‘আপনার তো খালি উপলক্ষ হলেই হয়’
কবির কথা যায় না ফ্যালা!! চলুন যাই এবার উপলক্ষের খোঁজে।
উছাস উছলে রাঙ্গা পিরান গায়ে চাপিয়ে সুগন্ধি তেলে টাক মেখে, ঢাউস বাহারি টুপিতে টাক লুকিয়ে,
ঢ্যাঙ্গা ঠ্যাং এ সরু জিনস বাগিয়ে হেলে দুলে মেলায় যাইরে ভাঁজতে ভাঁজতে বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গণে
উপলক্ষের খোঁজে। থিক-থিকে গিজ-গিজে বেজায় ভিড়ে বাজে গরমের দুর্বিষহতা থির থির করে কাঁপছে,
এই ঘোর অপরাহ্ণে-ও। যথেষ্ট জেল্লা না ছড়িয়েই এ মাথা ও-মাথা কয়েক পাক দেয়া শেষ।
কিন্তু উপলক্ষ!! কোথায়? কোথায় সে পামর/পামরী?
আসুন এবার কল্প-রাজ্যের চিন্তা-বিহারে।
১.
কিন-কিনে রিনরিনে কণ্ঠে ভেসে ভসে এলো……….বৈশাখের,
* এখানে-ও!! ইচ্ছে কী!! (শয়তানি হাসি চোখ-জুড়ে)
** কিচ্ছু না, এই একটু উপলক্ষকে খুঁজছি।
* বটে!! (শয়তান এবার দাঁত দেখাচ্ছে/খেলাচ্ছে/কেলাচ্ছে বিশ্রী ভাবে) নূতন খেলা বুঝি!!
** কথা না বলে কৃত্রিম চোখ পাকালাম,
* এখন আর ভয় পাই না, বলে দিব কিন্তু সবাইকে ……… সেইইইইইইই সব কথা,
** পাড় কুঁদলি, একটা!!
২.
বৈশাখ বলে
* আর টেকা গেল না!! হামলে পড়তে হলো!! ভীমরতি আর কাকে বলে!!
কালে কালে শেষ কাল তাও মনে থাকতে চায় না!!
** ইয়ে, মানে উপলক্ষকে খুঁজছি!!
আবার ন্যাকামো!! একটু পরেই দেখব ইনিয়ে বিনিয়ে তিল কে তাল/বেল না, কচু সাজিয়ে পটপট করে সোনেলায় নামিয়ে দিচ্ছে। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে, আর কত আজগুবি ফালতু লেখা আমাদের খেতে হবে!! আর দেখতে ইচ্ছে করে না, তা কত করেই না বলি, কে শোনে কার কথা!! ভণ্ড-বক-তপস্বী!! ফের যদি প্রেমের প্যানপ্যানানি দেখি তা হলে কিন্তু খবর আছে!! টগবগ করে প্রেম!! এখান থেকে না ভাগলে কিন্তু খবর আছে।
** মনে মনে গান গাচ্ছি, তারায় তারায় রটিয়ে দেব…………
৩.
বৈশাখ হ্যাসকা টানে দিঘীর পাড়ে নিয়ে গেল,
* সত্যি করে জানতে চাই, এখানে কী!!
** ছুঁয়ে বলছি, কিচ্ছু না, উপলক্ষকে খুঁজি!!
* মুখের কিছুই আটকায় না!! হায়রে মিথ্যার কী এক দারুন বেসাতি!! ছোঁবে-না বলছি।
এই বুকে কান রেখে দেখ তো কোন ঝড়ের শব্দ পাও কী-না!!
** (মিথ্যেতেই বলেছি) কৈ!! না তো কিচ্ছু শুনতে পাচ্ছি না।
এরপর শুধুই ইতিহাস, কাঁদা মাখা অবস্থায় গলির ঘুর অন্ধকার পথে আপনাদের সোনেলায় এসে সব সত্যি বললাম, উপেক্ষার সাথে দেখা হওয়া হলো-না আর!!
২৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
ভাগ্যিস আপনার উপলক্ষ্যের সাথে দেখা হয়নি !! নইলে এই লেখা রঙ্গিন গরম বৈশাখের প্যানপ্যানানি প্রেমের কবিতা হয়ে যেতো। হায়রে প্রেম ! মানুষকে আর মানুষ থাকতে দেয়না…… 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এত্ত ক্যামনে জানেন!!
এত পণ্ডিত হওয়া ঠিক না, ঠিক না।
গরুমে বৈশাখের খোঁজ পেয়ে গেছেন!!
মানুষরা ভাল হয় না, কবিরা আরও খারাপ।
প্রহেলিকা
আমি পত্থোম
ছাইরাছ হেলাল
সে তো দেখাই যাচ্ছে!! এত্ত সোজা না।
প্রহেলিকা
এটা কোনো হলো, এখানেতো স্বজন বলে আপনাকেই জানি, আর সেই আপনি…..
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জানায় কোন ভুল নেই, তবে তার পর ও কথা থেকেই যায়।
প্রহেলিকা
মন্তব্য পরে, বৈশাখের উছিলায় ঘাপ্টি মারছিলেন। আইসা দিলেন রম্য। এটা তো হবে না, দেয়ার কথা ছিল ঘাপটিকাব্য, দিলেন রম্য!
ছাইরাছ হেলাল
আগে আপনার হিসেব দাখিল করুন, পরে অন্য কথা।
প্রহেলিকা
এই লেখাতেই ঘাপটিকাব্য সংযোজন করেন। কবিদের জন্য এ কোনো ব্যাপার না। আমরাটাতো আপনার পরে আসবেই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার উপলক্ষ থেকেই তো এটি লিখতে হলো।
নাহ্, এই মুহূর্তে নূতন কিচ্ছু সংযোজন করতে পারছি না।
প্রহেলিকা
রম্য লেইখা হাসাইবেন সবাইরে! হাসি নিয়া আছে কিছু একটা।
ছাইরাছ হেলাল
কাউরে হাসানো এত্ত সোজা না, সে চেষ্টা-ও করি না।
প্রহেলিকা
লেখা কিন্তু ভালো লাগছে। ধরা দিবে না দিবে না করে খালি। খুনসুটিতে মাতেও তাও আবার আপনার মতো লেখকের সাথে! নাকানিচুবানি যে দেননি আপনি সেটাই তার ভাগ্য। প্রেমের প্যানপ্যানানি হলেও কিন্তু পাঠক এসব প্যানপ্যানানিই বেশি পছন্দ করে/করি।
তা একটা মাত্র শব্দ ধরে এতো বড় লেখা নামাইলেন! আপনার সামনে শব্দ ব্যবহারে বহুত সতর্ক হইতে হবে বুজছি। দীঘির পাড়ে আরও কিছু বাকী ছিল মনে হচ্ছে। দীঘির পাড়ের গল্প লেখা যেতে পারে এবার। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকি আপাতত।
তালি দিচ্ছি, দুইদিন ঘাপটি মেরে থাকলেও মাফ এবারের মত।
ছাইরাছ হেলাল
এমন ও তো হতে পারে পছন্দ করি বলছে, অপছন্দ চেপে রেখে!!
যাক ব্যাপার না, জোয়ার আটকান বাঁধ কারো কাছে ই থাকে না।
আচ্ছা, শব্দ ব্যাবহারে সতর্ক থাকবেন, ভালো কথা, শব্দ ব্যাবহার তো করবেন!!
দেখা যাক, পরের পর্বে কী আসে কে জানে।
আমরা তো আমরাই।
প্রহেলিকা
“এমন ও তো হতে পারে পছন্দ করি বলছে, অপছন্দ চেপে রেখে!!”
এত্তোবড় কথা কইলেন, মুখে মধু অন্তরে বিষ ভাবেন আমাদেরকে। প্রতিবাদ জানাইলাম। বিধি আমায় ছাড়া রঙ্গ করার আর মানুষ পাইলা না!
ছাইরাছ হেলাল
আমার কথা আমারেই ফিরাইয়া দিলেন!!
এ জন্যই বলি কবিরা খুপ খ্রাপ হয়।
প্রহেলিকা
সবই কপি পেস্ট চলে এই জামানায়। কবিরা তো এদিকে আরও একধাপ এগিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
ওহ! এই কথা শেষ কালে!!
মনির হোসেন মমি
ভাল লাগল কেবল মেলায় যাইরে।মনডারে নিয়া গেলে কচি বয়সে।
প্রহেলিকা
বুড়া হইলেন কবে আবার আপনি!
মনির হোসেন মমি
হা হা হা ..ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আহা কচি!! আহা জীবন।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই ১৯৮৮ সালে পূজোর সময় একবার গৈলা গ্রামে গিয়েছিলাম। তো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন বসেছে। তো মাইকে বলা হলো, এবারে কৌতুক পরিবেশন করবেন অমুক। কে না কৌতুক ভালোবাসে! আরোও ভীড় বাড়লো। তারপর একটা শহুরে ছেলে মাইকে বলে যাচ্ছে, আমরা সবাই অপেক্ষা করছি এতো সময় নিচ্ছে কেন? যখন ধন্যবাদ বলে মাইক ছাড়লেন, উপস্থিত সকলেই বলাবলি শুরু করলো, “কৌতুক না বলেই নেমে গেলো!”
এতো কথার পরে না বললেই নয়, কুবিরাজ ভাই রম্য ভালোই হয়েছে। উপলক্ষরে খুঁজে পেলে জানাবেন কিন্তু! “নাতি খাতি বেলা” পার কইরেন না যেনো!
ওহো শুভ নববর্ষ 🙏
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অভিজ্ঞ জন, আপনাকে তো জানাতেই হবে,
শেষে আবার কী না কী ঘটে যায়!!
আপনি যখন ভাল বলছেন জোর দিয়ে তখন আর কে কাকে পায়!!
বানিয়ে বললেল আপনার বলা ভাল হয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বানিয়ে কি বললাম!!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো কবি তাই!! কত কিছুই বলেন, না বলে।