পহেলা মে আন্তর্জাতিকভাবে শ্রমিকের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে একটি সংগ্রামের ঐতিহাসিক দিন। যে দিনে শ্রমিকরা আটঘন্টা শ্রম দেওয়ার জন্য আন্দলন করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এই দিনে পুজিবাদি মালিকরা শমিকদের কিভাবে ব্যাবহার করছে! এই দিনে তাঁদের গলায় মালা, লাল ক্যাপ দিয়ে মিটিং, মিছিল করছে পক্ষান্তরে এই শ্রমিকরা যখন তাঁদের দাবী আদায়ের আন্দোলন করছে পুজিবাদী সরকার, কলকারখানার মালিকরা লাটীপেটা করছে নিজস্ব বাহীনি, সরকারী বাঁ বিভিন্ন সন্ত্রাসী দ্বারা। , ছি! ছি! কি অবাক করা কান্ড তাই না।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ” শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তাঁর পারিশ্রমিক পরিশাধ করুন।”
মে দিবস পৃথিবীর অনেক দেশে পালিত হয়। কিন্তু ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানে পালন হয় না। আমেরিকা কানাডা শ্রমিক নির্যাতনের কাহিনী পালন করে না। পালন করার প্রয়োজন আছে বলেও আমি মনে করি না কারন তাঁদের অধিকারই দিচ্ছিনা, দিন পালন করা বেহায়া লজ্জা সরকারীভাবে। শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছেনা, অধিকার দিচ্চছে না, যোগ্য শ্রমের মুল্য দিতে পারে না আবার সরকারকে শ্রমিকের পক্ষে বড় বড় কথা বলা বাহুল্যই।
শ্রমিকের ঘায়ের রক্তের টাকা দিয়ে অবৈধ প্রেমিক্কে মারকা মারা গাড়ী বাড়ি দিচ্ছে , রংবেরঙের গাড়ীতে চলছে অথচ যে শ্রমিকের প্ররিশ্রমের বিনিময়ে চলছে, সেই শ্রমিকের ভাগ্যের উন্নতি হচ্ছে না, বাঁ শ্রমের মুল্যটুকু দিতে কারপন্য করে, এদের কাছে থেকে দেশই কি পাবে দশই কি পাবে??
এবার আসি মে দিবসের কাহীনি জানি।
১৮৮৬ সালের পহেলা মে দিবসে যুক্তরাস্ট্রের শিকাগো শহরেরর হে মার্কেটে ৮ ঘণ্টা শ্রমদিনের দাবীতে আন্দোলন রত শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হলে ১১ জন শহীদ হয়। শ্রমের মালিক শ্রমিক তাঁদের শ্রমের ন্যায্য দাবি না দেওয়া প্রতারণা। এটা দাস প্রথার মতই একটি বিষয়, যা আমাদের দেশে এখন বিদ্যমান। দাস প্রথায় শারিরিক নির্যাতন হত এখন, হয় মানসিক, ভয়ভ্রিতি প্রদর্শন করে এটা না করলে বেতন কাটব, রাতদিন নায় শ্রম দিতে হবে। অবশ্য আমাদের মাঝে অভাবের জ্বালায় অনেক ৮ বাঁ ১০ ঘন্টায় প্রশ্রম করতে বাধ্য হয় কারন বাসা ভাড়া, বাচ্চাদের স্কুল খরচ, বাবা-মাকে টাকা দেওয়া প্রভ্রিতি কারনে আমরা শ্রম বিক্রী করি।
তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন, অন্যএকজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ বলেছিলেন, “আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে”। ২৬ শে জুন ১৮৯৩ ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি।
এটা থেকে বুঝা যায় খমতাশীনরা অলয়েজ ধান্দাবাজ মানুষ দেখানো কাজ করে। তথ্য প্রকাশ করে না।
এইদেশে শ্রমিকরা দুই বাঁ তিন বেলা খেতে পায়না, ঠিকমতো পরনের কাপড় পায়না, অথচ এই শ্রমিকের পরিশ্রমের কাজের জন্য কলকারখানার মালিকরা, তাঁর সন্তানেরা দেশে দেশের বাহিরে আরাম আয়েশে দিন যাপন করছে। আর শ্রমিকের সন্তানেরা খেতেই পায়না।শ্রমিকদের নিয়ে শুধুই তামাশাই করে পুজিবাদীরা।
আমাদের দেশে বামরা আরো ধান্দাবাজ তাঁরা শুধু নিতি আদর্শের আন্দোলন করেই যায় কোন কাজ হয়না।
সে যাইহোক, সকল শ্রমিকের ন্যায্য দাবী পূরণ হোক, দুনিয়ার সকল শোষিত, নিষ্পেষিত মানুষ সুস্থ থাক, তাঁদের সকল অধিকার পাক, সকল শ্রমিকের পক্ষ থেকে ও সোনেলা ব্লগের পক্ষ থেকে সেটাই কামনা করি।
তথ্য সংগ্রহঃ উইকিপিডিয়া ।
১৫টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
একদম সহমত ।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
বাবু
১৮৮৬ সালে আমোরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আটঘন্টার কাজের দাবীতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল।
সেই থেকাই সারাবিশ্ব সহ আমরাও পালন করে আসছি মহান মে দিবস । আসলে এই দিবসটি নিয়ে যারা মে মাস আসতেই দিবসটি পালনের জন্য বেনারে, পোস্টারে মিলে মিলে গিয়ে শ্রমিকদের আহবান করে, তারা সম্মানিত ব্যক্তিরা কী কখনো শ্রমিকদের দিকে ফিরে তাকায়? তার উত্তর কী হবে, না।
সম্মানিত দাদা, পৃথিবী জুড়েই চলছে আমাদের মতো অসহায় দিন্মুজুরদের নিয়ে তেলেসমাতি খেলা। এই খেলায় তাঁরাই হয় জয়ী, আমরা হই পরাজিত । তবুও দাদা আমরা তাঁদের কাছে সবসময়ই অসহায় আর মাথা নত করে থাকতে হয় । সম্মানিত দাদা, আমাদের জয় হবে কবে? এবং কখন ।
ভালো লিখেছেন দাদা, আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা দাদা এই শ্রমিকের আন্দোলন শেষ হবার নয়, পুজিবাদীরা নিপাত জাবেও না।
ছাইরাছ হেলাল
দিবস দিবসের কাছেই থাকে,
শ্রমিক শ্রমিক-ই থাকবে বঞ্চিতদের কাতারে দাঁড়িয়ে!!
ভাল হয়েছে লেখাটি।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা সহমত।
আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় বড় ভাই।
ইঞ্জা
যথার্থ লিখেছেন ভাই, এই মে দিবস আসলেই লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা ভাই লোক দেখানই।
ইঞ্জা
(y)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সুন্দর একটি পোষ্ট।সহমত পুরোটার সাথে -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ মনির ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
মে দিবস শুধু একটি দিবস হিসেবেই পালিত হয়, আর কিছু না।
ভালো লিখেছেন মজিবর ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ নীলা আপু।
গাজী বুরহান
অসাধারণ লেখাটি ফেবুতে শেয়ার না করে পারলাম না।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বুরহান ভাই।
-{@