সময়ের গল্প

শাহরিন ১৪ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, ০৩:৫৯:১৩পূর্বাহ্ন গল্প ২১ মন্তব্য

একসময়ঃ মালিহা প্রচুর জনসমাগম এর ভিতর দাড়িয়ে ভাবছে কেন যে একটু আগে বের হলাম অফিস থেকে! রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে হবে এখন কি হবে? প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওর অফিস ছুটি হয়, ইচ্ছে করেই আরো একটু দেরি করে বের হয় কারণ বস খুশি হবে আর পরের বছর ইনক্রিমেন্ট ও বেশী হবে আর তারচেয়ে বড় কারণ ওই সময় অনেক ভীর থাকে লোকাল বাস গুলো তে। সিটিং সার্ভিস বা সিএনজি তে কবে চড়েছে মনে নেই ওর। এভাবে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো? আর মানুষ গুলোই কেমন কোন ছাড় দিচ্ছে না কেউ কাউকে। আহা! ওই লোকটা এটা কি করলো! জানালা দিয়ে কেউ গাড়ি তে উঠে? তাও আবার লেগুনার জানালা। অসম্ভব আমাকে দিয়ে হবে না। তারচেয়ে হেঁটেই যাব বাসায়, লাগুক দুই ঘন্টা। রাস্তার ফুটপাত ধরে হাঁটা শুরু করলো আর ভাবলো ভালই হয়েছে গাড়ী ভাড়া তো বেঁচে গেল।

অন্য সময়ঃ মালিহা আমাকে না বলে বের হয়ো না কিন্তু, মালিহা বললো আরে ভেবনা অত, আমি ম্যানেজ করে নিব বলে জানিয়ে দিল পতিদেব কে ঘুমানোর আগে। সকালে বের হওয়ার জন্য ব্যস্ত মালিহা, মেয়ের স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা, ঠিক বের হওয়ার আগ মূহুর্তে পতিদেব এর ফোন আসলো মুঠোফোন এ। গাড়ী কিন্তু আমি নেইনি গেইট এর সামনে অপেক্ষা করছে, তোমার সিরিয়াল আসার আগ পর্যন্ত  গাড়ীতেই থেকো বাইরে অনেক রোদ। মুঠোফোনে কথা বলা শেষে একটু হাসলো মালিহা এই ভেবে যে পতিটা আসলেই তার জীবনে দেবতুল্য।

কখনো এখানেই শেষ এটা ভেবে মন খারাপ করা ঠিক না, আমরা কেউই জানিনা আমাদের জন্য বিধাতা কী রেখেছেন। একদিন সব ঠিক হবে এটা না ভেবে আজকের সময়টা সঠিকভাবে কাজে লাগালে তৃপ্তি পাওয়া যায়।

১১৮৮জন ১০২৩জন
0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ