কথায় আছে পৃথিবী রহস্যময়। এর রূপ যতোটুকু প্রকাশিত, তারচেয়ে দ্বিগুণ/ত্রিগুণ অপ্রকাশিত। আবার এও বলা হয়ে থাকে নারী রহস্যময়ী। কিন্তু আমি বলি পৃথিবী কিংবা নারী নয়, মানুষ সবচেয়ে বেশী রহস্যময়তায় ভরা। কারণ আমরা নিজেকেই নিজেরা চিনিনা, অন্যদেরকে চেনা কিভাবে সম্ভব? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যতোই বলে যাননা কেন, “আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী!” সেই বিদেশিনীর নাম, পরিচয় আর ঠিকানাই জেনেছেন, কিন্তু তার অন্তর্সত্ত্বার সম্পূর্ণ রূপ কি চিনতে পেরেছেন? এই চেনা-অচেনা নিয়ে কতো কিভাবে যে মনের আবেগ প্রকাশ করেছেন আমার এই বুড়ো! একবার বললেন “চিনিলে না আমারে কি!” আবার এও বললেন,
“চেনা ফুলের গন্ধস্রোতে ফাগুন-রাতের অন্ধকারে
চিত্তে আমার ভাসিয়ে আনে নিত্যকালের অচেনারে।।”
আহা!! এতো কিছু কথা কেন? কারণ আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে একটা দ্বৈতসত্ত্বা বসবাস করে। রহস্য তৈরীর প্রধান কারখানা হলো মস্তিষ্ক। আমি জানিনা সৃষ্টিকর্তা মনে হয় ওই মস্তিষ্ক তৈরীর সময় ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন, আর ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখলেন হায় হায় সময় তো একেবারেই নেই! তাড়াতাড়ি করে মস্তিষ্ক তৈরী করে বসিয়ে দিলেন মানুষের শরীরের উপরে। কাজের কাজ কি হলো, এমন প্যাঁচের জ্বালা নিয়ে মানুষ একবার প্রেমে পড়ে, আরেকবার হার্টফেলও করে। মস্তিষ্ক বলে “এই এখুনি ওই কাজ কর” মানুষ সেটাই করে। আবার বলে “তোর প্রেমে ওইজন পড়েছে, তুই ওকে পাত্তা দিসনা।” ব্যস হয়ে গেলো, কেউ ডুবে, কেউ সাঁতরায়, কেউ ভাসে, কেউ গাছে উঠে, কেউ মানুষ খুণ করে আর কেউ বাঁচাতে গিয়ে মরে। আহা মস্তিষ্কের কি খেল! আচ্ছা এ খেলা মস্তিষ্কর নাকি ‘আমার আমি’র?’ এখন নিশ্চয়ই সবাই ভাবছেন আসলে কি মাথামুন্ডু নিয়ে বলছি! আরে আমার নিজের মাথাতেই তো কাজ করছে না আসলে আমি কি বলতে চাইছি? মস্তিষ্ক নাকি দ্বৈতসত্ত্বা?
অনেক বেশী বকর-বকর করে ফেলছি। অবশ্য সাধে কি আর নাম দিয়েছি “এলোমেলো কিছু কথা?” আমাদের সকলের একটা দ্বৈতসত্ত্বা আছে, যার সাথে আমরা কথা বলি, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। এই দ্বৈতসত্ত্বা যতোটা উপকার করে, ঠিক ততোটাই অপকারও করে, তবে পরিমাণে দ্বিগুণ। কিভাবে? খুব রাগের সময় নিজের সাথে যে গজগজ করি তাকে আরোও উস্কে দেয়। কিন্তু একতরফা কিংবা দুই তরফা ভালোবাসায় ডুবে গেলে তখন কিন্তু ওঠায় না। মাঝে-মধ্যে যদিও ভুলবশতঃ বলে ফেলে, তবে তার পাওয়ার একশ’তে মাত্র দশ। একটা কথা না বললেই নয়, এই দ্বৈতসত্ত্বাই নিঃসঙ্গতায় সঙ্গ দেয়। মানুষ হয়তো সে কারণেই একেবারে পিনপতন স্তব্ধতার মধ্যেও জীবন কাটাতে পারে। কিন্তু দ্বৈতসত্ত্বাকে যখন সৃষ্টি করা হয় নতূন এবং আলাদা একজন মানুষ হিসেবে, তখন যে ভয়ঙ্কর এক সমস্যা তৈরী হয়, যার থেকে নিজেকে কখনোই মুক্ত করা যায়না। নিজস্ব ওই সত্ত্বাটা একজন মানুষ হয়ে লাভের চেয়ে বিশাল ক্ষতি করায়। যেমন আমি একজন, আমার ভেতরে যে একজনের বাস, তাকে আরেকজন হিসেবে বানিয়ে নিজের সামনে এনে দাঁড় করালাম। তখন আমি যা কিছু অন্যায় করবো, আমার তৈরী সেই একজন সেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে। হাজারও ভুল করলেও আমাকে সাপোর্ট করবে। কিছুতেই আমায় পজিটিভ হিসেবে কিছু ভাবতেই দেবে না। এমনকি যারা আমাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে, তাদের সব কথাতেই মনে হবে তারা আমার শত্রু। কোনো একটা গল্প থেকে একটা সিনেমা তৈরী হয়েছিলো। আর আমি দেখেছিলাম সেখানে নায়ক কোনো একজন মানুষকে খুণ করে এসে পরের দিন সকালে ভুলেই যেতো যে তার হাতেই একজন খুণ হয়েছে। নাহ তার ভেতরে কোনো অশরীরি না, আসলে সেই দ্বৈতসত্ত্বাই আরেক রূপে তারই মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে চলেছে। আজকাল ইন্টারনেটে অনেকেই কিন্তু বিভিন্ন আইডি খুলে থাকেন বিভিন্ন নাম দিয়ে। এটা একধরণের অসুস্থতা। শুধু তা-ই নয় এই দ্বৈতসত্ত্বা নিজের ক্ষতি তার অগোচরেই করে থাকে। তারুণ্য বয়সে বোঝা যায়না, কিন্তু জীবনের এমন এক সময়ে এসে ওই সত্ত্বা নিজের সামনে দাঁড়ায়, যা কিছুতেই স্বস্তি এনে দেয়না। আবার অনেকে একই সাথে অনেকের সঙ্গেই আবেগ নিয়ে খেলে, সেটাও ওই দ্বৈতসত্ত্বারই কাজ। এই সত্ত্বা যে নিজের জীবনেরই ভিলেন সে কথা যতো তাড়াতাড়ি বুঝে নেয়া যায়, জীবনের জন্য ততোই মঙ্গল। অনেক লেকচার দিলাম। আর বেশী সময় নেবো না। পূর্ণেন্দু পত্রীর “কথোপকথন” কেউ পড়েননি, এমন মানুষ অন্তত খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুভঙ্কর আর নন্দিনী, আহা!
-তুমি আজকাল বড় সিগারেট খাচ্ছ শুভঙ্কর
-এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি । কিন্তু তার বদলে ?
-বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো?
-খেয়েছি।
===========================
তারপর,
-কি করছো?
–ছবি আকঁছি।
–ওটা তো একটা বিন্দু।
–তুমি ছুঁয়ে দিলেই বৃত্ত হবে। কেন্দ্র হবে তুমি। আর আমি হবো বৃত্তাবর্ত।
–কিন্তু আমি যে বৃত্তে আবদ্ধ হতে চাই না। আমি চাই অসীমের অধিকার।
–একটু অপেক্ষা করো। . . . এবার দেখো। …………………………………………………………………………………..
–ওটা কি আঁকলে? ওটা তো একটা হৃদয়।
–হ্যাঁ, এটা হৃদয়। যেখানে তুমি আছো অসীম মমতায়, চিরন্তন ভালোবাসায়। এবার বলো আর কি চাই তোমার?
–সারাজীবন শুধু ওখানেই থাকতে চাই।
শুভঙ্কর-নন্দিনী পূর্ণেন্দু পত্রীর-ই দ্বৈতসত্ত্বা যদি বলি, ভুল হবে কি? লেখালেখির জগতে আমার কাছে কল্পনা মানেই নিজস্ব একটি সত্ত্বা। এই সত্ত্বা কখনো অপকার করতে জানেনা। কারণ এর বাস নিজের মধ্যেই, আলাদা একজন হিসেবে স্বীকৃতি নিতে জানেনা সে। সে-ই লিখিয়ে নেয় যখন যা আমি চিন্তা করি, আবার সম্পাদনাতেও সাহায্য করে। সে-ই ধরিয়ে দেয় দোষ এবং গুণ। সবশেষে এই কথাটি না বললেই নয়, নিজস্ব সত্ত্বাকে আরেক রূপে সৃষ্টি করতে যাওয়াটা বোকামী যেমন, আর তার ফলাফল স্বরূপ জীবনের চরম ক্ষতির সম্ভাবনা ৯৯.৯৯%। একেবারে একা হয়ে যেতে তো হবেই আর স্বস্তিও কোথাও, কোনোকিছুতেই পাওয়া যাবেনা।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ইং।
৩২টি মন্তব্য
অরুনি মায়া অনু
না বিরক্ত হইনি, তবে মাথা আউলায় গেছে। ভাবছি মস্তিষ্ক নাকি আমার আমি। চিন্তায় ফেলে দিলেন দেখছি। লেখাটিতে অনেকগুলো বিষয় চলে এসেছে। হয়ত আপনার কথাই ঠিক নিজ অস্তিত্বকে হারিয়ে যেতে দেওয়া ঠিক নয়। দ্বৈততা কখনোই ভাল কিছু বয়ে আনেনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখাটিতে অনেক বিষয় তো নেই, দ্বৈতসত্ত্বা সম্পর্কীয় উদাহরণ টেনেছি।
আমাদের মস্তিষ্ক কতো যে খেলা খেলায়, সে আমরা নিজেরাও জানিনা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বুঝলাম না, আপনি দ্বৈতসত্তার পক্ষে বললেন না বিপক্ষে!
পূর্ণেন্দু পত্রীর দ্বৈততা হলে ঠিক আছে, আমাদেরটা হলে সমস্যা এটি বুঝিয়ে দিন, প্লিগ লাগে,
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার বয়স বেশী হয়ে গেছে, বুড়িয়ে গেছেন, তাই বোঝেন না। শিশু আর বুড়োদের বেশী বুঝতে নেই। :p 😀
দ্বৈতসত্ত্বার পক্ষ-বিপক্ষ নেইনি। বুঝছেন কুবিরাজ ভাই? 😀
আবু খায়ের আনিছ
কোন মন্তব্য হবে না, এলোমেলো কথা শুনতেই ভালো লাগে।
নীলাঞ্জনা নীলা
হায় হায় মন্তব্যহীন ভালো লাগা? ;(
আবু খায়ের আনিছ
এলোমেলো কথা দিনকে দিন, যে ক্ষুরদার হচ্ছে, তাতে আর এলো থাকছে না, সবই যেন কোথাও না কোথাও গিয়ে নাড়া দিচ্ছে। যেখানে শুধুই অনুভব আর উপলব্দি করা যায় , কিছু বলা যায় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া মাথার ভেতর আউলা-ঝাউলা ভাবনা সবসময় মাকড়শার মতো জাল বুনেই চলে।
কি যে মুশকিল, উফ! ^:^
ব্লগার সজীব
এলোমেলো কথা পর্ব একশ, এমনটি দেখছি মোবাইল ভিউতে। আমার মাথা তো চক্কর দিয়েছে দেখে, ৯৯ টা পির্ব হয়ে গিয়েছে?! কিন্তু ৯৯ তম পর্ব তো দেখলামই না। পিসিতে এসে বুঝলাম এটি একশ নয় একুশ :p
হুম দিদি, আমাদের দুইটি সত্ত্বাই আসলে। হ্যা এবং না দুটোই থাকে আমাদের মাঝে, যেটি শক্তিশালী হয় সেটিই আমাদের পরিচালিত করে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই সেরেছে! ১০০ আদৌ হবে কিনা, কে জানে!
ভাভু বাইয়া এক কথা দিয়েই পুরো লেখাটি দারুণভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এজন্য আপনাকে -{@
ব্লগার সজীব
কি যে বলেন দিদি, এলোমেলো কথা ১০০ কেন হবে না? আমি যদি লেখা আরম্ভ করি তো একশত কোন ব্যাপারই না 🙂
পর্ব শুরুই হবে ১০০ দিয়ে। এরপর ৯৯-৯৮-৯৭ চলতে থাকবে। দেখলেন তো আমার কত্ত বুদ্ধি :p
নীলাঞ্জনা নীলা
সাধে কি আর আমার ভাভু বাইয়া ভাবনা-চিন্তায় ইজ দা বেষ্ট বলি! 😀 তাহলে আগামী বাইশতম পর্ব ১০০ দিয়েই শুরু হবে ঠিক আছে? 😀
এত্তো বুদ্ধি নিয়ে সুস্থ আছেন কিভাবে ভাভু বাইয়া? ;?
শুন্য শুন্যালয়
আমি নাই আর এই সুযোগে যাচ্ছে তাই লিখে সবার মাথা খারাপ করে দিতেছো তাইনা? কী লিখছো? এইডা কোন লেখা হইলো? গরররররর ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
মোটেও এইটা কোনো লেখা হয়নি। তুমি নাই দেইখাই তো মাথা আউলা-ঝাউলা হইয়া গেছিলো।
ওই মাইয়া তুমি যে কি সুন্দর! আহারে কবে যে সামনা-সামনি দেখবো তোমায়! তবে অষ্ট্রেলিয়া আসবো এ জীবনে, এটুকু কনফার্ম। 🙂 -{@
শুন্য শুন্যালয়
তুমি তোমারে চেনো? তোমার মধ্যে তুমি, আবার সেই তুমির মধ্যে তুমি। এই তুমি তুমিতে একদিন আমি গায়েব হয়ে যায়, তখন আমি বাদ দিয়ে খালি তুমি তুমি করে লোকে। অথচ তুমি তখন যে তুমিতেই নাই সেইডা তুমি বোঝেনা। তুমি তুমি করো বলো আমিও আমি বাদ দিয়া খালি তুমি তুমি করি, তুমিরে চিনি অথচ আমি বেচারা ঘাপটি মেরে মেরে একদিন গাঙে ভাইস্যা তুমিতে বিসর্জন দেয়। তুমি এইসব আউলা ঝাউলা লেখো বইল্যা আমি এখন হাড়ে হাড়ে তুমিরে চিনি। খালি আমি ভুলে গেছি, তুমি বড়ই রহস্যময় 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মনু এইটা কি কইলা? ^:^
আমার মাথা-মুন্ডু কিছুই তো কাজ করতাছে না! ^:^
কি লেখা লিখছি, কি কইতে চাইছি নিজেই তো আউলাইয়া ফেলছি।
“হে ভগবান একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!” 😀
আহ এইবারে চরম শান্তি অভিশাপ দিতে পাইরা। 😀
ইঞ্জা
মাথা ঘুরান্টি দিচ্চে, মাথা ঘুরান্টির ইমো বাবাজি কই, আমি কই এইরাম লাগে ক্যারে, আমার দৈত্য না দ্বৈত কি কয় হে আমিই ঘুরান্টি দিচ্চি, এই মোটা মাথায় কিচ্চু প্রেবেশ কচ্চে না। ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাই এই যে এমনভাবে এই নাম ধরে যে ডাকলাম, মাথা ঘুরান্টি নির্ঘাত থেমে যাবে।
হ্যান্ডপাম্প ভাই
হ্যান্ডপাম্প ভাই
হ্যান্ডপাম্প ভাই
হ্যান্ডপাম্প ভাই
হ্যান্ডপাম্প ভাই
হ্যান্ডপাম্প ভাই
হ্যান্ডপাম্প ভাই
হ্যান্ডপাম্প ভাই
===============কি মাথা ঘুরানো বন্ধ হয়েছে? 😀 :D)
ইঞ্জা
আমি বেহুঁশ হলাম। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
আজব! আপনি বেঁহুশ হয়েই থাকেন। আর কুনু অষুদ নাই আমার কাছে। অখন কুবিরাজ ভাইয়ের কাছে গিয়া কুবিতা শুনেন। 😀
নীরা সাদীয়া
এই দ্বৈত স্বত্বা না থাকলে মানুষ বাঁচতে পারত না। সেই আপন সঙ্গী।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই সত্যি কথা বলেছেন। তবে দ্বৈতসত্ত্বার অধীনস্থ হয়ে গেলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবেনা। এটাও সত্যি।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মিষ্টি জিন
আপু পড়লাম ..একবার না দুইবার। মনে হইলো তুমি কুবিরাজের রাস্তায় হাটছো। ^:^
যা বুঝলাম, বাহির বলে দূরে থাক ভিতর বলে আসুক না…ভিতর বলে দূরে থাকুক বাহির বলে আসুক না …
মাথা আউলা লেখা ভালু হইছে। :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু তোমরা ব্লগে আসোনা, মাথা তো আমার আউলানোরই কথা। তাও যে নিজের নামখানা মনে আছে, সেটাই তো ঢের। কুবিরাজ ভাইয়ের রাস্তায় আমি!!! ও গো কে কোথায় আছো, আমারে বাঁচাও, বাঁচাও, বাঁচাও!
নামখানা শুনেই আমি সুস্থ হয়ে গেছি।
আর আউলানো লেখা লিখবো না। 😀
মিষ্টি জিন
কাজের মেয়েটা দেশে চলে যাওয়াতে একটু এলোমেলো হঁয়ে পড়েছি , তাই ঠীক মত আসতে পারছিনা সোনেলায়। তবে এখন সামলে নিয়েছি।
কুবিরাজের মত তোমার এই পোষ্টটাও অনেক সহজ ছিল :p
ভাল থেকো সোনা। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
সামলে যখন নিয়েছো, পোষ্ট দাও।
বাপ্রে কার নাম নিলে এটা? আমি ডরাই কুবিরাজ ভাইরে। পালাই পালাই। \|/
জিসান শা ইকরাম
দ্বৈতসত্ত্বা সবার মাঝেই বিরাজ করে,
কেউ বুঝি কেউ বুঝি না,
কেউ আবার বুঝতে চাইও না।
কত লেখা পড়া বাকী, ধীরে ধীরে সব পড়ে ফেলবো।
ভাল থাকিস,
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা হুম অনেক দিন পর আমার লেখায় তোমার মন্তব্য।
ধন্যবাদ না, ভালুবাসা দিলাম। -{@
সুস্থ হয়ে যাও, এখন এতো বেশী স্ক্রিনের সামনে থেকোনা।
জিসান শা ইকরাম
খুব কম আসি তো।
দুটো পোষ্টের কারনে এসেছি, তবে ল্যাপির স্কিনে তাকাতে পারিনা এখনো ভাল ভাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সুস্থ হয়ে যাবে নিশ্চিত।
নিজের খেয়াল নিও।
মৌনতা রিতু
এতো কিছু নিয়ে ঘুমাও ক্যামনে? প্রকৃতি নিয়ে, সৃষ্টি নিয়ে ভাবছ খুব। তুমি এতো সুন্দর করে এই বিষয়টা নিয়ে লিখে ফেললে! আমি কি লিখব ^:^
এই মিশরকন্যা কেমন আছ বলো? তুমি জান, আরো একটা কারনে তোমাকে মিশরকন্য্যা বলি, তা হলোঃ মিশরের সভ্যতা সব থেকে পুরনো সভ্যতা। আর যে জাতি যত বেশী সভ্য সে জাতী ততো বেশী সুন্দর ও বুদ্ধিমতী ও বুদ্ধিমান।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘুমাতে পারিনা তো! কতো কি হাবিজাবি মাথার ভেতর কিলবিল করে গো শান্ত-সুন্দরী।
আচ্ছা কবে থেকে নিয়মিত হবে? ধুত্তোর ভালো লাগে না।
আপু গো অনেক কিছু লিখি এই প্রকৃতি নিয়ে। তবে মনে মনে। সবসময় লিখে রাখতে পারিনা। লেখার জন্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হলো প্রেম ও প্রকৃতি। বুঝেছো? 🙂
ব্লগে সেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছিনা, তাই ভালো লাগেনা। চলে এসো। শুন্য আপুটাও যে কোথায় গেলো। 🙁