পুরা ফেইজবুক টাই কল্যাময়। ভাড়ামি বা এড়েমির একটা সীমা আছে। মানুষ পারেও! কোন একটা হুজুগ পেলেই তার পিছনে আন্দাজে দৌড়াবে। যদিও এ এচরিত্র বাংগালীদের নতুন নয়। হয়তো অনেকেই শামছুর রহমান এর “পণ্ডশ্রম” (কান চিলে নিয়েছে চিলে) কবিতাটা পড়েছেন। বাস্তবেও এরকমটাই হচ্ছে আজকাল।কোথাকার কান, কোথাকার মাথা!
পুরো ফেইজবুক কল্যা কাটার পোষ্ট এ ভেসে যাচ্ছে। অথচ আমার পরিচিত কিংবা ফেইজবুকের কারো পরিচিত কিংবা তাদের পরিচিত কারোরই কল্লা বিচ্ছিন্ন ভাবে পাওয়া যায় নাই। এর মধ্যে কিছু কিছু পোষ্ট এ গলা কাটা কল্লার ছবি বিভৎস ভাবে দেয়া হয়েছে। সেখানে জিজ্ঞেস করলে বলে ভাই ফেইজবুক থেকে নিয়েছি। জনমনে আতংক ছড়িয়ে কি লাভ পাচ্ছে কোন বিশেষ গোষ্ঠী তা মাথায় আসে না।
এর মধ্যে কয়েক যায়গায় শুরু হয়েছে ধরপাকড়। খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন যায়গায় অপরিচিত লোক দেখলেই সন্দেহ করা হয়। ক্ষেত্র বিশেষ গায়ে হাত, শারীরিক ভাবেও লাঞ্চিত করা হয়। এরই মধ্যে ঝালকাঠি, বরিশাল, নোয়াখালী এলাকায় ছেলে ধরা সনাক্ত করেছে সাধারণ জনগন। ইনবক্সে বিভিন্ন প্রকার ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে বিভিন্ন আইডি থেকে। একজনের এস এম এস রীতিমতো ভয়ংকর। লিখেছেন “ছেলেধরা পেলে পুলিশে দেবেন না, পিটিয়ে মেরে ফেলুন”! সত্যি ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
কারা গুলো রটাচ্ছে? কারা ফেইজবুকে কাটা মাথার ছবি ছেড়েছে? কারা ইনবক্সে প্রধানমন্ত্রীর নাম দিয়ে টেক্সট পাঠিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে? কারা বলছে পদ্মা সেতুতে ১ লক্ষ মাথা লাগবে? নতুন নতুন গ্রুপ খুলে এই সকল বিভ্রান্তি মূলক পোষ্ট কারা করে বেড়ায়?
তাদের সকলকে চিহ্নতি করা হউক। আইনের আওতায় আনা হউক। তাদের উদ্দেশ্য প্রকাশ করা হউক। জনমনে আতংক সৃষ্টি কারি, সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিনাশ কারি সেই সব ভূত গুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হউক।
১০-০৭-২০১৯
১০টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
এ ধরনের গুজব এ দেশে নতুন নয়। তবে শেষ পর্যন্ত এ সব গুজবের কোন ভিত্তি নেই।তবে যারাই এ সব ছড়াচ্ছে বা ছড়ায় শেষ পর্যন্ত তারা আতংক ছাড়া কোন ফলাফলই আর পান না। তাহলে এ সব করে লাভ কি?আমিও বুঝি না।
সিকদার সাদ রহমান
মানুষ এখনো মূর্খই রয়ে গিয়ে। কিছু করার নেই।
বন্যা লিপি
প্রথম দেখলাম একজন লিঙ্ক শেয়ার করছে। বরিশালে এক কল্লাকাটা নারীকে এক কিশোর বাচ্চা সহ আটক করেছে ব্যাপারটা বুঝিনি কিছু। কিছু পরে শুরু ফেইসবুকে এই কল্লাকাটা কাহিনী। মানুষ পারেও!!! সবচেয়ে সস্তা ইমোশনের জায়গা বেছে নেয়া এই ফেসবুক!
তোলপাড় চলছে একেকরপর এক ইস্যু নিয়ে
একটা পদ্মা সেতু বানাতে একলক্ষ কল্লা ঠিকই লাগবে…. যে কল্লায় জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনা ভরপুর ঠাঁসা। নইলে এতবড় পদ্মা প্রজেক্ট দৃশ্যমান হওয়া সম্ভব না।
শেষের কথাগুলো আজ বিকেলের সংবাদ থেকে সংগৃহীত।
সিকদার সাদ রহমান
যারা এই সব লিংক দিয়ে ম্যাসেজ পাঠাবে, তাদের চিহ্নিতকরণ করতে হবে। এরাই শত্রু।
জিসান শা ইকরাম
চিলে কান নিয়েছে, কানে হাত না দিয়ে দৌড়াচ্ছে চিলের পিছনে পিছনে।
মানুষের কিসের শিক্ষা আর কিসের বুদ্ধি? এরা বিশ্বাস করে ছাইদিকে চাঁদে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে কত লন্ড ভন্ড হয়ে গেলো ছাইদিকে চাঁদে দেখা নিয়ে। মানুষের কল্লা লাগবে পদ্মা ব্রীজে। বেশ কিছু মানুষ এটি বিশ্বাসও করে ফেলেছে। দক্ষিনাঞ্চলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফেইসবুকে দেখছি গত কয়েকদিন এই কল্লা নিয়ে লেখা লেখি। যদিও আমাকে ইনবক্সে কেউ এটি পাঠায়নি।
ফেইসবুক যে একটি হুজুগের প্লাট ফর্ম এই কল্লা তা আবার প্রমাণ করলো।
কবিতার বাইরে এমন পোষ্ট এই প্রথম দিলেন। সমসাময়িক এমন বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিলে ভালো হয়।
এমন পোষ্ট আরো আশা করছি।
শুভ কামনা।
সিকদার সাদ রহমান
ফেইসবুক আসলেই একটি হুজুগের কারখানা। এখানে মানুষ আসল নকল বোঝে না। যা পায় তাই খায়। আপনিই বলেন ব্রিজে কল্লা লাগবে, এটা কোন কথা!! আজব সব মানুষের বাস আমাদের বাংলায়।
শাহরিন
হা হা হা আপনি কিন্তু ফেসবুকের মানুষের মত ওই বিষয় নিয়েই লিখলেন। মানুষ এই সব বিষয়কে প্রাধান্য দেয় বলেই এসব গুজব দ্রুত ছড়ায়।কেউ বুঝে ছড়ায় কেউ না বুঝে এই আর কি।
শামীম চৌধুরী
এরা কি অমানুষ? নাকি ইচ্ছে করেই আমাদেরকে বোকা বানাচ্ছে। আর বোকাই বা হবো কেন? বর্তমান পৃথিবী কি সেকেলের আদলে চলছে। এক সময় শুনতাম শেওড়া গাছের নীচে যেও না পেত্নি ধরবে। পরে জানা গেল পেত্নি বলতে কিছুই নেই পৃথিবীতে। আর যারা শেয়ার করছে তারা কি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা?
ছাইরাছ হেলাল
শুনতে পেলাম, ইতমধ্যেই সে নাকি ধরা পরে গেছে!
দেখুন, যেখানে সাইদীকে চাঁদে দেখা যায়, সেখানে অনেক কিছুই হতে পারে।
আরজু মুক্তা
গুজব দ্রুত ছড়ায়।এটা যেখানেই হোক।কান কথায় বিশ্বাস না করে, নিজের চোখ কান খোলা রাখা উচিত।