প্রিয় বন্ধু মেজদা,
যেখানে অনেক কথার ঝুড়ি ভরে ফেলি, সেই নির্ভরতার, সেই সম্পর্কের একটাই নাম, সে শুধুই বন্ধু। মানুষের খারাপ ভাবনা বা সম্পর্কের মানে বদলে দেয়ার চেষ্টায় সে সম্পর্কে কালো ছাপ পড়ে যায়। অনেক সময় দুর্গন্ধও ছড়িয়ে দিতে চায় মানুষ।
এখানে কালো ছাপের দাগ ছাড়া দুর্গন্ধ ছড়ায়নি কারণ সেখানে রক্তের সম্পর্ক ছিল, বয়সের পার্থক্য ছিলো অর্ধেকেরও বেশি। তবুও তুমি আমার বন্ধু মেজদা। আমার দুষ্টামির লাগাম টেনে ধরা, আবার দুষ্টামির জন্য লাগাম ছেড়ে দেওয়ার স্বাধীনতা তুমিই দিয়েছো। তুমি ছিলে আমার নির্ভরতা। তুমি যখন ঢাকা পড়তে, ছুটি হলে সোজা আমাদের বাসায় আসতে। আমি সব কথা তোমায় বলতাম,স্কুলের কলেজের সব কথা। তুমি মনোযোগ দিয়ে শুনতে। একটুও বিরক্ত হতে না।
তোমাদের বাড়িটা ছিলো আমার অবাধ দুষ্টামির জায়গা। যখন সব ভাই বোনরা বেশি হইহুল্লোড় করতাম, তুমি বাড়িতে ঢুকলে সবাই চুপ। সবাই তোমায় খুব ভয় করতো, শুধু আমি ভয় পেতাম না।
তুমি আমায় বলতে অনেক কিছুই আমি বুঝিনা। বুঝতেও চাই না। তুমি কিন্তু চাইতে যে আমরা বোনেরা ছোটই থাকি। শিশু সুলভ আচরণগুলো থাক অনেকদিন পর্যন্ত। কিন্তু মেজদা, যে বাড়িতে বড় ভাই বোনেরা সাহিত্য চর্চা করে, দিনে রাতে উত্তম সুচিত্রার ছবি দেখে সেই বাড়ির কলেজ পড়ুয়া মেয়ে প্রেম করবে না! তাই যখন জুলফিকারের কথা তোমায় বললাম, তুমি হঠাৎ একটু চুপচাপ হয়ে গেলে। তবুও মনোযোগ দিয়ে শুনলে।
তুমি বাড়িতে আসলে তোমার হাতের দিকেই আগে আমি তাকাতাম। কি খাবার এনেছো তাই দেখতাম। সবাই বলতো তোর মেজদা আনছে , কেউ তো আর ভাগ পাবে না। চিপস্ আমার খুব প্রিয় ছিলো, তুমি তাই ওটা আনতেই।
জুলফিকারের সাথে দেখা হওয়ার সব কথাই তুমি খুটে খুটে শুনতে। তোমাকে যেদিন বললাম, জুলফিকার আমার জন্য চিপস্ এনেছিল, শুনে তুমি কি যে হেসেছিলে! রেগেছিলাম আমি খুব। বলেছিলে প্রেম করছিস এখন একটু বড় হ।
একদিন তোমায় বললাম, কেয়া নামের এক মেয়ে পি.সি কলেজে পড়ে , ঐ মেয়ে জুলফিকারকে চিঠি দেয়, থানার ফোনে গানও শোনায়,”তুমি আমার প্রথম সকাল”তখন বলেছিলে ‘ সিরিয়াস হ,আর কতো ছোট থাকবি বলতো!’
যেদিন দুলাভাই আমায় বলল, তোমার সাথে আমার বিয়ের কথা সবাই চিন্তা করছে, শুনে আমি দীঘির পাড়ে কতক্ষণ বসেছিলাম মনে নেই। তবে সেদিন দুলাভাইকে শুধু বলেছিলাম,ও তো আমার মেজদা, আমার বন্ধু।
তুমি জান মেজদা, সেদিনই আমি সত্যি বড় হয়ে গেছিলাম। আর কোনোদিন তোমাদের বাড়ি যাইনি। তোমাকেও কিছু বলিনি। তুমিও কোনো প্রশ্ন করোনি।
এখন অনেক ভিড়ের মাঝে হঠাৎ আমার দিশেহারা লাগে। মাঝরাতে হঠাৎ কখনও ঘুম ভেঙ্গে গেলে লক্ষ করি, তোমাকে না বলা কথাগুলো আমার জমে পাথর হয়ে গেছে। এখন আমি আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে উঠি, একি সেই আমি! হায়রে আমার স্মৃতির সোনালী প্রহর! আয়নায় অনেকক্ষণ দেখার পর আমি অতীত থেকে জীবনটাকে বর্তমান বিন্দুতে এনে রাখি। এখানেও যে আমার অনেক সুখ। সত্যি বলছি আক্ষেপ নেই। বৃষ্টি এলে বড় মিছিলও ভেঙ্গে যায়। জীবনের বাস্তবতায়,আমার কথার ভিড় ও ভেঙ্গে যায়।
তোমার মনে আছে আমার প্রেম যেন নিশ্চিন্ত পেম হয়, তাই তুমি কেয়া আপুকে বলেছিলে, জুলফিকারকে যেন ফোন না দেয়, চিঠি না লেখে। ও সম্পর্কে আমার ও বোন হয়।
এখন কি আমার নিশ্চিন্ত জীবন? হ্যাঁ এখন অন্তত তা বলতে পারি যে আমার নিশ্চিন্ত জীবন। একটি দুটি ছোটখাটো অভাব বোধ এবং কখনও কখনও সামান্য একটু এক ঘেয়েমি ছাড়া আর কোনো হিসাব অন্তত আমি করিনা। তবে অভিমান জমানো অনেক। তোমার অনেক কথা এখন বুঝি, ঐ যে বলতে এতো পাগলামি করিস, একটু বড় হ,সবাই তোর মতো ভাববে এমন কথা ঠিক না, সবাই সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে নেয় না।
তুমি ঠিকই বলেছো। আসলে মায়ের পেটের ভাই ছাড়া সবাই সব ছেলেমেয়ের নির্মল বন্ধুত্ব কেও যৌনতার মোড়কে জড়িয়ে দেয়। আসলে কি জান, আমরা উপন্যাস পড়তে পড়তেও কিন্তু নায়ক নায়িকার সহজ সরল প্রেমকে একঘেয়েমি মনে করি। একটু যৌবন সুড়সুড়ি আমরাও চাই। এখন আমি অনেক বড় হয়ে গেছি। এখন বুঝতে পারি অনেক কিছু। আমি ঠিক মোহনার কাছে পৌছানো এক নদী। যার স্রোত আছে কোনো ঢল নেই। সামনে শুধু মহা সমুদ্র। সেই নদী বয়ে চলতে হঠাৎ এক বাঁক, ঐ বাঁকে যে ছোট সমুদ্র, সেই সমুদ্রে প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটার খেলা। আমি যখন একটু বাঁক ফিরতে চাই, সমুদ্র উল্টো স্রোতে বয়। কি যে তার অভিমান! রাগ বড় বেশি। অহংকার তার খুব বেশি।
আমি বার বার সূর্যকে ভালোবেসে সূর্যকে অহংকারী বানিয়ে দেই। অভিমান এখন আমারও ,তাই তো শিউলি আমি। সূর্য উঠার আগেই ঝরে পড়ি।
ইতি তোমার –
মৌনতা
[ জিশান ভাইয়ার বন্ধুকে নিয়ে লেখাটি পড়ে আমার বন্ধুকে নিয়ে লেখার ইচ্ছে জাগ্রত হল , তাই এই লেখা ]
৪৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এ যাবৎ এখানে যা লিখেছেন তার মধ্যে এ লেখাটি সব থেকে ভাল হয়েছে
তাই উচ্চস্বরেই বলতে চাই।
অতএব এবার থেকে আরও একটু বেশি মনযোগ আশা করতেই পারি।
মৌনতা রিতু
মনোযোগ দিলাম।যতোটা পারি শিখতে হবেই।এ যে আমার বাপের বাড়ি।সত্যি সোনেলা আমার বাপের বাড়ি।যখন যা ইচ্ছা তাই লিখে ফেলি।
এটা আমার ই বুক ও বলা যায়।সময় চলে যায় অন্যদের লেখা পড়ে।
ধন্যবাদ দিব না।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বাপের বাড়ীতে আমাদের সবাই কে একটু দেখে শুনে রাখতে হবে।
মৌনতা রিতু
হেলাল,ভাইয়া,আমার দুইটা বিচ্ছু আছে।বড়টা তো খুবই শান্ত।বাচ্ছু হচ্ছে রিয়ান আর ওর বাবা।এই দুইটাকে সামলে পুরা সময় এখানে।আমি তো আবার একটু পাগল!কোচিং আর ছোট বাচ্চাদের গাইড বিরোধি তাই পড়াই আমি।বড়টা সিক্সে।টাচার আছে অবশ্য এখন।মেমন লেখেও।ওর লেখা একদিন সবাইকে দিব।ইনশাল্লাহ্।
শুভ্র রফিক
দারুন ভাল লাগল লেখাটা।অনেক সাধুবাদ
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। -{@
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত আবেগ দিয়ে লেখা এই চিঠি যেন আপনার ভিতরটা চিনিয়ে দিল
প্রকাশ খুবই ভাল হয়েছে
এমন লেখা লিখতে গিয়ে মন অনেকেরই ভারাক্রান্ত হয়ে যায়।
## যেখানে অনেক কথার ঝুড়ি ভরে ফেলি, সেই নির্ভরতার, সেই সম্পর্কের একটাই নাম, সে শুধুই বন্ধু।##
বন্ধু এমনই।
শুভকামনা আপনার আর মেজদার জন্য -{@
মৌনতা রিতু
এই সোনেলা এখন সেই কথার ঝুড়ি ভরার যায়গা।এতোগুলো মানুষের কতো কথাই না পড়ে ফেলি,নিজের ই মনে হয় কতো কথা।
এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করে সবাই।অবাক হই।
জিসান শা ইকরাম
আপনিও সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন
আমরা পাঠক,আমরা আপনাকে সনদপত্র দেবো।
লিখতে থাকুন যা খুশী তাই,এটি আপনার রাফ খাতা বানিয়ে ফেলুন।
শুভকামনা -{@
মৌনতা রিতু
সনদপত্র!তাও আমাকে?ভাইয়া,সকালে তো জুলফিকারের মুখ দেইখাই উঠছি। 😀
জিসান শা ইকরাম
অন্য লেখকদের লেখা এজন্যই পড়া প্রয়োজন,
একটি লেখা পড়ে আপনার এই লেখা লিখতে ইচ্ছে হলো, লিখলেনও,
অন্যের লেখা না পড়লে আপনি এই লেখাটি লিখতে পারতেন কিনা সন্দেহ আছে।
একারনেই আমি সবাইকে বলি অন্যের লেখা পড়তে, এতে অনেকে আবার রাগ করে 🙂
মৌনতা রিতু
গাল ফুলালে চলবে না।লিখতে গেলে শিখতে হবে।পড়তে হবে।
জিসান শা ইকরাম
আপনার শেখার আগ্রহ প্রবল,
লেখুন বেশী বেশী,গাল ফুলালে কেন গাল ফুলালেন তাও লেখুন 🙂
ব্লগ হচ্ছে ডায়েরী,এতে সব লিখে রাখা যায়।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সালমা আক্তার মনি
আমি গাল ফুলাইনি জিসান ভাইয়া। সময় পাইনা তাই জানিয়েছি।
মৌনতা রিতু
না,আমি সেদিন গাল ফুলাইছিলাম।আমি ভুল পোষ্ট দিছিলাম,অনেক লেখায় ভুল হচ্ছিল তো তাই।ভাইয়া ফোন দিয়ে রাগ ভাঙ্গাইছে।
থলের বিড়াল এভাবে বের হয়।হাহাহা।তাইলে আপনিও গাল ফুলাইছিলেন? :D) ;(
জিসান শা ইকরাম
আমি আপনার কথা বলিনি @মণি আপা। জব এর জন্য সময় পাচ্ছেন না,তা জানিয়েছেন আমাকে।
পেশার গুরুত্ব সবার আগে,
অবসর সময়ে লেখালেখি, এমনটাই হওয়া উচিৎ।
শুভকামনা।
মৌনতা রিতু
মনি আপা,জিসান ভাইয়া আমার কথা বলেছে।আসলে আমি উত্তর দেই না,আমার আগ্রহ আছে লেখার,কিন্তু না পড়লে তো শিখতে পারব না।এখানে সবাই সুন্দর লেখে।
আমরা সবাই আসলে একটা পরিবার।
ঐ যে বোনেরা বোনেরা যেমন ঝগড়া করি,আবার মিলে যাই এমন।
খসড়া
ও কি ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যান কয়া যান ও রে।
মৌনতা রিতু
বুঝেছি।কইতাছি দাঁড়ান।
ব্লগার সজীব
ছেলে আর মেয়েদের বন্ধুত্বকে আমাদের সমাজ সহজ ভাবে নিতে পারেনা। ছেলে আর মেয়ের মাঝে বন্ধুত্ব যে হতে পারে তা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ভাবতেই পারেনা। ভাল লিখেছেন আপু।
মৌনতা রিতু
এটা অনেকে প্রকৃতির নিয়ম বলে চাপিয়ে দেয়।যা অত্যান্ত কষ্টের।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের সমাজ ছেলে-মেয়েদের সম্পর্ককে আজও বন্ধুত্ত্বপূর্ণ সম্পর্ক হিসেবে গ্রহণ করতে শেখেনি। আমিও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। তবে আমার বাবা-মা আমার পক্ষে ছিলো, তাই যে কোনো সমস্যাকে সমাধানে রূপ দিতে কষ্ট হয়নি। মৌনতা আপনি দাদা ডেকেও ছাড় পাননি, আপন ভাই ছাড়া আর কেউ যেনো ভাই হতেই পারেনা।
তবে একটা কথা বলি, অভিমান ভেঙ্গে মেজদার সাথে আবার যোগাযোগ করুন। আমার সবচেয়ে প্রিয় দাদা যে আমায় বুঝতো, পথ দেখিয়ে দিতো। যার কাছে আমি অনার্সের সময়েও পিচ্চি হিসেবেই ছিলাম। সবার সামনে ডাকতো পিচ্চি বলে, কি যে লজ্জ্বা! বলতাম তুই আমায় পিচ্চি ডাকিস না দাদা। বলতো একদিন এই ডাকটা মিস করবি। হুম করি। কোথাও সে নেই।
বন্ধুত্ত্বকে গাঢ় অভিমানে ডুবিয়ে দেবেন না। জমে জমে পাথর হয়ে গেলে আর ভাঙ্গা যায়না।
মৌনতা রিতু
মেজদা মেমন সোনার পরীক্ষার আগে ফোন দিয়েছিল।
শুধু বলল মামারা কেমন আছে,তুই কেমন আছিস।
ফুফুকে দেখতে আসিস।
মেজদা জানে,এই বুড়ি অভিমানি খুব।সহজে এ অভিমান ভাঙবে না।
তবে এবার যাব।
আমি ছোটবেলায় কোন জামাটা পরবো হাতে নিয়ে এসে মেজদাকে দেখাতাম।আমি সু ঠিকমতো পরতে পারতামনা ওটা ঠিক করে দিত।চুলও বেঁধে দিত।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম গিয়ে দেখা করে আসুন। অভিমান জল হয়ে যাবে।
অরুনি মায়া
সুন্দর ভাবনাগুলো সুন্দর লেখায় রূপ নিয়েছে | জীবনে অন্তত একজন নির্ভর্যোগ্য মানুষ থাকা উচিত | আপনার মেজদাও তেমন | সবার ভাগ্যে এমনটা জোটেনা |
মৌনতা রিতু
সত্যি নির্ভরযোগ্য।আমি যেন নিশ্চিন্তে প্রেম করতে পারি,সে জন্য অন্যকে বোঝানো।সত্যি অসাধারণ।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
অসাধারণ লেখুনি।
মৌনতা রিতু
তাই না!এগুলো জীবনের গল্প তাই অসাধারন হয়ে গেছে।
আবু খায়ের আনিছ
অসাধারণ চিঠি। মেজদা মানে ত মেজা ভাই?
মৌনতা রিতু
হ্যাঁ মেজ ভাই।
আবু খায়ের আনিছ
ভালো লাগছে আপনার চিঠি।
মোঃ মজিবর রহমান
লেখাটি দাউন হৃদয় ছুয়ে যায়।
ভাল লাগলো আপু।
আর কিছু রইল গোপনে!
মৌনতা রিতু
না ভাই কিছুই গোপনে রইলো না।এই তো সেই জুলফির সংসার করছি।মেজদা সেদিন রিং করেছিল।শুধু বলল তুই কেমন আছিস?
মোঃ মজিবর রহমান
যাক মেজদা এখন খবর নেয় ভাল লাগলো।
এটা জেনে।
সালমা আক্তার মনি
লেখাটা এমন আবেগ প্রবন। খুব ভালো লাগলো। বন্ধু এমন এক দিগন্ত যার শেষ নেই।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ।
আপনি রাগ করেননি তো?আমরা এখানে সবাই আপন।সবাই সবার ভুল ধরাই।হেলাল ভাইয়া,খুবই উৎসাহ দেয়।অরুনি,নিলন্জনা,মজিবর ভাই,খসড়া,জিসান ভাই,আমি পঁচা ধচা যা লেখি তাই পড়ে!তাইলে ভাবেন!সবাই কতো আপন।
সালমা আক্তার মনি
রিতু আপু আমিও যা তা হাবি জাবি লিখি সবাই কষ্ট করে পড়েন! জিসান ভাইয়া মন্তব্যের উত্তর দিতে বলেন। বলুন তো লজ্জা নেই বুঝি আমার?
নাসির সারওয়ার
সহজ ভাবে কঠিন ভাব প্রকাশ। বেশ লিখেছেন।
সময় করে আপনার মেজদাকে বলে ফেলুন, “বন্ধু তোমার জায়গাটা কিন্তু এখোনো সেই জায়গাতেই আছে”।
মৌনতা রিতু
একবার ছেদ পড়লে তা আর হয় না।তবে মেজদার বিয়েতে আমি অসুস্থ ছিলাম তাই যাইনি।তবে বিয়ের পরে ঢাকাতে আমার বাসায় দুবার এসছিলো।মিষ্টি একটা ভাবি আমার।
এখন অনেক বড় হয়ে গেছি।আগের মতো গলা ঝুলে থাকতে পারি কি!
গলা ঝুলে,পা টিপে দিয়ে দুই টাকা নিয়ে সুপার বিস্কুট খাওয়ার মজা ও হয়ত নেই।
নাসির সারওয়ার
তারপরও বলতে পারলে মনে হয় আপনি আনেক ভালো করবেন।
কিছু কিছু জিনিষ পুষতে নাই। ঝেড়ে দিন।
ইলিয়াস মাসুদ
এমন লেখাতে কি বলবো বুঝতে পারছি না
এমন কিছু লিখতে গেলে অমি আপ্লুত হয়ে যায় আবার পড়তে গেলেও তাই
কিছু মানুষ হয় এমন যাকে বুঝতে সময় লাগে, অনেক সময়, এমন কি এক জীবন সময়ে হয়ে উঠে না
ভালবাসার একটা গভীরতা আছে যে পর্যন্ত অকপটে বলা যায়, তার পরে আর কিছু বলা যায় না,এমন কি চোখের উপর সব ফুরিয়ে যাওয়া দেখেও নির্বাক হওয়া ছাড়া আর উপাই থাকে না……..
খুব সুন্দর বর্ননা আপু……. মেঝদা রা এমন ই হয়,মেঝদার ও অভিমান থাকে তবে সে অভিমানে রৌদ পরে না কোন কালে, সে অভিমান ছাঁয়ায় অন্ধকারে নিরাকার হয়ে থাকে বুকের অজানা কোন স্পন্দনে
শুভ কামনা আপু
মৌনতা রিতু
একদম।সত্যি কখনও জিজ্ঞেস করিনি,মেজদা তুমি কেমন আছ?কি হচ্ছে তোমার জীবনে?মনে হয় এই মেজদারা শুধু আমাদের কথাই শুনবে।আমাদের নিশ্চিন্ত জীবনের ভরসা দিবে।
পাশে থেকে উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
অদ্ভূত সুন্দর লেখা মৌনতা আপু। আপনার সবচাইতে বেস্ট লেখা মনে হয়েছে আমার। একটা কথা মানি আমি, ভেতরে যার আবেগ সে প্রকাশ টা সেভাবে করে ফেলেই তা যেমনই হোক। বন্ধু মেজদা, শব্দটাই অনেক আবেগী। সূর্য্য অহংকারী হলেও সমস্যা নেই, তাকে অহংকারেই মানায়। অসাধারন লেখা। -{@
মৌনতা রিতু
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেও আবেগ সুন্দর।