
বিভিন্ন ভাবে আমরা একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরি। বাসার বাজার করা থেকে শুরু করে মানসিক শান্তি পর্যন্ত আমরা অন্যদের উপর নির্ভর করে থাকি। মনে হবে যেন অন্যদের সহায়তা ব্যতীত জীবন যাপন অসম্ভব।
যারা বাংলাদেশের শহরে থাকি, তারা বাসায় কাজের বুয়া ছারা একটি দিনও কল্পনাও করতে পারিনা। অথচ এই আমরাই যখন বিদেশে পরিবার নিয়ে বসবাস করি, তখন কিন্তু বাসার সমস্ত কাজই নিজেরা করি। কাজের বুয়া বা লোক পাওয়া গেলেও তার বেতন যোগাতে স্বামী স্ত্রীর দুজনেরই জব করলেও কুলায় কিনা সন্দেহ আছে প্রবাসে। এই নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য দেশে বসে মাঝে মাঝে বুয়াকে ছুটি দিয়ে নিজে করুন সব কাজ। এতে আপনার উপর আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
আপনি ভ্রমন ভালোবাসেন। চেনা বন্ধুদের সাথে নেয়া ব্যাতিত আপনি ভ্রমন কল্পনাও করতে পারেন না। এতেও কিন্তু একধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি হয় বন্ধুদের উপর। অর্থাৎ চেনা মানুষ ব্যতীত আপনি ভ্রমনে যেতে অক্ষম। নিজেও পারেন এই আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য দু ‘একবার আপনি একা ভ্রমন করে আসুন, খরচ বাঁচাতে চাইলে অপরিচিত মানুষের সাথে ভ্রমন করে আসুন।
এমনি ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আপনি আমি অন্যদের উপর নির্ভর করে আছি। এত নির্ভরশীলতা এক ধরনের ব্লাক মেইলিং এরও শিকার হতে পারেন আপনি।
কখনো কখনো আপনি একলা চলুন, এটি বোঝার জন্য যে আপনি একাও চলতে পারেন। এটি আপনার সন্তুষ্টির জন্য খুব জরুরী।
২৮টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
দারুণ মোটিভেটেড পোস্ট। চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া
সত্যিই আমাদের নিজেদের আত্মনির্ভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত।👏👏👏
জিসান শা ইকরাম
হ্যা, মাঝে মাঝে একলা চলা উচিৎ,
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এতে।
তৌহিদ
কিছু সময় অনেক কাজ একলাই করতে হয়। এতে পরনির্ভরশীলতা কমে। আবার নিজের কাজের সুবিধার জন্য কাউকে সাহায্যকারী রাখেন তখন সে সাহায্যকারীদেরও উচিত আমাদের সাহায্য করা। কারন এজন্যই তাদের সাহায্য চাওয়া হয়।
কথা হচ্ছে সাহায্যকারী এবং সাহায্যপ্রার্থী উভয়েরই পরনির্ভরশীলতা কমানো উচিত। কিন্তু যখন দ্বায়বদ্ধতা থাকে তখন সাহায্যকারীর উচিত দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজ করা। না হলে মানুষ বুয়া রাখে কেন?
নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম। ভালো বলেছেন।
জিসান শা ইকরাম
বুয়া একদিন আসলো না, তখন কি হবে?
নিজেরা যদি বুঝার উপর শতভাগ নির্ভরশীল থাকি, সেদিন তো না খেয়ে থাকতে হবে। বাসার খাবার প্লেট, বাটি, পাতিল সব গান্ধ্যা হয়ে থাকবে, দুর্গন্ধ ছরাবে। হোটেল থেকে এনে খাওয়া যাবে, কিন্তু প্লেট বাটির কি হবে? 🙂
তৌহিদ
বাসি প্লেট ওভাবেই রাখতে অনেককে দেখেছি ☺
জিসান শা ইকরাম
তাই! যারা এমন রাখে, তাদের উপর কোনো কাজে আস্থা রাখা যায় না।
তৌহিদ
একদম ঠিক ভাই। তবে নিশ্চই অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা 😃
সঞ্জয় মালাকার
অসাধারণ লিখেছেন ভাইজান,
সত্যিই আমাদের নিজেদের আত্মনির্ভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত। নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম, একধম ঠিক বলেছেন।
জিসান শা ইকরাম
নিজের উপর আত্মবিশ্বাস আনয়ন খুব জরুরী দাদা।
সঞ্জয় মালাকার
ঠিক বলেছেন ভাইজানা নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। ধন্যবাদ ভালোবাসা নিবেন, রাত্রী কালীন শুভেচ্ছা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা দাদা,
প্রবাসে ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আত্ননির্ভরশীল হওয়াটা আমাদের জন্য খুব দরকার। যৌথ পরিবার থেকে সরে এসে একক পরিবারে ঢুকে পড়েছি। ধীরে ধীরে কাজের লোক ছাড়াও চলতে হবে। ঘোরাঘুরির বিষয়টি ও এখন অনেকটাই একক হয়ে যাচ্ছে। আপনার বিষয়গুলো খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।ভালো লাগলো এভাবে ভেবে দেখার জন্য। ধন্যবাদ দাদা ভাই। শুভ কামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
কেবল বাসাবাড়ির কাজ আর ভ্রমন নয় ছোটদি, বিভিন্ন ভাবে আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরি। মাঝে মাঝে এই নির্ভরশীলতা দু একদিনের জন্য কমিয়ে দেয়া ভালো।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
এই জন্যেই আমি সব কাজ একা একা করি। চেষ্টা করি কারো হেল্প না নিতে। পরনির্ভরশীলতা আত্মনির্ভরশীলতা নস্ট করে দেয়। ভালো পোস্ট দিয়েছেন।
শুভ কামনা 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
বাসার সব কাজ নিজেই করেন! শ্রদ্ধা আপনার প্রতি।
” পরনির্ভরশীলতা আত্মনির্ভরশীলতা নস্ট করে দেই” – ঠিক বলেছেন।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলোরে।
জিসান শা ইকরাম
মাঝে মাঝে একলা চলে একলা চলার অভ্যাসটা চালু রাখতে হবে।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
যতার্থ বলেছেন বন্ধূ ,
নির্ভরশীলতা আত্নবিশ্বাস কমায় ।
আবার বন্ধন ও বাড়ে
যেমন ওনার সাথে আপনার,
তেনার সাথে আমার।
হা হা হা।
শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
মাঝে মাঝে একা চলা উচিৎ আমাদের।
এতে আমরা যে পারি, তা বুঝা যাবে।
ধন্যবাদ দাদা
শবনম মোস্তারী
ভালো বললেন দাদা।
পারিপার্শ্বিক যে অবস্থা .. তাতে একলা চলো নীতি মানা জরুরী। কিন্তু অনেক সময় হয়না। অন্যের ওপর নির্ভর করতেই হয়।
জিসান শা ইকরাম
সব কিছুতে বলছি না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে নিজে চলা উচিৎ।
শুভ কামনা আপু।
ছাইরাছ হেলাল
আসি একা, যাব -ও একা।
তবে মাঝে দুর্বোধ্য ভানুমতির খেলা তো একার না!
জিসান শা ইকরাম
মাঝের দুর্বোধ্য ভানুমতির খেলাও নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা জানতে হবে।
ইসিয়াক
অসাধারণ লাগলো ভাইয়া ।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।
নিতাই বাবু
ভালো কথা! সুন্দর উপদেশমূলক পোস্ট। আমি ঢাকা কিম্বা নারায়ণগঞ্জ শহরের কোথাও গেলেও, একা যেতে ভালো লাগে না। তাই পরিচিত একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সাথে নিয়ে যাই। এতে কিন্তু খরচ দ্বিগুণ হচ্ছে। যদি একা যাই, তাহলে আমার কিছু টাকা বেঁচে যাচ্ছে। এখন থেকে আপনার পরামর্শ মোতাবেক যেখানেই যাই একাই যাবার চেষ্টা করবো।
জিসান শা ইকরাম
সব সময় না, মাঝে মাঝে একা যাবেন। নইলে অন্য কারো উপরে নির্ভরশীলতা কাটবে না।
মাঝে মাঝে একা চলাচল করলে বুঝতে পারা যাবে যে একাও চলতে পারি আমরা।
দেবজ্যোতি কাজল
মানুষ একলা চলতে পারে না বলেই সমাজ তৈরি হয়ে ।