
দরজা লাগিয়েই বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলাম। আবার ডোরবেলের শব্দ। খুবই বিরক্ত হয়ে দরজা খুলেই বলতে শুরু করলাম, আপনাকেতো বলেছি সাদিয়া নামে কেউ থাকে না।
কিরে খোকা? কি হয়েছে তোর?
আম্মু তুমি!! কিছু হয়নি আম্মু।
পরের দিন। আপনি আবার এসেছেন। বলেছিতো সাদিয়া নামে কেউ থাকে না। আপনি চলে যান। আম্মু এসে পরলে অঘটন ঘটে যাবে।
হঠাৎ একদিন। এক্সকিউজ মি, হ্যালো, এই যে শুনছেন। ও আপনি! কেমন আছেন? সেদিনের আচরণের জন্য সরি।
কি বলছেন ভাইয়া? সমস্যা নেই। ভুল আমারই হয়েছে। আসলে আমি এই এলাকায় নতুন।
ও, তাই। কোথায় উঠেছেন?
ঐ ৭৬ নং বাড়ি, ২য় তালায়।
ও, আচ্ছা। বেশ ভালো।
এরপর নানান অজুহাতে বাসার সামনে ঘোরাঘুরি করা, দাঁড়িয়ে থাকা, দেখা হলেই কথা বলার চেষ্টা। বন্ধুত্বের শুরু এভাবেই।
যখন বন্ধুত্বটা খুব জোরালো হলো, যখন তাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে ভাবতে শুরু করেছি তখনই ভাবলাম এখনই সময় ভালোবাসার কথাটি প্রকাশ করার।
সেদিন ছিলো শনিবার। সকাল থেকেই মনটা কেমন যেন আনচান আনচান করছিলো। বারবার এমনিতেই ঘাবড়ে যাচ্ছিলাম। কোনক্রমেই নিজেকে নিজের আয়ত্তে রাখতে পারছিলাম না। তবুও সেদিন পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে একগুচ্ছ গোলাপ হাতে তার সামনে গিয়েছিলাম। গোলাপগুলো হাতে দিয়ে মনের কথাগুলো বলবো এমন সময় সে হুট করে চলে গেলো।
এরপর রজনীকে অনেক ফোন অনেক মেসেজ দিয়েছি কিন্তু কোন উত্তর আসেনি। ওর বাসার সামনে দিয়েও ঘুরাঘুরি করেছি কিন্তু…।
কিছুদিন পর। একটি অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে ওঠে ভাইয়া আপনি দ্রুত হসপিটালে চলে আসুন। প্লিজ ভাইয়া, দ্রুত চলে আসুন। আমি রাখছি।
রজনীর মা কাঁদতে কাঁদতে অপারেশন থিয়েটারের কাছে বেহুশ হয়ে পরে আছে। কাছে যেতেই রিতা এসে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো। নার্স এসে বললো, বডি নিয়ে যেতে পারেন।
সকাল থেকেই এতিমখানায় ব্যস্ত। এইদিনেই রজনী না ফেরার দেশে চলে গেছে। রজনীর রিতার কাছে দেওয়া চিরকুটে লেখা ছিলো, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। শুধু ফাঁকি দিতে চায়নি।
রজনীর নাকি ব্রেইন টিউমার ছিলো। যখন তখন সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারে। এজন্যই সেদিন সে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
৩৭টি মন্তব্য
শফিক নহোর
ভাল লাগলো , আমি মনে হয় অনেক কিছু মিস করেছি , শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয় কবিবর। এভাবেই পাশে রাখুন। আমি সোনেলা ব্লগে নতুন। উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
প্রথমেই একটি কষ্টমাখা গল্প দিলেন। রজনীর জন্যে খারাপ লেগেছে। মেয়েটিও ভালোবেসেছিলো, কিন্ত জীবন সায়াহ্নে এসে তারযে কিছুই করার ছিলো না।
লিখুন নিয়মিত, পড়ুন অন্যদেরও। উঠোনের মেলে দিন নিজের সমস্ত আনন্দ-কথা।
শুভ কামনা 🌹🌹
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয় কবিবর। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতি।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার নামের আগে নৃ দিয়েছেন কেন? এটাকি নামের সংক্ষিপ্ত অংশ?
নৃ মাসুদ রানা
আমি নৃ শব্দটা ছদ্ম নাম হিসেবে ব্যবহার করি। ফেসবুক পেইজসহ সব স্থানেই আমার একই নাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালো লাগলো জেনে। আশা করছি ফেসবুকের মতোই ব্লগে লিখে-পড়ে আনন্দিত হবেন। ভালো থাকুন, আবারও শুভেচ্ছা। 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
বিয়োগান্তক লেখা,
এমন অপ্রাপ্তি লেখায় মন খারাপ হয়,
গল্পের উপস্থাপনা সুন্দর হয়েছে।
স্বাগতম আপনাকে সোনেলার উঠোনে।
নিজে লেখুন, অন্যদের লেখাও পড়ুন।
শুভ কামনা।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ হে প্রিয় কবিবর। সত্যিই আমি মুগ্ধ – আপনাদের এতো কাছাকাছি থাকতে পেরে।
জিসান শা ইকরাম
আমি ভাই কবি না 🙂
কবিতা বুঝিই না তেমন 🙂
নিতাই বাবু
কিছু কিছু ভালোবাসার মানুষ হঠাৎ এমন করেই মনের অজান্তে অনেক দূরে চলে যায়। যাখানে যায়, সেখান থেকে আর ফিরে আসে না। দুঃখ শুধু থেকেই যায়!
নৃ মাসুদ রানা
আসলেই সত্যি। মনেপ্রাণে আমরা যাকে খুঁজি – সে এভাবেই কোনকিছু না বলেই হুট করে বিদায় নেয় মনের জানালা থেকে।
মনির হোসেন মমি
সোনেলায় অভিনন্দন ও শুভ কামনা। গল্পের প্লট চমৎকার ছিলো। তাড়াহুরা ভাবে লেখার কারনে গল্পটি খুব সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে আরো ভাল হতে পারত। যাক লিখতে থাকুন সোনেলা পরিবারে রাফ খাতা মনে করে। এখানে সবাই আমরা একে অন্যের খুব আপন।লেখায় আলোচনায় সমালোচনায় আমরা অভ্যাস্ত, আশা করি লেখা প্রচারে ও মান উন্নয়ণে আমাদের সাথেই থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ হে প্রিয় কবিবর! এভাবেই পাশে রাখুন।
আপনার প্রতিও রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।
ইঞ্জা
স্বাগতম প্রিয় সোনেলার উঠোনে, আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি ভালো লেখেন, অনুগল্পটি অসাধারণ হয়েছে, আরও বেশি বেশি লিখুন ভাই।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ হে প্রিয় কবিবর! ভালো লাগলো আপনাদের কাছাকাছি থাকতে পেরে।
রেহানা বীথি
ছোট পরিসরে লেখা গল্পটি ভালো লাগলো পড়ে। শুভকামনা রইল।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ হে প্রিয় কবিবর। আপনার প্রতিও রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
মোহাম্মদ দিদার
গল্প পরতে খুব ভালোই লাগলো, খুব গুছিয়ে লিখেছেন।
শেষে কষ্ট দিতেও ছারলেন না।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ হে প্রিয় কবিবর। স্বার্থকতা….
বন্যা লিপি
ভালবাসার বিয়োগান্তক গল্প।উপস্থাপন ভালো লেগেছে।
সোনেলা উঠোনে স্বাগতম আপনাকে। লিখুন বেশি বেশি। সাথেই থাকুন আমাদের পরিবারে।
অনেক শুভ কামনা।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ হে প্রিয় কবিবর। অনেকঅনেক শুভকামনা রইলো।
বন্যা লিপি
আপনি তো গনহারে সবাইকে কবি বানিয়ে ফেলছেন! পেষ্ট করা মন্তব্যের জবাব ব্লগে দেবেন না প্লিজ্। কিছু তো আলাদা ফেসবুক আর ব্লগ!
নৃ মাসুদ রানা
আচ্ছা, ঠিক আছে।
শবনম মোস্তারী
সোনেলার উঠোনে স্বাগতম।
ব্যাথাতুর কাহিনীর গল্প, ভালো লাগলো ।
ভালোবাসার এটাইতো মহত্ব।
ভালোবাসার মানুষকে ঠকানো যায়না।
নৃ মাসুদ রানা
একদম ঠিক বলেছেন। ভালোবাসায় ফাঁকি চলে না।
আবরার হাসান
সত্যি ভাল লাগার মত একটা গল্প, গল্পটা পড়তেছি কেন জানি শেষ পর্যায়ে এসে মনের ভিতর কি অন্যরকম একটা অনুভুতি কাজ করেছে। ধন্যবাদ ভাই এমন একটা গল্পের জন্য।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ, আমি অনুপ্রাণিত। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
গল্পের প্লট ভালো। শুরুর দিকে কিছুটা তাড়াহুড়ো এবং অগোছালো মনে হয়েছে। আরো একটু সময় নিয়ে লিখলে আরো ভালো হতো বলেই আমার মনে হয়েছে।
হতাশ হবেন না, ব্লগারদের সমালোচনা ইতিবাচক হিসেবে নিবেন আশা করি।
আপনাকে ব্লগে স্বাগতম!
নৃ মাসুদ রানা
হুমম, অবশ্যই। আমি চাই আমার ভুলগুলো থেকে নতুন কিছু শিখি।
তৌহিদ
সুন্দর উপস্থাপনায় বিয়োগান্তক লেখা ভালো লেগেছে। সোনেলায় স্বাগতম। লিখুন নিজের মত করে।
সোনেলার নীতিমালা ভালো করে পড়বেন ভাই। সবার লেখায় মন্তব্য দেবার চেষ্টা করবেন।
শুভকামনা রইলো।
নৃ মাসুদ রানা
অবশ্যই মন্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আরজু মুক্তা
ভালোবাসাগুলো এমন কেনো? শুধুই কষ্ট দেয়।
নৃ মাসুদ রানা
ভালোবাসার প্রকৃত সুখ কষ্টের মাঝে-ই।
সঞ্জয় মালাকার
সোনেলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
সুন্দর উপস্থাপনায় বিয়োগান্তক লেখা ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা দাদা।
নৃ মাসুদ রানা
ভালো লাগলো। আশাকরি সবসময় পাশে থাকবেন। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।
সঞ্জয় মালাকার
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।