কি খেয়েছিলে তোমরা?
আরে! ওখানের খাবার দাবার খুবই ভাল, অনেক ভালো ভালো খাবার দেয় আমি জানি।
কি হয়েছে? এখন কেমন আছে?
আরে তেমন কিচ্ছু না, শুধু হাত পা কেটেছে আর মনে হয় কোমড়ে ব্যাথা!! এই বয়সে সবারই একটু এমন হয়। তাছাড়া ওর এলোমেলো জীবনযাপন এর জন্য ও শরীর আর শরীর নেই। অল্প কিছুতেই কাবু হয়ে যায়।
এবার একটু ওকে বোঝাও, অনেক তো তোমরা এটা সেটা করলে, এবার একটু আল্লাহর নাম নাও।
তোমার দেবর গিয়েছে দেখতে অসুবিধা নেই।
আরে আমি যেতে চাইলাম কিন্তু সেই যে কোমড় ব্যাথা, অনেক কষ্ট হয় এখন থেকে ওখানে যেতে। কিছু খেলেই এর পরে আর নড়তে পারি না, কালও অসুধ খেয়েছি ব্যাথার জন্য। এর মাঝে ঘরের কাজ!! আর বাড়ির কে না গিয়েছে, তারপর নাম ধরে ধরে বলা শুরু….
ছোট জা এর কথা শুনে খুব খুশীই লেগেছিল, এই প্রথম বিগত ১০ বছরে একটু আন্তরিকতা দেখালো আপনের মত। কিন্তু ও জবাব দেয়ার আগেই যখন বড় জা উত্তর দিয়ে দিল তখন আর কথা বাড়ায় না পুস্পিতা। কি বলবে! মেয়ের বাবা টাকে হাসপাতালের বিছানায় রেখে এসেছে। অনেক এলোমেলো ভাবনা জড়িয়ে রেখেছে ওকে। কত কিছুই হতে পারতো! তেমন কিছু হয়নি এটা ভেবে খুশী হবে নাকি কত বড় বিপদ এসেছিল সেটা ভেবে বিচলিত হবে বুঝতে পারে না। ছোট্ট মেয়েটি যখন জিজ্ঞাসা করে কে ব্যাথা দিয়েছে বাবা কে? বাবা বাসায় কবে আসবে? চল বাবাকে নিয়ে আসি নয়তো ডাক্তার আবার ইঞ্জেকশন দিয়ে দিবে বাবাকে….তখন তো ওর জবাব কিছু থাকে না।
অথচ মনে মনে অন্য রকম সংলাপের আসায় ছিল সে, ভেবেছে সবাই মেয়ের বাবাটার কথা জিজ্ঞাসা করবে। কেন ৪ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে রাতে থেকেছে এর জন্য কিছু বলবে বা বলবে আজ আর যেও না, অন্য কাউকে বলি থাকার জন্য। হয়নি ওরকম কিছু। প্রতিবারই এমন হয় সে আর নতুন কিছু নয়।
বাসায় ফিরে মেয়ের আর মেয়ের বাবার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আবার ছুটে চলা শুরু ।
একটা শ্লোক আছে,বাপেরা চৌদ্দ ভাই, বাপ না থাকলে কেউ নাই।
মানুষের একা চলার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ। বাবা মায়েদের উচিৎ সন্তানদের স্বাধীন ভাবে চলার অনুপ্রেরণা দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা। তাহলে জীবনের কঠিন পথও সহজে পাড়ি দেয়া যায়।
১৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
একা চলা শিখে নেওয়া ভালো। বাপেরা চৌদ্দ ভাই থাকুক আর না থাকুক, বাপ না থাকলে কেউ থাকে না।
শাহরিন
আপনি তো সুন্দর করে বলেছেন, আমার তো মনে হয় ঝামেলা এড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে বাবারা ও গা ঢাকা দেয়।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! সব বাবা মার বা অভিভাবকের উচিত সন্তান্দের স্বাধীন বা একাচলার অভ্যাস করানো।
শাহরিন
ধন্যবাদ ভাইয়া সহমত এর জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের বাস্তবতা যে কখন কোন কঠিনতম রূপ নিয়ে বিনা নোটিশে হাজির হয়ে যাবে
তা আমরা আগে থেকে জানলেও বুঝতে পারি না। স্বার্থপরের মত জীবন আমাদের ছুটিয়ে নিয়ে যায়
বন্দর থেকে বন্দরে, নিরুপায়-অস্তিত্ব নিয়ে শুধুই ঝুঁকে যাওয়া ঝুলে থাকা।
আমরা আসলেই একা এবং একা, এই একাকেই সব কিছু সামলে নিতে হয়/হবেও।
কেমনে লিখলেন! তাই ভাবছি!
লিখতে গিয়ে আমার কলম তো এগুচ্ছে না।
শাহরিন
ঠিক প্রতিক্ষনেই নতুন চ্যালেঞ্জ, তবে কেন একজনেরই সব খারাপ অভিজ্ঞতা থাকে এই হিসাব মিলাতে পারি না। আপন বলেই কলমের এই অবস্থা।
মনির হোসেন মমি
আপনার লেখাটা জীবনের জন্য খুবই শিক্ষণীয়।আসলে তাই একদিনতো একা হতেই হবে তাই আগেবাগে প্রশিক্ষণ নেয়াই উচিত।সুন্দর লেখা।লিখুন আরো।
শাহরিন
অনেক উৎসাহ পেলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
মানুষের একা চলার অভ্যাস অবশ্যই রপ্ত করা উচিৎ,
বাবা মা যেন সন্তানকে এভাবেই বড় করেন।
পুষ্পিতা পেরেছে এবং পারবে এমনি একা ছুটে চলতে,
আস্থা আছে।
লেখার মাঝে প্রত্যয় দীপ্ত এক পুষ্পিতাকে দেখতে পাচ্ছি।
শুভ কামনা।
শাহরিন
কোন জবাব নেই, কারণ এই জবাবের উত্তর ও তুমি জানো।
রাফি আরাফাত
একা চলাটা খুবই দরকার,কারণ এখন তো আবার চলার জন্য সিরিয়াল লাগে। হাহা।।ভালো লেগেছে লেখা।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সঞ্জয় মালাকার
হুম ঠিক বলেছে, ভালোলেগেছে।
শুভ কামনা ।
শাহরিন
ধন্যবাদ
তৌহিদ
মানুষের একা চলার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ। বাবা মায়েদের উচিৎ সন্তানদের স্বাধীন ভাবে চলার অনুপ্রেরণা দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা। তাহলে জীবনের কঠিন পথও সহজে পাড়ি দেয়া যায়।
এরপরে আর কিছু বলার থাকে না।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পজিটিভলি পড়ার জন্য।