
1. জনপ্রিয় একটি সিনেমার ডায়লগের কথা দিয়ে শুরু করি। “আমরা ডাক্তার আমাদের কথা না শুনলে বা চালাকী করলে আমরা আল্লাহর কাছে পাঠিয়ে দেব আর নিয়ম মেনে না চললে আল্লাহ আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবে। উপড়ে আল্লাহ নীচে আমরা ডাক্তার। সুতরাং একটু সাবধানে কথা বলবেন ভাল মতো চলবেন। “
2. চট্টগ্রামের এক শিল্পপতি আকুতি জানিয়ে বলেছিল আমাকে একটু শ্বাস নিতে দিন। ডাক্তার সাব আমাকে বাঁচান যত টাকা লাগে আর যা চান আমি দিব। অসহায় ডাক্তার বলেছিল আমাদের এখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই আপনাকে দিব। আমি অক্সিজেন লাইন দিব আমাকে একটু শ্বাস নিতে দিন আমাকে বাঁচান। অসহায় ডাক্তার তার ভাইয়ের অক্সিজেন লাইন দিয়ে ও বাঁচাতে পারে নি। অবেশেষে শিল্পপতি বেঁচে থাকার আকাঙ্খা নিয়ে ও ইহলোক ত্যাগ করেন। পরিবার পরিজন শোক কাটিয়ে উঠার জন্যই চট্টগ্রামের সেই জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেনের সরাসরি লাইন দিয়ে তার আত্নার প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন।
3. আজ করোনা কালে সারাবিশ্ব যখন থমকে দাঁড়িয়েছে তখন ডাক্তার আর স্বাস্থ্য কর্মীরাই সম্মুখ যুদ্ধে এসে মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তাই সারা বিশ্ব ডাক্তার ও তাদের পরিজনের সুরক্ষার জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ৫ তারা হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করেছে।
4. বাংলাদেশ ও জনতার দাবী মতো তাদের হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করেছে।এতদূর পর্যন্ত সঠিক ছিল। যখন থাকা খাওয়ার বিল সাবমিট করল। কাহিনী হল শুরু।
5. বিরোধী দলের নেতা সংসদে বাছ বিছার না করেই সংসদে বললেন সস্থা জনপ্রিয়তার জন্য ২০০ ডাক্তারের জন্য ২০ কোটি খাবার বিল কিভাবে হল ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে যথারীতি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিলেন।
আর যায় কই
২০০ জন ডাক্তারের ২০ কোটি টাকার খাবার বিল নিয়ে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুজব ফ্যাক্টরীর পেইড সেইলস ম্যান ও অন লাইন কাগজে তোলপাড় হল সেখানে একটি ডিমের ১০০০ টাকা দেখানো হল। সোনেলার জনপ্রিয় ব্লগার তৌহিদ ভাইয়ের সাথে আজ একমত পোষণ করে বলতে হয়। সত্যিই দেশে আজ বিশেষজ্ঞ সমালোচক বেড়ে গেছে।
এই সমালোচনার কারণে যারা করোনা সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পরিবার পরিজন ফেলে মাসের পর মাস হোটেলে থাকছেন স্বাভাবিক কারনে তাদের মনোবল ভেঙে যায়। কাকতালিয় কিনা জানি না পরদিনেই চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পরে এবং করোনায় মানুষ মরে দ্বিগুন ৬২ জন। অন্য রোগীর মৃত্যুর হিসাব তো জানা হল না।
পরদিন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন ব্যাখ্যা দিতে এসে বলেন, ২ মে থেকে এক হাজার ২৫৮ জন চিকিৎসক, এক হাজার ৫৬৭ জন নার্স, ৫০ জন টেকনোলজিস্ট, ১৬ জন ফার্মসিস্ট, ৪৪৩ জন কর্মচারী এবং ৩৫৪ জন আনসার দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সংখ্যাও হাসপাতালের রোগীর তুলনায় ‘অপ্রতুল’।
“প্রায় ২ হাজার ২৭৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর এক মাসের হোটেলে থাকা ও খাওয়া বাবদ খরচ হচ্ছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ যা দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৭ টাকায়।
“সমসংখ্যক লোকের যাতায়াত বাবদ ১০টি ১২ আসনের এসি মাইক্রোবাস, একটি ১৫ আসনের এসি মাইক্রোবাস, একটি ২৬ আসনের এটি টুরিস্ট কোচ, দুটি ৪৫ আসনের নন এসি বড় বাস ভাড়া করা হয়েছে।”
অর্থাৎ বুঝা গেল জনপ্রতি দৈনিক ৫০০ টাকা খাবারের বিল সহ হোটেল ভাড়া ১৪০০+ টাকা
এখন আসি আমরা যারা চাকরী করি।
লাইন সিনিয়রের সাথে একি হোটেলে থেকে দিনে ৫০০০ টাকা থাকা আর ২০০০ টাকা খাওয়ার বিল সহ ৭০০০ টাকা দিই তারা দাবী করতেই পারি ডাক্তারদের উন্নত মানের হোটেলে রেখে আমাদের ও ডাক্তারদের জীবন বাঁচানোর জন্য। যাতে কারখানা চালু থাকলে আমার চাকরী বাঁচে যাতে হোটেল কর্মচারী, স্কুলের টিচার দোকানদার ফেরীওয়ালা সব্জী বিক্রেতা আর চেইনস্টোর থেকে যারা খাবার ডেলিভারী দেয় তারা বাঁচে। তাহলে আমরাও বাঁচি মানুষও বাঁচে।
নয়ছয় করলে ৩য় পক্ষের অডিট টিম দেখবে।
ডাক্তারদের খাবারের খোটা দিয়ে মনোবল ভাঙা ঠিক হবে না। যেটা একপক্ষ চায় যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে মানুষ মারা যাক।
আর যদি নয় ছয় হয় অডিট টিম বের করবে যেভাবে রূপপুরে বালিসের দাম ৬০০০ টাকা বের হল। মনে রাখতে হবে এখন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার জন্য কোন ভবন থেকে নিয়ন্ত্রন হয় না। যেভাবে ত্রান চোর ধরা পড়ল সেভাবে ধরা পড়বে। এ বিশ্বাস আমরা রাখতে পারি।
এদেশে একপক্ষ আছে যারা দেশের জন্ম লগ্ন থেকে এই দেশকে মেনে নিতে পারে নাই তাদের গুজব ফ্যক্টরীর নিত্য নতুন প্রোডাক্ট পেইড সেইল্স ম্যান দিয়ে সেইল্স হবে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সেখানে উপর থেকে নীচের তলা সব জায়গাতে আছে।
আসুন দেখি গুজব ফ্যাক্টরী প্রোডাক্ট গুলো কিরকম।
1. ১৯৭২, রাশিয়া চট্টগ্রাম পোর্ট দখল নিয়েছে
2. ১৯৭৪, সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনা অফিসারের নেতৃত্বে। কারন সি আর দত্তকে প্রমোশন দেয়া হয়েছিল।
3. ১৯৭৪ , ঢাকা থেকে সাংবাদিক ভাড়া করে নিয়ে বাসন্তিকে মাছের জ্বাল পুড়িয়ে দুর্ভিক্ষের কল্প কাহিনী প্রচার।
4. ১৯৯৮, বন্যায় ২ কোটি লোক মারা যাবে
5. চাঁদে সাঈদি দেখার গুজবে মানুষ হত্যার মহড়া।
তাই করোনা কালে তারা বসে নাই গুজব ফ্যাক্টরীর নিত্য নতুন প্রোডাক্ট পেইড কর্মীরা সেইল্স করবে। আমরা না খেয়ে অসুস্থ হব তা মেনে নেয়া যায় না। অতএব সাধু সাবধান।
৩২টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
সাবিনা আপুকে ধন্যবাদ লেখাটা ঠিক করে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু। শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বাগতম দাদা 🌹🌹
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দাদা, সময়োপযোগী, বস্তুনিষ্ট, যুক্তিপূর্ণ লেখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। হ্যাঁ, — “তাই করোনা কালে তারা বসে নাই গুজব ফ্যাক্টরীর নিত্য নতুন প্রোডাক্ট পেইড কর্মীরা সেইল্স করবে। আমরা খেয়ে অসুস্থ হব তা মেনে নেয়া যায় না। অতএব সাধু সাবধান”।—এখন সবাইকে সাবধান থাকতে হবে । শুভ কামনা ।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান, এক শ্রেনীর মানুষের মুখোশ দেখলে বলতে হয় বন্ধু তুই …… ও।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
চিলের কাছে কান খোঁজা আমাদের চিরায়ত অভ্যাস।
তারপরেও বালিশ কান্ড, মাস্ক কান্ড, ক`রোনার ভুয়া টেস্ট কান্ড এখানে হামেশাই হচ্ছে।
তবে আমাদের সচেতনতা খুব জরুরী।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান। মানুষের বিচার বুদ্ধি অন্যের কাছে বন্ধক রাখাটা যৌক্তিক নয়।
কোন ব্যাক্তির দায় প্রতিষ্টান নেয় না।
এদের কাউকে ছার দেয়া ঠিক হবে না।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
তদন্ত করে সত্য প্রকাশ হোক।
সুপায়ন বড়ুয়া
দুর্নিতী হলে অবশ্যই তদন্ত হবে।
২৬ কোটি টাকার প্রস্তাবে ২০ কোটি টাকা অনুমোদন দিল। জানিনা করোনা যুদ্ধে ভাত খাওয়ার এই খোটা কতদুর প্রভাব পড়ে।
ভাল থাকবেন।
ইঞ্জা
সময়োপযোগী লেখাটির জন্য সত্যি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দাদা, কিন্তু একে আমি গুজব বলবোনা, কারণ এর আগে প্রায় দেড় সপ্তাহ জুড়ে এ বিষয়ে কোনো ক্লাসিফিকেশন ছিলোনা বলেই এ নিয়ে তুলকালাম হয় এবং তা সংসদ পর্যন্ত ঘড়ায়, পরে এর বিস্তারিত বিশ্লেষণ এলে আর কেউ তো উচ্চবাচ্য করেনি।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান। জানি না প্রশাসনিক কাজের দৈনিক দাপ্তরিক কাজের হিসাবের কোন ব্যাখ্যা দেয় কিনা যদি না দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান (অডিট টিম) প্রশ্ন তুলে? সংসদের এক নেতা সেও তথ্যবিহীন প্রশ্ন তুলে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বতপ্রনোধিত হয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
কেউ উচ্চবাচ্য করে নি ঠিক আছে। কিন্তু কিষের উপর ভিত্তি করে তারা ডাক্তাদের খাবারের খোটা দিয়ে মনোবল ভাঙলেন। ?
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অত্যন্ত মূল্যবান লেখা শেয়ার করলেন দাদা।
সাধুসাবধান না হলে উপায় থাকবে না।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সমসাময়িক বিষয়ে এমন ঘটনা কে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ দিদি সাথে থাকার জন্য।
করোনা যুদ্ধে মানুষ লড়ছে জীবন বাঁচাতে
কিছু লোক বিষ্টা ছড়াতে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
গুজবে কান দিতে নেই, এতে সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যায়। এই ঘটানার যে ব্যাখ্যা পেয়েছি তাতে আমার কাছে ঠিকই মনে হয়েছে। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজ করলে আগুপিছু একটু হবেই। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের যেভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাতে এর দ্বিগুন খরচ হলেও মেনে নেয়া উচিত।
চমৎকার পোষ্ট দাদা। শুভকামনা রইলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
সরকারি কাজ গুলো সচ্ছতার জন্যই ঠিকাদারি প্রতিষ্টান দিয়ে হয়।
তারা ও করে নয়ছয়।
সমস্যাটা ভিত্তিহীন ব্যাপার নিয়ে ডাক্তারদের খাবার নিয়ে খোটা দিয়া তাদের মনোবল ভাঙল।
অন্যদিকে অন্যদের উস্কানি দিয়ে মৃত্যুপুরি বানাতে চাইল।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
আসলে আমাদের অভ্যেস হয়ে গেছে যতই ভালো কিছু হউক তার আড়ালে মন্দ খুঁজে বের করা।
আজকের এই ক্রাইসিস মূহুর্তে ডাক্তারদের উৎসাহিত করার বদলে আমরা আমরা তাদের খাওয়া খরচের তদন্ত করছি।
তৌহিদ ভাইয়ের সাথে আমিও একমত,আরও বেশি খরচ হলেও মেনে নেওয়া উচিত।
আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন আপু।
গুজব ফ্যাক্টরীর প্রোডাক্ট পরিকল্পিত ভাবে ডাক্তারদের মনোবল ভাঙার জন্য তথ্য উপাত্ত ছাড়া পেইড বিপনন কর্মীদের মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
যাতে মানুষের মরে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। তবে সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল হলে হবে না। গ্রামের একজন ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীর কথা চিন্তা করেন।
পার্থক্যটা ধরা পরবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু।
আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি।
এই সুযোগ প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তাররা পায় না বলে তারা চিকিৎসা করেনা।
গ্রামের ডাক্তাররা সরকারি বাসায় থাকে বা গ্রামে শহরের মতো চ্যালেন্জ টা নাই। তাই ব্যাবস্থা ও নাই।
অস্থিরতা সৃস্টি করার জন্য তথ্য উপাত্ত ছাড়া পরিকল্পিত গুজবটা ছড়ানো হলো।
৩য় পক্ষের অডিটে ধরা পড়লে জানবেন আশা করি নয়ছয় করলে কেউ পার পাবে না।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
ফেসবুকে এই ২০ কোটি টাকার খাবার বিল নিয়ে অনেকদিন যাবতই ট্রল হচ্ছে। আমি কয়েকটি পোস্টে মন্তব্য জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এই খবরের সোর্স কি? এরা কেউ সোর্সের কথা বলতে পারেনি। অন্য ফেসবুকারদের পোস্ট সোর্স হিসেবে উল্লেখ করেছে।
যখন ডাক্তার এবং অন্যান্যদের করোনার কারনে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে রেখে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তখন সে খবর পড়েছিলাম। এই গুজব যখন ফেইসবুকে চালু হয়েছে, তখনই ধারনা করেছি এটি গুজব। তাই চিলের পিছনে দৌড়াইনি।
এটি যে শুধু খাবার বিল নয় তা জানার পরে গুজব রটনাকারীরা নিশ্চুপ এখন। এখন তারা আর কিছু জানেনা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল গুজব প্রচারের। তা হয়ে গিয়েছে।
সমসাময়িক বিষয়ে এমন একটি লেখা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
এত সুন্দর বিশ্লেষন ধর্মী মন্তব্য আগে করলে। অন্যরা যোগ দিতে পারত বা বিশ্লেষন করত।
এক ধরনের পেইড এজেন্ট আছে যারা গুজব ফ্যাক্টরীর প্রোডাক্ট গুলি বিপনন করে এবং পারপাসলি করে।
আর আমরা ও বুঝে না বুঝে পিছনে দৌঁড়াই। এই যেমন বিরোদী দলের নেতা। তথ্য উপাত্ত ছাড়া সংসদে প্রশ্ন করলেন অন্যরা এনজয় করলেন কারন এতে আমলা জড়িত। আমলারা নেতাদের ফাসায় তাই। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাষ দিতে হল তদন্ত করবে বলে।
ধন্যবাদ ভাইজান। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
সামাজিক অবক্ষয় মূল্যবোধের অভাবে জর্জরিত আমরা। খুব সহসা মুক্তি আছে বলে মনে হয় না।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ কবি ভাই।
সামাজিক অবক্ষয় মূল্যবোধের অভাব থেকে মিলবে না যতক্ষন না গুজব ফ্যাক্টরীর প্রোডাক্ট বন্ধ নাহয়।
আর দেশটা নিজের বিবেকের কাছে ধারন না করে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
একটা মিথ্যা ক্রমশ ছড়িয়ে পরতে-পরতে যেমন সত্যিতে পরিনত হয়ে যায়, তেমনি একটা গুজব/ ভুল ধারণার বেলাতেও হয়। যেটার যত প্রচারণা হবে সেটার মার্কেট ভ্যালু ততো বাড়তে থাকবে। আর ফেসবুক/ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব খুব দ্রুত সমাদর লাভ করে। কোনো রকমের জাস্ট একটা স্ট্যাটাস পোস্ট, মূহুর্তের মধ্যে শয়ে-শয়ে শেয়ার হয়ে যায়। খুব কম লোকেরাই এসব স্ট্যাটাসের মূলে পৌঁছানোর তাগিদ করেন।
আপনার আরও পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
আমার আপু এলেন তবে অনেক দেরী করে।
সহমত আপু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সব গুজব গুলো খুব ধ্রুত ছড়ায়। গুজব ফ্যাক্টরীর পেইড বিপনন কর্মীরা পারপাসলি করে যাতে ডাক্তার এবং মানুষের মনোবল ভাঙে মানুষ মরে তাতে তাদের সুবিধা হয়।
কারন তারা জানে আমাদের মনোবলই একমাত্র করোনা যুদ্ধে জিতার মোক্ষম অস্ত্র।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মোহাম্মদ আলী
গুজবে কান দিয়ে ক্ষতি ছাড়া লাভ নাই
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
সোনেলায় স্বাগতম।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
এইসব পোস্ট করার পুর্বে রটনাকারিরা আগে থেকেই রেডি থাকে যাতে আমাদের এই ৫জন সংগে সংগে শেয়ার দিবি। পড়ার দরকার নাই শেয়ার দে।
আর এখন আসি গুজব এই মুহুর্তে শালার রাজনিতি বিদ গন রাজনিতিবিদ্দের দোষ দেয়না।
অন্য গুজব নিয়া ব্যাস্ত থাকে।
আর এরই মাঝে টাকার নিকট বিক্রি হয় কিছু নেতা। খুব দুক্ষজনক।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান,
গুজব ফ্যাক্টরীর নিত্য নতুন প্রোডাক্ট পেইড কর্মীরা বিপনন করে। উদ্দেশ্য একটাই ঘোলা জলে মাছ শিকার।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
এর জন্য ক্ষমতাসীনরাও কম দায়ী নয়। পথ প্রশস্ত করে দেয়।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত। তারা সুযোগ দেয় বলেই তো ওরা পায়।
শুভ কামনা।