
অবশেষে হল অবসান বহুল প্রতিক্ষীত ভোট উৎসব
বলতে পারেন শব্দদূষন, বায়ুদূষন উত্তাপ ছড়ানো
বাক্যবাণের পরিবেশ শেষ হলো নিরুত্তাপ ভোট-উৎসবের মধ্যদিয়ে। মানুষ ফেলেছে স্বস্তির নিশ্বাস বিনারক্তপাতে ভোট শেষ হলো বলে।
আমার ভোটের দিন সদল বলে ঘুরে বেড়ানো একটা বাতিক আছে যা রপ্ত করেছি এবারও যায়নি বাদ।
জীবনের প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতা বড়ই মজার আজো পারি নি ভুলতে ! হাসি পায় মনে পড়লে আমাদের প্রাইমারী স্কুলে সাজ সাজ পরিবেশ হ্যাঁ -না ভোটের জন্য।
স্যারের সামনে দুইটি বাক্স হ্যাঁ – না , আমাদের দায়িত্ব ছিল সিল মারা আর বাক্সে ঢুকানো। আমি ইচ্ছে করে কিছু সিল মারা ভোট না তে দিয়েছিলাম।
ভোট শেষে গননাতে ১০০% ভোটে হ্যাঁ জয়যুক্ত হলো। স্যারকে আমার না বাক্সে ভোটের কথা জিজ্ঞেস করাতে দিল এক বকা। সেটাই জীবনের প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতা।
দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা বড়ই নির্মম রসিকতার
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিউট ছাত্রসংসদ নির্বাচন ১৯৮৬/৭ সালে । শিবিরের বিপরীতে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের ব্যানারে আমার ডিপার্টমেন্টে আমাকেই মনোনয়ন দেয়া হলো। আমার বিপরীতে শিবিরের GS প্রার্থী।
নির্বাচনের দিনেই বেকে বসে আমার দুই ভোটার আমার চামড়ার রঙ ওদের পছন্দ না তাই আমি সরে দাড়ালাম নির্বাচন থেকে। নির্বাচনে নীরব ভোট বিপ্লবে দীর্ঘদিনের শিবির দুর্গের পতন।
যাক ধান ভানতে শিবের গীত করলাম। এবার ইলেট্রনিক ভোট উত্তেজনাটা একটু বেশীই ছিল।
সকালবেলা পান্তা ইলিশ খেয়ে রওনা দিলাম উত্তরা থেকে বারিধারা কালাচাঁদপুর আমার ভোট সেন্টার একা, যথারীতি যানবাহন মুক্ত , রিক্সাই ভরসা ৪ টা রিক্সা বদলিয়ে ওদের ঈদবোনাসের দাবী মিটিয়ে ১০ টার দিকে সেন্টারে পৌঁছলাম তখন বাহিরে শত সহস্র উৎসুক মুখর জনতা।
বাইরের ভীর ঠেলে বুথে যখন গেলাম ফাঁকা বুথ ৫ জনের পিছনে আমি। পোলিং অফিসার শিখিয়ে দিচ্ছে আমরা পিছনে দাঁড়িয়ে ফলো করছি।
এবার আমার পালা কার্ড দেয়ার পড়ে নাম্বার এন্ট্রি করায় আমার।ঠিকানা ভেসে উঠলো ফিঙার প্রিন্ট দেয়ার পরে নিশ্চিত হলো আমার কার্ডটা সঠিক।
এবার ভোট বাক্স অন হলো। পছন্দের মার্কায় বাটন চিপে নিশ্চিত বাটন টিপলেই ভোট দেয়া শেষ।
সব মিলিয়ে ৩০ সেকেন্ড লাগলো।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
তারপরে আবার রিক্সায় উত্তরা। সেক্টর ৭, ৯, ১০, ১১, ১৩ বন্ধুরা মিলে পর্যবেক্ষন করলাম। বাইরে নৌকা ও কমিশনারের কর্মী বাহিনীর শোডাউন । অন্যদিকে ভোটাররা নীরবে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। ৭ নম্বর সেক্টরে একটি লাইনে দেখলাম ২ জন মেয়ে লাইনে আছে। আমিও ছবি নেয়ার লোভ সামলাতে পারিনি। এভাবে চললো সারাদিন। ভোট শেষ হওয়ার ১/২ ঘন্টার মধ্যে এজেন্টরা বের হচ্ছে কতৃপক্ষের সাক্ষর করা রেজাল্ট শীট নিয়ে। ভোটের পরিমান ২০/২২% ও প্রতিপক্ষের ভোটের ব্যবধান ও ১০০/১৫০ মধ্যে
তবে এবার শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। ভোটের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল– আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি শুরু থেকেই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করতে থাকায় ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যতটো আস্থাবান ছিল, বিএনপি ছিল ততটাই হতাশ। জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সাধ্যমতো সব রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির লক্ষ্য বিজয় অর্জন ছিল না। তারা জানতো তাদের জয়ের মতো রাজনৈতিক বাস্তবতা দেশে বিরাজ করছে না। রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে বিএনপি এখন বিপর্যস্ত ।সংগঠিতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেয়ে বিএনপি শুধু সরকারবিরোধী বক্তব্য এবং নানারকম হুমকিধমকি দিয়ে মাঠ গরম করার চেষ্টা করেছে।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় – এই কথা বিএনপি এত বেশি বলেছে যে, মানুষ ধরেই নিয়েছে, বিএনপির জেতার কোনো আশা নেই। যারা নিজেরা জেতার আশা করে না, তাদের সমর্থকরা স্বভাবতই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আগ্রহ বোধ করেনি।
অন্যদিকে যারা জিতে গেছে ধরে নেয় তারা ও আগ্রহ হারায়।
নিরুত্তাপ ভোটউৎসব হলো শেষ বিনা রক্তপাতে, আমজনতা ফেলছে স্বস্তির নি:শ্বাস
এখন ভোটার কম উপস্হিতি সবাই নিয়ে সরব।
একেক জন একেক রকম ব্যাখা দাঁড় করাচ্ছে ব্যাখ্যা গুলি মোটামুটি নিম্নরুপ
1. সো কলড রাজনীতিবিদ ও টকবাজরা ধারনা দিয়েছে যে ভোট যেখানে দিকনা কেনো সরকারী দল জিতবে
3. EVM বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন নেগেটিভ প্রচার ।
4. আর একপক্ষ জিতার আগে হেরে যাওয়া আর এক পক্ষ জিতে যাওয়া ভোট দিয়ে লাভ নাই।
5. ভোটারদের কাছে না গিয়ে মিডিয়া শোতে ব্যস্ত থাকা।
6. ভোট সেন্টারে প্রচুর লোক ছিল যারা সবসময় লাইনে বেলাইনে ভোট দিত। এবার জাল ভোট দিতে পারেনি বলে।
7. সুশীলরা এদিকদিয়ে সফল তারা ছাড়া বেশী ভোটার আনা সম্ভব না একথা প্রমান করতে পেরেছে।
8. ভোটারদের যারা কেনা গোলাম মনে করে প্রতীক পাইলে ভোট পাবে মনে করে। তারা বোকার স্বর্গে বাস করে এটা আরেকবার প্রমান হলো।
তবু থেমে থাকে না জীবন
নিয়মে কেটে যায় বেলা
অভিনন্দন নির্বাচিত দের
শুভ হোক আগামীর পথচলা।
৪১টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
ভালো থাকুন। আরো লিখুন। বেশ ভালো ।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ। শুভকামনা।
থাকুন ভালো সবসময়।
ত্রিস্তান
দাদাভাই নবাব হাবিবুল্লাহ স্কুলে সকাল বেলায় বিএনপির এজেন্ট কে বের করে দেওয়া হয়েছে। ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী এবং তার স্ত্রী দুজনকেই পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তাবিথ আউয়াল কে গাবতলীতে আহত করা হয়েছে। কই মেয়র আতিক সাহেবের গাড়ি বহরে তো কোন হামলা হয় নি, তাপস সাহেব ও তো কোথাও বাধার সম্মুখীন হন নি। যাই হোক একটা ব্যাপার ক্লিয়ার দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিএনপি প্রার্থীদের চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে বিজয়ী। এবং ভোট কাস্টিং ও একদম কাছাকাছি। খুব সুন্দর সুপরিকল্পিত সুষ্ঠু নির্বাচন। আর আমরা কেবল মহারাজের হুকুমের গোলাম। জ্বী হুজুর জাঁহাপনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
বড়ই দু:খজনক !
প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থীরা এসব কাজে ব্যস্ত ছিল।
এই যেমন এক নারী প্রার্থী আমাকে কার্ডদিয়ে ভোট চাচ্ছে ভোট সেন্টারে ঢুকার আগে
আরেক জন এসে দেয় ধমক। ধাওয়া।
সরকারী দলের ওরা সুবিধাতো পেয়েছে ঠিক।
EVM এ কারচুপি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
ধন্যবাদ শুভকামনা।
রুমন আশরাফ
দারুণ বলেছেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিএনপি সমর্থকরা ধরেই নিয়েছে তারা জিতবেনা আর আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ভেবেছে তারাই জিতবে। তাই ভোটাররা নিরুৎসাহিত হয়েছে। ফলাফল ভোটার সংখ্যা কম। আমার পরিবার ও এবার ভোট দিতে যায়নি। প্রতিবার ভোট দিয়েছি বাসা থেকে নেমেই পাশে এবার দূরে সেন্টার বসাতে ভয়ে যায়নি। ধন্যবাদ দাদা আপনার সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করার জন্য। শুভ কামনা রইলো
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন দিদি , আমার স্ত্রী ও যায় নাই দুরে বলে আর সরকারী দল জিতে গ্যাছে এই কারনে।
হেরে যাওয়া মানষিকতা নিয়ে ভোট করা যায় না যা
বিনপি করেছে আন্দোলনের অংশ হিসেবে।
আর আ:লীগের কমিশনার এজেন্টরা নৌকার খবর ও রাখে নাই।
কেউ কাউকে জায়গা ছেড়ে দেয় না।
প্রবীন বিনপি নেতারা নবীন নেতা বানাবে যারা MP হতে পারে নাই। সে আশা গুড়ে বালি। এটাই বাস্তবতা।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
রুমন আশরাফ
আগে থেকেই সব রেডি থাকলে আর ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিতে না পারলে বিএনপি কিভাবে জিতবে সুপর্ণা দিদি?
রুমন আশরাফ
জাতীয় নির্বাচনে ৮ঃ৩২ মিনিটে ভোট দিতে গিয়ে দেখি অর্ধেক এর বেশী ব্যালট বাক্স ভর্তি। দুপুর সাড়ে বারটায় ঘোষণা এলো এখন লাঞ্চ টাইম। দুপুর দুটার পর থেকে তো কাউকে ধুকতেই দেয়নি ভোট দেবার জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমরা ৩১/১২/১৮ তেও ভোট দিয়েছি। বিএনপি সমর্থকরা কেন ভোট দিতে যায়নি? ওরা গেলেই আওয়ামী লীগ ব্যালট নিজেদের করে নিতে পারতো না। এখানে মানসিকতা বদলাতে হবে বলেই মনে করি রুমন ভাই। ঘরে বসে বসে ভোট চুরি বলে ফোঁস ফোঁস করলে চলবেনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিএনপির লোকরা ভোট দিতে যায়নি বলে আমরা লাইন বিহীন, ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পারি।😋😋😋😋
সুপায়ন বড়ুয়া
যতার্থ বলেছেন দিদি !
প্রতিপক্ষকে সহ্য করতে পারে না। আসল কথা হল প্রবীন নেতারা চায়না নবীনরা ও পয়সার প্রার্থীরা নেতা হয়ে যাক।
কেউ কাউকে দেয় না ছাড়।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন দিদি , আমার স্ত্রী ও যায় নাই দুরে বলে আর সরকারী দল জিতে গ্যাছে এই কারনে।
হেরে যাওয়া মানষিকতা নিয়ে ভোট করা যায় না যা
বিনপি করেছে আন্দোলনের অংশ হিসেবে।
আর আ:লীগের কমিশনার এজেন্টরা নৌকার খবর ও রাখে নাই।
কেউ কাউকে জায়গা ছেড়ে দেয় না।
প্রবীন বিনপি নেতারা নবীন নেতা বানাবে যারা MP হতে পারে নাই। সে আশা গুড়ে বালি। এটাই বাস্তবতা।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ভোট পর্যবেক্ষণ, মনে পিড়ে গেলো চট্টগ্রামের
মরহুম মহিউদ্দিন ও নাসিরের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, যে লড়াইয়ে মি. খাম্বা ডে নাইট লড়েছিলো নিজ প্রার্থীকে জয়ি করানোর বিফল চেষ্টা, সেদিন জিতেছিলো জনগণ, হেরেছিলো ম. খাম্বা ও তার দল।
এখন কি সেইসব দিন আছে ভাই?
সুন্দর পর্যবেক্ষণ ছিলো আপনার, শুভকামনা ভাই।
ইঞ্জা
পড়ে★
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন ভাই , এই মি. খাম্বার চাপিয়ে দেয়া টাকার নবীন প্রার্থীর জন্য বিনপি’র নেতা কর্মীরাই চায় নাই ওরা মেয়র হোক এই জন্য ভোটের ছেয়ে মিডিয়া শো ও নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় ছিল ।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার পর্যবেক্ষণ জানলাম।
শেষ যে কবে ভোট দিয়েছি মনে নেই।
সুপায়ন বড়ুয়া
সেটাতো ভুল করছেন ?
নাগরিক হিসেবে আপনার দায়িত্ব আছে না?
সব সময় আপনার প্রার্থী জিতবে কথা নাই
ভোটের বাক্স বেঈমানের বাক্স।
সেই হ্যাঁ না থেকে চলছে।
আর নিজের প্রার্থীতা সরে দাঁড়ানোর কথা বললাম।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা জানলাম।
দারুণ উপস্থাপন করেছেন।
বিএনপি সমর্থকরা ধরেই নিয়েছে তারা জিতবেনা আর আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ভেবেছে তারাই জিতবে। তাই ভোটাররা নিরুৎসাহিত হয়েছে। ফলাফল ভোটার সংখ্যা কম।
আগে থেকেই হতাশ হলে এমনি তো হবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
মানষিক ভাবে দৈন্যরা সবসময় এইরকমই করে
সবসময় ধারনা দিল EVM এ ভোট হবেনা।
মানুষ কোন দু:খে ভোট দিতে যাবে ?
অথচ ভোটাররা ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারত EVM এ প্রথম ভোট দিয়ে।
তাদেরকে বঞ্চিত করা হলো।
যেমনি ভাবে পিছিয়ে দিয়েছে জাতিকে পাইবার অপটিকেল থেকে বঞ্চিত করে আর সিটিসেল এ আটকে রেখে।
ধন্যবাদ আপু আপনার মতামতের জন্য।
শুভ কামনা।
ইসিয়াক
ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা জানলাম।
শুভকামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
একটু মতামত জানালে কৃতার্থ হতে পারতাম।
সারাদিন কষ্টকরে ভোট সেন্টার পাহারা দিলাম আবার কষ্ট করে লিখলাম।
যাক বাবা শুভ কামনা তো করলেন সেটাই বা কম কিষে ?
ভাল থাকবেন সবসময়।
এস.জেড বাবু
এই প্রথম টিভি নিউজের বাইরে আপনার চোখে ভোটের প্রতিচ্ছবি দেেখলাম। ভোটারদের লাইনে যে সংখ্যা শুনলাম, অবাক লাগছে।
শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি
এবং ভালবাসার এই দেশটার প্রতি।
সুপায়ন বড়ুয়া
কৃতার্থ আমি পড়ার জন্য
সোনেলার উঠানে তুলে ধরলাম বাস্তব চিত্র।
এই প্রথম মানুষ নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছে কারন NID কার্ড আর ফিঙ্গার প্রিন্ট ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারে নাই।
কম ভোটার ?
কেউ ভোটের আগে জিতে
কেউ আগেই হারে মন মরে
তাই আসে নাই।
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
বুঝলাম অনেক কিছু
ধন্যবাদ প্রিয় লিখক।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
কৃতার্থ আমি পড়ার জন্য
সোনেলার উঠানে তুলে ধরলাম বাস্তব চিত্র।
এই প্রথম মানুষ নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছে কারন NID কার্ড আর ফিঙ্গার প্রিন্ট ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারে নাই।
কম ভোটার ?
কেউ ভোটের আগে জিতে
কেউ আগেই হারে মন মরে
তাই আসে নাই।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
তবু থেমে থাকে না জীবন
নিয়মে কেটে যায় বেলা
অভিনন্দন নির্বাচিত দের
শুভ হোক আগামীর পথচলা।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
বাংলার মানুষ এখন রাষ্ট্রীয় ভোটাভুটিতে বিশ্বাসী নয় এবং অনেকে ভোট দিতেও ইচ্ছা প্রকাশ করে না। তাই আগের মত এখন যেকোনো ভোটাভুটিতে মানুষের সমাগম কম দেখা যায়। এভাবে চলতে থাকলে কোনও একসময় যেকোনো ভোটাভুটির ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকে বিকাল অবধি কোনও ভোটারই যাবে না। ভোটকেন্দ্র হয়ে থাকবে জনশূন্য অবস্থায়।
দেশের ভোটাভুটি নিয়ে আপনার পোস্টখানি যথার্থ প্রশংসনীয়।
সুপায়ন বড়ুয়া
তাই ভাবছি। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা ও গোষ্টীগত সার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ,
ভোটার হয়ে যাচ্ছে গৌন
ভোট দিতে ও মানুষ উৎসাহ হারাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অত্যন্ত চমৎকার একটি নিবন্ধ লিখলেন।
সন্দেহ, অবিশ্বাস বাদ দিয়ে বিএনপি যদি ভোট দিতে যেত তাহলে ফলাফল অন্য রকম হতেও পারতো। এই নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী আড়াই লক্ষ ভোট পেয়েছে, এটি অনেক অর্থবহ।
এমন ধরনের সমসাময়িক লেখা আরো চাই দাদা।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
দুর্নিতীর দায়ে দন্ডিত পলাতক নেতৃত্বের চাপিয়ে দেয়া নবীন প্রার্থীদের মেনে নেয়নি লোকাল ও প্রবীন নেতারা। তাই তারা মিডিয়া শো ও EVM এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় মানুষ ভোট দেয়ার উৎসাহ হারিয়েছে যা গনতন্ত্রের জন্য অশনী সংকেত।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন করতে গিয়ে
খালেদা মুক্তি ও প্রশ্নের মুখে।
ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন সবসময়।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
তবু থেমে থাকে না জীবন
নিয়মে কেটে যায় বেলা
অভিনন্দন নির্বাচিত দের
শুভ হোক আগামীর পথচলা।
— অনেক বিশ্লেষণের পরে শেষের কথাটা সুন্দর। এভাবেই আমাদের যদি সব ভুলে একসাথে আগামীর পথচলা সাজানো যায় তাহলেই সব মংগল ।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ,
সবাই যদি আপনার মতো
পজিটিবলি নেয় অনেক সমস্যার
সমাধান হয়ে যায়।
সুন্দর হোক আগামীর পথ চলা।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি যায়নি কারণ আমি সমর্থক। ইসি সচিব যখন ঘোষনা করল প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকাই থাকবেন না আমি সোজা গ্রামে গেলাম। ভোটদান বিরত রেখেই কারণ পুলিশের হাতে ধরা খেতে চাইনি। আমি সাধারণ সমর্থক ছিলাম। কেউ চেনেনা। মানে রাজনিতির ব্যাক্তিগন।
পুলিশের চার্জ দেবার বা মাইর খাওয়নের প্রয়োজন মনে করি নাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
পালিয়ে গেলে কেমনে হবে ?
আপনার মতো অনেকে পালানোর কারনে ভোট কাষ্ট কম হয়েছে। EVM না থাকলে অবশ্য কারচুপি করে ৫০% কাষ্ট হতো।
চোরের ভয়ে কেউ কি ঘর ছেড়ে পালায় ? এবারেই প্রথম নির্ভয়ে স্বাধীন ভাবে ভোট দেয়া গেছে। কারন ফিঙ্গার প্রিন্ট ছাড়া কেউ লাইনেও দাঁড়ায়নি ভোট ও দিতে পারেনি। আর সবাই নৌকার ব্যাজ পড়ে ঘুড়তেছে।
শুভ কামনা
মোঃ মজিবর রহমান
এখন পালায় দাদা!!! গতবার আমার ফ্রেন্ডের এক কলিগ ভোট দিয়েছে, বি এন পিতে পাশে পর্দার আলাড় থেকে দেখে হালকা ধোলায় দিয়েছে। আমিও দিয়েছি আনিস ভাইকে, এবং এম পি সাদেক ভাইকে। কিন্তু হাতের অবস্থা ভাল না তাই ঝামেলামুক্ত থাকাই শ্রেয় মনে করি।
সুপায়ন বড়ুয়া
দু:খিত।
আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
ভাল থাকবেন সবসময়।