
দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার এবং ধর্ষক রসু খাঁ এর কথা কি মনে আছে আমাদের? যারা ভুলে গিয়েছি তারা এই লিংকে ক্লিক করে স্মৃতিটা একটু ঝালাই করে নিন।
গার্মেন্টের এক মেয়ের প্রেমে ব্যার্থ হয়ে সে প্রতিজ্ঞা করে ১০১ জন নারীকে ধর্ষন করে সে খুন করবে তাদের। এই লক্ষ নিয়ে সে সর্বমোট ১১ জন নারীকে ধর্ষন করে খুন করে। এরমধ্যে দুইজন নারীকে টাকার বিনিময়ে খুন করে। তবে খুন করার পূর্বে তাদের ধর্ষন করতে ভুলে যায়নি রসু খাঁ। এগার তম খুনের পরে সে পুলিশের হাতে ধরা পরে এবং নির্বিকার ভাবে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে কিভাবে খুন গুলো করেছে এবং খুনের পরে মৃতদেহ কোথায় রেখেছে। সব গুলো মৃতদেহই পুলিশ রসু খাঁর দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে উদ্ধার করে।
এত বছর পরে আজ হঠাৎ রসু খাঁ এর কথা কেন লিখলাম ? এর কারণ হচ্ছে রসু খাঁ এর চেহারা। ফিচার ছবি দেখে বুঝা যায় যে এই লোকটি সিরিয়াল কিলার এবং ধর্ষক? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ধর্ষিতা হয়েছে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সামনের এয়ারপোর্ট রাস্তার পাশেই। দেশে ব্যপক প্রতিক্রিয়ার পরে সি আই ডি এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতার প্রেক্ষিতে ধর্ষক হিসেবে মজনুকে গ্রেফতার হয়। উদ্ধার হয় ছাত্রীর মোবাইল, পাওয়ার ব্যাংক যা মজনু একজনের কাছে বিক্রী করেছিল। মজনু নির্বিকার ভাবে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষিতা মেয়েটি তার ছবি দেখে তাকে সনাক্ত করেছে। সে নেশা করে।
কিন্তু সমস্যা হয়ে গিয়েছে তার চেহারায়। নেশাসক্ত এই স্বাস্থ্যে সে ধর্ষন করতে পারেনা। এই স্বাস্থ্যে সে একা কিভাবে ধর্ষন করলো? কিভাবে সে মেয়েটিকে অচেতন করতে পারলো? এটি একটি নাটক, যা সরকার সাজিয়েছে। এমন অনেক প্রশ্ন আর সন্দেহ আজ ফেইসবুকে দেখলাম।
ধর্ষন করতে হলে তাকে সুঠাম দেহের অধিকারী হতে হবে? দেখতে ভালো দেখাতে হবে? রসু খাঁ কি দেখতে ভালো ছিলো? তার চেহারা দেখে কি বুঝা যায় সে এতটা ভয়ংকর ছিলো? ডাকসু ভিপি নুরুকে তো দেখতে তেমন স্মার্ট মনে হয়না, তারপরেও তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী রা ভিপি বানিয়েছে। তার চেয়ে ভিপি পদের অন্যান্য ছাত্র নেতারা অনেক স্মার্ট। সুতরাং চেহারা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ?
একটা জার্নালে পড়েছিলাম, ধর্ষনের জন্য আক্রান্ত হলে নারীদের মস্তিস্ক ঠিক ভাবে কাজ করেনা, তাদের দেহ প্রায় অবশ এবং অচেতন হয়ে যায়। এই অবস্থায় সে কোনো প্রতিরোধ শক্তি পায়না। “” * হঠাৎ করে বা আচমকা আক্রমণ করলে ভিকটিমের স্নায়ুতন্ত্র কাজ করে না বা ভিক্টিম স্থবির হয়ে যায় যাকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় “টনিক ইমোবিলিটি বা লোকাল পেরালাইসিস” বলে যেকারনে ভিক্টিম গায়ে কোন শক্তি পায় না এমনকি চিৎকার করারও সামর্থ্য থাকে না। আর একটা মেয়ের পক্ষে ব্যাপারটা।* ( ইকবাল কবীর এর মন্তব্য থেকে ) “” হঠাৎ আক্রমন করে ছাত্রীটিকে। সে ছাত্রীর গলা টিপে ধরে কয়েকবার, আঘাত করেছে অনেক। কিংকর্তব্যবিমূঢ়তায় আচ্ছন্ন হয়েছিল মেয়েটি। যে মেয়ে বা নারী ঐ অবস্থায় পরে, সে ব্যাতীত অন্য কারো পক্ষে বুঝা সম্ভব নয় সে কেন প্রতিরোধ করতে পারেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ধর্ষকের কঠিন শাস্তি চাই।
২৩টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালো বলেছেন দাদা ভাই। শুভ কামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
ভালো থেকো তুমিও ছোটদি।
সঞ্জয় মালাকার
সহমত ভাইজান একদম ঠিক বলেছেন , ধর্ষকের কঠিন শাস্তি চাই।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা, ধর্ষকের কঠিন শাস্তি চাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
বিশেষ অজ্ঞ ফেইস বুক লেখকদের
এইভাবে জবাব দিতে হয়।
যা আপনি পেরেছেন ভাইজান।
এবং ভালোভাবে পেরেছেন।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
বিশেষ অজ্ঞ ফেইস বুকার গন এর সর্ববিষয়ে মতামত দেখে মেজাজ ঠান্ডা রাখা কঠিন খুবই।
ধন্যবাদ দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
একদম ঠিক বলেছেন
মেজাজ ঠিক রাখা দায়।
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
ভালো একটা বিষয় উপস্থান করেছেন ভাই, এফবিতে এর সমালোচনা শুনতে শুনতে অতিষ্ট প্রায়।
জিসান শা ইকরাম
আমি গত দুইদিন যাবত কারো লেখা দেখি না ফেইসবুকের 🙂
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
অনেক বাদ-প্রতিবাদের পর অবশেষে ধর্ষক মজনু ধরা পড়লো। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাড়াতাড়ি কীভাবে অজানা অচেনা আর কোনও আলামত ছাড়াই ধর্ষক মজনুকে ধরে ফেললো। সত্যি অবাক হচ্ছি। ভাবছিও যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পারে না এমন কোনও কাজ নেই। তবে এতো চার সকলে সহযোগিতা। ধর্ষক মজনুর শাস্তি কামনা-সহ প্রার্থনা করছি এমন ঘটনা যেন বাংলার বুকে আর দ্বিতীয়টি না ঘটে।
সময়োপযোগী পোস্টের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
জিসান শা ইকরাম
আলামত ছিলো তো দাদা। মেয়েটির মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল মজনু। মোবাইলের সুত্র ধরেই মজনুকে পাকড়াও করা গিয়েছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা।
সুরাইয়া পারভীন
ধর্ষক মজনুই হোক বা অন্য কেউ। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ছাইরাছ হেলাল
কে কী করেছে জানতে চাই না, ধর্ষকের যথাবিহিত কঠিন দণ্ড চাই, অবিলম্বে।
জিসান শা ইকরাম
অবিলম্বে ধর্ষকের কঠিন শাস্তি চাই,
ইকবাল কবীর
জ্বি আপনার কথার সাথে আমি একমত। আমি ক্রিমিনালোজির একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম যে হঠাৎ করে বা আচমকা আক্রমণ করলে ভিক্টিমের স্নায়ুতন্ত্র কাজ করে না বা ভিক্টিম স্থবির হয়ে যায় যাকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় “টনিক ইমোবিলিটি বা লোকাল পেরালাইসিস” বলে যেকারনে ভিক্টিম গায়ে কোন শক্তি পায় না এমনকি চিৎকার করারও সামর্থ্য থাকে না। আর একটা মেয়ের পক্ষে ব্যাপারটা আরো ভয়াবহ হতে পারে। যারা ফেইসবুকে চিল্লায় তাদের আদৌ এইসকল বিষয়ে ধারনা নেই। যারা হুজোগে চিল্লায় তাদেরকে বলবো আগে জানুন তারপর চিল্লান। ধন্যবাদ চমৎকার একটি লিখা লিখেছেন।
জিসান শা ইকরাম
আপনার করা মন্তব্য থেকে ‘ হঠাৎ করে বা আচমকা আক্রমণ করলে ভিক্টিমের স্নায়ুতন্ত্র কাজ করে না বা ভিক্টিম স্থবির হয়ে যায় যাকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় “টনিক ইমোবিলিটি বা লোকাল পেরালাইসিস” বলে যেকারনে ভিক্টিম গায়ে কোন শক্তি পায় না এমনকি চিৎকার করারও সামর্থ্য থাকে না। আর একটা মেয়ের পক্ষে ব্যাপারটা আরো ভয়াবহ হতে পারে। ‘ — পোষ্টে যুক্ত করে দিয়েছি।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ইকবাল কবীর
আপনাকে ও ধন্যবাদ এবং নিরন্তর শুভকাম।
ইকবাল কবীর
আপনাকে ধন্যবাদ এবং নিরন্তর শুভকামনা।
ফয়জুল মহী
সামাজিক অনাচারে পরিণত হলো দেশটা। শক্ত বিচার এবং প্রতিরোধ দরকার ।
জিসান শা ইকরাম
দেশের সমস্ত ধর্ষদের এমন দ্রুত গ্রেফতার হলে কত ভালো হতো।
এর কঠিন বিচার চাই।
তৌহিদ
হ্যাঁ ভাই অযাচিত কথা বলা কিছু লোকের বদ অভ্যাস যেন কথা বলতেই হয় তাই বলে। একটি মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে, একজন ধর্ষক গ্রেপ্তার হয়েছে সেটা নিয়ে কোন কথা নেই। কথা উঠেছে ধর্ষকের চেহারা নিয়ে, তাঁর সামর্থ্য নিয়ে। আশ্চর্য হতে হয়! ধর্ষকের কঠিন শাস্তি চাই।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের মানসিকতা কোথায় গিয়ে পৌছেছে ভেবে হতাশ হই খুব ভাই।
ধর্ষকদের কঠিন এবং দ্রুত বিচার চাই।