
১৮ বছরে এসিড সন্ত্রাসের ঘটনা কমেছে ৯৮.৩৮%
২০০২ সালে এসিড সন্ত্রাসের ঘটনা- ৪৯৪
২০১৯ সালে এসিড সন্ত্রাসের ঘটনা মাত্র- ০৮
এটাকে অবশ্যই এসিডবিরোধী যুদ্ধে বড় জয় বলা যায়।
“আর একটি মুখও যেন এসিডে ঝলসে না যায়”
( ০৩ নভেম্বর’১৯- প্রথম আলো )
একটি মেয়ের পরিবারের সুখের নিদ্রার জন্য এর চেয়ে বড় সুখবর আর কি হতে পারে।
ধন্যবাদ জানাই এই মহতি কর্মের আগা গোড়া কাজ করেছেন এমন সব সংঘটন সহ দেশের বিচার ব্যাবস্থা ও বিশেষ করে দ্রুত বিচার আইন বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকল নীতিনির্ধারক মহলের সবাইকে।
“ডিজিটাল বাংলাদেশ”
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ন্যাশনাল আইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ ব্যাংকিং ব্যাবস্থা ডিজিটালাইজেশানের মাধ্যমে এবং ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা স্থাপন হওয়ার ফলে বিগত এক যুগ আগের তুলনায় আজকের বাংলাদেশ এক নতুন বাংলাদেশ। দেশের কোটি মানুষ ভোগ করছে আধুনিক পদ্ধতির সুফল-
পাশাপাশি মোবাইল ফোনের আধুনিকায়ন বদলে দিচ্ছে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার মতো আর একটা পথ। একটা মেয়ের এবং তার পরিবারের জন্য দুশ্চিন্তার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে “সাইবার ক্রাইম” এর একটা দিক- তা হলোঃ
> সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ভাইরাল” হওয়া ছবি/ ভিডিও ।
> নিজের ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায়, পুকুরে, ঘাটে সামান্য অসতর্কতার কারনে সুযোগসন্ধানীদের মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে নগ্ন / অর্ধনগ্ন মেয়ের ছবি / ভিডিও।
> বিভিন্ন সুপার মার্কেটের নোংড়া মানষিকতার কর্মচারীদের মাধ্যমে ওয়াসরুমে আর ট্রায়াল রুমে ঘটে যাচ্ছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।
> এমনকি বিভিন্ন রাত্রিকালীন অবকাশ যাপন কেন্দ্রে নগ্ন হেনস্তার স্বীকার হয়ে অপদস্থ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী।
একটা ছেলে / মেয়ের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত অথবা বিভিন্ন কায়দায় জোড়পূর্বক ধারণ করা নগ্ন / অর্ধনগ্ন ছবি বা ব্যাক্তিগত নৈতিক/ অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও লাখো কোটি মানুষের চোখে ভাইরাল হলে- সে মেয়ে বা ছেলে এবং তার পরিবার কতটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে তা লিখে প্রকাশ করা হয়ত সম্ভব হবে না।
একটা পরিবার ধ্বংসের কারণ হতে পারে এই ডিজিটাল সন্ত্রাস।
একটা পরিবারের মাথা চিরতরে নুইয়ে দিতে পারে সামান্য অসতর্কতায় কোন অসৎ লোকের মোবাইল কেমেরার সামনে পড়ার কারনে।
এমনকি ছেলে বা মেয়ে অথবা তার পরিবারের সকল সদস্যদের গ্রামছাড়া হওয়া এবং আত্মহত্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে এই ডিজিটাল সন্ত্রাস।
হাল যুগে লাখো নারী পুরুষ তাদের সামান্য অসতর্ক সময়ের ভুলের কারণে, মোবাইল বা কেমেরায় ধারণ করা গোপন ছবি / ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ভয়ে বছরের পর বছর ধরে নগদ অর্থ এমনকি অনিচ্ছাকৃত ধর্ষনের মত ব্লাকমেইলের স্বীকার হচ্ছেন।
কারও অসতর্ক অবস্থার গোপন / অশ্লিল ছবি বা ভিডিও ধারণ করা অমার্জনীয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ-
এবং পরিচিত বা অপরিচিত যে কোন নারী পুরুষকে হেনস্তা করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেইসবুক, ইউটিউব বা কোন ওয়েবসাইটে নোংড়া/ নগ্ন ছবি বা ভিডিও আপলোড করা এসিড সন্ত্রাসের মত ভয়াবহ অপরাধ বা তার চাইতেও বেশি।
অনলাইনে আপলোড বা ভাইরাল হওয়া ছবি / ভিডিও কোনভাবেই মুছে দেয়া যায়না কারণ, অনেকেই তা অসৎ উদ্দেশ্যে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে।
বিশেষ ধারায় অবশ্যই গোপনীয়তার সাথে, দ্রুত বিচার আইনে মামলা নিস্পত্তির নিশ্চয়তা পেলে, অনেকই হয়ত এমন জঘন্য অপরাধের কারণে বিচারের প্রার্থী হবেন।
এক যুগ পূর্বে এসিড সন্ত্রাসের কারণে একটা মুখ পুড়ে যেত-
আজকাল তার চাইতে সহজে ভয়াবহ ভাবে পুড়ে যাচ্ছে একটি মুখ, নিলাম হচ্ছে একটি ইজ্জত, লুন্ঠিত হচ্ছে সম্মান, শেষ হচ্ছে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
কারও এক সেকেন্ড অসতর্কতায় ভাইরাল হওয়া নগ্ন / আধো উলঙ্গ ভিডিওর কারণে একটা ছেলে, একটা মেয়ে বা একটা পরিবারের সব সদস্যদের মান-সম্মাণ এমন ভাবে পুড়ে যে সেই পুড়ে যাওয়া মুখের ছবি সারা দুনিয়ার কোটি মানুষ দেখে।
লোভে / বীনা লোভে / খেলার ছলে বা কাউকে ব্লাকমেইল করার জন্য তেমন ভিডিও যারা আপলোড করে তারা এসিড সন্ত্রসীর চাইতেও ভয়াবহ নিকৃষ্ট ছোট মনের জঘন্য অপরাধী।
নীতিনির্ধারক মহলের যুগ উপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়ন কামনা করি।
ভেবে দেখুন-
> খেলার ছলে নিজের প্রিয়জনের / প্রেমিকার নোংড়া ছবি বা ভিডিও ধারণ করা চুড়ান্ত বোকামী। যার খেশারত নিজেকেই দিতে হবে।
> অসতর্কতার সুযোগে কারও প্রাইভেট ভিডিও বা ছবি তোলা অপরাধ। –
> অবশ্যই নিজের বা অন্য কারও প্রাইভেট ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করা এসিড সন্ত্রাসের চাইতে ভয়াবহ।
শ্লোগান হতে হবে-
কোন অসৎ লোকের কারনে- সহজ মোবাইলের কেমেরায়-
“আর একটিও নারীর ইজ্জত যেন নিলাম না হয়”
এবং একদিন বাংলাদেশ তা করে দেখাবে ।
-০-
০৫/১১/২০১৯
২৩টি মন্তব্য
চাটিগাঁ থেকে বাহার
“আজকাল তার চাইতে সহজে ভয়াবহ ভাবে পুড়ে যাচ্ছে একটি মুখ, নিলাম হচ্ছে একটি ইজ্জত, লুন্ঠিত হচ্ছে সম্মান, শেষ হচ্ছে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।”
সেই সময়ের চেয়ে বর্তমান সময় অনেক চ্যালেঞ্জের! এখন প্রাইভেসি বলে কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না। কিশোর গ্যাং সমাজকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এস.জেড বাবু
সত্যি বলেছেন
সামাজিক ও আইনগত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ দরকার।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
মনির হোসেন মমি
মানুষের নৈতীক চরিত্র পরিবর্তন না হলে এ সমস্যা সমাধান হওয়াটা দুরূহ ব্যাপার। তবে নগ্ন ছবি ভিডিও আপলোড নিয়ম কানুনে ফেলে দিতে হবে শক্ত হাতে কন্ট্রোল করতে হবে ইন্টারনেটকে।আর এ সব বিচারে ফাসিঁর রায় রাখাটা বাঞ্ছনীও কারন এ সব ঘটনায় যিনি বা যারাই ভুক্তভোগী তাদের লাইফই শেষ। বিচারের নামে প্রহসন করা চলবে না।
আপনার লেখাটায় অনেক কিছুই জানলাম।
এস.জেড বাবু
নৈতিক চরিত্র
পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ দায়িত্ব নিতে পারে বলে মনে হয়।
এরপর সমাজ আর আইন আর আইনের যথাযথ প্রয়োগ।
অনেক ধন্যবাদ মমি ভাই
ছাইরাছ হেলাল
সভ্যতা আর অসভ্যতা হাত ধরে হাটে।
আমরা কিভাবে কতটুকু গ্রহন বর্জন করতে পারছি/পারতেছি তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
নৈতিকতার চর্চা হুট করে ভর করানো যায় না। ক্রমাগত অনুশীলনের মাধ্যমেই তা লক্ষ্য ছুঁতে পারে।
সময়োচিত লেখাটির জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ। প্রশংসায় রাখছি আপনার সচেতনতা।
এস.জেড বাবু
নৈতিকতার চর্চা হুট করে ভর করানো যায় না। ক্রমাগত অনুশীলনের মাধ্যমেই তা লক্ষ্য ছুঁতে পারে।
রাইট- মনে হয় পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই শিক্ষা নিয়মিত করতে পারে।
এর পর থাকে আইনের ভয়, মানুষ আইন মানার চেয়ে আইনের ভয়ে খারাপ কাজ থেকে দুরে থাকে এটা সত্য।
কঠিনতম আইন বাস্তবায়ন জরুরী –
সেক্ষেত্রে যারা ভিডিও বা ছবি ধারণ করে এবং যারা আপলোড করে উভয় কর্মের জন্য আলাদা শাস্তি দেয়া দরকার।
ধন্যবাদ ভাইজান
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার একটি টপিক নিয়ে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।একদম সঠিক লিখেছেন
এসিড সন্ত্রাসের চেয়েও ভয়াবহ এই ডিজিটাল সাইবার ক্রাইম সন্ত্রাস।
এসিড একটি মুখ ঝলসে দেয় আর এই ডিজিটাল সন্ত্রাস একটা পরিবার ঝলসে দেয়। সমাজ চ্যুত করে একটি পরিবারকে।
এস.জেড বাবু
ভুল আর অসতর্কতা মানুষের হতেই পারে।
সুযোগ পেয়ে এই অসৎ লোকেরা এমন জঘন্য কাজ করে বেড়ায়। মানুষ নিজের উঠানে, নিজের ঘরে নিরাপদ না।
এদের কঠিন শাস্তির বাস্তবায়ন জরুরী।
সঞ্জয় মালাকার
সভ্যতা আর অসভ্যতা হাত ধরে হাটে।
মানুষের নৈতীক চরিত্র পরিবর্তন না হলে এ সমস্যা সমাধান হওয়াটা দুরূহ ব্যাপার।
আপনার লেখাটায় অনেক কিছুই জানলাম।
সময়োচিত লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
কোন একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে ভাই,
নয়ত একসময় প্রাইভেসি বলতে মানুষের কিছুই থাকবে না।
লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নেয়ার মত নৈতিক শিক্ষা- প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু করা যেতে পারে।
কাউকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখতে পেলে, নিজেকে লজ্জা পেয়ে সরে যেতে হবে।
এবং একসময় তেমন লজ্জা মানুষের মধ্যে ছিলো।
এস.জেড বাবু
ধন্যবাদ ভাইজান
সঞ্জয় মালাকার
হুম, ঠিক বলেছেন দাদা সহমত প্রকাশ। ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন সব সময় শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
আপনার সমৃদ্ধ জীবন কামনা করছি-
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
আমি বুঝি না একটা মানুষের ব্যাক্তিগত ছবি বা লাইফ নিয়ে আর একটা মানুষ এমন নোংরামি করে কি ধরনের পৈশাচিক আনন্দ পায়।
এদের কে ধরে প্রকাশ্য ভাবে ঝুলিয়ে দেয়া দরকার।
এখন তো হেঁটে গেলেও ভয় লাগে এইসব অসভ্য,বর্বর মানসিকতার মানুষের জন্য।
খুব ভালো লিখেছেন।
এস.জেড বাবু
আত্মসম্মান বোধ, নৈতিকতা, লজ্জাবোধ এবং অবশ্যই অপরের প্রতি সম্মাণ প্রদর্শন করার মত শিক্ষা সম্ভবত নিজের পরিবারের চেয়ে ভাল কেউ দিতে পারে না।
আমি প্রায়ই বলি- দশ কেজি পিচ্ছির পিছে ছয় কেজি বই।
এতো প্রেসারের মধ্যে বাড়ির কাজ, টিউশনির, পড়া শেষ করার পর যদি বাচ্চাদের এনার্জি থাকতো, পরিবারের কাছে মানুষ হওয়ার শিক্ষা পেত।
আজকাল প্রতিযোগিতা ভাল ছাত্র হওয়ার
ভাল মানুষ হওয়ার না
ধন্যবাদ আপু
জিসান শা ইকরাম
যারা এমন করে তা সাইকো শ্রেণীভুক্ত,
এরা এমন করে একটা পৈশাচিক আনন্দ লাভ করে।
এর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার এবং কঠোর আইনই পারে এমন অপরাধ প্রবনতা রোধ করতে।
ভালো পোষ্ট।
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
ঠিক বলেছেন – সাইকো
আমি মনে করি ব্রেনের যে অংশ সতেজ করে তুললে ছেলেটা সাইকো না হয়ে বরং লজ্জাশীল হয়ে যেত- সে অংশে শিক্ষা ঢুকিয়ে দিতে পারে মা, বোন তথা পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সুদিনের অপেক্ষায় প্রতিটি মানুষ, সমস্যা নতুন করে আসবে, প্রতিকার ও বের করতে হবে।
ধন্যবাদ ভাই ।
রেহানা বীথি
সুন্দর পোস্ট। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। বিকৃত মনোভাব এর জন্য দায়ী। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা, অর্থাৎ, যুগোপযোগী আইন তো অবশ্যই দরকার, আর দরকার দ্রুত সময়ে বিচার নিশ্চিত করা।
এস.জেড বাবু
রাইট
যুগউপযোগি আইন এবং এটি বাস্তবায়ন এবং অবশ্যই আইনের ভয়াবহতার প্রচার প্রচারনা দরকার।
সুযোগ পেয়ে নোংড়া ছবি তুললে যদি দশ বছরের সাজা হয়, এ গ্রামে দ্বিতীয় কেউ আর মোবাইল বের করবে না।
আইনের ভয় সবাই পায়। যুগ উপযোগি আইন
চমৎকার মন্তব্য
ধন্যবাদ আপু
সাবিনা ইয়াসমিন
ডিজিটাল ক্রাইমের মধ্যে সবচেয়ে সহজ আর মারাত্বক ব্যাপারটি এখন ছড়িয়ে পরেছে সব জায়গায়। সামান্য ভুলের মাশুল দিতে দিতে অকালে ঝরে পরেছে মানুষের প্রান, নষ্ট হচ্ছে সম্মান, অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি সহ আরো অনেক হেনস্থার শিকার হচ্ছে অনেকে।এমনি ভিকটিমের আশেপাশের মানুষরাও রেহাই পাচ্ছেনা। কিছু নির্বোধ মানুষের জন্যে অমানুষরুপি পিচাশ গুলো এসব করার সুযোগ পায়। সাইবার আইন আরো কড়াকড়ি করার পাশাপাশি সাধারন মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। সোশ্যাল লাইফ আর ব্যক্তিগত লাইফ যেন মিলেমিশে এক না করে ফেলি এইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সময়োপযোগী সুন্দর একটি পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা 🌹🌹
এস.জেড বাবু
সাইবার আইন আরো কড়াকড়ি করার পাশাপাশি সাধারন মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার
চমৎকার মন্তব্য আপু –
অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা
হালিম নজরুল
এসিড সন্ত্রাস কমাটা প্রশান্তির
এস.জেড বাবু
অবশ্যই
এ যে বড় পাওয়া
ধন্যবাদ ভাইজান