স্বীকার করবে না যে তুমি আমাকে ভালোবাস
আমার জন্য তোমার চোখটা একবার হলেও ভিজবে
দূরের তারা র দিকে তাকিয়ে আমাকে খুঁজবে
জড়িয়ে ধরে শাড়ির গন্ধ টুকু পেতে চাইবে
মুখের হাসিটুকু বেঁধে রাখবে তোমার বুকের কাছে
হ্যাঁ আমি বিবাহিত
ভণিতা করে পুরো ভালোবাসাটাই পাচ্ছ
বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরতে পারছ
হাতে হাতে মেহেন্দী র স্বপ্ন এঁকে পরক্ষণে কেউ নও“” প্রেমিকা নও”“ সম্ভব নও”–
কথাগুলো বলতে পারছ!
কষ্ট দিতে পারছ !
বুকে পেরেক গেঁথে আবার প্রলেপ লাগাতে ও পারছ?
তুমি কি ভালোবাস?
এটা কি সত্যি প্রেম?
যন্ত্রণা বিঁধে রক্ত শুষে চলে যাও
সারা রাত ছটফট জোনাকির সাথি হয়ে বসে থাকি!
কলেজের চেয়ার গুলো টেবিলগুলো তোমাতেই ডাকে
টিফিনের সময় তোমার চোখ কে মিস করি
তোমার দেওয়া সেইসব মূহূর্তগুলো!
মাঠের আকুতি দেখোনি
দেখোনি আমার রক্তমাখা মনটা!
কাতর গাড়ি র পাগলামোটা?
বুঝি আমি বিবাহিত
তবে কেন ভালোবাস?
কেন শিশিরের ঠান্ডাতে নিয়ে গিয়ে আমাকে শিখিয়ে দাও নিরব প্রেম?
তোমার নিরবতা” আমাকে পাগল করে দেয়?
আমি আকাশ এ বাতাসে তোমাকেই শুঁকতে থাকি!
তুমি কি বোঝ না!
আমি সেই “বিবাহিত”–
যাকে তুমি একমাত্র প্রেমে ফেলেছিলে?
সর্ব অঙ্গে বিরহের রোগ ছড়িয়ে দিয়েছিল?
আমি সেই বিবাহিত?
এবারে বল তো আমি কি সত্যি বিবাহিত?
১৪টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
পরকিয়ার কবিতা পড়ে লজ্জা পেলাম। এইটা একটা মহা কবিতা।
অরুণিমা মন্ডল দাস
না দাদা এটা পরকীয়ার কবিতা নয় প্রেম জিনিসটা কখনো পরকীয়া হয় না
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রেমতো এমনি বিবাহিত, অবিবাহিত, সময়জ্ঞান, কান্ডজ্ঞান না বুঝেই হয়ে যায়। খুব ভালো লাগলো দিদি। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। শুভ সকাল
অরুণিমা মন্ডল দাস
শুভ সকাল দিদি ভালো থাকবেন সেটাই প্রেম” শর্তহীন হয়ে থাকে
আলমগীর সরকার লিটন
প্রাইমারি কি হাইস্কুল প্রেম মনে কিছু না হক যত বিবাহিত
সেতো প্রেম তাই নয়কি তাহলে বিবাহিত মাঝেই পরিসমাপ্তি
না মানি না অতঃপর এনে দাও সেই প্রাইমারি কি হাইস্কুল প্রেম———–চমৎকার অরুণিমা দিদি
অনেক শুভেচ্ছা রইল———-
আরজু মুক্তা
সূর্বণা মোস্তফাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, সৌদকে যে বিয়ে করলেন, আপনার এখন ভয় লাগছে না?
উনি বলেছিলেন, ভয় কেনো? আমি কি চুরি করেছি? ভালোবেসে বিয়ে করেছি। এটা প্রেম।
তেমনই প্রেম আলাদা। ওটা পরকীয়া নয়
সুপায়ন বড়ুয়া
“যাকে তুমি একমাত্র প্রেমে ফেলেছিলে?
সর্ব অঙ্গে বিরহের রোগ ছড়িয়ে দিয়েছিল?
আমি সেই বিবাহিত?
এবারে বল তো আমি কি সত্যি বিবাহিত?”
এই কঠিন প্রশ্নের মেলে না উত্তর।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
রেজওয়ানা কবির
প্রেম যে কোন সময়ই আসতে পারে।অনেকবারই মানুষের জীবনে প্রেম আসতে পারে,এতে খারাপ কিছু নাই।ভালো লাগল আপু,তবে এই পিকচারের কারনে আমার মনে হয় লেখাটার একটু কম লাগছে এটা আমার ধারণ। আবার নাও হতে পারে।হার্ট৷ করলে সরি।শুভকামনা।
শামীম চৌধুরী
একজন নারীকে বুঝার আগে ও পরিনত বয়সেক সঙ্গে সঙ্গে মা বিয়ে করিয়ে দিলেন। পিরেম কি সেটা কখনই বুঝিনি। প্রেমেও পড়িনি কোন নারীর। প্রেমে রড়লে মানুষ প্রতম্ জড়তায় থাকে সেটা বুঝলাম যখন বিয়ে করা নারীটিকে বউ হিসেবে পেয়ে ভালবাসতে লাগলাম। তাতে দুটি ফায়দার অর্জন হয়।
বিবাহিত বা অবিবাহিত দেকে প্রেম আসে না সেটা বুজি। ভাল লিখেছেন প্রেম নিয়ে।
নিতাই বাবু
যাকে বলে প্রেম! কথায় আছে, “ক্ষুধা মানে না মরা ভাত, আর প্রেম মানতে চায় না জাত-বেজাত!” তাই আজকাল দেখা যায়, হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলে আর ব্রাহ্মণ মেয়ের সুখী সংসার। কিন্তু, আগে এসব ছিলোই না বলা যায়। যাকে বলে প্রেম!
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
মনির হোসেন মমি
প্রেমে ধরা বাধার কোন নিয়ম নেই…সময় অসময় আসাটা স্বাভাবিক।খুব ভাল লাগল। বহুদিন পর এলেন।মিস করছি আপনার লেখাগুলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
প্রেম আসলে আমরা বুঝিই না। জীবনের সাথে চলতে চলতে মনে করি এটাই বুঝি সব।
পরকীয়া নোংরা আর প্রেম পবিত্র।বিয়েই বা একসাথে থাকাই তার পরিসমাপ্তি নয়।
অসাধারণ দিদি। শুভ কামনা।
কামরুল ইসলাম
সত্যিই, ভালবাসায় কি বিবাহিত প্রতিবন্ধক ???
তাহলে কি ভালবাসায় ও গন্ডি আছে ???
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভালো উপস্থাপন।
প্রেম এমনি হয়!