শিরদাঁড়া, জানু ও শেষে নধর গালে হাত বোলাতে বোলাতে ঘ্রাণ নিচ্ছি তরতাজা কুমারী বইয়ের,
ভাবছি শেষ পর্যন্ত পড়িয়েই ছাড়লে!! না পড়লে কী এমন হতো! পড়েই বা কী এমন হয়!! কিছু একটা হয় হয়তো!!
তবে হ্যা, চমক-ফমক ছিল, ছিল জানা-অজানা কলাকৌশল, এত্ত শিখে-ফিকে কোথায় কী এমন ফলাব!!
তার থেকে এইতো ভাল…………
ছিপ ফেলে ঠায় দাঁড়িয়ে, বসে বা আধশোয়া হয়ে অপেক্ষায় থাকি,
এলো বুঝি ধাড়ী বা চিক্কন কোন মৎসরাণী,
মাছ না এলেও আসবে, এমন ভাবি,
নিত্য নিত্য নূতন চার দেই, চার ফেলি;
যাই আবার অন্য কোথাও, অন্য কোন এক নদী-পুকুর খুঁজি,
মাচা পাতি চার বানাই, চারা দেই।
বই-ফই আর পড়বো না ভাবছি
কানামাছি কানামাছি, বইয়ের নিকুচি;
চুপ চুপ, একদম চুপ,
হেসোনা হেসোনা বাঁকা দাঁতের দেঁতো হাসি
কাগজ-কলমের এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়
স্বীকার করেছি পরাজয়, হার মেনে নিয়েছি।
বইয়ের পীনবুকে কলমিছুড়িতে আঁক আর কষি না,
জ্যোৎস্না অব্দি জেগে থেকে নেশারু হয়ে ছুড়ি উন্মত্ততায়
পীনোন্নত পুঁথির বুকে বসে বসে ‘কোবতে’ আর লিখিও না।
বিষণ্ণতার বরফকুচি চোখে ঢেলে বই-টই আর পড়িই না।
২২টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
ধাডী বা চিক্কন মৎসকুমারীর অপেক্ষায় থাকার চেয়ে কুমারী বই পড়া অনেক ভালু।
ইস..এত সহজে হার মেনে নিতে হয় !
নাকি তব পরাজয়ে মোর পরাজয় :p
কোবতে ভাল হয়েছে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আপনার সংগ্রহ থেকে দু’একটি দিলে পারতেন,
নেড়েচেড়ে দেখতাম!
পরাজয় আমাদের হয় ই, মানি আর না মানি।
ভাল হলেই ভাল, ভাল থাকুন আপনিও।
নীলাঞ্জনা নীলা
“রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত- যৌবনা- যদি তেমন বই হয়।”—-সৈয়দ মুজতবা আলী কি বলে গিয়েছেন আবার আরেকবার পড়ুন। শুনুন কুবিরাজ মহাশয় চারখানা বই ক্রয় করিলাম, আহা কি আনন্দ! 😀 \|/
লিখুন লিখুন! 😀
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা, পড়মু, লিখমুও।
কী কী ক্রয়ে নিলেন তা কিন্তু বলেননি!
নীলাঞ্জনা নীলা
শ্বেতপদ্ম – তবারক হোসেন
সত্যবতী ট্রিলজি – আশাপূর্ণা দেবী
হিরে বসানো সোনার ফুল – সমরেশ মজুমদার
আজও কন্যা – তিলোত্তমা মজুমদার
ছাইরাছ হেলাল
তবারক হোসেন ও তিলোত্তমা মজুমদার পড়িনি,
পড়ুন পড়ুন, পড়ে পড়ে আমাদের একটু ভাগ দিয়েন।
নীলাঞ্জনা নীলা
তবারক হোসেন বিমানবাহিনীতে উইং কমান্ডার ছিলেন। শ্বেতপদ্ম বইটি উনার দ্বিতীয় উপন্যাস। আসলে বইটি একাত্তরের সময়কার গল্প। সেই সময়ের মানুষের জীবনের গল্প। যদিও বইটি পড়া শুরু করিনি। আমিও উনার লেখা আগে পড়িনি কখনো। মাঝে-মধ্যে আমি এক্সপেরিমেন্ট করি অজানা-অচেনা লেখকের বই নিয়ে। সেভাবেই এটিও কিনেছি।
আর তিলোত্তমাকে তো চেনার কথা! উনি তো ‘দেশ’-এ লিখতেন ধারাবাহিক। আর তাছাড়া অনেক ভালো বই আছে উনার, পুরষ্কার পেয়েছেন। আমার প্রিয় একজন লেখিকা হয়ে গেছেন। আপনি ‘বসুধারা’, ‘একতারা’ আর ‘রাজপাট’ অন্তত এই তিনটি বই পড়বেন। তাহলেই বুঝবেন দারুণ লেখেন।
ছাইরাছ হেলাল
এদের কিছু পড়া হয় নি, এখন উপন্যাস পড়ছি না।
অন্য পড়ার জন্য। পড়ে চেষ্টা করে দেখব,
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক আছে চেষ্টা করেই দেখবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা,
ইঞ্জা
বাহ দারুণ লিখেছেন, ভালো লাগলো ভাইজান। (y)
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ,
জিসান শা ইকরাম
সবাই কেবল মৎস রানী খোঁজে, মৎস রাজা নেই বুঝি পানিতে?
এই বয়সে আর বই পড়তে হবেনা, যা পড়েছেন তার কি হবে?
মস্তিস্ক থেকে ছুড়ে ফেলবে কে?
যাই হোক, কবিতা ভাল হইছে, যদিও কবিতা আপনি লেখেন না।
ছাইরাছ হেলাল
রাজা-ফাজাদের এখন আর বেইল নেই, সবই রাণীময়,
ছুঁড়ে ফেলা যেমন সম্ভব নয়, বহনের ঝামেলাও ম্যালা।
ল্যাহা চালু থাকবে,
আবু খায়ের আনিছ
বই পড়া ছাড়বেন কিনা জানিনা, কিন্তু কুবি কবিতা লিখবে না তা হয় না। লিখতেই হবে।
ছাইরাছ হেলাল
পড়া আর ল্যাহা কিছুই ছাড়ুম না,
চলবে,
মেহেদী হাসান
বই পড়া ছাড়বেন না। ভালো অভ্যেস। আমি এখনও অবসরে বই পড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, পড়বো বেশি করে।
মোঃ মজিবর রহমান
অরে বাপরে এত্ত পণ!!!
আবার তাজা মোটাধাড়ী মৎস্যকুমারীর/রাণীর খোঁজ কেন এই বয়সে ঘরে মন টেকেনা বই পড়তে ইচ্ছে না গল্প লিখুন কবিতা লিখুন
হেসোনা হেসোনা বাঁকা দাঁতের দেঁতো হাসি
কাগজ-কলমের এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়
স্বীকার করেছি পরাজয়, হার মেনে নিয়েছি। ফোকলা দাতের হাসি নয়নে পড়ে বাধা।
ভাবুন পরের জীবন নিয়ে ভাল লাগবে দাদা। ভচাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, লেখা-পড়া বাড়িয়ে দিতে হবে,
বুঝতে পেরেছি।
নিহারীকা জান্নাত
বই ফই না পড়লে এত সুন্দর কবিতা লিখবেন কিভাবে?
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আপনি বুড়ো মানুষ, আপনার কথা তো ফেলতে পারি না, ঠিক ও হবে না,
বই-ফই পড়া বাড়িয়ে দিচ্ছি।