তোমার অদৃশ্য উপস্থিতির পরশ লাগে গায়ে
তোমাকে ছুঁয়ে আসে যে বাতাস,
তাঁতে কোনো শব্দ নেই, আছে শুধু শীতল পরশ।
রেল লাইনের ঐ পথে দিগন্তের ঐ কোনে, তোমার অনুভবে,
স্বর্গীয় এক আনন্দ ছুঁয়ে যায় আমায়।
আমার ছুঁয়ে যাওয়া বাতাসে আছে রক্তিম উত্তাপ,
তপ্ত হবে তুমি।
এ সবুজ পৃথিবীও শীতল করতে পারেনি এ তপ্ত বাতাস।
শুধু বর্ষণ হলেই শীতল হবে এ বাতাস।
বর্ষণ হলে, কাল মুখি ঐ মেঘ তার মালিন্য মুখে মুক্ত ঝরা হাসি দিবে, আকাশে নীলাভ ছড়াবে।
তৃষ্ণার্ত ফুলেরা আজ নেচে উঠেছে, শান্ত শুকোনো নদী ও আজ বড়ই চঞ্চল।
আজ মেঘ গর্জন করবে, আকাশের নীলিমা হঠাৎ পালাবে, পাহাড়ের ঝর্না আজ নতুন স্বপ্নে সাজবে।
আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। ঐ হংস মিথুনদের সাথে আমিও এলোচুলে নাচব।
২৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
হোক বর্ষণ, শীতল হোক সব কিছু বর্ষণের পরে,
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ, ঋতু অনুযায়ীই তো পোষ্ট দেবে রিতু 🙂
ছবি দুটো আর লেখায় সুন্দর মিল।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। আষাঢ়ের সজিব সতেজ শুভেচ্ছা রইল, ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেও আষাঢ়ের আন্তরিক শুভেচ্ছা -{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, ভাইয়া।
আবু খায়ের আনিছ
২০০০ সালে ফিরে গেলাম ছবি দেখে। এমন গ্রামীন দৃশ্য ছিল আমার বাড়িতেও এখন অবশ্য আর নেই, দালান কোঠায় ভরে গেছে।
বর্ষণে ধরনী হোক তৃপ্ত
সবুজে ছেয়ে যাক দিগন্ত।
মৌনতা রিতু
গ্রামিন সবুজ সতেজতা ছুয়ে যাক।
শুভকামনা রইল।
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা নিবেন আষাড়ের।
মৌনতা রিতু
আপনাকেও অনেক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা।
গল্প চলুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
“এসো নীপবনে ছায়াবিথীতলে এসো
করো স্নান নবধারাজলে…।”
সু-স্বাগতম আষাঢ়। -{@
আপু কদম ফুলের শুভেচ্ছা। পোষ্ট ভালো লেগেছে,
মৌনতা রিতু
তোমাকেও কদম ফুলের শুভেচ্ছা।
মেহেরী তাজ
সব কিছু শীতল হওয়া দরকার! হোক বর্ষণ, শীতল হোক এ ধরণীতল….
আচ্ছা আপু দেইখেন কাদার মধ্যে নাচতে গিয়ে আছাড় খেয়ে আবার নাক মুখ ভেঙে ফেলেন না……! :p
মৌনতা রিতু
তোমার হাত ধরেই নাচবোনে। :p
মেহেরী তাজ
আমি নাচতে পারি না। আর আমার ঠান্ডা সমস্যা , যদি সর্দিজ্বর হয় তখন আমায় কে দেখবে?? আপনি নাচুন একা একা… পচা মানুষ! ;(
মৌনতা রিতু
আমি দেখবোনে। আস তাও একটু ভিজি। কাঁদায় খেলি এক্কা দোক্কা।
মৌনতা রিতু
কদম ফুলের শুভেচ্ছা রইল।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বর্ষা নিয়ে অনেক কবিতাই পড়েছি আপনার কবিতাটিও চমৎকার।আরো ভাল লাগল বাস্তব ছবিদুটো। -{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ মনির ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।
লীলাবতী
আপু এত সুন্দর একটি কবিতা লিখলেন আপনি!! 🙂 মুগ্ধ হয়ে গেলাম -{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। কিন্তু রাগ করছি আমি। থেকে থেকে যাওয়া হয় কোথায় শুনি ? খুঁজে পাইনা।
লীলাবতী
এইযে আমি, আর কোত্থাও যাচ্ছি না। আপনাকে না পেলে খবর আছে বলে দিলাম -{@
ছাইরাছ হেলাল
বেশ সুন্দর করেই বর্ষা অবগাহন করলেন।
দেখবেন ঠান্ডা-ফান্ডা লেগে না যায়।
মৌনতা রিতু
এ্যালারিড সিরাপ খেয়ে নেবনে। আর সমুদ্র কন্যা আমি, ছোটবেলা থেকেই তো বৃষ্টির পানি খেয়ে বড়, তাই সর্দি, ঠান্ডা সহজে কি আর লাগে ? ব্যাঙ্গের আবির সর্দিকাশি!
এখন বলুন কোথায় ছিলেন এতোদিন?
ছাইরাছ হেলাল
গ্রীষ্মনিদ্রা!
সমুদ্দুর তো ডরাই।