
সূর্যটা বাড়ি ফিরলে দাদার আঙুলে
খুঁজতাম ঘুমের নিমন্ত্রণপত্র।
রাজপুত্রের রাক্ষসবধের পূর্বেই—
পৌঁছে যেতাম ঘুমেদের বাড়ি।
রাত্রিও হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যেতো মধ্যপথে।
গোঙানির শব্দে ঘুম ভাঙলে শুনতাম—
“ওই যে,ওই যে পাহাড়ের ওপারেই যে চিক চিক আলো, ওখানে নৌকা ভিড়লেই দেখবি স্বর্ণনগর”।
অতপর ভোর হলো,
অথচ সূর্যের আলো পৌঁছলো না আমাদের গাঁয়ে।
যে জমিটায় স্বর্ণের খনি বুনেছিল দাদু,
সেখানে সবুজের ক্ষেত।
গোছা গোছা ধানগাছে ফলহীন শীষ,
কপোতের আকাশে শকুনের ওড়াউড়ি,
বৈশাখী মেঘের মত কতগুলো কালোহাত—
সূর্যটাকে পাঠালো রাত্রির বাড়ি।
ভোর হতে না হতেই বাবা বলে উঠলো—
“ওঠ খোকা,ওই দেখ,
যে জমিটাই স্বপ্ন বুনেছিল তোর দাদু–
ওখানটাই দাউদাউ আগুন জ্বলছে।
আমরা কতকগুলো ছাঁই কুড়ালাম,কতক দীর্ঘশ্বাস।
তারপরই আমরা ঘরপোড়ো গরু,
সিঁদুরে মেঘে আমাদের বড্ড ভয়।
——————-0 0——————
১৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন লিখেছেন। এভাবেই আমাদের বোনা স্বপ্ন গুলো পুড়ে যায় ভাগ্যের পরিহাসে।তখন সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় লাগে। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ও শুভকামনা
নীরা সাদীয়া
শৈশবের গল্পে যেন উঠে এলো অতীত, বর্তমান…
শেষ লাইনটি অমোঘ সত্য।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ
সুপায়ন বড়ুয়া
“ভোর হতে না হতেই বাবা বলে উঠলো—
“ওঠ খোকা,ওই দেখ,
যে জমিটাই স্বপ্ন বুনেছিল তোর দাদু–
ওখানটাই দাউদাউ আগুন জ্বলছে।
আমরা কতকগুলো ছাঁই কুড়ালাম,কতক দীর্ঘশ্বাস।
তারপরই আমরা ঘরপোড়ো গরু,
সিঁদুরে মেঘে আমাদের বড্ড ভয়।”
কি কবি ভাই,
ভয় পেলে কি চলে ,
হতাশার বীজ বুনে ?
মনকে করো শক্ত
মানুষ বীরের ভক্ত।
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
আপনার জন্যও শুভকামনা দাদা।
ফয়জুল মহী
পরিপক্ব ও পরিপাটি লেখা । বেশ মন ছুঁয়ে গেল লেখা।
হালিম নজরুল
ভালবাসা মহী ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এটি তো দেখছি দারুণ রকম ভিন্নতার এক কবিতা।
ছাঁইদের দীর্ঘশ্বাসে ঘর-পোড়া গরুদের শুধুই ভয়।
হালিম নজরুল
Love you ভাই।
তৌহিদ
স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকি আমরা অথচ সেই সোনালি স্বপ্ন যখন আগুনে পুড়ে যায় এর চেয়ে কস্টের আর কিছু নেই।
ভিন্ন আমেজের কবিতা পড়লাম ভাই। ভালো থাকবেন।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ভাই।
সুরাইয়া নার্গিস
অসাধারন লাগলো পড়তে, সুন্দর সাজানো গুছানো প্রতিটা চরণ।
শুভ কামনা রইল।
হালিম নজরুল
শুভকামনা আপা
এস.জেড বাবু
অতপর ভোর হলো,
অথচ সূর্যের আলো পৌঁছলো না আমাদের গাঁয়ে।
যে জমিটায় স্বর্ণের খনি বুনেছিল দাদু,
সেখানে সবুজের ক্ষেত।
এতো গভীরে ভাবেন কি করে !
অবাক হই আপনার শব্দচয়ন দেখলে।
শুভকামনা ভাই
হালিম নজরুল
আপনাদের প্রেরণাই আমার শক্তি ভাই।
এস.জেড বাবু
ইনশাআল্লাহ
ভালো থাকবেন
ইঞ্জা
অতপর ভোর হলো,
অথচ সূর্যের আলো পৌঁছলো না আমাদের গাঁয়ে।
যে জমিটায় স্বর্ণের খনি বুনেছিল দাদু,
সেখানে সবুজের ক্ষেত।
গোছা গোছা ধানগাছে ফলহীন শীষ,
কপোতের আকাশে শকুনের ওড়াউড়ি,
বৈশাখী মেঘের মত কতগুলো কালোহাত—
সূর্যটাকে পাঠালো রাত্রির বাড়ি।
অসাধারণ এক কবিতা পড়লাম, সাথে মনটাও খারাপ হলো।
সুরাইয়া পারভীন
এমনি করেই রোজ কতো পুড়ছে স্বপ্ন।
তাই তো সিঁদুরে দেখলে মেঘ বড্ড করে ভয়
চমৎকার লিখেছেন।