
আজ তন্বীর জন্মদিন। না জন্মদিন সেভাবে কখনোই পালন করা হয়নি। তবুও প্রতিবছরের ন্যায় এবারো অপেক্ষায় ছিলো কিছু ভালোবাসা পাবার, কিছু সুন্দর মূহূর্ত উপহার পাবার, যা তার সারাজীবনের আনন্দ, সুখ হয়ে মিশে রবে। কিছু বন্ধুদের ছোটখাটো কিছু শুভেচ্ছা পেলো। হঠাৎ একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসলো ,যদিও সে অপরিচিত নাম্বার সহজে রিসিভ করে না । কিন্তু অনেকবার ফোন করায় বাধ্য হয়ে সে ফোন ব্যাক করে। অপরপাশ থেকে একজন মেয়ে ফোন ধরলো। কাকে চাই জানতেই ওর নাম বললো। তন্বী বললো,” হ্যাঁ আমিই তন্বী। কি দরকার জানতেই বললো , ‘আপনার একটা পার্সেল আছে, ঠিকানা ভুল দেয়ায় আমাদের এখানে দিয়ে গেছে। আপনি আপনার পার্সেলটি অমুক ঠিকানা থেকে নিয়ে যান।’ ওহ্ আচ্ছা বলে, তন্বী পার্সেলে দেয়া ঠিকানায় চলে গেল।”
প্রেরকের নাম দেখে ওতো থঅ বনে গেলো। তমালের নাম ও ফোন নাম্বার দেয়া ছিলো। খুশীতে তখন ওর চোখে পানি চলে আসলো। তমালকে ধন্যবাদ দিয়ে উপহার পাবার কথা ম্যাসেজ করলো, সাথে এও বললো – ঠিকানা ভুল ছিলো, সেখান থেকে ফোন করে তাকে পার্সেলটি নেবার জন্য বলেছিলো। তমাল রিপ্লাই দিলো-‘শুভ জন্মদিন। তুমি যা দিয়েছিলে আমিতো তাই দিয়েছি।’ তন্বী বললো-না কিছুটা মিসিং হওয়াতে ঠিকানা ভুল হয়ে গেছে। তন্বী বললো ,’আজকে কি একটু সময় দেয়া যায় আমাকে?’ তমাল বললো , ‘আমি বাসায়, বের হলে কথা বলবো।’ তন্বী রাগ করে বললো, ‘লাগবে না কথা বলা’। তারপর সারাদিন অপেক্ষা করলো, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলো । নাহ, তমালের আর কোনো খবর নেই। কতগুলো চকোলেট, কসমেটিকস পাঠিয়েছে তমাল। সবকিছু খুলে দেখলো তারপর কয়েকটি চকোলেট খেলো। তারপর তমালের আর কোনো রেসপন্স না পেয়ে সবকিছু আবার সব প্যাকেট করে রেখে দিলো সব ওকে ফেরত দিবে বলে।
চাতক পাখির মতো আবারো অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু হলো। আবারও উধাও হয়ে গেলো তমাল। একপশলা বৃষ্টি ঝরিয়ে উত্তপ্ত রোদ হয়ে ধরা দিলো তন্বীর আকাশে। তন্বী তো কিছু চায়নি । ওতো শুধু তমালের কথা শুনতে চেয়েছিলো, একনজর দেখতে চেয়েছিলো ভিডিও কলে। কি মনে হচ্ছে? তমাল তন্বীকে ভালোবাসে নাকি শুধুই বন্ধুত্বের খাতিরে এসব করছে? তমাল কেন যোগাযোগ করতে চাইছেনা, কি উদ্দেশ্য তার, কেনই বা কোনো কিছু খোলাসা করছেনা। তন্বী দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেলো।
১৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
চকলেট বেশি খেলে নাকি দাঁতে পোকা লাগে!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা। খুব ভালো লাগে তো কি করবো বলুন? ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ সকাল
সুপায়ন বড়ুয়া
জন্মদিনের উপহার নিয়ে গল্পটি জনে উঠল।
ভাল লাগলো । চালিয়ে যান দিদি।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা । ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
আহা মাত্র একটা চকলেট খেলো, বাকি গুলো ফেরত দেওয়ার কি আছে, আমাকে দিতে দিলেই হয়। 😁
চমৎকার লিখে চলেছেন আপু, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আচ্ছা চকোলেট পাঠিয়ে দিবো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
😁😁😁😁
শুভকামনা নিরন্তর আপু।
রেহানা বীথি
অভিমান হবারই কথা! এড়িয়ে যাওয়ার মানে কী?
বেশ লাগলো আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
তাইতো এড়িয়ে যাবে কেন? ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
আলমগীর সরকার লিটন
অসাধারণ লাগল কবি দিদি
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
ফয়জুল মহী
অনিন্দ্য সুন্দর লেখনী ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
জিসান শা ইকরাম
অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না,
তমাল আসলে কি চায় তা জানার জন্য পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।
গল্প আকর্ষনীয় হচ্ছে ছোট দি।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা ভাই । শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
সাবিনা ইয়াসমিন
তমাল ক্যারেক্টার টা রহস্যজনক লাগছে। প্রথমে সে নিঃসঙ্গতা কাটাতে তন্বীর সাথে বন্ধুত্ব করলো। পরে চলে গেলো পরিবার পরিজনের কাছে। আবার তন্বীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেনি! হয়তো তমাল শুধু বন্ধু হতেই চেয়েছে। তন্বীর ভালোবাসাকে প্রশ্রয় দিয়ে তাকে ভুল পথে নিয়ে ভুল করতে দিতে চাইছে না।
দেখা যাক কি হয়,
পরের পর্বের অপেক্ষা করি।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো। শুভ সকাল আপু
হালিম নজরুল
একটা চকলেট! আমি মাত্র সাত মাস আগে দুই ঘন্টায় এগারোটা চকলেট খেয়েছিলাম। হা হা হা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
😋😋😋 আমিও পারি খেতে। তন্বীর মনটা খারাপ ছিল বলেই বেশি খায়নি। ধন্যবাদ আপনাকে