সেই ১৯৭৮ সালের কথা । মিরপুরে আমাদের বাসার আশে পাশে বাস্তুহারা কলোনী নামে আনেক গুলি কলোনী মত ছিল। একটা টিন শেড ঘর বারান্দা টয়লেটসহ। স্মাধীনতা যুদ্ধে যারা বাস্তু হারা হয়েছিল তাদের জন্য মূলত সরকার এই প্রকল্প হাতে নেয়। ওখানে যারা বাস করতো তারা ছিল অত্যান্ত দরিদ্র। মহিলারা বিভিন্ন বাসায় ঠিকা ঝি এর কাজ করতো, আর পুরুষরা কেউ রিকশা চালাতো, কেউ ঠেলা গাড়ী, আর কেউ বা ছিল দিনমজুর। কেউ পসরা সাজিয়ে বসতো স্কুলের গেটে। বিক্রি করতো কুলফি বরফ, ঝালমুড়ি, চটপটি,বাদাম ইত্যাদি।
টিফিনের সময় স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা কত মজা করে চটপটি, আচার, ঝালমুড়ি খাচ্ছে। সবার বাবা – মা কত ভালো, আর আমার মা একটা পয়সা দেয়না।
সপ্তাহে দুই দিন পেতাম পয়সা, তাও একদিন পাঁচ পয়সা, আর একদিন দশ পয়সা। যেদিন পাঁচ পয়সা পেতাম সেদিন বলে দেয়া হোত বাদাম ছাড়া আর কিচ্ছু খাবে না। আর যেদিন দশ পয়সা পেতাম, বাদামের সঙ্গে আমড়া, জাম, অরবড়ই বা ঐ জাতীয় ফল খাবার আনুমুতি দেয়া হোত। মা কিছুতেই বুঝতে চাইতো না যে ঐ সব ফলের চেয়ে হাজারগুন বেশী মজা লুকিয়ে আছে লাল, কালো, কমলা আর হলুদ রঙ এর আচারে। পাঁচ পয়সা দামের আইসক্রিম এর যে কি স্বাদ ! তার, মা কি বুঝবে?
মা বুঝতেই পারবে না ভেবে মাঝে মাঝে বাদাম বাদ দিয়ে চুপি চুপি আচার খেতাম। বাসায় আসার সাথে সাথে মা বলতো -‘তুমি আজ চালতার আচার খেয়েছ। তুমি যদি আবারও ঐ সব বাজে জিনিস খাও তবে কিন্তু পয়সা পাবে না।’
কি ভাবে যে মা বুঝতে পারত!?
যদি কখনও নিরালা দুপুরে অংক করার ফাঁকে, মাকে জিজ্ঞাসা করতাম,- ‘কেমন করে বোঝ যে আমি আচার খেয়েছি ?’
মা হেসে আমার মাথার চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলত – ‘আমি যে মা, তুমি যে আমার পেটে ছিলে, তোমার চোখই তো আমার চোখ, তাই তুমি যা করো আমি তাই দেখি।‘
খুবই যুক্তি সঙ্গত কথা । মা তো সবই দেখতে পাচ্ছে। অনেক পরে বুঝেছি আচারের রঙএ আমার ঠোট, জিভ সব রঙ্গিন হয়ে থাকত, তা দেখলেই মা বুঝতে পারত আমি কি খেয়েছি স্কুলে।
সেই সময় আমাদের বাসায় অনেক ধরনের ফুল ও ফলের গাছ ছিল। পেয়ারা গাছই ছিল তিনটা। দুটো পেয়ারা গাছ ছিল রাস্তার দিকের দেয়াল ঘেষে। সেই পেয়ারা গাছ দুটিতে প্রচুর পেয়ারা হতো। রাস্তা থেকে দেখা যেত পাকা পাকা পেয়ারা গাছে ঝুলছে। সবারই লোলুপ দৃষ্টি একবার না একবার গাছ দুটোর উপর পড়ত।
আমাদের স্কুলে ক্লাশ শুরু হতো সকাল দশটায়। একদিন স্কুলে যাবার আগে আমি ও আমার এক বান্ধবী রুমা পেয়ারা গাছে চড়ে পেয়ারা পাড়ছিলাম। আমাদের গাছে দেখে বাস্তুহারা কলোনীর বেশ কিছু ছেলেমেয়ে রাস্তায় জড়ো হয়ে আমাদের কাছে পেয়ারা চাইতে শুরু করল। আমরা ওদেরকে বেশ কিছু পেয়ারা দিলাম। কিন্তু ওরা আরও চাচ্ছে। আমরা ওদের যত দিচ্ছি ওরা ততো বলছে আর একটা দাও। মহা মুশকিল। যে ভাবে চাচ্ছে না করা যাচ্ছে না। সেই সময় রুমা আমাকে বলল,-“চল আমরা ওদের কাছ থেকে পয়সা নেই।“ মনে হলো রুমার মাথায় এত্তো বুদ্ধি। আহ! আজ মজা করে স্কুলে চটপটি, ঝালমুড়ি খাওয়া যাবে।
যে কথা সেই কাজ। ওদের কাছ থেকে পয়সা নিতে শুরু করলাম। পাঁচ পয়সায় তিনটি পেয়ারা। একজনের কাছ থেকে পয়সা নিচ্ছি আর তাকে তিনটি করে পেয়ারা দিচ্ছি। এভাবে মোট পঞ্চাশ পয়সা হল। এবার আমরা বললাম -‘তোরা যা , আমরা আর পেয়ারা পাড়ব না ।‘ এমন সময় একজন বলল- আমার কাছ থেকে তো পয়সা নিছো কই পেয়ারা তো দুইটা দিছো আর ও পেয়ারা দেও।“ আমরা ভাবলাম হয়তবা এটা ঠিক কথা, আমরা তো আর হিসেব রাখিনি । যাই হোক ওকে একটা পেয়ারা দিলাম। সাথে সাথে আর একজন দাবি করল তাকেও পেয়ারা দেয়া হয়নি । এবার দেখি একে একে সবাই বলে —‘পেয়ারা দাও, আমরা পাইনি , আমরা পয়সা দিয়েছি।‘ মহা বিপদ! আমরা পেয়ারা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। এদিকে স্কুলেরও সময় হয়ে এল। গাছ থেকে নামতে চাই , নামতে দেয় না, চিৎকার শুরু করে। পরিস্থিতি ভয়াবহ!!
ওদের চেঁচামেচিতে মা এসে হাজির। এখানে বলে রাখি আমার মা হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে রাগী এবং কঠিন মহিলা । পাড়ার উঠিতি ছেলেপুলেরা সবাই দারোগা বলে ডাকতো ————————————————————–‘হেন কালে হায় জমদুত প্রায়’————————————– ঘর হতে মা বের হয়ে এল।
গাছের নীচে এসে বলল- ‘এই তোমরা গাছ থেকে নাম। এখন কেন গাছে ?‘
ভদ্র বালিকার মত গাছ থেকে যেই না নামতে গেছি ওম্নি ওরা চিৎকার শুরু করল —‘’আমরা পয়সা দিয়েছি আর পেয়ারা না দিয়ে কোথায় যাচ্ছ? পেয়ারা দিয়ে যাও।;’’
“কিসের পয়সা?”- মা জিজ্ঞাস করল।
ওরা বলল -আমরা পেয়ারার জন্য পয়সা দিয়েছি, পাঁচ পয়সায় তিনটা পেয়ারা।
মা আমাদের বলল -“পয়সা কোথায় ?”
মার হাতেপয়সা দিতে গেলাম মা বলল – “ওদের দাও,”
দিলাম ওদের পান্ডা গোছের একজনের হাতে ।
মা বলল -“তোমরা যার যার পয়সা ফেরত নাও, আর গাছে উঠে পেয়ারা পেড়ে নিয়ে যাও।“
আমাকে বলল- ‘ঘরে চল।‘
রুমাকে বলল -‘বাসায় যেয়ে রেডি হয়ে স্কুলে যাও।‘
ভয়ে ভয়ে মার পেছন পেছন ঘরে এলাম।
মার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি , মা রাগে লাল হয়ে গেছে। তাকিয়ে থাকতে পারছি না। প্রচন্ড ক্ষেপে গেছে। ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল।
তারপর হাতের কাছে যা পেল তাই দিয়ে মারতে শুরু করল। কোন কথা নয় শুধু মার। প্রথমে শুরু করল চুলের ঝুটি ধরে । তারপর স্কেল, লাটাই, স্যান্ডেল, হাতপাখা কিছুই বাদ যায়নি। যতক্ষন না পর্যন্ত নিজে ক্লান্ত হল ততক্ষন পর্যন্ত চলল।
একসময় হাঁপাতে হাঁপাতে বলল- ‘হাত মুখ ধুয়ে স্কুলে যাও।‘
মা মার শুরু করার আগে শুধু একটা কথাই বলেছিল চিৎকার করলে খুন করে ফেলব। কি রকম চিৎকার করেছিলাম তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে আমাকে মার খেতে দেখে রুমা ভয়ে বাড়ির দিকে দৌড়, তারপর চুপিসারে বাড়ি থেকে স্কুলে চলে গেছে। ওর মাকে কিচ্ছু বুঝতে দেয় নি।
স্কুলে যেয়ে আমার সহপাঠীদের বলেছে যে——– আমি মার খাচ্ছি, এবং বিনা দোষে খাচ্ছি। গাছে উঠা কি এমন অপরাধ?আমরা তো সব সময়ই গাছে উঠি।—আমাদের পাড়ার ছেলেমেয়েরা তো আমার প্রিয় বন্ধুর দল। সবার বাসায় আমাদের অবাধ যাতায়াত। সবার মা ই একটু আধটু মারে, তাই বলে এমন করে মারে না কি! কি এমন অপরাধ করেছি যে এভাবে মারতে হবে এবং সবাই মোটামুটি এই সিদ্ধান্তে উপণিত হল যে উনি আমার আপন মা না, সৎমা।
যাই হোক, মার খাই আর যাই খাই, মা স্কুলে যেতে বলেছে; আমার আর কোন উপায় নেই। আমি স্কুলে গেলাম। স্কুলে যেয়ে দেখি সবাই আমার দিকে সমবেদনার চোখে তাকাচ্ছে। বিশেষ করে আমার পাড়ার ছেলেমেয়েরা। ওরা আমাকে খুব ভালো করে বুঝাল যে,- ‘আসলে এটা তোর নিজের মা না । নিজের মা হলে কক্ষনও এভাবে মারতো না।‘ একবার জামা সরে যাওয়ার কারনে সবাই আমার উরুতে দেখল কালশিটে দাগ পড়েছে। তখন ওরা জামা সরিয়ে সরিয়ে আরও আঘাতের চিহ্ন খুজে বের করলো । আর একেবারে চরম সিদ্ধান্ত দিয়ে দিল, -এটা আমার আপন মা না।- আমিও ওদের সমবেদনায় কাঁদতে কাঁদতে মোটামুটি বিশ্বাস করেই ফেললাম–‘হ্যাঁ এই ভদ্রমহিলা আমার আপন মা না ।‘
–‘ বাবা আসলে আমাকে জানতে হবে, কে আমার মা ? তিনি কোথায় থাকেন এবং আমি তার কাছে থাকব।‘ –এই কঠিন বক্তব্যটা শিশিরের।
২য় পিড়িয়ডের পর স্কুলের দপ্তরী এসে বলল— হেডস্যার তার রুমে আমাকে ডাকছেন। মা নাকি এসেছে?! চঞ্চল, জয়, রুমা, আইভি, শিশির খুব ক্ষেপে গেল। চঞ্চল বলল ,-’হেড স্যারের কাছে কি তোর মা বিচার নিয়ে এসেছে নাকি? স্যার যদি কিছু বলে আমরা সবাই মিলে বলব— এটা তোর আপন মা না । দেখিস তোকে স্যার কিচ্ছু বলবে না।‘
আমি দুরু দুরু বুকে হেডস্যারের রুমে গেলাম। যেয়ে দেখি মা মাথা নিচু করে বসে আছে।
বাইরে ক্লাশ টিচারের হুংকার শুনলাম,-’ এই তোরা এখানে কেন? ক্লাশে যা।‘ বুঝলাম এখন আমি এখানে একা। হেডস্যার আমাকে দেখে স্নেহের হাসি দিয়ে বললেন,- ‘বোকা মেয়ে, এমন দুষ্টামি আর কক্ষনও করবি না, তুই আসলেই একটা গাধা ! আয় মা এসেছেন মার কাছে যা।‘
ভয়ে কাঠ হয়ে আছি,কাছে যাব কিনা বুঝতে পারছি না।
মা মাথা তুলে আমার দিকে চাইল। মুখে হাসি ফোটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে কেঁদে ফেলল আর দুই হাত বাড়িয়ে দিল আমাকে বুকে টেনে নেবার জন্য। আমি সব ভুলে মার বুকে ছুটে গেলাম । মা আমাকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেদে উঠল। হেডস্যার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। মা আমাকে পাগলের মত চুমু দিয়ে দিয়ে আদর করতে লাগল আর কাঁদতে লাগল। বার বার বলতে লাগল -‘আমি আর তোমাকে এভাবে মারব না, আমি খুব খারাপ মা , কি করব মামনি, আমি যে রাগ সামলাতে পারি না।‘
আমি কাঁদছি আর মাকে বলছি,-’ তুমি কেঁদো না মা আমি আর কক্ষন এমন করব না।‘ মা আমার চোখের পানি আঁচল দিয়ে বার বার মুছে দিচ্ছিলো।
এবার মা আমাকে জিজ্ঞেস করল, -‘তুমি কি করেছো বলতো ? কেন আমি তোমাকে মারলাম?’
আমি বললাম,- ‘আমি যে স্কুলের সময় গাছে চড়েছি তাই তুমি আমায় মেরেছ।‘ মা আবার ও ডুকরে কেঁদে উঠে বলল -‘আসলেই আমি খুব খারাপ মা। তা না হলে এই কাজ করি!‘
মা আমকে একটা কাপড়ের ব্যাগ দিয়ে বলল,-“এটা তোমার জন্য। তুমি যা খুশি কিনে খাও, বা যা খুশি কর । কিন্তু কক্ষনও গরিবের পয়সা নেবে না।“
বার বার করে বুঝাতে লাগল কখনই গরিবের কাছ থেকে পয়সা নেবে না। ঐ ব্যাগ টা খুলে দেখি ওখানে শুধুই পয়সা। পাচ, দশ, পচিশ ও পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রা।
মা তুমি আজ কোথায়? আমার এই ভুলে ভরা জীবনে কই তুমি তো আর আমাকে শাসন করতে আসো না।
শুধু বল — কিরে মা আজতো ফোন করলি না?
— মা দেখনা আমি শিং মাছ খাব না তাও ওরা একটুও গরুর মাংস দিচ্ছে না।
আজকের অভিযোগ — শোন মা আমি আর ওদের ফ্রিজ, ওভেন ধরব না। ওগুলো আমারই ওদের দিয়ে দিলাম তুই আমাকে এক্ষুনি একটা ফ্রিজ আর ওভেন কিনে দিয়ে যা আমার ঘরের জন্য। ওরা খুব অপমান করে। আমি কি মিষ্টি খাই? অল্প একটু সন্দেশ ফ্রিজে দেখে যেই হাতে নিয়েছি তাতেই ও দিদা বলে চিৎকার করল।
একটু পরে আবার ফোন — তুই কখন আসবি?
— মা আমি আসতে পারছি না, তবে ফোনে বলে দিয়েছি তোমার জন্য ফ্রিজ আর ওভেন একটু পরে পৌঁছাবে। ওরা ইলেক্ট্রিশিয়ান নিয়েই যাবে।
ছোট্ট মানুষ হয়ে গেছে। খুব জেদ করে বাচ্চাদের মত। ভাবীও হাসে আমিও হাসি। যদিও ভাবী তার জান, তাই অভিমান তার উপরেই। বিচারক আমি। 🙂 মা তুমি যেমনই হয়ে যাও তবুও থাক আমাদের সাথে।
২১টি মন্তব্য
ইনজা
চোখের পানি আটকাতে পারলাম না।
মা তুমি ভালো থেকো।
খসড়া
মা তুমি ভাল থাক।
আবু খায়ের আনিছ
শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন আপু। আমার মা তেমন লেখাপড়া জানেনা, বাবা-মা কেউ কখনো আমার স্কুল, কলেজ কোথাও যায়নি কখনো। শুধু সব সময় বলেছে, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ছেলে এমন কিছু করবে না যাতে আমাদের অপমান বা বিশ্বাস ভঙ্গ হয়। একটা কথা আছে না, অগাধ বিশ্বাস ভঙ্গ করার ক্ষমতা কারো নাই, আমাদেরও হয়ত ছিল না।
মায়ের হাতে মার খেয়েছি যতটা তার থেকে দ্বিগুন খেয়েছি চাচার হাতে। বাবা কখনো হাত তুলেন নি।
খসড়া
বাবারা হাত তুলে না।
ভাল থাকুক আমাদের মা ও বাবারা। আমাদের মঙলের জন্যই তারা আদরে শাসনে মহিয়ান।
আবু খায়ের আনিছ
ভালো থাকুক আমাদের মা-বাবারা।
ইকবাল কবীর
মায়ের হাতে মার কখনো খাইনি, আমার মা কখনও রাগ করে না।আপনার লিখা পরে আমার এক ফ্রেন্ড র মায়ের কথা মনে পরে গেল, ওনি অনেক রাগি ছিলেন, আর আমার ফ্রেন্ড অনেক মার খেত ওর মায়ের হাতে, মার খেয়ে আমার রুমে চলে আসত,আর আমি মারের ক্ষত স্থানে ঔষধ লাগিয়ে দিতাম আর বলতাম তোর মা এত পাষাণ কেন? দেখেছিস আমার মা কত ভাল, আমাকে কোনদিন মারে না। শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন, পৃথিবীর সব মা চায় তার সন্তান ভালো থাকুক, হয়ত একটু রাগ করে কিন্তু মন থেকে রাগ করে না।
খসড়া
আপনি আমার লেখাটার মর্মার্থ ধরতে পারেননি। ধন্যবাদ।
SHAMIM ANWAR
দারুন একটা লেখা।
আমার ও মনে পরেগেল ছোট বেলা পাগলাপানি খাওয়ার কথা এন্ড মায়ের হাতের ডাল গুটনির বারির কথা , আমি তখন মিরপুর ২ন: ইস্কুলে পরতাম।
খসড়া
আমি মীরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
ব্লগার সজীব
আপু এমন লেখা কিভাবে লেখেন? কত স্মৃতি মাকে ঘিরে, কিন্তু এমন ভাবে গুছিয়ে তো লিখতে পারিনা, পারবোও না কোনোদিন। এক অদ্ভুত ভালবাসা, স্নেহ মায়াময় আবেগে পূর্ন হয়ে গেলাম আপু। অসাধারন একটি লেখা।
খসড়া
ধন্যবাদ সজীব। মা আছে বলেইতো আমরা ধৈর্য্যশীল, পরিণামদর্শী, সাফল্যে মন্ডিত।
তার আদর যেমন আমাদের বাঁদর করে তেমনি তার শাসন আমাদের মানুষ করে।
মা মা ইইইই। তার তুলনা নেই। বয়স হয়ে গেলেও সে আমার আশ্রয়, আমার ভরসা।
লীলাবতী
এমন দারোগা মা আমাদের সবারই প্রয়োজন। মা কত মায়াময় হন 🙂 প্রহার করে স্কুলে গিয়ে নিজেই কেঁদে কেটে অস্থির 🙂 আপু এমন সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেন কিভাবে? মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম দু বার।
খসড়া
ভাল লাগল তোমার মন্তব্য। তুমি বলে ফেললাম।
এই পোস্টে মন্তব্যের উত্তর দেবার কিছু নাই।
জিসান শা ইকরাম
অদ্ভুত ভালোলাগায় মনটা পূর্ন হয়ে গেলো। আপনার মার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা রইল।
এমন মা এর মেয়ে বলেই আপনি একজন সফল মা হয়েছেন,
একজন সফল মানুষ হয়েছেন।
খসড়া
জিসান ভাই মার মত যদি হতে পারতামম।
জিসান শা ইকরাম
আপনার মেয়েও এমন করে বলবে – এমন মায়ের মত যদি হতে পারতাম 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু মনটা ভিঁজে গেলো। মা মা-ই। বেঁচে থাকুন মায়েরা।
খসড়া
ধন্যবাদ আপু।
মৌনতা রিতু
হুমম। খালাম্মাকে দেখে সত্যি মনে হয়, কি তার বিচক্ষণতা। তার অভিজাত আচরনই বলে দেয়, কতো সহজভাবে জীবনের বাস্তবতা তোমায় শিখিয়েছে। এই জন্যই তো তুমি, তুমি হতে পেরেছ। এতো সুন্দর সব কিছু ম্যানেজ করে চলতে শিখেছ।
আমার কাছেও অনেক পয়সা আছে, নিবা ?
চালতার আচার পাঠাব ?
হি হি হি , তুমি যে মাইর খাইছ তা আমি জানি, :D) কলেজ থেকে একটু দেরি হলেই থাপ্পড়ের ভয়ে চুপ করে রুমে ঢুকতা।
এতো দুষ্টু তুমি ছিলা :p। পেয়ারার ব্যপারি। :D) :D)
খসড়া
আমি পেয়ার ব্যাপারী বলেই তো তোর সখী আমি।
মৌনতা রিতু
ঠিকই তো !