পৃথিবী থেকে শৈশব আমার বিলীন হয়েছে,
জীবন থেকে হয়েছে অতীত।
এই অনেক বছরের পরিভ্রমণের পরেও
সেই সুখ অনুভূতি আমি ভুলিনি।
স্বর্গীয় আলোয় মোড়ানো,
সবুজের সতেজতায় ভরা, আমার শৈশব।
জীবনের মায়াময় সেই দিনগুলোতে,
এ বেলায় এসে স্মৃতির আলো ফেলি।
দিনমান ছুটোছুটি, এ গাছ ওগাছ, মাটির পাতিল, রান্না-বান্না, চড়ুইভাতি, পদ্ম পুকুরে ঐ শ্যাওলা জলে ভাসিয়েছি যত নৌকা,
হাওয়ায় ভেসে তীরে ভীড়েছে কিছু, কিছু ডুবেছে জলে। নরম সবুজ দূর্বাঘাসে পা দিয়েছি যখনি, শিশির দিয়েছে আলত আদর।
হেঁটে গেছি চুপিসারে, ঐ প্রজাপতির পিছে,
আউশের ফসল কাটা মাঠে, নাড়ার ঐ মড় মড় আওয়াজে শব্দ খুঁজেছি অনেক।
পাখিরা গেয়েছে আনন্দের গান, মেষের ছানা লাফিয়েছে মেঘমুক্ত ঐ আকাশের সাথে।
আমি ঘুরেছি এ পথ ও পথ।
ঘূর্ণায়মান বাতাসে, অস্তায়মান সূর্যের ক্লান্তিতে ফিরেছি তবে ঘরে।
ঐসব ঐশ্বর্যে ভরা সুখ স্মৃতিতে,
আজও এক সতেজ প্রান খুঁজি আমি,
বরষায় ভেজা ঐ দূর্বাঘাসের মতো।
২৩টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
স্মৃতির খসড়ায় পড়ে থাকা নিজেকে খুঁজে নেয়ার প্রয়াস। এ ঠিক খুঁজে নেয়া বলা যাবে না। বলা যেতে পারে পেছনে তাকিয়ে দেখা। দিন দিন নিজেকে নুতন করে আবিষ্কার করা, একটি নতুন দিনে নিজেকে নতুনরূপে দেখা। পুরোনো সবকিছু বিলীন হয় না বলে আমরা সময়ের নাও’য়ে বহুদূর এসেও সেই শৈশব খুঁজি।
ভাল লাগলো কবিতা।
মৌনতা রিতু
বিলীন হয় না বলেই অতীত ঘাটি।
এ অতীতে যতো সুখ স্মৃতি সবই সোনার আলোয় ভরা।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
লীলাবতী
ভাল হয়েছে রিতু আপু। শৈশবের আলোক উজ্জ্বল দিনগুলোকে ভুলে থাকা যায়না। সে আলো খুঁজে ফিরি আমরা এই বয়সে এসেও। আহা স্মৃতিময় শৈশব 🙁
মৌনতা রিতু
আসলে ভুলে থাকা যায় না সেই সব স্মৃতি।
ভালবাসি সেই সব দিন আমার।
লীলাবতী
এমন স্মৃতি কথা মুলক লেখা আরো চাই আপু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বাদর ছিলেন মনে হয় এমন স্মৃতিময় পদ্য চির স্বরণীয় (y)
মৌনতা রিতু
বাদর মানে :p সেই বাদর ছিলাম। আমি যে সংসারি হব এটা তো তখন কেউ ভাবতেই পারেনি। অথচ আজ কতো শান্ত আমি ! 🙂
লিখব একদিন অবশ্যই।
মিষ্টি জিন
শৈশবের সেই সোনালি দিন, আহা যায় কি ভোলা।
এই মধ্যশেষ বেলায় এসেও শৈশবের স্মৃতি হাতরে বেড়াই।
ভাল লেগেছে আপু।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ আপু তোমাকে। ভাল থেকো। এমন হাসির সখ পূরণ লেখা দাও না আপু। মোরা না তোমার সোনা আপু। :p
মিষ্টি জিন
রীতু ,তুমি দেখি আমার কুবি প্রতিভায় অভিভুত।এই রকম পোষ্ট বার বার দিলে মডুরা আমাকে ঝাডু পেটা করবে। :D)
সামনে কোরবানি তো তাই মাংস রান্নার রেসিপি নিঁয়ে আসছি।
ভালো থেকো সোনা । (3
নীলাঞ্জনা নীলা
“সে কি আর যায়রে ভোলা
মালির ওই পিটনিগুলা!” এ কবিতার মাঝে আমাদের শৈশব কি এখনও নেই? কিংবা “আমি হবো সকালবেলার পাখী…।”
ওই সময়ের থেকে একটুকুও সরিয়ে নিতে পারা যায়না।
কারণ ওই সময় আমাদের এখনও হাসায় একলা একা দুপুর কিংবা ব্যস্তহীন সময়ে।
আপু কবিতা তো জব্বর।
মৌনতা রিতু
মালির হাতে দাবাড় খাইনি। কারণ সবই ছিল কিয়াম মামার দখলে। দেখাশুনা মামাই করত। সকাল বেলা তো চুরি করে খেজুর রস খাইছি। গাব গাছ থেকে গাব পেড়ে খাইছি।
হাসায় আবার লজ্জাও পাই। কি দুষ্টুমিই না করেছি :p এমন কোনো কাজ নেই যে করিনি।
ভাল থেকো আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি কিন্তু খুব লক্ষ্মী মেয়ে ছিলাম।
শয়তান তো হয়েছি এখন। :p 😀
শুন্য শুন্যালয়
বাহ, খুব সুন্দর হয়েছে কবিতা। সতেজ প্রাণ কিন্তু আমি খুঁজে পেয়েছি, যা অই স্মৃতির আলোর চাইতেও বহুগুণ শক্তিশালী। তোমার কলম। যা ফ্রেমে বন্দী করছে সব স্মৃতি, দুর্বাঘাস, শিশির, প্রজাপতি, ফসলের মাঠ, শৈশব। যে মন স্মৃতির জানলায় ঘুরে আসে যখন তখন, সেই সবুজ চঞ্চল প্রাণই সতেজ অই বরষার দূর্বাঘাসের মতো।
কবিতা ভালো হয়ে যাচ্ছে কী করে ভাবীজান? ;?
মৌনতা রিতু
ননদিনী দেখছে, নীলা আপু অভিভাবক হইছে, কলম না চলে যায় কি করে !
ভাল থেকো। তোমার ছেলের ছবি কিন্তু সেভ করেছি। তোমাকে না বলেই।
শুন্য শুন্যালয়
আরে ভাতিজার ছবি সেভ করবা আমাকে বলতে হবে কেন?
নীলাপু কলম দৌড়ানি দেয় বুঝি!! হ্যাঁ হ্যাঁ ননদিনীর দেখার গুন সবার উপ্রে 😀
লেখা কই আর?
মৌনতা রিতু
😊💕 -{@
ছাইরাছ হেলাল
আলোয় মোড়ানো স্মৃতিময়তা দেখতে ভালই লাগে,
বর্তমানে দাঁড়িয়ে সবুজ স্মৃতিতে চোখ ফেলে ভবিষ্যতের মায়াজাল বোনার আনন্দই আলাদা।
খুঁজে পেলে জানান দিয়েন।
মৌনতা রিতু
তাই তো স্মৃতিতে আলো ফেলি। জানামু নে। অপেক্ষা করেন।
ক্রিস্টাল শামীম
আপনার কবিতা পড়ে, এখনকার পোলাপাইনের পোড়া কপাল আমার চোখের সামনে বসছে ,,,, স্মৃতিনিয়ে কবিতা সবসময়ই ভালহয়। তা যদি আপনি লেখেন। :c
মৌনতা রিতু
আসলে এদের দেখলে আমারও মায়া হয়।
যান্ত্রিক জীবন এদের।
ভালথাকুন।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
স্মৃতিচারণ কবিতা ভালো লাগলো।
স্মৃতিচারণ করতে গেলেই আমি কাতর হয়ে পড়ি।
মৌনতা রিতু
এই তো জীবন। আল্লাহ্ সবার জন্য হয়ত কোনো না কোনো কিছু ভাল রেখেছেন অবশ্যই।
তবুও ভাল ও হাসিখুশি থাকবেন।
শুকামনা।