সময়ের হিসেবে একদম ফেলনা নয়। পাক্কা ছয় বছর পরে একত্র হয়েছিল তিন বন্ধুর বন্ধু।
২০১০ এর মার্চ এর পর ২০১৬ এর মার্চ। অতিক্রান্ত সময়ে ধানসিঁড়ির বহমান জলে কত পলি এসে ক্লান্ত হয়ে থমকে গিয়েছে, ভালোবেসে বা অনাদরে। ক্ষীণতর হয়েছে ধানসিঁড়ি, রাগ অনুরাগ অভিমান ছাপিয়ে বুকের গহীনে……… বন্ধু ভালো আছো তো ?
মার্চ ২০১০ ধানসিঁড়ি নদীর সেই সময়ের সোনালী মুহূর্তকে আজকের এই লেখার ফাস্ট ব্রাকেট হিসেবেই ধরে নেয়া যায়। সাদাকালোর এই ছবি কি কখনো সাদা কালো হিসেবে দেখেছে আমাদের চোখ?
বৃক্ষ হতে চাওয়া সবুজকে ধারন করা হৃদয়ে আছে তারুণ্যের গান।
সবুজের মাঝে মিশে থাকার আন্তরিক তাড়নাই টেনে নিয়ে যায় দূর্গাসাগর এ। টলটলে জল আর সবুজের অপরূপার আহ্বানে সমর্পণ।
বিশাল সিমেন্টের প্রশস্ত ঘাটলা, দীঘির মাঝে একটি সুন্দর দ্বীপ, যেখানে শীতকালে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। পাখিদের অভয়ারণ্য এই এলাকা।
সুন্দরী দূর্গাসাগর যেন যাদু করেছে, তার দিক থেকে দৃষ্টি অন্য কোনদিকে নেয়া যাবে না। জলের আচলে গাছের কারুকাজ, শাড়ির পারে সবুজ গাছ।
ধ্যানমগ্ন কবি কি কোন কবিতার কথা ভাবছেন এখন? কি দেখছেন উনি গাছ নাকি ছায়া?কথিত আছে, এই প্রশস্ত ঘাটলায় একসময় সোনার থালা বাটি ভেসে আসতো দীঘির পানি হতে।
লাল ব্যাগ কাঁধে সাদা টি-সার্ট গায় দেয়া ভাই থামেন থামেন, সোনার থালা বাটি আমি আগেই নিয়ে গিয়েছি,
সব সোনা এখন আমার মোবাইলে 🙂
সৌন্দর্যেরও একটি সীমা থাকে। অসীম সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়।
জল যখন আয়না। নিজেরই মাঝে নিজেকে উপলব্ধি। জলের মাঝে মুগ্ধতা।
ইচ্ছে করে ভেসে থাকি এই টলটলে স্থির জলে, হাঁস হয়ে যাই……
দুজন কবি বন্ধু সাথে থাকার পরেও এমন দৃশ্য দেখেও কোন কাব্য আসেনা আমার মাঝে,
এই ব্যর্থতা কবি দুজনের, আমার না 🙂
ইচ্ছে ছিল এখানেই থাকি আরো অনেক অনেকক্ষণ। সময়ের তাগাদা সময় দীনতার। প্রকৃতি থেকে এবার মানুষের তৈরী সৌন্দর্যের দিকে ধাবিত তিনজন।
বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ঈদগাহ্ কমপ্লেক্স , দক্ষিন বাংলার একটি সুন্দর দর্শনীয় স্থান।
আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ এটি। “গুঠিয়া মসজিদ” নামে পরিচিত। সুদৃশ্য নকশাকরা মিনার এবং অত্যন্ত নিখুঁত কারুকাজ করা দৃষ্টি নন্দন মসজিদটির সৌন্দর্য বর্ণনা করা কঠিন। মসজিদ ব্যাতিত এখানে আছে একটি মাদ্রাসা, একটি সুন্দর পুকুর, লেক, সুপরিসর কার পার্কিং, প্রচুর গাছপালা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমার নাকি ফটো তোলার ফ্রেমিং ভালো। তার কাছে আমার বিনীত প্রশ্ন- ফ্রেমিং কাহাকে বলে? তাহাই তো জানি না, ফটো তোলা তো দূর কা বাত।
মসজিদের পুকুরে আছে সুন্দর একটি ঘাটলা। দুপাশে দুটো কাঠ বাদাম গাছ। প্রচন্ড রোদে এখানেই বিশ্রাম, ফাও হিসেবে দু একটি ফটো। আমাদের সবার দৃষ্টি মসজিদেরই দিকে, বিলিভ ইট অর নট 🙂
শান্ত স্বচ্ছ জলের মতই আমাদের মন, আয়নায় দেখি আমরা নিজেদেরকেই।
সোনেলায় ছায়া পর্ব চলছে এখন। বাক্যহীন জলের ছায়া কাব্য এটিই।
বিদায় নিতে অনিচ্ছুক সূর্যকে রেখে দিচ্ছেন মোবাইলের মাঝে এক ছবি শিকারী
শিকারিকে শিকার করার মজাই আলাদা 🙂
রাতের আঁধারে মসজিদের এই সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার ভাষা আমি জানিনা। এই দুটো ছবির ক্যাপশন আপনারা দিন।
নীল অন্ধকারে সাধক খূঁজে বেড়ায় কোন পিপাসা!!
সোনালী আলোর ক্ষুধা জড়ানো আক্ষেপ টেনে আনে
বাস্তবিক ভালোবাসা মাতাল মায়ায়—–
ক্যাপশন ক্রেডিট- শুন্য শুন্যালয়
আবার আসিব ফিরে………
মার্চ ২০১৬, ফার্স্ট ব্রাকেট ক্লোজ -{@ (3
৪২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ছবি,বর্ণনা ও স্মৃতিচারণ এক কথায় অনবদ্য।
আবার আসিব ফিরে নয়, আবার এসেছি ফিরে ফিরে।
“নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমার নাকি ফটো তোলার ফ্রেমিং ভালো।”
তার জন্যই ক্যাপশন অপেক্ষা করছে।
জিসান শা ইকরাম
ছয় বছর হয়ে গেলো একসাথে হয়েছিলাম,
কিভাবে সময় যায়
শিরোনাম ফিরে ফিরে আসা……
সে কখন আসে ঠিক নেই, যে ব্যস্ত মানুষ, কখন আসে কে জানে,
একজনে দিয়েছেন, তার শিরোনামটাই দিয়ে দেই 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কি অদ্ভূত সুন্দর জায়গাদুটো!! বড্ড আফসোস, অনেকগুলো বছর ওখানে থেকেও এই দূর্গাসাগর আমার দেখা হয়নি 🙁
ব্যাপার না, এই দিন দিন না, আরো দিন আছে।
লেখাটিতে, সবুজ, টলটলে জল, পাখির কলকাকলি সবকিছু মুখরিত হয়ে আছে। সৌন্দর্যেরও একটি সীমা আছে, অসীম এই সৌন্দর্য্যকে অসাধারন ভাবেই উপস্থাপন করেছেন আপনি। মুগ্ধ, মুগ্ধ।
ছয়বছরে পার্থক্য নজরে এলো, বুড়ো তিনজন এখন অনেক বেশি তরুন হয়ে গেছে, আগে পরতো, শার্ট ফতুয়া আর এখন টি-শার্ট। আগে কেউ ছবি তুলে দিত, আর এখন সেলফি :)। এক ভদ্রলোকের গলায় মালাটা অবশ্য আগের মতই আছে।
চার নাম্বার ছবিটা নিয়ে নেব আমি, কাভারের জন্য। অনুমতি চাচ্ছি না, আমি অনুমতি নেইনা 🙂
“নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন, যে বলে আপনার ফটো তোলার ফ্রেমিং ভালো”, তার ক্যাপশানের জন্য আমিও অপেক্ষা শুরু করলাম।
জিসান শা ইকরাম
খুবই সুন্দর জায়গা দুটো!! দূর্গাসাগর কেন দেখলেন না বুঝলাম না। আপনি যখন বরিশালে ছিলেন, তখন অবশ্য মসজিদটি হয়নি।
দেশে আসলে অবশ্যই দেখবেন,
আরো দেখবেন ধানসিঁড়ি নদী, পেয়ারা বাগান,
এই পোষ্ট লেখার দরকার আপনার, ছবি ব্লগে আপনার বিকল্প আছে নাকি? আপনার ছবি হাসতো আরো 🙂
ছয় বছরে কত সবুজ খেয়েছি আমরা জানেন আপনি? তারুণ্যের দিকে যাত্রা আমাদের……
অনুমতি তো দেয়াই আছে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
সবুজ তো আমিও খেয়েছি নিয়মিত, খেয়েই যাচ্ছি। তবে কি ফরমালিন মেশানো সবুজের ক্ষেমতা বেশি? অই যেমন আপনার ফরমালিন মেশানো গোলাপের মত।
আপনার ছবিগুলো শুধু হাসছেই না, কথাও বলছে। আর লেখকের বকরবকর তো আছেই। তা তিনজনে মিলে কোনদিকে তাকিয়ে ছিলেন, তা কি আমরা কেউ জিজ্ঞেস করেছি? চোরের মন সবসময় বোচকার দিকেই থাকে।
জিসান শা ইকরাম
বিশেষ ধরনের ফরমালিন এটি, সবুজের নির্যাস থেকে তৈরী
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই কোনো 🙂
আহ গোলাপ, নিজের বাগানের গোলাপ নিয়ে পোষ্ট দেবো, তা আর পারলামই না সময়াভাবে।
তিনজনে সবাই মসজিদই দেখি, চবির মাঝে তো বোঁচকা দেখতেছি না 🙂
বোঁচকা পাইলেন কই?
আবু খায়ের আনিছ
এ কি অপরুপ রুপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী।।
ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনি।
———- কাজী নজরুল ইসলাম
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
—————- জীবনানন্দ দাশ
বরিশালের এই প্রকৃতি প্রেমি কবি এই ধানসিড়িঁর তীরেই ফিরে আসতে চায়। আমার আবেগ প্রকাশ করার আর কোন ভাষা পেলাম না। এত সুন্দর জায়গা গুলো না দেখলে যে জীবন বৃথা হয়ে যাবে।
ভাইয়া, আপনাদের ওখানে আমার দাওয়া। জোর করেই চলে যাব।
জিসান শা ইকরাম
কিছু প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যের স্থান আছে বরিশালের কয়েকটি জেলায়
দুর্গাসাগর ও মসজিদ হচ্ছে বরিশাল জেলায়
ধানসিঁড়ি নদী ঝালকাঠী জেলায়।
অবশ্যই দাওয়াত, স্বাগতম আমাদের এখানে
ঘুরিয়ে দেখাবো সব, আসার আগে একটু জানিয়েন।
শুভ কামনা।
আবু খায়ের আনিছ
ইচ্ছা আছে ঘুরে দেখার বাংলার পথে প্রান্তরে। শুভ কামনা ত্রয়দ্বয় কে।
জিসান শা ইকরাম
সবসময় স্বাগতম আমাদের বরিশালে -{@
শুন্য শুন্যালয়
অপূর্ব নীল অন্ধকারে হলুদ মসজিদের রঙটা অসাধারন রকম লাগছে। এমন সৌন্দর্য্য প্রকাশের ভাষা আসলেই কম পড়ে যাবে।
কএকটা লাইন মনে এলো, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকের অপেক্ষা না করেই লিখে ফেললাম, গোস্তাকি মাফ–
নীল অন্ধকারে সাধক খূঁজে বেড়ায় কোন পিপাসা!!
সোনালী আলোর ক্ষুধা জড়ানো আক্ষেপ টেনে আনে
বাস্তবিক ভালোবাসা মাতাল মায়ায়—–
জিসান শা ইকরাম
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকের অপেক্ষার কি দরকার যখন এত সুন্দর ক্যাপশন পাওয়া যায়,
দিয়ে দিলাম আপনার ক্যাপশন 🙂
ভাবছি এরপর যখন কোন ছবি ব্লগ দেবো, আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবো
ক্যাপশন লিখে দেবেন আপনি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
লোকে ছবি সংগৃহিত দেয়, আপনি বুঝি ক্যাপশান সংগৃহিত দেবেন? 🙂
জিসান শা ইকরাম
কেউ ফটো তুলে দিলে বলা হয়, ফটো ক্রেডিট অমুক
আপনার ক্যাপশন নিলাম আমি, তাই ক্যাপশন ক্রেডিট আপনি 🙂
খসড়া
ছ’ বছর পর দেখা
কথা বলতে পারিনি, কেবল বসে ছিল।
লোকটা মুখচোরা,
শুধু মাঝে মাঝে হঠাৎ তাকাল
প্রশ্ন করল, আর বসে রইল চুপচাপ।
জিসান শা ইকরাম
কার সাথে আবার ছবছর পরে দেখা হলো?
চুপচাপ বসেছিল লোকটা
ঝাতি সবকিছু জানতে চায় 🙂
খসড়া
কবিতা গো ভাই কবিত্যা। এই কবত্যাই আমাকে আর মানুষ হতে দিলুনি।
জিসান শা ইকরাম
কবিতাটি পড়িনি আমি
মানুষ হতে দেয়নি ঠিকাছে বুঝলাম, তবে সু-মানুষ হতে দিয়েছে 🙂
মৌনতা রিতু
অসম্ভব সুন্দর ছবিগুলো। আমি লেখা পড়ব কি ছবিই দেখছিলাম। ছবির সাথে ক্যাপশন , আহ ! সোনারা সব মোবাইলে সব মুগ্ধকর লেখা। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ছবিগুলোর জন্য। এতো সুন্দর রোমান্টিক পরিবেশে কবিতা লিখতে পারলেন না? আমি হলে তো ওওওওওওওওওও।
জিসান শা ইকরাম
বাস্তবে আরো অনেক বেশি সুন্দর।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে একবার দেখে যান, ভালো লাগবেই নিশ্চিত।
কবিতার ক ও লিখতে পারিনা, আপনি না হয় ছবি দেখেই লিখে ফেলুন কিছু একটা 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
এককথায় অপূর্ব বন্ধন।
জিসান শা ইকরাম
দোয়া করবেন মজিবর ভাই, এভাবেই যেন থাকতে পারি আজীবন -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া প্রথম ছবিতে বাঁকা চোখে চেয়ে আছেন কেন?
জিসান শা ইকরাম
একটু ভাব নিয়েছি আর কি 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
মসজিদ টা আমার দেশের ভাবতেই আনন্দ হচ্ছে,মসজিদ টার ব্যাপারে আমার খুব কৌতুহল,জানতে ইচ্ছে করে কিভাবে এত সুন্দর একটা স্থাপত্য করা সম্ভব হলো?
ছবি গুলোর ফ্রেমিং,পজিশন অসাধারন, জলের এত স্বচ্ছ রং মনকে মাতাল করার মত।
দেশে গেলে নিশচয় দেখে আশার আশা রাখি……….
জল যখন আয়না। নিজেরই মাঝে নিজেকে উপলব্ধি। জলের মাঝে মুগ্ধতা।
কতটুকু জল সেঁকলে
এতটুকু স্বচ্ছতা জলে ??
কতটুকু আকাশ দিলে
এতটা নীল দেবে ??
কতটুকু মন ভরলে
দেখার সাধ মেটে ?? (y)
জিসান শা ইকরাম
মসজিদটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে একটি পোষ্ট দেব ইনশাল্লাহ আপনার কৌতূহল মেটানোর জন্য………
আশাকরি সবকিছু জানাতে সক্ষম হবো।
দেশে আসলে দেখার তালিকায় অবশ্যই এই দুটো স্থানকে রাখবেন,
আমরা গাইড হবো আশাকরি 🙂
আপনার কবিতায় জানতে চাওয়ার উত্তর আসলে আমার নেই
আপনার প্রশ্ন তো আমারও প্রশ্ন,
ধন্যবাদ আপনাকে
শুভকামনা -{@
নাসির সারওয়ার
ভালো উপস্থাপনায় স্মৃতিচারন। ছবিগুলো অনেক ভালো ফ্রেমের। পছন্দ হয়েছে। তবে ক্যাপশন গুলোকে আরো ভালো ভাবে দেয়ার সুযোগ ছিলো। এই যেমনঃ
১) ছায়া ভুতের আছর। অন্তত দুইটা রাঙ্গা মানুষরে ক্যমন কইরা জাইত্তা ধড়ছে।
৩) বিশিষ্ট কবি পানি ভীতি ভাংতে যাচ্ছেন আর একজন উৎসাহ দিচ্ছেন!
৪) ঠিক আছে (পছন্দ হইছে)
৬) কবিরা মনে হয় সাঁতার জানেননা, তাই পানির কাছে তাহারা লিখিতে পারেননা।
৯) ছায়া ভুত এখানেও এসেছে।
১০) আচানক ব্যপার! এই মানুষটা মোবাইল দিয়ে ফটো তোলে ক্যমতে!!
সর্ব শেষে – ৬ বছরেও মায়া ওঝা ছায়া ভুত ছাড়াতে পারেনি।
যাওয়া বললেই হয় না যাওয়া, যাবো না বললেই হয় না থাকা ………
জিসান শা ইকরাম
ক্যাপশন নিয়ে যা বললেন তাতে তো এর পরের ছবি ব্লগ দিলে আপনার কাছে আগে কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে,
ক্যাপশন নিয়ে বড় চিন্তক হইলাম ^:^
যাওয়া বললেই হয় না যাওয়া, যাবো না বললেই হয় না থাকা ……… (y)
-{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অনেক ছবিই দেখেছি সত্যিই এই ছবিগুলো আমার চোখে অপূর্ব।ছবিগুলোই বলে দেয় বাংলার প্রকৃতির রূপ কতটা মনমুগ্ধকর সতেজ-{@
জিসান শা ইকরাম
তারপরেও আমরা বিদেশে যাই রূপ খুঁজতে
আমিও এর ব্যাতিক্রম নই :p
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবি তো দেখলাম। একজনের মাথায় যে পরিমাণে চুল, এমন হওয়াটা ঠিক না। বন্ধুদেরকেও দিতে হয়।
নানা ফটুগ্রাফারের ফটুক দেইখ্যা আমি তো হা 😮
আর বর্ণনার কথা কি বলিবো।
ফিরে ফিরে আসায় স্বস্তি আছে, এটা জানি।
জিসান শা ইকরাম
চুল দেয় ক্যামনে আবার? ধার দেবো নাকি? 🙂
একবার বরিশালে আসো, সব ঘুরিয়ে দেখাবো।
হ্যাঁ, ফিরে ফিরে আসায় স্বস্তি আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
চুল দেয়া খুবই সহজ। সেলুনে গিয়ে…আর বললাম না। বাকীটুকু বুঝে নিতে হবে। :p 😀
জিসান শা ইকরাম
আমার চুল কাইট্টা আইকা দিয়া অন্যের মাথায় লাগাইতে হইবো ? 🙂
নাজমুস সাকিব রহমান
ধানসিঁড়ি!
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ ধানসিঁড়ি 🙂
লীলাবতী
আমিও অনেকদিন পরে ফিরে ফিরে আসলাম। তবে এসে মনেহয় ঠিক করিনি। এত সুন্দর সব ছবি আর বর্ননা দেখে এখনোই চলে যেতে ইচ্ছে করছে। হাঁস না হতে পারলেও মালকোঁচা মেরে কিন্তু একটি লাফ পানিতে দিতেই পারতেন, ধুত্তুরি, আপনারা খুবই রসকষহীন। তালগাছের দুইটা পাতাও তো মনেহয় ছিড়ে আনেননাই, পাংখা বানামু কি দিয়া, গৃষ্মকাল তো আইসা গেলো। অনেক দারুন পোস্ট জিসান ভাই। -{@
জিসান শা ইকরাম
এতদিন পরে আপনি ফিরে এলে চলে?
লীলাবতী সোনেলায় রেগুলার আসেননা, এটি কিভাবে সম্ভব?
বুড়ো হয়ে গিয়েছি না? লাফ দিয়ে যদি পা আটকিয়ে আর উঠতে না পারি?
তখন তো আবার বলবেন, কেন এই বুড়ো বয়েসে লাফ দিতে গেল ?
আমরা বৃক্ষপ্রেমী, তাই পাতা ছিড়ে আনিনি
ধন্যবাদ আপনাকে,
তা আপনার নতুন লেখা পাবো কবে?
রিমি রুম্মান
ইশ্ ! কি অদ্ভুত ! এমন জায়গায় বসে মনে হয় কোটি কোটি শব্দ লিখে ফেলতে পারবো। কোনদিন যদি সুযোগ হয়, দেখবার ইচ্ছা রাখি মনে প্রাণে। ছবিগুলো, কথাগুলো এতো জীবন্ত !
এমন একটি উপস্থাপনা ক্যামনে আমার নজর এড়িয়ে গেলো ! 🙁
জিসান শা ইকরাম
দেশে এলে সময় করে একবার আসুন, দীঘিটি আসলেই খুব সুন্দর। চতুর্দিকে অনেক প্রশস্ত পার। বসার সিমেন্টের বেঞ্চ করা আছে। প্রচুর গাছ। কবিতা লেখার আদর্শ জায়গা 🙂
অনেক সময় চোখের সামনে থাকলেও নজর এড়িয়ে যায়।
শুভকামনা।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আহা!
বন্ধুত্ব! এমন গভীর বন্ধুত্ব কারো সাথে হয় নি। আপনাদেরটা দেখে কিঞ্চিত হিংসে হচ্ছে!
সৌন্দর্যেরও একটি সীমা থাকে। অসীম সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়।। ( অসাধারণ একটা কথা)
ছবি আর বর্নণ অসাধারণ।
মুগ্ধ হয়েছি।
জিসান শা ইকরাম
ছোট বেলা হতে বন্ধুত্ব বজায় রাখা কঠিন আসলে
কোন কিছু প্রাপ্তির আশা না রাখলে এটি বজায় রাখা যায়।
বন্ধুত্বে হিংসা করা ভালো 🙂
সময় এবং সুযোগ হলে বরিশালে এসে এদুটো স্থান দেখার জন্য অনুরোধ রইল।