একটা দুটো নুড়ি পাথর কুড়াই…..
যত্ন করে টুকরি করে বোঝাই।
রঙিন সেসব পাথর দেখি
দু’চোখ ভরে ফাগুন আঁকি।
পথের ধারে বৈচি ফুলের ঝার
দূরন্ত সব কিশোর বেলা আমার।
স্বর্ন আভায় দিন যে কেবল শুরু!
একটা দু’টো প্রহর গোনা আরো।
হাঁটছি আমি,আমার সাথে ছায়া..
পরম স্নেহে আগলে রাখে মায়া।
নির্ভরতায় নতুন আরেক নেশা জুটে গেলো। প্রচন্ড বই পড়া, গান শোনা, এখন কিছু একটা লিখতে চাওয়া। পড়ার টেবিলটা দিনে দিনে, কারনে অ-কারনে প্রিয় থেকে আরো প্রিয় হয়ে উঠলো। আরো প্রিয় হয়ে উঠলো আমার কলম আর সাদা কাগজ। সাদা কাগজ আমার কেবল দেখতেই ভালো লাগে। ভীষণ ভালো লাগে। চোখের সামনে যখন মেলে ধরি দুধ সাদা রঙা নতুন সাদা কাগজ!কাগজের বুকে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে মসৃনতা স্পর্শ করি বারবার। অনেকটা সময় ধবল সাদায় কালো চোখের মনি মেলে ধরে রাখি।
এখানে গোপন ; খুব গোপন একটা কথা আজ আপনাদের বলেই দেই। হাসলে হাসতে পারেন! মনে করলে কিছু করতে পারেন; বলতে ইচ্ছে করছে যে! বলেই ফেলি;আম্মার মুখে শোনা এবং এই ক্লাস নাইনে ওঠা পর্যন্ত নিজেও ক্রমেই আবিষ্কার করলাম,….. আমি একা একা কথা বলি 😊 হ্যাঁ সত্যি! আমি কথা বলি একা একা আপনমনে। কখনো কলাবতী গাছগুলোতে হাত বোলাতে বোলাতে, আবার দুষ্ট ফড়িং সহজে হাতের নাগালে না এলে, আমি চোখ রাঙাই, ধমক দিয়ে বলি…. “কিরে! সমস্যা কি তোগো? আমি কি তোদের মেরে ফেলবো? উঁহু, মোটেও না! তোদের ধরে কিছুসময় ধরতে পারার আনন্দ নেবো মাত্র! তারপর আবার তোকে ছেড়ে দিয়ে দেখবো, কেমন স্বাধীনতা পেয়ে কতটা দূরে পালাস আমার থেকে?” মাঝে মাঝে আয়নায় নিজের সাথে কথা বলি নিজেকে নিয়ে, ” তুই এমন বোকা ক্যান? বুদ্ধি নাই ক্যান তোর একটুও? কেমন বকা খাস কেবল বন্ধুদের কাছে বোকা বোকা কথা বলে!”
এমন কত শত বকর বকর করি একা হলেই!
এবার কথা বলার মাত্রাটা একটু বেড়ে গেলো বলে মনে হচ্ছে। একা বিড়বিড় করে উপযুক্ত কবিতার পঙ্তি খুঁজে ফেরা। আমার কখনো আলাদা কোনো কবিতার খাতা বা ডায়রী নেই। স্কুলের খাতাতেই যখন যা মনে আসে লিখছি। লেখা শেষ হলেই আব্বার কাছে দেখাচ্ছি। আমার ছয় নাম্বার কাকুর আবার অনেকদিন হয়ে গেলো দেখা নেই। পাওয়াই যাচ্চেনা! দাদু’র বাসায় গেলে হয় তখন বাসায় থাকেন না, নয়তো আমাদের বা মেজো চাচার ঘরেও কিছুদিন ধরে আসছেন না।
কাকু’কে দেখাতেই পারছিনা লেখাটা! ম্যাগাজিনের ব্যাপারে জমাও তো নিতে হবে! বেশ কিছুদিন পার করে এলেন সন্ধ্যার পরে একদিন! যথারিতী খবরের কাগজ হাতে ধরে চোখের সামনে। সংকোচে কাকুরে জিজ্ঞেস করলাম ” কাকু কবিতা নিবানা? দেখবানা লিখছি?” একটু কাকু সম্পর্কে বলি। বড় হতে হতে দেখেছি এই কাকুটা একেবারে অন্য কাকুদের চেয়ে কেমন যেন আলাদা। কথা কম বলেন, এ স্বভাবটা আব্বার মতো। কিন্তু যখন বলেন প্রাণ খুলেই বলেন। হাসিঠাট্টা যখন করেন, তখন মন খুলেই করেন। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়, দুনিয়ায় থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখেন একেবারে নিজের মতো করে। পরিবারের সবাই একসাথে হলে তখন কাকু আবার প্রাণবন্ত। প্রচন্ড রাগ দেখেছি, তবে তা দেখেছি আরো অনেক পরে।
সেদিন কাকু বেশ গাম্ভীর্য ধারন করে আছেন বুঝতে পারছি। সেভাবেই বললেন” লিখছিস্? কিন্তু সংকলন তো আর বের করা হবেনা রে! ” ব্যাস্, এটুকুই বলে গেট দিয়ে বের হয়ে চলে গেলেন। কিন্তু ওই যে বললাম! আমি লেখা নিয়ে ভাবি এখন দিনরাত। কি করে আরেকটা নতুন লেখা লিখবো? কয়েকটা জমেছে। আব্বা কারেকসন করে দিচ্ছেন। বছরের মাঝা মাঝি। নবম শ্রেনীর পড়াটা একটু বেশিই তখন। হলে কি হবে? আমি আমার মতো! ফখরুল আলম স্যার শ্রেনী শিক্ষক।স্যার নাম ধরে যতটা না ডাকতেন আমায়, তারচেয়ে বেশি সম্বোধন করতেন চাঁন (চাঁদ) স্যারের মা বলে। একদিন ক্লাশে বান্ধবি লুনা আমার খাতা টেনে নিলো। প্রায়ই লুনা আমার লেখা দেখলেই পড়ে। খুব সহজ সরল আর আমার চেয়েও বোকাসোকা টাইপ মেয়ে একটা। স্যার পড়াচ্ছেন। সবার দিকে খেয়াল রাখছেন। হঠাৎ লুনার ডাক পড়লো, এই সাবিনা (সাবিনা আক্তার লুনাকে দিদিমনি স্যাররা সাবিনা বলে ডাকতেন) তুমি কি পড়ো ওটা দেখাও তো! আমার মেজাজ খারাপ হলো। বারবার বলেছিলাম লুনাকে ক্লাস শেষে পড়িস।কে শোনে কার কথা? না জানি কি বলেন স্যার আল্লাহ্ ভালো জানেন! আমি চাইছিলাম না স্যারের হাতে পড়ুক আমার এলোমেলো শৈশব স্মৃতীকথা। বরই তলা শীত পোহানো সকাল,গার্লস স্কুলের পাশে ধানক্ষেতের ভেতর লুকোচুরি খেলা। ভাঁট ফুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে রান্নাবাটি খেলা। পুতুলের বিয়ে দেয়া। ২১শে ফেব্রুয়ারিতে চাঁদা তুলে শহিদ মিনার বানানো, এইসব এলোমেলো শৈশব স্মৃতী নিয়ে লিখতে তখন কেবল শুরু করেছিলাম, আরো লেখা বাকি আছে বলেছিলাম লুনাকে। লুনা শোনেনি আমার কথা,বললো, লিখবি আরো, যেটুকু লিখছিস, এটুকু পড়ি আগে। ওর কেন ভালো লাগতো এরকম করে আমার লেখা পড়তে আমি কখনো জানতে পারিনি। মালাও পড়তো আমার লেখা। মালাও লিখতো গল্প। আমিও মালার লেখার অসম্ভব পাগল পাঠক ছিলাম। মালা লিখেই আমাকে পড়াতে নিয়ে আসতো। দুটো গল্প লিখেছিলো ওই বয়সে, ওই সময়ে চমৎকার রোমান্টিক প্রেমের গল্প। কখনো কোথাও কেউ জানতো না শুধু আমরা কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবি ছাড়া।
যাইহোক,স্যার খাতা দেখতে চাইতেই আমি লুনার দিকে কটমট করে তাকাই।লুনা ফাট বেলুনের মতো চুপসে গেছে। আমার দিকে করুন চোখে একবার তাকিয়ে খাতাটা নিয়ে স্যারের ডায়াসের দিকে এগিয়ে গেলো। আমি প্রমাদ গুনছি। স্যারের টিপ্পনী খাবার জন্য রেডি করে নিলাম। আর রাগে ফোঁস ফোঁস করছি লুনার ওপরে। কেই কিছুই বলছেনা, স্যার পড়ছেন, পড়ছেন,পড়ছেন………..
স্যারের কপাল লক্ষ করছি আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে গোপনে। বেশি তো না লেখা দেড় পৃষ্ঠার মতো হবে! স্যার প্রশ্ন করে বসলেন লুনাকে “এটা কার খাতা? কে লিখছে এসব? লুনা জবাব দেবার আগেই ক্লাস শেষের ঘন্টা বেজে উঠলো ঢং ঢং ঢং……… খাতাটা রেখে ঘড়ি দেখে স্যার চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। যাক এ যাত্রা বাঁচা গেলো……………!
চলবে—
২৫টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার লিখেছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ পড়েছেন।
জিসান শা ইকরাম
তোমার লেখাগুলো কোনো বিরতি ছাড়াই এক নিশ্বাসে পড়া হয়, ধীরে ধীরে জানছি তোমার লেখক হবার ইতিহাস।
একা একা কথা বলা মানুষরা অনেক ভালো হয়, তাদের মন থাকে শিশুর মত আজীবন।
মালা কই থাকে এখন? ওকে সোনেলায় নিয়ে আসলে ওর লেখা গল্প পড়া যেত।
ছয় নাম্বার কাকু লেখা লেখির সাথে যুক্ত আছে এখনো? 🙂
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
বন্যা লিপি
মালা ওই মাত্র দুটো গল্পই লিখেছিলো জীবনে। তারপর আর কখনো কোনোদিন কিছুই লেখেনি বা আর লেখালিখি এগোয়নি। মালা এখন আমার কাছাকাছিই থাকে। ও আমার থেকে দূরে যায়নি বেশিদিন।এখনো আমরা সমান বন্ধুত্বে আছি ইনশাল্লাহ্।
আমার ছয় নম্বর কাক্কু যে লেখালিখি করতেন! আমার তো সেটাই জানা ছিলো না! যখন জানলাম! তখন আমি সত্যি বিস্মিত। পরের পর্বে লিখবো এ নিয়ে পড়ে দেখবেন।
একা একা কথা বলা রোগ আমার আজো গেলো না 😑
জিসান শা ইকরাম
মালাকে মনে আছে আমার, খুব ভালো একটা মেয়ে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুবই ভালো লেগেছে আপু। এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে সবাই পারে না।
বন্যা লিপি
আপনার ভালোলাগাটুকু আমার উৎসহ প্রেরনা বাড়িয়ে দিলো দিদি। ভালবাসা জানবেন।
কামাল উদ্দিন
ক্লাস নাইনে ওঠা পর্যন্ত নিজেও ক্রমেই আবিষ্কার করলাম,….. আমি একা একা কথা বলি 😊 হ্যাঁ সত্যি! আমি কথা বলি একা একা আপনমনে। কখনো কলাবতী গাছগুলোতে হাত বোলাতে বোলাতে, আবার দুষ্ট ফড়িং সহজে হাতের নাগালে না এলে, আমি চোখ রাঙাই, ধমক দিয়ে বলি…. “কিরে! সমস্যা কি তোগো? আমি কি তোদের মেরে ফেলবো? উঁহু, মোটেও না! তোদের ধরে কিছুসময় ধরতে পারার আনন্দ নেবো মাত্র! তারপর আবার তোকে ছেড়ে দিয়ে দেখবো, কেমন স্বাধীনতা পেয়ে কতটা দূরে পালাস আমার থেকে?” মাঝে মাঝে আয়নায় নিজের সাথে কথা বলি নিজেকে নিয়ে, ” তুই এমন বোকা ক্যান? বুদ্ধি নাই ক্যান তোর একটুও? কেমন বকা খাস কেবল বন্ধুদের কাছে বোকা বোকা কথা বলে!”
এমন কত শত বকর বকর করি একা হলেই!
…………..এসবই মনে হয় কবিতা লেখার পূর্ব লক্ষণ, আমার মাঝে কিন্তু এটা অনেক বেশী আছে, কিন্তু গ্যারান্টি দিয়া বলতে পারি বোমা মেরেও আমার কাথ থেকে কবিতা বের করতে পারবেন না।
কামাল উদ্দিন
…………..এসবই মনে হয় কবিতা লেখার পূর্ব লক্ষণ, আমার মাঝে কিন্তু এটা অনেক বেশী আছে, কিন্তু গ্যারান্টি দিয়া বলতে পারি বোমা মেরেও আমার কাথ থেকে কবিতা বের করতে পারবেন না।
বন্যা লিপি
একা একা কথা বলা কবিতা লেখার পূর্ব লক্ষন? জানতাম নাতো! আপনার কাছ থেকে তবে কেন পাঠক বঞ্চিত হচ্ছে ভাই? চেষ্টা চালান, পেরে যাবেন নিশ্চই।
ধন্যবাদ মন্তব্যে।
কামাল উদ্দিন
আশা করছি আর বঞ্চিত করবেন না আপু 😀
ছাইরাছ হেলাল
ক্রমাগত লিখিয়ে হতে চাওয়া থেকে লিখিয়ে হওয়া হওয়ির কথা জানছি আর জানছি,
চলুক।
বন্যা লিপি
আসলেই কি লিখিয়ে হতে চেয়েছিলাম না আজো কিছু লিখতে পারি? এ প্রশ্নের উত্তরই তো জানা হলোনা আজো।
এস.জেড বাবু
মানা আর আপনার মধ্যে একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিলো- এটা হলো “সৃষ্টিশীলতা”
শব্দে শব্দে শব্দভান্ডার সৃষ্টি।
লুনাদের চরিত্রগুলি বেশ মজার, ওরাই তো খুঁজে বের করে প্রকাশ করে লজ্জার আড়ালে লুকিয়ে রাখা প্রতিভা।
একা বিড়বিড় করে উপযুক্ত কবিতার পঙ্তি খুঁজে ফেরা।
– এটা আমারও অভ্যাস/বদভ্যাস।
দারুন লিখেছেন।
বন্যা লিপি
আপনি ঠিকই ধরেছেন এবং একটু কারেকসন করে দিচ্ছি যে, মালা আমার সম্পর্কটা আজো নিবির সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বহন করে যাচ্ছে।
লুনা এখন কোথায় থাকে জানিনা। ওকে খুব মনে পড়ে। ১০ বছর আগে এসেছিলো আমার মা’য়ের বাসায় আমার সাথে দেখা করতে। তারপর আর কোনো খবর জানিনা।
আপনাকে অজস্র শুভেচ্ছা।
এস.জেড বাবু
মালা আপু ও লুনা আপুর জন্য প্রেরকের ঠিকানাহীন খামে “একরাশি শুভ্চ্ছা”
এবং লিপি আপুর সুস্বাস্থ কামনা করছি।
এগিয়ে যাক গল্প-
ধন্যবাদ আপু।
রেহানা বীথি
উফ্, লেখাটা পড়ে স্যারের ‘প্রতিক্রিয়া’ অজানাই থেকে গেল এ পর্বে । নিশ্চয়ই পরের পর্বে জানতে পারবো।
বন্যা লিপি
স্যার প্রতিক্রিয়া দেখাবার আগেই চলে গেলেন, আর আমি হাঁফ ছেড়ে বেঁচে গেলাম অবশেষে! তবে পরের পর্বে এই স্যারের প্রতিক্রিয়া জানা যাবে অন্যভাবে।
সাথে পাচ্ছি তাই অনেক ভালো লাগা।
আপনার প্রতি ভালবাসা।
নিতাই বাবু
আপন অনুভূতির দারুণ একটা গল্প পড়লাম। ভাগ্য ভালো-না-খারাপ তা বলছি না, বলছি ছুটির ঘণ্টা বেজে গেলো তাই এই যাত্রায় হয়তো আর কিছু হয়নি। দেখা যাক পরবর্তীতে কী হয়!
বন্যা লিপি
জ্বি দাদা বাবু, পরের পর্বে জানা যানা যাবে আরেক প্রতিক্রিয়া স্যারের।
ধন্যবাদ দাদা।
নুর হোসেন
একা একা কথা বলার জন্য আমার এক শিক্ষিকা আমাকে মানুষিক রোগীর আখ্যা দিয়েছিলো,
আমি নাকি ভুতে ধরা!!
আজ দেড় যুগ পেরিয়ে এসেছি আজও সে ভুত পিছু ছাড়েনি।
চমৎকার লিখেছেন, লিখতে থাকুন।
বন্যা লিপি
‘ওর ওপরে জ্বিনের আছর আছে ‘ এমন কথাও শুনতে হয়েছে। এমন ভুতে পাওয়া রোগী অন্তত অন্য দশজন হেপোক্রেটদের চেয়ে স্বাভাবিক বলে মনে হয় আমার।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
তৌহিদ
একজন লেখক যখন আত্মকথা লেখেন তখন জাগতিক সবকিছুকেই উর্ধ্বে রেখেই তিনি এসব লেখেন যা আমার কাছে অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ বলে মনে হয়। নিজেকে নিয়ে সবাই লিখতে পারেনা। আপনি পারছেন দেখে নিজে অনুপ্রাণিত হলাম।
গাছের সাথে কথা বলা আমারও গোপন অভ্যেসগুলির একটি। কাউকে যেন বলবেননা আপু।
শুভকামনা জানবেন আপু।
বন্যা লিপি
আপনার কাছে কঠিন? ভাই লজ্জায় ফেলে দিলেন।
কাউকে কিচ্ছু বলবো না এই গোপন সিক্রেট শুধু আপনার আমার। আপনিও কিন্তু কাউকে আবার বলে দিয়েননা যেন যে, আমি গাছেদের সাথে,ফুলেদের সাথে এখনো কথা বলি একা একা 😊
শুভেচ্ছা আপনাকে।
দেবজ্যোতি কাজল
লেখাটা ভাল ।