
স্পেশাল বৈশাখী পান্তা’র রেসিপি…
এসো হে বৈশাখ… এসো এসো…
সাম্নেই আসছে পহেলা বৈশাখ! আর বৈশাখ মানেই পান্তা-ইলিশ। পান্তা-ইলিশ ছাড়া বৈশাখ ভাবাই যায়না। তো চলুন দেখি কিভাবে সহজে বাসায় বসেই স্পেশাল বৈশাখী পান্তা তৈরি করা যায়…
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
পরিমান মত চাল
পরিমান মত পানি
রন্ধন প্রনালীঃ
প্রথমেই একটি পরিস্কার পাত্রে পরিমান মত চাল নিয়ে নিন। তারপর এতে পরিমান মত বিশুদ্ধ পানি ঢেলে নিন। হালকা ডিটারজেন্ট পাউডার ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। যতক্ষন পর্যন্ত চালের স্বাভাবিক রঙের চেয়েও সাদা না হয় ততক্ষন ধুতে থাকুন। ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ভালো করে চাল ধুয়া হলে, চালের পরিমানের দিগুণ বিশুদ্ধ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। এবার ৮/১০ মিনিট এর জন্য কানে হেডফোন লাগিয়ে প্লে করে দিন –
“আইলো আইলো আইলোরে রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে……।
১০ মিনিট পর একটা কাঠি/চামচ দিয়ে কয়েকটা ভাত উঠিয়ে দেখুন সেদ্ধ হয়েছে কিনা। ভালো ভাবে বুঝার জন্য একটা/দুইটা ভাত হাতে নিয়ে চেপে দেখতে পারেন। সেদ্ধ হয়ে গেলে সাবধানে নামিয়ে পরিস্কার একটি পাত্রে মার/ভাতের ফেন/সেদ্ধ ভাতের পানি তুলে রাখুন। এখন ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানির বোতল এনে সাত পাচ না ভেবে গরম ভাতে ঢেলে দিন। ব্যাস! তৈরি হয়ে গেল আমাদের স্পেশাল বৈশাখী পান্তা।
এবার একটা প্লেটে (মাটির হলে ভালো হয়) অল্প করে পানিসহ ভাত নিন। তার উপর গোল গোল করে কাটা কয়েক টুকরো পেয়াজ, সাথে দু চারটা কাচা মরিচ ইলিশ মাছের টুকরো আর লেবু দিয়ে সাজিয়ে নিন। সুন্দরের জন্য প্লেটের একপাশে লম্বা লম্বা কয়েকটা দুর্বা ঘাস দিতে পারেন। তবে অবশ্যই এটা আগে ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটা মাটির গ্লাসে তুলে রাখা ভাতের মার/ফেন দিয়ে পরিবেশন করুন স্পেশাল বৈশাখী পান্তা!
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা…।
১১টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
রেসিপি ভাল হয়েছে, ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়ার আইডিয়া পছন্দ হয়েছে। দুর্বা ঘস এর পরিবর্তে চুতরা পাতা দিলে আরো ভাল হবে মনে হয় 🙂
আর্বনীল
চুতরা পাতা খুবই ভয়ংকর! এটা দেয়া ঠিক হবে না…
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! আচ্ছা ডিটারজেন্ট কোন পাউডারটা দেবো? বাজারে আছে ভুরি ভুরি ;?
আর্বনীল
আপু পচা ডিটারজেন্ট দিতে পারেন…
অনিকেত নন্দিনী
এম্নে ডিটারজেন্ট দিয়া চাইল ধুইয়া পান্তা রান্ধে? আমি তো তাইলে এতদিন ভুল রেসিপিতে রান্ধছি। ডিটারজেন্টে চাইলও ধুই নাই, মাটির গেলাসে মাড়ও রাখি নাই। এখন আমার কী হপে গো? ;(
আর্বনীল
আপনারটাও ঠিক আছে। আমারটাতো বৈশাখের স্পেশাল তাই আরকি একটু…। আলাদা ভাবে…।
অনিকেত নন্দিনী
অঅঅঅঅঅ। তাইলে ঠিকাছে। 😀
লীলাবতী
দুর্বা ঘাস ^:^ ^:^ ভাইয়া আপনি আগে খেয়ে ছবি তুলে আপলোড দিবেন, এরপরে আমরা খাবো 🙂 নববর্ষের শুভেচ্ছা -{@
মোঃ মজিবর রহমান
আমি পান্তা খাইনায় কিন্তু বাংগালীএই আছি।
খসড়া
এই দূর্মূল্যের বাজারে দূব্বা ঘাস কই পাব রর বাউ। তেঁতুল পাতায় চলত ন।
অপার্থিব
কবি গুরু রবিদার এসো হে বৈশাখ গান টার একটা রিমিক্স সংস্করন দরকার( র্যাপ মিশ্রিত হলে ভাল হয়)। তা না হলে এই স্পেশাল পান্তাটা মনে হয় জমবে না।