
বন্ধু ! একটা তৈলচিত্র এঁকে দাও।
যেন আস্তাকুঁড়ে পতিত দেয়ালের
খড়কুটে পটভূমি জুড়ে আঁকা
লাস্যময়ী মরুদ্যানের আঁচল ছুঁয়েছে
উর্বশী নদীর বুক।
নির্বাক ছাঁয়া সঙ্গী করে
সন্তপর্নে হেঁটে যাওয়া নিশাচর তৃণভোজী,
আর মাংসাসী পায়ের ছাঁচে থমকে থাকা জলছাপে
আচমকা ঝিলিক মারে,
গাঢ় নীলের বুক চিরে বেড়িয়ে আসা
রূপালী বিজলীর হটাৎ আত্মগোপনের চলচিত্র।
বন্ধু ! একটা তৈলচিত্র এঁকে দাও।
যেন শান্ত ঢেউয়ের দোলায়,
বালিয়াড়ির চিবুক ছুঁয়ে আসা
ভেজা আঁচলের স্পর্শে,
ঘুমন্ত সৈকতের উদাম বুকের মধ্যিখানে
সিক্ত বালুচরে নিঃশ্বাস ফেলছে আঁধার।
তারাগুলি মুখ লুকিয়ে
হীম শীতল অলসতায়,
নিহারিকা পথ হারিয়ে
অমাবস্যার অন্তড়ালে,
যতদুর চোখ যায় ঘনঘোর নিঃশব্দ ছাঁয়াপথ।
খরা লেগেছে আলোর- রাত্রিটা মরুভূমি।
বন্ধু ! একটা তৈলচিত্র এঁকে দাও।
যেন কালাহারির আলেয়া নৃত্যে,
দিক-হারা মরিচিকা পথে-
ভ্রান্ত মুসাফিরের সহস্র বছরের ক্লান্তিসম নির্ঘুম চোখে,
আয়েশী পলক ফেলে-
জোঁনাকির ছুটন্ত উড়ন্ত বে-খেয়ালী আলোর ফোয়ারা।
ক্লান্ত নাবিকের কম্পিত হাতে গাণিতিক ছক,
বেতার তরঙ্গে ভেসে আসা
আগাম ঝড়ের ত্রিকোনমিতিক সাংকেতিক পূর্বাভাস।
বন্ধু ! এমন তৈলচিত্র আঁক-
যেন লজ্জারাঙ্গা সৈকতের আঁচলে
নোঙ্গর করছে মহা-জাগতিক নিয়মতান্ত্রিক নির্মমতা,
নিশি লজ্জার বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে
উতলে উঠছে সাগর,
যেন সূর্য্যকিরণ আর আঁধারের দুরত্বে
এক জীবন সময়ের ব্যাবধান।
-০-
২০টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য। পরিপাটি লেখা । বেশ ।
এস.জেড বাবু
অনেক ধন্যবাদ সহ শুভকামনা আপনার জন্য প্রিয় ভাইজান।
সুস্থ থাকুন
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কি বলবো ভাষা নাই। অসম্ভব ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
এস.জেড বাবু
খুশি লাগছে আপু।
মিষ্টি মন্তব্য-
অনুপ্রাণিত।
অনেক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
“বন্ধু ! একটা তৈলচিত্র এঁকে দাও।
যেন আস্তাকুঁড়ে পতিত দেয়ালের
খড়কুটে পটভূমি জুড়ে আঁকা
লাস্যময়ী মরুদ্যানের আঁচল ছুঁয়েছে
উর্বশী নদীর বুক।”
যেন উর্বশী নদীর বুকে
সপ্তডিঙা ভাসে এঁকে যায় স্বপ্ন চুড়া
আগামী দিনের সোনালী সুর্যের আভায়।
ভালো লাগার মতো একটি কবিতা।
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
যেন উর্বশী নদীর বুকে
সপ্তডিঙা ভাসে
এঁকে যায় স্বপ্ন চুড়া
বাহ্
কি চমৎকার বলতে পারেন আপনি-
মুগ্ধ হই অবিরাম।
ভালো থাকবেন দাদা
শুভেচ্ছা
হালিম নজরুল
বন্ধু ! একটা তৈলচিত্র এঁকে দাও।
যেন কালাহারির আলেয়া নৃত্যে,
দিক-হারা মরিচিকা পথে-
ভ্রান্ত মুসাফিরের সহস্র বছরের ক্লান্তিসম নির্ঘুম চোখে,
আয়েশী পলক ফেলে-
জোঁনাকির ছুটন্ত উড়ন্ত বে-খেয়ালী আলোর ফোয়ারা।
—————-বাহ
এস.জেড বাবু
তবুও বিভ্রান্তি কেটে যাক-
আলো আসুক
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজান- সুপ্রিয় লিখক।
শুভেচ্ছা নিবেন
সুস্থতা কামনা।
নীরা সাদীয়া
বন্ধু নিশ্চই এমন অনুরোধ ফেরাতে পারবে না। বেশ কঠিন কবিতা।
এস.জেড বাবু
তাই যদি হয়,
তবে চিরকাল ধরে আমার দেয়ালে ঝুলবে তাহার তুলির পরশ।
শুভেচ্ছা নিবেন আপু
সুস্থ থাকবেন
ইসিয়াক
খুব সুন্দর কবিতা।
এস.জেড বাবু
শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ প্রিয় লিখক।
ভালো থাকবেন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
আহা!! প্রোপিক আর কবিতা যেন দুজনে দুজনার।
ত্রিকোনমিতিক সাংকেতিক পূর্বাভাস না, পূর্বাভাস ছাড়াই ত্রিকোনমিতি টের পাওয়া যাচ্ছে লেখা-ছবিতে।
এস.জেড বাবু
ছবি আর লিখায় লেটার মার্ক নিলাম ভাইজান।
সহজ সরল মানুষ ভাই “ত্রিকোনমিতিক সংকেত” বুঝিনা তো তেমন একটা।
অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রিয় ব্লগার।
সুস্থতা কামনা করছি।
তৌহিদ
মনের ছবিই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। আমরা আয়নায় যা দেখি সেটাই আমি। নিজেকে মুল্যায়ন করা চাট্টিখানি কথা নয়। আপনার লেখায় সেটাই খুঁজে পেলাম।
অনবদ্য ভাবনার প্রকাশ ভাই।
এস.জেড বাবু
চমৎকার মন্তব্য
মন ভরে যায়।
ভালো থাকবেন ভাইজান।
শুভেচ্ছা রইলো
সুরাইয়া নার্গিস
চমৎকার লেখা সব সময়ের মতো এবারও মুগ্ধ হলাম।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল
এস.জেড বাবু
অনেক ধন্যবাদ আপু।
খুশি হলাম এমন মন্তব্যে
ভালো থাকবেন সবসময়।
শুভেচ্ছা
জিসান শা ইকরাম
এমন একটি তৈলচিত্র যদি আঁকা যেত তা হতো জগতের সেরা তৈলচিত্র,
ভালো লেগেছে কবিতা।
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
সেরাটাই চাইতে হয় যে ভাইজান।
সেরাটাই চাইলাম।
তবুও সকল অমিল- মিলনের ছন্দে মাতুক।
আলো আসুক সব লুকায়িত অন্ধকারে।
শুদ্ধতা আসুক সকল ইচ্ছাকৃত অশুদ্ধতায়।
মূল্যবান মন্তব্য-
ভালো থাকবেন সবসময়
সুস্থতা কামনা করছি।