আমি তো গাইয়াই!!

আলমগীর ২৫ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ০৯:৩৪:১৬অপরাহ্ন এদেশ ৩ মন্তব্য

বিবর্তনবাদের মাধ্যমে টিকে থাকার জন্য সকলপ্রাণীকূলই প্রয়োজনীয় অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করেছে। অন্যথায় সেইসকল প্রাণীকূলের নাম বিলুপ্তদের নামের তালিকায় পাওয়া যেত। কিন্তু মানুষের নির্লজ্জ্বতা, স্বাভাবিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতাবোধ যদি অতিমাত্রায় অভিযোজিত হয় তাহলে সামিজিকীকরণের স্বাভাবিক ধারা, মানুষের মূল্যবোধ, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ  ইত্যাদি শব্দগুলো বিলুপ্তদের তালিকায় খুঁজতে হবে ।

বয়স সাত বা আট তার চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভাবনা কোন ভাবেই নেই। এই বয়সের একটি শিশুকে যদি টিকে থাকার জন্য চলন্ত গাড়ীর শ্রমিক হিসাবে পরিবারের উপার্জক হতে হয় তাহলে তো আমাদের বিবেচনা বিলুপ্তদের তালিকায় খোঁজা ছাড়া আমি কোন উপায় দেখি না। আবার যাত্রী হিসাবে আমাদের ব্যবহারও খুব অদ্ভুত; সব সময় ওদেরকে ধমক দিয়ে আমরা যে ভাবে তুই তোকারী করছি তাতে ওদের আত্ম মর্যাদাবোধ অর্জন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এক সময় এই আত্মমার্যাদাহীনতা থেকে মাস্তান, ছিনতাইকারী, চোর-ডাকাত ইত্যাদি নামের অসামাজিক জীবে পরিণত হবে। তার জন্য আমরা দায়ী করি বা করব সমাজের নানান গোষ্টিকে, অথচ আমি আপনিই যে তার এই পরণতির জন্য দায়ী, সেটা বেমালুম ভুলে যায়। আমরা অতি সহজেই ভুলে যায় যে উক্ত শ্রমিকের এক অর্থে কাঁধে চড়েই  আমি আমার সন্তানের কাছে ফিরে যাচ্ছি, আমাদের সন্তানদের স্বপ্ন ছোঁয়ার সাহস দেখায়। অত:পর সন্তানকে নিজের হৃতপিন্ডের কাছে টেনে নিয়ে পারলে নিজের প্রাণটা খেলনা বানিয়ে তার হাতে তুলে দেই, যাতে সে খেলে আনন্দ পায়। আমাদেরকি একবারও মনে হয়না ঐ শিশুটিও আরেকজন বাবার সন্তান অথবা আরেকজন মায়ের সন্তান।

আমার কথাগুলো কি কাঁচা দেখেন, আমার আবেগগুলো কত অর্থহীন দেখেন। এই Corporatization এর যুগে এইসব কথা কখনও কেউ ভাবে? আমার এই ভাবনা থেকে বুঝলাম  আমি একটা গাইয়া, গ্রাম থেকে ঢাকায় বেশ কয়েকবছর হলো এসেছি অথচ ঢাকাইয়া হতে পারলাম না গাইয়াই রয়ে গেলাম।

আমি তো গাইয়াই!!

১০০৪জন ১০০৪জন

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ