
কোথায় তাকিয়ে আছো ?
কি খুঁজছ সীমান্তে ?
পিটপিট লজ্জাভরা নৃত্যবতী পাপড়ি, কেন আজ অস্থির ?
বলেছিতো-
দুরত্বে কিছু নেই । শুধু মরুভূমি।
চাঁদনী বরণ চোখের চারপাশে এ কেমন মেঘের কাঁজল ?
যে ব্যাবধানে তোমার দৃষ্টি খোঁজে উত্তর,
সে পথের শুরু শেষে, আমি যুগান্তরের তৃষ্ণার্ত মুসাফির।
তাকাও এ চোখে ,
কি দেখতে পাচ্ছো ?
> মশাল ?
আরে নাহ্ –
এ যে যুগপূর্বে লিখা বেনামী চিঠিগুলির চিতার অনল,
সম্পর্কের ডাকটিকিট আর বিশ্বাসের সিল না থাকায় স্থান পায়নি ডাকবাক্সে।
শুধু ভালোবাসার খামে চিঠি খুঁজে পায়না প্রাপকের হৃদয়।
এতো গভীরে কেন দেখো ?
শুধু এই চোখে চেয়ে দেখো –
কি দেখতে পাচ্ছো ?
> অন্ধকার ?
আরে নাহ্ –
এ ছিলো ভালোবাসার চিঠির শিরা উপশিরায়, কারো জন্য জমানো ভরসার শব্দগুলির হাঁড়ের ঝলশানো মমি।
ভষ্মিভুত আকাঙ্খার সদ্য নিভে যাওয়া অঙ্গার।
একবার চোখ বন্ধ করো ।
উল্টো করে দশ থেকে এক পর্যন্ত গুনে যাও।
এইবার চোখ খোলে, এই আমার চোখে চেয়ে দেখো ।
কি দেখতে পাচ্ছো ?
> মুন্ডুহীন কুঁচকুচে কালো মূর্তি ?
ভয় পেও না,
ওপাশে দেখো- এক খাঁমচি কয়লা বাঁটা মন্ড।
একটুখানি সময় পেলে, আমি সে মন্ডে অপূর্ণ মূর্তির পূর্ণ অবয়ব এঁকে দিবো।
আর একবার চোখ বন্ধ করো ,
এক থেকে তিন পর্যন্ত গুনে যাও ,
এইবার চোখ খোলে দেখো ,
এ চোখে তাকাও –
কি দেখতে পাচ্ছো ?
> নিজের কুঁচকুচে কালো মূর্তি ?
আররে বাহ্ –
চিনতে পারছো ? পরশ পাথরে গড়া পরিপূর্ণ তুমি ।
হুমম ,
সবটুকু রক্ত মাংস চিতায় পুড়িয়ে পুড়িয়ে,
সেই কয়লার মথিত মন্ডে তোমার প্রতিমূর্তি গড়েছি।
আজ আর প্রেম নেই, রং নেই, শুধু ইচ্ছে আছে।
সামনে তাকাও –
কি দেখতে পাচ্ছো ?
> যতদুর চোখ যায়, একহারা গড়নের মায়াবী মেঠো পথ।
আচ্ছাহ্ –
ঠিকই দেখতে পাচ্ছো।
তোমারও কি ইচ্ছে আছে ?
তবে ধরো এ হাত-
ছেড়ে দাও লাগাম,
অনিশ্চয়তার অশ্বপৃষ্ঠে চড়ে, মিঠা পানির খোঁজে,
চলো বহুদুর……………………॥
-০-
__২৫/১০/২০১৯
২৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাষা নেই কিছু বলার। এত্তো ভালো লেগেছে
এস.জেড বাবু
কি যে বলেন আপু, মুগ্ধ হয়ে যাই
অনেক শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ জানাই
নিতাই বাবু
আপনার কবিতা পড়ে মন চাইছে এই ভবসংসার ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাই। যেখানে জ্বালা নেই, যন্ত্রণা নেই, যান্ত্রিক শব্দ নেই। এখানে আর থাকতে ইচ্ছে হয় না, কবি। আমাকে নিয়ে চলুন, আপনার কবিতার সাথে।
এস.জেড বাবু
দুরত্বে কিছু নেই
শুধু মরুভূমি
হাহাহা
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজান।
ভালো থাকবেন
সুরাইয়া পারভিন
কি করে পারেন এতো সুন্দর শব্দে শব্দে লেখার ভিত গড়ে তুলতে? চমৎকার শব্দ চয়ন ও বাক্যের বিন্যাস। অসাধারণ
এস.জেড বাবু
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু,
সবই আপনাদের অনুপ্রেরনা- এবং এটা সত্যি।
পাশে থাকার জন্য শুকরীয়া
ভাল থাকবেন অনেক অনেক
ইঞ্জা
অসাধারণ লিখেন আপনি, মুগ্ধ হলাম ভাই।
এস.জেড বাবু
আপনার মন্তব্যে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই। তেমন সুন্দর মন্তব্য আপনিও করেন।
অনেক ভাল থাকবেন ভাইজান
ইঞ্জা
ভাই সুন্দর মন্তবয আমি কবিতাতে দিতে পারিনা, কারণ কবিতা আমি সত্যি বুঝিনা, না বুঝে কমেন্ট করা আমার উচিৎ না।
এস.জেড বাবু
যেমন মন্তব্য পাই, তাতেই খুশি। বরদান মনে হয়।
ধন্যবাদ ভাইজান
নুর হোসেন
অসাধারণ লিখেছেন, মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেলে ভাব সম্প্রসারনে।
এস.জেড বাবু
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজান।
অনুপ্রাণিত হইলাম।
ভাল থাকবেন ভাই
মনির হোসেন মমি
সবটুকু রক্ত মাংস চিতায় পুড়িয়ে পুড়িয়ে,
সেই কয়লার মথিত মন্ডে তোমার প্রতিমূর্তি গড়েছি।
আজ আর প্রেম নেই, রং নেই, শুধু ইচ্ছে আছে।
অসাধারণ।মুগ্ধ।
এস.জেড বাবু
জ্বী ভাই
ইচ্ছেগুলি টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ করে যাচ্ছি নিরন্তর।
এ যুদ্ধটা হয়ত চলতেই থাকবে, বাকিটা জীবন ভর।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভালোই লাগলো ,
এক কথায় অসাধারণ !
এস.জেড বাবু
অনেক অনুপ্রাণিত হলাম।
অনেক ভাল থাকবেন প্রিয় ভাই।
শুভেচ্ছা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
মিঠে পানির খোঁজে যেতে হবে না দূর বহুদূর
এই তো এখানে এই বুকে আছে স্বর্গের দুধ-পানির নহর,
তুলে নাও আজলা ভরে, নিতে পার যতটুকু রাত থেকে বিহানে!
এস.জেড বাবু
পথে পথে দেখি সোনার তরী
রুপার জাহাজ / নৌকা
নিজের না তাই কোন দিনও
ছুঁয়ে হয়নি দেখা
আমার যা চাই, আমার করে চাই
তেমনি ভরবে মন
আশেপাশে যা থাকবে থাকুক
এ সব অন্যজনের ধন
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মিঠা স্বাধের কবি-
শুভেচ্ছা
প্রদীপ চক্রবর্তী
একরাশ মুগ্ধতা দাদা।
খুবি ভালো লাগলো
এস.জেড বাবু
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইজান,
অনেক ভাল থাকবেন সবসময়।
শুভেচ্ছা অশেষ
জিসান শা ইকরাম
এত সুন্দর করে কিভাবে লেখেন ভাই!
কবিতায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
এস.জেড বাবু
সত্যি বলতে
এ লিখাটা নিয়ে টেনশানে ছিলাম, সোনেলায় দিবো কি দিবো না। পরে সাহস করে দিয়ে দিলাম।
আপনার মন্তব্যে খুশি লাগছে অনেক।
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা ভাইজান।
সাবিনা ইয়াসমিন
আজ আর প্রেম নেই, রঙ নেই
একদিন ইচ্ছেটাও ফুরিয়ে যাবে,
অঙ্গার হওয়ার পর
ছাই গুলো যেমন দ্রুত মিশে যায়
মাটির গহীনে,
তেমনি অপেক্ষার ইচ্ছা-দৃষ্টি
বরণ করে নিবে চিরকালের অন্ধত্ব…
একরাশ ভালো লাগা 🌹🌹
এস.জেড বাবু
তেমন অন্ধত্বে মানুষ কেমন করে বাঁচে ?
সম্ভবত ইচ্ছে গুলিয়ে স্বপ্ন দেখে।
খুব ইচ্ছে হয়, তেমন কোন স্বপ্নের স্বাক্ষি হতে, যেমন স্বপ্ন অন্ধত্বেও বাঁচার স্বাধ লাগিয়ে রাখে।
মনোমুগ্ধকর মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো আপু।
ইচ্ছেগুলি বেঁচে থাকুক জীবনের ভাইরাস হয়ে।
যেন শ্বাস থাকতে না ফুরায় কোন কালে।