
যদি এমন হতো রাস্তার মোড়ে মোড়ে, ডাক্তারের চেম্বার, হাসপাতালের গেট, হাট-বাজারে কিছু রোবট থাকতো। করোনা আক্রান্ত কেউ আশেপাশে পেলেই ক্যাঁ ক্যুঁ ক্যাঁ ক্যুঁ করে চিৎকার দিয়ে উঠতো।
এতে কিন্তু লাভ হতো দুটো- ভয়ে কেউ বের হতোনা। আর বের হলেও অন্যরা সাবধান হতাম।
আমরা মঙ্গলে রোবট পাঠিয়েছি আর এরকম একটা রোবট পৃথিবীর মানুষের জন্য বানাতে পারিনি এটা ভাবতেই মনে হচ্ছে এখনো ইবনে সিনার যুগেই বাস করছি। মানুষ না বাঁচলে মঙ্গল গ্রহে যাবে কে?
একবার আমিও কিন্তু একটা রোবট বানিয়েছিলাম, কচি লাউ দিয়ে। লাউয়ের পেটের মাঝে কাঠি ঢুকিয়ে দুই হাত, দুই পা বানিয়েছিলাম। রোবটের মুখে থার্মোমিটার ঢুকিয়ে সেটাকে থার্মো রোবটের রুপ দিয়েছিলাম। সেটার নাম দিয়েছিলাম লাউবট।
লাউবটটিকে ডিপ ফ্রীজের গায়ে ছোঁয়ালেই ধুম করে তাপমাত্রা মাপা যেত! মানে ঠান্ডা হয়ে থার্মোমিটারের পারদ নেমে আসতো আর কি! এতদিন এসব কথা শুধু আমার স্কুলের মিষ্টি ম্যাডাম জানতেন আর কাউকে বলিনি। যদিও ম্যাডাম মহা বজ্জাতিক স্মৃতি হিসেবে ক্লাসে সেটিকে বাজেয়াপ্ত করেছিলেন।
স্বপ্ন দেখতে দোষ কি? যেমনটা দু’মাস আগে বীর বাহাদুর সাহেব স্বপ্নে দেখেছিলেন বাংলাদেশে করোনা হিজ আন্ডার কন্ট্রোল। সে কারনে গতকালই এদেশকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। স্বপ্নের মাঝেই চলছি আমরা। পিছে স্বপ্ন ঠেলে আমরা সামনে এগোই।
সাল ২০২০, বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে করোনা কারও কারও স্বপ্নে এসে নিজের ডিটেইলস বলে যাওয়ায় এখানে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক, পিপিই কিচ্ছু লাগছেনা। কারন ঘুমের ঘোরে সেই স্বপ্নেই আমরা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। দিকনির্দেশনা দিয়েছিলো মিষ্টি ম্যাডামের বাজেয়াপ্ত করা আমার সেই লাউবটটি।
এসব স্বপ্ন লিখতে লিখতে নিজেকে সাইন্স ফিকশন লেখক মনে হচ্ছে। আমার লাউবট COVID-19 কে জয় করেছে। লাল-সবুজের একটি পতাকা উর্ধ্বাকাশে পতপত করে উড়ছে। স্বপ্নেই দেখছি সব…
৩০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বুঝছি, আপনি থানকুনি পাতা না খেয়েও সর্দিকে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তারপর ও বলছি, পাতা খান থানকুনি, করোনা ভাব্বে, এবার পালিয়ে বাঁচি।
বলেন, ঠিক না বেঠিক।
তৌহিদ
ঠিক ঠিক এক্কেরে ঠিক। থানকুনি পাতার অনেক উপকার। কেন যে অবহেলা করলো সবাই!!
রেহানা বীথি
আমরা আমাদের সমস্ত মেধা ব্যয় করেছি, নিজেদেরকে ধ্বংসের উপকরণ তৈরিতে। মানুষের মঙ্গলের জন্য যা কিছু আবিষ্কার, সব সুদূর অতীতেই হয়েছে। বছরের পর বছর ক্যান্সার কিংবা এইডস-এর কার্যকর কোনও ওষুধই তো তৈরি করতে পারিনি আমরা, শুধু স্বপ্ন দেখে চলেছি। চাঁদ, মঙ্গল কিংবা অন্যান্য গ্রহে আছে কি কোনও গুপ্তধন? খুঁজে খুঁজে হয়রান আমরা।
সুন্দর পোস্ট ভাই।
তৌহিদ
স্বপ্ন দেখেছি বলেই আজ এতকিছু আবিষ্কার করেছে মানুষ। কিন্তু সেসব যদি প্রয়োজনের সময়েই কাজে না লাগে আর কি লাভ বলুন? করোনা থেকে মুক্তি চাই।
ভালো থাকবেন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লাউ দিয়ে লাউবট🤣🤣🤣🤣তবে আপনার আইডিয়াটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। কারন ইতিমধ্যে রোবট দিয়ে অনেক কিছু করেছি, কথা বলেছে। বাসায় চোর ঢুকলে , বড় বড় রিসার্চ সেক্টরে অনাহুত কেউ ঢুকলে সাইরেন বেজে ওঠে তাহলে এটাও অসম্ভব কিছু নয় তৈরি করা মানুষের পক্ষে। ভালো লাগলো সুন্দর পোস্ট পেয়ে
তৌহিদ
দেখুন লাউবট একটা উপমা মাত্র। আমরা মঙ্গল গ্রহে রোবট পাঠিয়েছি আর এতো সামান্য করোনা!! তাও বানালোনা কেন তাই ভাবছি। অসাধ্য কিছুই নেই কিন্তু!!
সুপায়ন বড়ুয়া
ভাইজান সুন্দর আশা দিয়ে শুরু করলেন
হতাশা দিয়ে শেষ করলেন।
দুই একদিন আগে দেখলাম একটা এ্যাপ তৈরী হচ্ছে
করোনা রোগী ডিটেক্ট করার জন্য।
তা যদি হয় ভালই। আশায় থাকি ততক্ষন।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
আশা নিরাশার মাঝেই দিন কাটছে। কি যে সব ভাবছি আর লিখছি!! তবে এপটি চালু হলে বেশ হবে কিন্তু!!
আকবর হোসেন রবিন
খুবই মজাদার লেখা। কিন্তু, হাসতে গিয়েও থেমে যেতে হয়। হতাশা ঘিরে ধরে। কবে যে শেষ হবে এসব নাটক, ভাইরাস!
তৌহিদ
করোনার বিষন্ন সময়ে চাইলেও হাসতে পারছিনা ভাই। ভালো থাকবেন।
ফয়জুল মহী
সুকোমল ভাবনার অনন্যসাধারণ লেখা। শুভেচ্ছা । দোয়া রইলো আপনিও করবেন।
তৌহিদ
আপনার জন্যেও শুভকামনা দাদা। ভাল থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
দূ্দান্ত লাউবটকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে পারেন করোনার ভ্যাকসিনে ইতিপূর্বে আমাদের এক মৌলভী (মৌ+লোভী) স্বপ্নে যে সূত্র আবিস্কার করেছিলো সেটাই আমরা চালিয়ে নিবো না নতুন কিছু দিবে, যেহেতু সবই স্বপ্নের কারবার।
তৌহিদ
সেজন্যতো আমাকেও স্বপ্ন দেখতে হবে আর তার জন্য ঘুমাতে হবে। ইদানিং চোখে ঘুম নেই। তবে সুযোগ পেলে জিজ্ঞেস করবো। তবে সেই সূত্রতেই কাজ হবার কথাতো!!
সুরাইয়া পারভীন
যাক এবার যদি লাউবটের বদৌলতে করোনা থেকে মুক্তি মিলে আমাদের। ইতিমধ্যে তো কতকিছু ই আবিষ্কার হয়েছে, থানকুনি পাতা, কুরআন শরীফে পাওয়া চুল ধোয়া পানি, সুরমা আরো কতো কি!
তৌহিদ
নতুন এসেছে বিচি থিউরি তবে কোন গাছের তা এইমূহুর্তে মনে করতে পারছিনা আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
নীরা সাদীয়া
করোনার জন্য পিপিই অতটা দরকার নাই!
এই জোকারগুলাকে কেন যে অত বড় পদে বসায় রাখছে? বাঙালিও একটা অদ্ভুত জাতি। শিশু নাকি জন্ম নিয়ে কী সব বলে মারা গেছে। আর সেসব কথা মানুষ বিশ্বাস করে! কারে জানি চান্দেও দেখা যায়। এগুলা আমাদের দ্বারাই সম্ভব!
তৌহিদ
একমাত্র হুজুগে জাতি আমরাই। চিলের পিছে দৌড়াই নাক কানের পিছে সেটা ভাবতেই নতুন ইস্যুর জন্ম হয়। কবে যে মানুষ হবো!
সঞ্জয় মালাকার
দাদা আপনার আইডিয়াটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।
ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন নিরাপদ থাকুন সবসময়।
তৌহিদ
এই দুনিয়ায় অসম্ভব বলে কিছুই নেই। লেখাটি রুপক তবে এরকম চিন্তাভাবনা আসবে হয়তো একসময় মানুষের মনে।
ভালো থাকবেন দাদা।
সাবিনা ইয়াসমিন
জেগে থাকা অবস্থায় দেখে ফেলা অলিক স্বপ্ন যে পুরণ হয়না, সেটা বীর বাহাদুর সাব আরেকবার প্রমাণ করলেন। এই জন্যেই স্বপ্নের কথা কাউকে বলতে নেই 😀😀
আপনি ছোট্ট কালে রোবট-বিজ্ঞানী ছিলেন!! তাও লাউ দিয়ে! আমরা ধন্য আপনার দেখা পেয়ে। এমন বিজ্ঞানীর প্রতিভাকে যথেষ্ট মূল্যায়ন না দেয়ার জন্যে মিষ্টি ম্যাডামের প্রতি তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তবে বিজ্ঞানী ভাইয়া,, আপনার এবারের আপডেট লাউবোট একটু খালি খালি লাগছে। থার্মোমিটারটা এ্যাড করলেন না ক্যান!!?
তৌহিদ
খারাপ স্বপ্নের কথা বলতে হয় যে! তাহলে নাকি ফলে না। জ্ঞানী গুণীজন বলেন আর কি!
আমি ছোটবেলায় শুধু রোবট বিজ্ঞানী না আরও অনেক কিছু ছিলাম। যত মার খেয়েছি সেগুলোই সাক্ষী। মিষ্টি ম্যাডাম সেদিন সব ভজগট করে দিয়েছে।
সামনে থার্মোমিটার লাগিয়েছিলাম তো আপু। ছবি তোলার সময় লাউটা রেখে থার্মোমিটারটা কে যেন নিয়ে গিয়েছে। হায়রে মানোষ!!
সুরাইয়া নার্গিস
লেখাটা অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া।
ইসস মিষ্টি ম্যাডাম যদি সহযোগীতা করতেন দেশ একজন ক্ষুদ্র বিজ্ঞানী পেত। যাই হোক আমরা একজন ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী পেতে যাচ্ছি তাহলে!
অনেক শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
তৌহিদ
সব দোষ ম্যাডামের। তবে একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে কিন্তু। তা না হলে আমি লিখতাম কেমন করে! বিজ্ঞানীদের অনেক জ্বালা।
ভালো থাকবেন আপু।
নিতাই বাবু
এইরকম লাউবট জাপানি অথবা নাসার বিজ্ঞানীদের এখনই বানানো উচিৎ বলে আমি মনে করি। কারণ যেখানে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রুগী স্বয়ং ডাক্তাররাই চেনে না পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়া, সেখানে আমজনতা কীভাবে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রুগীকে চিনবে? তাই এই প্রাণঘাতী নভেলকরোনা সনাক্তকরণে আপনার মতন একটা লাউবট (রোবট) অবশ্যই বানানো দরকার।
সত্যি অসাধারণ উপস্থাপন, দাদা। আচ্ছা মাথায় এতো বুদ্ধি রাখেন কী করে? শুভকামনা থাকলো, শ্রদ্ধেয় দাদা।
তৌহিদ
ইস! আমার আইডিয়া যদি কেউ শুনতো দাদা। আপনার মত করে কেউ ভাবলোনা। আমাদের যত বিজ্ঞানী আছেন সরকার তাদের কেন যে পুষছেন! করোনা কীট গণস্বাস্থ্য আবিস্কার করে ফেললো অথচ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান কিছুই করলোনা বা করতে পারছেনা ভেবেই দুঃখবোধ হচ্ছে।
ভালো থাকবেন দাদা।
হালিম নজরুল
মজা পাইলাম।
তৌহিদ
যাক ভালো লাগলো শুনে।
জিসান শা ইকরাম
অলীক স্বপ্নে কয়েকজন সেলিব্রিটি হুজুর করোনা কালে দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছেন।
লাউবট রিসার্চ আবার চালু করুন৷
লেখাটা মজারু হয়েছে।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
ভাই সেই ছাগলগুলোর জন্যে আমজনতা ভূলপথে পরিচালিত হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
নাহ আর রিসার্চ করা যাবেনা। তাহলে লেখালিখি বন্ধ হয়ে যাবে। আমি এটা চাইনা।