
টানা ৪০ জন লোকের সরগম আর ঢোলের বাঁজনার মধ্যে কি করে ঘুমাতে হয়, এই টেকনিক সম্ভবত একজন প্রবাসি ছাড়া কেউ ভালো জানেনা। বিশেষ করে ইউরুপের মতো নামী-দামী দেশগুলির ব্যাচেলর মেসে যারা থাকে, তাদের শব্দদুষন আর পলিউশানে নিশ্চিন্তে ঘুম দেয়ার জন্য শুধু মানষিক ইচ্ছেটাই যথেস্ট্য।
অরণ্য তেমন একটা ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০০ বছর পুরুনো ভিসুভিয়ানো আগ্নেয়গিরীর পাদদেশে, পালমা কম্পানিয়া নামের ছোট্ট শহরের ৮০ বছরের পুরোনো একটা ঘরে গাদাগাদি করে রাখা ৫টা সিঙ্গেল বেড। অরণ্যের বেডটা ঘরের দিক্ষন পশ্চিমে একটা জানালার নিচে- দেয়ালের জন্মলগ্নে লাগানো ওক কাঠের শেওলা ধরা কপাট গুলির একটার নিচের অংশে ছয় ইঞ্চি মতো ঘা- যার চার ইঞ্চি ছিদ্রটাতে অরণ্যর গায়ের নীল টি শার্ট টা স্থান করে নিয়েছে পাহাড়াদারের। মাইনাশ ১৩ ডিগ্রী রাতের তাপমাত্রায় সো সো করে শীতল আচরণের বাতাস পাহাড়া দেয় বিথীর কিনে দেয়া গেলো বছরের নীল টি শার্ট।
এটা জুন মাস, ইউরুপে সামার সিজন-
তিন বেলায় তিন রংয়ে সাজে প্রতিটি রাস্তা – সকাল আর সন্ধ্যায় দিন রাত্রীর ব্যাবধান রেস্টুরেন্ট আর বারগুলিতে – বেলা শেষে সম্পূর্ন্য ভিন্ন এক প্রকৃতি- অন্য এক রূপসজ্জা –
বলতে গেলে- শীতের প্রতিটি আধামরা শুকনো গাছের হাড়গুলিতে সবুজ রং লেগেছে গেলো মাসে- আজ কাল তো মোহনীয়- লাল নীল বেগুনী রংয়ে সবুজের সমারোহে লজ্জ্যায় অবনত বধূ সেজে আছে চারপাশের প্রকৃতি- প্রতিটি গাছ, সন্ধ্যের অন্ধকারে।।
দালান গুলির খোলা জানালায় ফিনকি দিয়ে বের হওয়া সোনালী আলো যেনো ষোড়শীর কানের দোলে মুক্তার বিচ্ছুরিত রশ্মী-
কি নিদারুন মোহনীয়তা।
আর অন্যদিকে এক এক ইঞ্চি করে কমতে কমতে সংখ্যায় প্রায় ৩ এর কোঠায় আর সাইজের যোগফল নাই বা বললাম পোষাকের বসন্তের।
সব মেয়ে একই না হলেও প্রায় অধিকাংশরাই আন্ডারওয়্যার শব্দটা সামারে সত্যি ভূলে যায়- হাই হিলের ঠুক ঠুক ছন্দে হেলে দুলে চলা ষোড়ষী নৃত্ত্বে কখনো ব্যাঘাত ঘটায় উড়ন্ত দুস্ট বাতাস- ওই দিকের গল্প অন্য কোন দিন অন্য কোথাও অন্য কোন আলোচনায়।
নভেম্বরের শেষ দিকে জানালার ফুটো বন্ধ করতে কাজে লাগানো বিথীর কিনে দেয়া নীল টি শার্ট টা অরণ্যর হাতে এখন – জানালা খুলে ঘুমালে ভোর হওয়ার আগে ঘুম ভেঙ্গে যায় – তাই জানালার ছিদ্রট মুক্ত করে দিলে সামাণ্য হীম শীতল বাতাসে ঘরের ভেতরটা অনেক তাজা অক্সিজেনে ভরা থাকে।
এই শেওলা আর পাটকাঠির গন্ধভরা ঘরে এতো এতো জনের আসা যাওয়া যে বলা আর গুনা মুশকিল। আসলে এটি সদর ঘর- ড্রয়িং রুম বা বসার ঘর বলতে পারেন। সদর দরজাটা অরণ্য’র বেডের পায়ের পাশ থেকে দেড় ফিট দুরে।
রুমের দরজা খুলতে না হলে ওখানে একটা বেড পাতা হতো। বাড়ি ওয়ালার কিছু ইউরো বেশী আয় হতো-
কি দিন, কি রাত- সারাক্ষন এবাড়িতে বাসা মালিকের আত্মীয় স্বজন, ভাড়াটিয়াদের আত্মীয়, অনাত্মীয় বন্ধু আর আমরা সবার যাওয়া আসায় হামেশা এই রুম পরিপূর্ন শব্দে আর আলোয়। আর অরণ্যর বেড ঘরে ঢুকে ডান পাশে। মানুষ ডানে ঘুরে বেশি। ঘরে ঢুকে যেহেতু বসার জন্য সোফা, চেয়ার বা আলাদা কোন ব্যাবস্থা নেই- তো বসার জায়গা অরণ্য’র বেড।
প্রতি বেডের মাঝখানে দেড় ফিট ফাঁকা জায়গার শেষ অংশে দেয়ালে ঠেকানো ছোট্ট কুমোদিনো- দুইটা ড্রয়ার- দু পাশে ব্যাচেলর দুজনের সদ্য ব্যাবহৃত প্রসাধনি, নেল কাটার পেস্ট-চিরুনী আরও কত কি।
অরণ্য টুথ ব্রাস কখনো ড্রয়ারে রাখেনা- কতবার ব্রাস করে করতে বাথরুমের আয়নায় গিয়ে দেখা গেলো ব্রাসের রং সবুজ।
থুথু ফেলতে ফেলতে বাইরের লনে এসে হরহর করে বমি- সাথে চিৎকার চেচামেচি।
আমাদের এই ফার্মের মালিক- ( বাসার মালিক ) সেদিন চুল শূণ্য মাথা চুলকাতে চুলকাতে এসে অরণ্যের সামনে বসে। বলে ব্রাস ধূয়ে নিলে নতুন হয়ে যায়। এই নতুন ব্রাস দিয়ে ব্রাস করলে কিছু হয় না।
আমরাতো একজনের প্লেটে অন্যজন খাই-
অরণ্য রেগে গেলো- বললো- আপনি বাকি জীবন ব্রাস কিনবেন না – আপনার পালতু মুরগী ( ভাড়াটিয়া ) যারা আছে তাদের একজনের ব্রাস একদিন ব্যাবহার করবেন। টুথপেস্ট ফ্রী।
যাই হউক- এর পর থেকে অরণ্য’র ব্রাস থাকে ওর লাগিজে। বেড এর নিচে।
এই মূহুর্তে জানালার ছিদ্র থেকে উদ্ধার করা টি শার্টটা- বেডের নিচে লাগেজের উপরে স্থান পেলো।
শার্ট টা খুলে হুকে রেখে, বালিশের নিচ থেকে হেডফোনটা খুজে বের করলো সে। দুকান বন্ধ করতে হবে হেড ফোন আর গানের কল্যানে।
এই হলো ঘুমানোর টেকনিকের প্রথম ধাপ- ভিন্ন রকম কাজের সময় হওয়ায় সবছেলেরা একসাথে ঘরে আসে যায় না-
কেউ সন্ধ্যে ছয়টায় ঘরে ফিরে কেউ রাত ১১টায় কেউ তিনটায় –
অন্যদিকে কেউ কাজে যাচ্ছে বিকেলে- কেউ সকালে, কেউ রাত দশটায় তো কেউ ভোর চারটায়।
সমস্যা যাওয়ার সময় না-
সমস্যা আসার সময় –
কাজে বের হয়ে যাওয়ার সময় সবার অনেক তাড়া থাকে- মেপে মেপে ঘুম থেকে উঠে যদি বাথরুমের লাইনে পড়তে হয় তবেতো সর্বনাশ- কখনো বীনা পারফিউমে, বীনা চাবিতে ঘর থেকে বের হয়ে যায় কতজন।
সমস্য হলো – যখন কেউ কাজ থেকে ফিরে- তখন।
বাস থেকে নেমে বা কেউ কেউ কাজ থেকে বেড়িয়ে সোজা একটা বারে, কেউ একটা বিয়ার, কেউ এক পেগ হুইস্কি, কেউবা দুধ কফি-
মূলত- ভীরশূণ্য অবস্থায় মোবাইলে কাছের লোকজনদের সাথে দেশে কথা বলা।
নিজের সমস্ত দিনের নোংড়া কস্টগুলি ছেঁকে ইউরুপের সৌন্দর্যের ফ্লেভারে ভরা যেসব গল্প ছেলেরা দেশে বলে- সেসব গল্পের অনেক কথাই হয়তো বাংগালীদের সামনে মানায় না-
কারণ ওরা সত্যিটা জানে, বুঝে- ওরা হাসবে।
তারচেয়ে একটা বারের সব শেষের টেবিলে বসে একচোট গল্প নিজের মতো করে বলে ফেলা-
কোন সমস্যা নেই- কারণ চারপাশের মানুষগুলি কেহই বাংলায় বলা মিথ্যে কথাগুলির একটা বর্ণও বুঝবেনা।
সমস্যা কিন্তু ওদের নিয়ে না- সমস্যা হলো- কাজ শেষ করে, মোবাইল কানে লাগিয়ে হেড ফোন ছাড়া লোকাল বাস, রাস্তা পার হয়ে এমনকি ঘর পর্যন্ত গল্প টেনে নিয়ে আসা লোকগুলি- ওরা ঘরে এসেও কথা বলতে থাকবে- কখনো বসবে অরণ্য’র বেডে- ডানদিকে কাত হয়ে মোবাইল ডানকাঁধে – ডান হাত ফুল শার্টের হাতামুক্ত। এমনি করে বাম হাত-
কখনো শার্ট টা অন্য কারো বেডেই রেখে চলে যায়-
সবচেয়ে সমস্যার হলো যখন জুতা মোজা খুলে অন্য কারো বেডের নিচে রেখে যায় অন্য কেউ।
হাহাহা
আশা করি বর্ণনা লাগবেনা-
অরণ্য বালিশের নিচ থেকে কাথাটা বের করে, আজ কাথাঁর যে দিকটায় বীথি – মানে অরণ্যের বড় বোনের ওড়না দিয়ে বোনা, সে পাশটা গায়ে জড়িয়ে শোবে-
শীত না হলেও অবাঞ্ছিত আলোর হাত থেকে বাঁচতে এই পাতলা কাথার আয়োজন।
অন্যপাশে মায়ের আঁচল- কখনো অরণ্য মায়ের আঁচলের নিচে ঘুমানোর স্বাধটাও নেয়।
হটাৎ কি যেনো মনে করে বিছানায় উঠে বসে অরণ্য-
বেডের নিচে হাত দিয়ে টি শার্টটা হাতে নিয়ে আসে-
কান থেকে হেডফোন খুলে, কাথাটা সরিয়ে বীথির দেয়া অধোয়া টি শার্ট টা গায়ে দেয় অরণ্য-
জাযগায় জায়গায় ভেজা ছিদ্র হয়ে যাওয়া টি শার্ট-
খুব ইচ্ছে করছে আয়নায় নিজেকে দেখতে-
বড় বোনের চোখে- এক বছর আগে- বাংলাদেশে বীথির নতুন শশুড় বাড়িতে প্রথম রমজানের ঈদ উপহার এই নীল টি শার্ট পড়ে কেমন দেখাচ্ছিলো অরণ্য’কে !!
বোন বিথী সেদিন চিৎকার করে বলছিলো- আমার ভাই পৃথীবির শ্রেষ্ঠ সুন্দর ভাই।
বিছানা থেকে নেমে, অনেকটা দৌড়ে লনের ওপাশে বাথরুমের আয়নায় দাড়ালো অরণ্য-
এইতো ভাই-
দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর মনের ভাই- দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর বোনের ভাই- টি শার্ট টার আজ এক বছর- ছিড়ে গেছে – আর সে নিজে !!??
সে নিজে অনেকটা ফর্শা হয়েছে। আগে যেখানে বোনের কসমেটিক্স দিয়ে সাজিয়ে দিতো বোন আদরের অরণ্যকে- আজ বোনের মমতায় নিজেকে আরও সুন্দর করে সাজাতে- দুনিয়ার বিখ্যাত সব প্রসাধনী ব্যাবহার করে অরণ্য-
চুলগুলি আরও সিল্কি- চোখ অনেক ফর্শা- ঘামের গন্ধ নেই শরীরে-চুলের ছাঁটে একটু ভিন্নতা- লম্বা চিপ কানের নিচ পর্যন্ত। চুলও অনেক লম্বা তখনের তুলনায়। চোখের লাল মানচিত্র নেই- অনেক সুন্দর – নিজেই নিজেকে বলে অরণ্য-
সে পৃথীবিতে একমাত্র ওর বোন বীথির চোখে সবচেয়ে সুন্দর হতে চায়। কারন- বীথি- ওর সৌন্দর্যে সবচেয়ে বেশী খুশি হয়।
পনের হাজার কিলো দুরে – রাত তিনটা-
আর বীথি তার ভাইকে দেখেনি একবছর-
সে প্রবাসে, দুর দেশে-
আজ ভোরবেলায় বীথির গায়ে সেই নীল শাড়ী-
যা একবছর আগে এই দিনে তার ভাই অরণ্য টিউশনির টাকায় কিনে তাকে ঈদ উপহার দিয়েছিলো-
ফিরে যাওয়ার আগে নরম সুরে বলেছিলো- আপু-
একটা অনুরোধ রাখবি ?
বীথি বলেছিলো বল সোনা-
অরণ্য বলেছিলো- আপু নীল শাড়িতে তোকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে- ঈদ তো কাল-
তুই কি আজ নতুন শাড়িটা পড়ে দেখাবি !!
দেখা না একবার-
যদি আগের দিন একবার পড়লে, তোর ঈদের শাড়িটা পুরুনো না হয়ে যায় তোহ্ —॥
-০-
ছবি- নেট থেকে
২৭টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
একজনের ব্রাসে অন্যজন কিভাবে দাঁত মাজে আল্লাহই জানেন! বমি আসাটা স্বাভাবিক।
কাঁথার একপাশ, যেখানে বড়বোনের ওড়নার অংশটা দিয়ে সেলাই করা….. চোখ ভিজে এলো ভাই। ভাইবোনের মাঝে আত্মার চিরন্তন মমতা আর টানের অনুভূতিটা যেন নিজেও পেলাম। প্রবাস জীবন, প্রবাসীদের জীবন, সুদূরে থাকাবস্থায় তাদের মনোভাব সব কিছু আবিষ্ট করে রেখেছে লেখাটিতে।
লেখাটি আমার প্রিয় তালিকায় রেখে দিলাম।
অনেক ভালো থাকুন, আরও লিখুন।
শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
এস.জেড বাবু
প্রবাস জীবন, ষ্ট্রাগল টাইম সত্যি ভিষন ভয়াবহ।
শুরুতে প্রায় সাত মাস আমি নিজেও কর্মহীন ছিলাম।
সে অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবো সময় পেলে।
আপনার মন্তব্যে ভিষন খুশি লাগছে।
অনেক ভালো থাকবেন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
প্রবাস-কষ্ট চোখে আঁচ লাগিয়ে দিচ্ছে।
প্রাণকাড়া লেখা আপনি লিখলেন।
এস.জেড বাবু
ধন্যবাদ ভাইজান।
অশেষ শুভেচ্ছা রইলো।
সুরাইয়া পারভিন
১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে থেকে অরণ্য কখনো মায়ের স্নেহের আঁচলে ঘুমায় কখনো বা বোনের ভালোবাসার ওড়নার গায়ে জড়িয়ে রাখে। বোনের দেওয়া নীল টি শার্ট যা এক মুহূর্ত আড়াল হতে। দেয় না।
ভাই বোনের চমৎকার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
দারুণ লেগেছে
এস.জেড বাবু
দুরত্ব কিছু সম্পর্কের মধ্যে কখনোই দুরত্ব মনে হয় না। কারো বলা একটা কথা, কারো দেয়া ছোট্ট কোন উপহার সবসময় তাকে খুব কাছে আগলে রাখে।
ভাই বোন এমন সম্পর্ক যেটা মরন ও আলাদা করতে পারে না, অন্তরে গেঁথে থাকে।
শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় আপু।
ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
প্রবাস-কষ্ট চোখে আঁচ লাগিয়ে দিচ্ছে।
সত্যি দাদা পড়ে মনের সকল কষ্ট দুরহয়ে গেছে,
বোন বিথী সেদিন চিৎকার করে বলছিলো- আমার ভাই পৃথীবির শ্রেষ্ঠ সুন্দর ভাই।
সত্যি দাদা পৃথিবীর সকল বোনের কাছে আপন মমত্ব, আদর সোহাগ।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ।
এস.জেড বাবু
চমৎকার মন্তব্যে অনেক খুশি লাগছে
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা।
তৌহিদ
প্রবাস জীবন অনেক কষ্টের, দেশের, আপনজনের স্নেহ মায়া মমতা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। লেখাটি পড়ে আপ্লুত হলাম ভাই।
ভালো থাকবেন।
এস.জেড বাবু
অসংখ্য ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই,
প্রবাস জীবন আসলে লিখে শেষ করার মতো না,
প্রতিটি দিন একটি স্বপ্নের গল্প
নয়ত গল্পটা রক্ত গলে লোনা জল হওয়ার
শুভেচ্ছা রইলো ভাইজান
মাহবুবুল আলম
গল্পটা পড়লাম প্রবাসীদের জীবনযাপন ও তাদের জীবনের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনার কথা গল্পে মূর্ত হয়ে ওঠেছে।
শুভ কামনা নিরন্তর!
এস.জেড বাবু
আপনার পদচারনায় গর্ববোধ করছি,
আসলে এক একজন ষ্ট্রাগলারের গল্প লিখায় প্রকাশ করা যায়না। সব অনুভুতি উচ্চারণ করতে গেলে শব্দের স্বল্পতা দেখা দিবে।
চারপাশের গল্পগুলি শুনে থ মেরে যাই, চোখ ভিজে আসে।
শুধু সাহস দিয়ে বলি- দোয়া রইলো।
–
আপনার দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।
মনির হোসেন মমি
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা আমারও আছে। যাই হোক সেই সময়টায় আপণজনদের খুব মনে পড়ে। আর ভাই বোনের সম্পর্কতো স্বর্গীও সূখ। খুব ভাল লাগল বাবু ভাই।
এস.জেড বাবু
প্রতিটি প্রবাসীর গল্প হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস।
আপনার অনুভুতি শোনা হয়ে যাবে একদিন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মমি ভাই,
কৃতজ্ঞতা
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমরা মনে করি প্রবাসীরা কতো সুখে আছে। ইউরোপ হলে তো কথাই নেই। বাস্তবটা এতোটা কষ্টের তা বুঝিনি। আপনার লেখা খুব ভাল লেগেছে।
এস.জেড বাবু
আসলে ষ্ট্রাগল খুব কঠিন
বিশেষ করে এমন দেশে- যে দেশের ভাষা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সবাইকে ফেলে দুরের দেশে চোখ ঘোলা হবেই, সে দেশ যত উজ্জ্বল আলোর দেশই হউক।
শুভকামনা ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত আবেগময় গল্পটি পড়ে মনটা কিছুটা আদ্র হয়ে উঠলো,
ভাই বোনকে এভাবেই ফিল করে প্রবাসে, আর বোন কাঁদে দেশে।
প্রবাস জীবনে অনেক বাংগালীই এমন ভাবে থাকে,
যা তাদের আত্মীয়রা জানেনই না।
মালয়েশিয়ায় একবার কিছু পরিচিত মানুষের সাথে থেকেছিলাম,
আপনার লেখা পড়ে সে কথা লিখতে ইচ্ছে হলো।
এমন লেখা আরো চাই,
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
বাহ্
আপনার লিখা পড়া হয়ে যাবে। ভাবতেই কেমন লাগছে।
আমার কথা যদি বলি,
সেটা প্রবাসে আমার তৃতীয় ঈদ, সালাম ফেরানোর পর বুঝতে পারি নামাজের সারি ঠিক করার সময় আমার দুই পাশে যে দুজন দাড়িয়েছে তার একজন সেনেগাল আর অন্যজন তিউনেশিয়ার।
মোনাজাত শেষে কোলাকোলি করতে যেয়ে ভিষন কান্না পেয়েছিলো- যা শেষ হয়েছিলো পরদিন ভোরে বাবার সাথে কথা বলার পর।
অনেক ভালো থাকবেন ভাইজান
আপনার গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।
নিতাই বাবু
নিজেও একসময় ব্যাচেলর থেকেছি। ভুলবশত অন্যের এটা ওটা নিয়ে টানাটানিও করেছি অনেক। কিন্তু পরের ব্রাশ নিয়ে কখনোই ভুল হয়নি, এটা ঠিক। আর মায়ের ছেড়া শাড়ি দিয়ে সেলাই করা ছেড়া কাঁথা অনেক যত্ন করে রেখেছি। আমার মায়ের ছেড়া কাপড় মোড়ানো কাঁথা এখনো দুই তিনটে ঘরে আছে। আশা করি যে-ক’দিন বেঁচে থাকি, নিজের হেফাজতেই থাকবে এগুলো।
আপনার লেখনী পড়ে গত হওয়া নিজের কথাগুলো ভীষণভাবে মনে পড়ে গেল দাদা।
আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা।
এস.জেড বাবু
মায়ের আঁচল যেন মায়ের ই কোল-
ভালো থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে,
মায়ের দোয়া আপনাকে জড়িয়ে থাকুক অনন্তকাল।
শুভেচ্ছা রইলো ভাইজান
অনন্য অর্ণব
এতো আবেগ সত্যিই সহ্য করা মুশকিল। যদিও আমার এমন মধুর স্মৃতি নেই। অন্তত বোনেদের কাছে কেন জানি না বেশিরভাগ সময়ই ছিলাম অবহেলিত। তবুও ভাই বোনের সম্পর্কটা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক বলে বিশ্বাস করি।
এস.জেড বাবু
চমৎকার মন্তব্য উপহার পেলাম।
ভাই বোনের সম্পর্কগুলি টিকে থাকুক চিরন্তন মমতায়।
শুভেচ্ছা রইলো ভাইজান
সিকদার সাদ রহমান
অনেক স্মৃতির মধ্যে কিছু মুহুর্ত এভাবে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সত্যিই ভালো লেগেছে। খুব ভালো লিখেন ভাই।
এস.জেড বাবু
আসলে স্মৃতিগুলি সব নিজের হয়না, বিক্ষিপ্ত জোড়াতালি দেয়া আর উপস্থাপনার প্রয়োজনে আংশিক অলংন্করণ।
চমৎকার উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইজান।
আরজু মুক্তা
প্রবাসীর কষ্টময় ভালোবাসা
এস.জেড বাবু
জ্বী আপু
শত কষ্টের মাঝেও প্রবাসীর মনে পরিবারের সবার প্রতি ভালোবাসা। বিশেষ করে বোনের প্রতি।
ভাল থাকুক দুনিয়ার সমস্ত বোন।
শুভেচ্ছা রইলো