
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠেই মৃদুলের ব্যাগ গুচগাছ করা দেখে বলতে গেলে বাড়ির সবাই এসে জড়ো হয়েছে বাংলোঘরে। ফরিদা ভানু বলছে-
: বাবা মৃদুল আমার কাল্কার কথায় কি তুমি কষ্ঠ পাইছ।
: না মামী কষ্ট পাব কেন । আর আপনি তো আমাকে কষ্ট পাওয়ার মতো কোনো কথা বলেননি। আমার একটা জরুরী কাজ পড়েছে। দশটার মধ্যেই আমাকে ঢাকা পৌঁছতে হবে। তাই চলে যাচ্ছি।
ওয়াহিদ মোল্লা অনেকটা ধমকের সুরেই বলেন-
: হঠাৎ কইরা তর এমন কি কাম পড়ল যে, নাসিমারে ফিরতি নাইওর না আইনা দিয়াঐ তর চইল্যা যাইতে অইব। তুই যাইতে পারবি না। বড় মামী ও সাথে সাথে বলেন-
: হঅ বাবা, আমি ও অনুরোধ করি তুমি আইজ যাইও না। কাইল নাসিমারে আইন্যা দিয়া পড়শু সকাল সকাল চইল্যা যাইও।
অনুরোধের প্রেক্ষিতে মৃদুল বলে-
: আসলে আমার সংগঠনের একটা জরুরী কাজ পড়েছে; তাই আজই আমাকে যেতে হবে। না যেয়ে কোনো উপায় নেই।
মৃদুলের মা সবার কথা শুনে বলে-
: সবায় তোরে এত অনুরোধ করছে, কথা তোর কানে যায়না। তোর কি এমন কাজ। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। যত্তসব।
মৃদুল ম্লান হেসে মাকে বলে-
: মোষ তাড়ানোও তো একটা কাজ মা। কয়জনে তা পারে।
: দেব এক থাপ্পর। সব কিছুতেই ফাজলামো।
: না মা কোনো ফাজলামো না। আমাদের সংগঠনিক এক জরুরী কাজে আমি আজ ঢাকা না থাকলে আমার খুব বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে। মামা-মামী সহ অন্যান্য সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে-
: মামা। কাল রাতে যখন আপনার সাথে আমার কথা হলো এর কিছু আগে ঢাকা থেকে আমাদের সংগঠনের এক শীর্ষ নেতা টেলিফোনে আমাকে রাতেই ঢাকা চলে যেতে বলেছিল। বেশী রাত হয়ে যাওয়ার কারণে যেতে পারিনি। না হলে রাতেই আমি চলে যেতাম। সামনে আমাদের ইলেক্শন। কাজেই এখন সংগঠনের জরুরী প্রয়োজনে আমি না থাকলে আমার প্রতিদ্বন্ধিরা সুযোগ পেয়ে যাবে। কাজেই কেউ আর আমাকে বারন করবেন না প্লিজ।
মৃদুল এ কথাটা ডাহা মিথ্যা বলে। সচেতন ভাবেই তাকে এ মিথ্যা কথাটা বলতে হয়েছে। সে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাল্কের বোমা হামলার কথা বলতো তা হলে কেউই তাকে যেতে দিত না।
মৃদুলের এমন বিনয় এ্যপিলে কেউ আর শেষ পর্যন্ত তাকে কোনো অনুরোধ করেনি। সবাইকে সালাম করে ব্যাগটাকে কাঁধে ঝুলিয়ে মৃদুল হাটা দেয় ডিট্রিক্ট বোর্ডে রাস্তা ধরে। দুই ফার্লং এর মতো রাস্তা হেটে তার পর রিক্সা বা বেবি যা ই পায়, তা নিয়েই তাকে ঢাকা-চিটাগাং মহা সড়কে পৌঁছতে হবে। কিছুটা পথ যাওয়ার পর মৃদুল পিছন ফিরে তাকায়। সবাই এখনো বাড়ির কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। তার মনটা কেমন আদ্র হয়ে ওঠে। আর মাত্র কয়েক কদম এগিয়ে রাস্তায় মোড় নিতেই সবায় দৃষ্টির আড়াল হয়ে যায়। রাস্তায় বাক নিয়ে কদমফুলি স্কুলটা পাশ কাটিয়েই মৃদুল পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে পিউকে ফোন লাগায়। দুইবার রিং টোন বাজতেই পিউ ফোন ধরে বলে-
: এতক্ষণে মনে পড়লো। যাক শেষ পর্যন্ত যে ফোন করেছেন এ জন্য ধন্যবাদ। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আপনি ফোন না করলে, আর কখনো আপনাকে আমি ফোন করতাম না। একটু দম নিয়ে সে আবার বলা শুরু করে-
: জানেন, নাসিমা আপু কাল রাতে কি কান্ড ঘটিয়েছে!
: ও আবার কি কান্ড ঘটালো।
: সে এক বিরাট কান্ড।
: খুলেই বল না কি এমন বিরাট কান্ড।
: আরে বাবা বলছি তো।
: ঠিক আছে বল।
: নাসিমা আপু কাল তার স্বামীর সাথে বাসর করেনি। সে একলা ঘরে দরজা বন্ধ করে দুলাভাইকে বাইরে রেখে দিয়েছিল। এই নিয়ে এ বাড়িতে কি যে সমালোচনা, বিশ্রী কথাবার্তা। এর পরই পিউ কুইক ফরোয়ার্ডের মতো যা যা ঘটেছে তার ইতি বিত্তান্ত বলে যায়। পিউকে থামিয়ে দিয়ে মৃদুল বলে-
: নাসিমা এখন কোথায়।
: আছে। ঘরেই আছে।
: ফোনটা ওকে দাওতো।
: আচ্ছা একটু দাঁড়ান, ফোন দিচ্ছি। ফোন ধরে রাখে মৃদুল। ক্ষাণিক পরেই আওয়াজ শোনা যায়-
: নাসিমা আপু এই ধরো তোমার ফোন।
: কার ফোন? ক্ষীনকন্ঠে নাসিমার জিজ্ঞাসা।
: আরে ধরেই দেখনা। হ্যান্ড সেটটা নাসিমার হাতে দিয়েই কিছুটা আড়ালে চলে যায় পিউ।
: নাসিমা! কেমন আছো তুমি?
মৃদুলের কন্ঠস্বর বুঝতে অসুবিধা হয়না নাসিমার। সাথে সাথেই বলে-
: আপনি যেমন রেখেছেন, তেমনই আছি।
মৃদুল চুপ করে থাকে কিছুটা সময়। এ কথার কি জবাব দেবে এই নিয়ে নিজের সাথে বুঝে নেয় কয়েক মুহুর্ত। শেষে সরাসরি কথাটির জবাব না দিয়ে অনেকটা এড়িয়ে গিয়েই বলে-
: পিউর কাছে কি শুনলাম।
: কি শোনছেন?
: এই যে কাল রাতে স্বামীকে বাসর ঘরে ঢুকতে দাওনি।
: এইটা আমাদের নিজেগো ব্যাপার। এই নিয়া কথা না বলাই ভালা।
নাসিমার মতো নিরীহ স্বভাবের মেয়ের কাছ থেকে এমন কোনো ল্যাংগুয়েজ শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না মৃদুল। সে সাথে সাথেই কিছু বলতে পারে না। শেষে নিজকে গুছিয়ে নিয়ে বলে-
: স্যরি। তোমাদের নিজেদের একান্ত বিষয় নিয়ে কিছু জানতে চাওয়াটা আমার মোটেই উচিৎ হয়নি। আবারও স্যরি।
মৃদুল ফোন অফ করে দেয়। সে ভীষণ অপমান বোধ করছে। তার পা যেন তার চলতে চায় না। এক একটা পা’কে চল্লিশ কিলো ভারী বলে মনে হচ্ছে তার কাছে। একদিকে বোমা হামলায় পরিচিত জনদের নিহত হবার খবর। তার ওপর নাসিমার এমন আহত করার ভাষায় কথা বলা। সব মিলিয়ে একটা বিরূপ পরিস্থিতি তার চলন শক্তিকে যেন স্থিমিত করে দিচ্ছে।
আর অপর দিকে মৃদুল ফোন রেখে দেয়ার পর নাসিমা বালিশে মুখ ঢেকে কান্না শুরু করে। মৃদুল ভাইয়াকে এমনভাবে কথা বলে আহত করা উচিৎ হয়নি বলে সে অনুশোচনার আগুনে জ্বলছে। তার কান্নার আওয়াজ শুনে পিউ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করে-
: নাসিমা আপু কি হয়েছে তোমার? এ ভাবে কাঁদছো কেন?
এতে নাসিমার কান্নার আওয়াজ আরো বেড়ে যায়। সে কিছুই বলতে পারে না। এমন অবস্থায় পিউ কি করবে না করবে ভেবে পায় না। শেষ পর্যন্ত নাসিমার পাশেই পড়ে থাকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে ঝটপট মৃদুলকে ফোন করে।
রিং হচ্ছে। কিন্তু মৃদুল ফোন ধরছে না। এতে পিউর উৎকন্ঠা আরো বেড়ে যায়। সে কয়েকবার ফোন করার পর ফোন রিসিভ করে মৃদুল-
: ফোন করেছো কেন বল।
আপনি আগে বলেন নাসিমা আপুকে আপনি কি বলেছেন। আপনার ফোন রেখেই সে এমন কান্না শুরু করেছে, কিছুতেই তার কান্না থামাতে পারছে না। নিশ্চয়ই আপনি তাকে এমন কোনো কথা বলেছেন যাতে সে শক পেয়েছে।
: না তাকে আমি কিছুই বলিনি। যাক। এখন আমার কথা বলতে ভাল লাগছে না। একটু থেমে আবার বলে- তবে হ্যা আমি এখন ঢাকার পথে। আমি চলে যাচ্ছি।
: চলে যাচ্ছেন মানে। পিউ বিষ্ময়াভুত ভাবে জানতে চায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বিশেষ এক জরুরী কাজ পড়েছে, তাই আমাকে হঠাৎ করেই চলে যেতে হচ্ছে। এই দু’দিনের আমার কোনো আচরণে কোন কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও। আমি এখন ঢাকার পথে। তোমরা সবাই ভাল থেক।
মৃদুলের এই কথায় পিউর দু’চোখ অশ্রুতে টলমল করে। আবেগের সকল মাত্রা ডিঙ্গিয়ে হঠাৎ করেই ‘তুমি’ সম্ভোধন করে বলে ওঠে-
: মৃদুল! আমার সাথে দেখা না করে তুমি যেও না। তুমি চলে গেলে আমি খুব কষ্ট পাবো। জীবনে তোমার সাথে আর কোনো সম্পর্কই রাখবো না। তা ছাড়া তুমি নাসিমা আপুকে নিতে না আসলে সে আরো ব্যথিত হবে।
: প্লি¬¬জ। তোমার কোনো অনুরোধই আমি রক্ষা করতে পারছি না বলে দুঃখিত। রাখি তা হলে।
: না মৃদুল যেওনা। একটিবার আমার কথা শোন। পিউর এ অনুরোধ কেমন কান্নার মতো বাজে মৃদুলের কানে। ঠিক আছে আমার অনুরোধ না রাখ তুমি একবার নাসিমা আপুর সাথে কথা বল।
পিউ বারান্দা থেকে ঘরের ভেতর এসে নাসিমাকে হ্যান্ড সেটটি এগিয়ে দিতে দিতে বলে-
: নাও নাসিমা আপু তুমি মৃদুল ভাইয়ার সাথে কথা বল। সে এখন ঢাকা চলে যাচ্ছে। তুমি বললে সে থাকবে।
: চোখ মুছে নাসিমা ফোন ধরে হ্যালো হ্যালো করে। অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হ্যান্ড সেটের দিকে তাকিয়ে দেখে সংযোগ ডিস্কানেকটেড। পিউ এবং নাসিমা বার বার ডায়াল করছে। কিন্তু মৃদুল ফোন ধরছে না।
এতক্ষণে হাটা রাস্তা পেরিয়ে মৃদুল রিক্সায় ওঠে বসেছে। রিক্সা চলছে, আর তার বুক পকেটে বিরামহীন বেজে যাচ্ছে তার মোবাইলটা। সে কেমন নিশ্চল, নির্বিকার রিক্সার ওপর বসে আছে। তাকে নিয়ে রিক্সা এগিয়ে যাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়কের দিকে। [সমাপ্ত]
১৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কোনো পরিনতি না দিয়েই সমাপ্ত করলেন? তবুও ভালো লেগেছে। আরো লেখা চাই। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল
মাহবুবুল আলম
সুপর্ণা ফাল্গুনী! বাকিটা পাঠকেরা ভাবুক। এ নিয়েই তারা মনের মাঝে নতুন কোনো গল্প নির্মাণ করুক!
ভাল থাকবেন, সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
সব কিছু উপেক্ষা করে মৃদুল চলে যাচ্ছে,
অবশ্য থেকেও বা কি করবে সে? এমন টাই ভালো হয়েছে।
সব উপন্যাসেই যে সুন্দর মিলনের সমাপ্তি হবে এমন কোনো কথা নেই,
মানুষের জীবনেই তো সুন্দর কাঙ্ক্ষিত সমাপ্তি হয় না, কয়টা জীবন নিজের পছন্দ মত হয়?
দারুণ একটি উপন্যাস শেষ করলেন ভাই।
ধন্যবাদ এমন উপন্যাসের জন্য।
শুভ কামনা।
মাহবুবুল আলম
সুন্দর ও নান্দনিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জিসান ভাই।
ভাল থাকবেন সব সময়!
মনির হোসেন মমি
শেষ পর্ব!!!!! আসছি আবারো..
মনির হোসেন মমি
শেষ পর্বটাও বেশ ভাল লাগল।আসলে জীবনের কিছু মুহুর্ত আসে যখন চতুরদিক দিয়েই অশ্রু ঝরে। মৃদুলের ঢাকায় চলে যাওয়ার কারন যেমন টপকানো কঠিন তেমনি নাসিমাকে আনতে যাওয়া,তার সদ্য বিবাহীত স্বামীর সাথে আচরণও পিউর মন রক্ষা এ সব কিছুই তখন জলিট হয়ে পড়ে।তাই একলা পথ চলার নীতি অবলম্ভবনই শ্রেয়।
খুব ভাল লাগলো পুরো উপন্যাসটি।
মাহবুবুল আলম
উপন্যাসটি ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ভাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অনেক শুভেচ্ছা!
মাহবুবুল আলম
ধন্যবাদ!
মাহবুবুল আলম
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
এ মৃদুল তো পাথর মানবে পরিণত হয়েছে।
ত্রিকোণ বিরহের উপন্যাস। চমৎকার লেগেছে।
কিছু মানুষের জীবন এমন বিরূপ বসন্তে ঢেকে থাকে আজীবন।
মাহবুবুল আলম
উপন্যাসটি ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে!!
প্রদীপ চক্রবর্তী
দাদা,
শেষ হয়ে হলো না শেষ।
যদি আরেকটু বড় পরিসরে পরিণয়ের দিকে ইতি দিতেন।
অবশেষে দারুণ উপন্যাস উপহার দিলেন।
পর্ব গুলো একসাথে পুনরায় পড়বো।
মাহবুবুল আলম
“শেষ হয়ে হলো না শেষ।” আসলে উপন্যাসটির নামের মধ্যেই নিহিত আছে এর পরিনতি।
মানুষ এখন বড় লেখা পড়তে চায় না। তাই ছোট করেই লেখলাম।
ধন্যবাদ!
তৌহিদ
শেষের প্যারাটা পড়ে আবেগময় হয় উঠলাম। ভালো লেখনী বোধহয় একেই বলে। পাঠকের মনে নাড়া দিয়ে গেল।
মৃদুল নাসিমা পিউ ত্রিভূজ প্রেমের এই চরিত্রগুলি খুব সুন্দরভাবেই ফুটে তুলেছিলেন লেখায়। বাস্তবতা এবং আবেগ যে বিপরীতগামী এই ধারাবাহিক লেখায় চমৎকারভাবে এই মেসেজটি এসেছে।
গল্প কিংবা উপন্যাস যাই হোক লেখায় পাঠকের জন্য একটা মেসেজ বা বার্তা থাকা অবশ্যই উচিত বলে মনে করি। সে দিক দিয়ে এই লেখাটির লেখক হিসেবে আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য।
পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
মাহবুবুল আলম
সুন্দর ও নান্দনিক বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই তৌহিদ ভাই।
ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো!
নুরহোসেন
সুনিপুন ভাবে একটা উপন্যাস শেষ করলেন পুরোটাই চমৎকার হয়েছে।
শুভ কামনা প্রিয় লেখক, আরো লিখুন।
মাহবুবুল আলম
উপন্যাসটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে যারপর নাই খুশি হলাম।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা!
কামাল উদ্দিন
আমার শংকা ছিল আরো বড় কোন অঘটন না ঘটে যায়। মৃদুলের এতোটা কঠিন হওয়া মনে হয় ঠিক হলো না। আপনার নতুন ধারাবাহিক দেখেই আগেরটা আগে শেষ করে নিলাম।