তুমুল এক গাছি সহসা খোশ-খবরে জানাল
এক গাছ আমার জন্য পাঠিয়েছে এক হাঁড়ী শিশিরসকালের
মিষ্টি মিষ্টি রসাল রস,
গাছি নই, গাছও আমার ছিল না, নেই ও;
গালেহাতে বা বকপায়ে ভেবেছি, ভাবছি।
কোথায় কী এমন হলো, কোন্ গাঙে বানজল এলো!!
উপচে পড়ার আনন্দে!!
দিনান্তে মধুরসের পায়েস আর রসচিতৈ খাইয়ে-দাইয়ে,
উপরি হিসেবে নলেন গুড়ের সন্দেশ!!
অবাক হয়েছি, হইও নি, হবোই বা কেন?
বিকেলশেষের আলোতে চকচকে গাছে
পিছলে পড়ছে আলো, ফোটা ফোটা মধু গড়াচ্ছে
হাঁড়ি উপচাতে!! সংজ্ঞাহীন ব্যঞ্জনায় অটুট বন্ধুত্বে,
দেখা হবে
আবারও কোন এক ধ্রুপদী সন্ধ্যালোতে
বা অকপট জ্যোৎস্নাতে;
২৬টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
রসাল রস! আহা, কতদিন দেখিনি! তা এই গাছিটা কে! কোনভাবে যদি এত্তু পাওয়া যেতো…।
বকপা! তা কতক্ষন ভাবা যায়!! শরীরের ভার সইবেতো!!!
আঁধার বা আলোতে, দেখা হোক তার সাথে …।
ছাইরাছ হেলাল
গাছির খবর বলা নিষেধ, এ রস-ফস সবার জন্য না, সবার জন্য হয় ও না।
পাকনা রস আমরা খাই ই না!!
সইবে সইবে, মহাশয় বলে কথা,
দেখা হতেই হবে,
মোঃ মজিবর রহমান
কতদিন কতকাল জোটেনি ভাগ্যে
যদি পেতাম খেতাম মনের রসে ।
ছাইরাছ হেলাল
পাবেন পাবেন, পেয়ে যাবেন,
ব্যাপার না।
মিষ্টি জিন
এই কোবতে তে কি মন্তব্য করবাম একটু কই দিলে ভালু হইতো।
একখান গান শোনেন
যদি বন্ধু হও , যদি বাড়াও হাত…..,., হাসি মুখ তুলে রাংগা সূর্য বলবে সুপ্রভাত।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ বাহ্, বেশ বেশ, মন্তব্যও লেইখ্যা দেতে হবে!!
আইচ্ছা, শুনুমনে।
মিষ্টি জিন
হপে না আবার,
আমরা হইলাম শুকনা খটখটা রেন্ডি কাঠ
এত রসলো গাছ না গাছির মন্তব্য কেমনে করি?
বন্ধুত্ব টিকে থাকুক যুগ যুগান্তর ধরে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খটখটা না থেকে একটু চকচকা হলেই তো হতে পারতেন
বিরাট লিখিয়ে, চেষ্টা- চরিত্র দ্রুত শুরু করে দিন,
টিকুক, টিকুক!!
জিসান শা ইকরাম
এমন বন্ধু পাওয়া আজকাল ভাগ্যের ব্যাপার।
রসের পায়েস, রস চিতৈ এরপর আবার সন্দেস! এ যে দেখছি রসিয়া বন্ধু এসে হাজির, তা যদি একটু ঠিকানা টিখানা দিতেন, বন্ধুত্ব না হলেও খানাপিনা তো করা যাইত।
বন্ধুতা টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকানা দিয়ে রস তো ভাল, গাছটি খুইয়ে ফেলার ঝুঁকি নিচ্ছি না।
তবে খানাপিনা চালু থাকতেই পারে।
টিকুক টিকুক!!
মিষ্টি জিন
ঠিকানাটা আমার ও একটু দরকার ছিল কিন্তু
আপনি দেখছি হাড়কিপটে মশাই। :p
ছাইরাছ হেলাল
সে কিপ্টে বলুন আর যাই বলুন, ঠায়-ঠিকানা দেয়ার কম্মটি
হবেই না।
আবু খায়ের আনিছ
তুমুল এক গাছি সহসা খোশ-খবরে জানাল
এক গাছ আমার জন্য পাঠিয়েছে এক হাঁড়ী শিশিরসকালের
মিষ্টি মিষ্টি রসাল রস,
গাছি নই, গাছও আমার ছিল না, নেই ও;
এক গাছ আমার জন্য পাঠয়েছে এক হাঁড়ি শিশির সকালের……. লাইনটা কেন জানি আমার কাছে একটু খটকা মনে হয়েছে। এক হাঁড়ি খেজুরের রস পাঠিয়েছে তা বুঝলাম, এক গাছ পাঠিয়েছে মানে গাছ আপনার জন্য দিয়েছে, আর সে তা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে। কিন্তু গাছ পাঠিয়েছে এই কথাটার সহজ কোন অর্থ হয় না বলেই আমার মনে হয়।
খেজুরের রস তো জ্বাল দেওয়ার পর রসালো হয়, আগে তো পানির মতই থাকে তবে মিষ্টি বটে।
যাহোক, পিঠা পায়েস খাচ্ছেন, সোনেলায় নিমন্ত্রণ দিয়েছেন কি?
ছাইরাছ হেলাল
না, এমন করে ভাবলে অর্থ নেই ই। সব কিছুর অর্থ হয় ও না।
তবে গাছটিকে মানুষ ভাবলে ভিন্ন কিছু ভাবা যেতেই পারে।
‘শিশির সকালের’ না কিন্তু শব্দটি, ওটি শিশিরসকালের লিখেছি।
অবশ্যই নিমন্ত্রণ সবাই ই পাবে।
আবু খায়ের আনিছ
আচ্ছা
নিমন্ত্রণ কবে পাচ্ছি, তর যে আর সইছে না।
ছাইরাছ হেলাল
সবুরে নাকি অনেক কিছু হয়, দেখা যাক কী হয়!!
আবু খায়ের আনিছ
অপেক্ষা, তয় মেওয়া নাহি চাই।
ছাইরাছ হেলাল
দেখা যাক কে কী চায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এসব ঠিক না। ইস চিতই পিঠা চোখে ভাসছে। আহা আমার মামনি বানায় কি দারুণ!
আমি অবশ্য খেঁজুরের রস খাই না। \|/
কি যে সব কুবিতি লেখেন কুবিরাজ ভাই। নতূন বছরে এমন কিছু লেখা দেন না যাতে মাথা চুলকানো না লাগে ^:^ 😀
নতূন বছরের শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও নূতন বছরের শুভেচ্ছা,
খেজুরের রস না খেলে অন্য রস ট্রাই করুন!!
লিখব লিখব অবশ্যই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শীতের এমন পরিবেশ শহুরে আকাল।বড়ই আফসোস সেই দিনগুলো কই।গাছিটা যে কে বলা যাবে একটু -{@
ছাইরাছ হেলাল
সে সব দিন আর অবশিষ্ট নেই এখন,
বলা নিষেধ,
মৌনতা রিতু
আনিছ, সে গুড়ে বালি। পিঠা আর খাওয়া হচ্ছে না।
কুবি ভাই সবুর করাইতে করাইতে মোগো চুলও নাই কইরা ফালাইব।
আমিও কিন্তু গাছ কাটতে পারি। ঠিলাও ঝুলাইতে পারি। তাও পায়ে ফান্দি পইরা।
পর্থম কাটার রস, টলটলে খেজুর রসের গুড়ের পিঠা। সেই সব এখন শুধুই স্মৃতি।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আপনি ই সেই গাছি কি না সত্য কইরা কন।
মৌনতা রিতু
এই তো তীর নিষানে লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
কয় কী কয় কী!!