পরিচয়টা হয়েছিল কোন রেল ষ্টেশন এ যাত্রী হিসেবে অন্য হাজার যাত্রীদের মাঝে অপেক্ষমাণ দুজনে, হতে পারে এটি প্রতীকি কোন ষ্টেশন, জীবনের কোন ষ্টেশন হওয়াও বিচিত্র নয়।
কোন সৈকতে সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় ছিটকে গায়ে এসে পরা, ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আমার হাতকে অবলম্বন হিসেবে ধরে রাখা, থমকে থাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন সমুদ্রও হতে পারে এটি।
শপিং মলের সিড়িতে পা পিছলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আগ মুহূর্তে তোর হাত টেনে ধরা, পিছলে পরার আশংকা হতে নিশ্চিন্ত নির্ভরতার হাত এর রূপক হতে পারে যা।
আসলে কিভাবে পরিচয়টি হয়েছিল তা এই মুহূর্তে গুরুত্বহীন। পরিচয়ের মুহূর্ত হতেই তো জানি জন্ম – জন্মান্তরের বন্ধু আমরা। উপরের ঘটনাগুলো হয়ত অন্য কোন জন্মের সময়ের, পুনঃ জন্মের এ জীবনে একটিই বাস্তবতা তোর আমার বন্ধুত্ব।
বন্ধুর কথা লেখা কতটা কঠিন লিখতে বসে বুঝতে পারছি। আজ পর্যন্ত যাকে কোনদিন কোন বিষয়ে ধন্যবাদ দেইনি, কোনদিন একটি বারের জন্যও স্যরি বলিনি তাকে নিয়ে লেখা! আমার সাহস এবং স্পর্ধা দেখে আমিই অবাক হয়ে যাই।
কি লিখবোরে তোকে নিয়ে? কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা লেখি? কোনো প্রশ্ন না করে আমার বন্ধুদের বন্ধু করে নেয়া, আমার সামান্য অসুস্থতায় বার বার ফোন করা, রাত ১২ টা ১ টায় মাসুদকে নিয়ে চলে আসার ইচ্ছে প্রকাশ। সেই ২০০৩ থেকে ২০১১ সন পর্যন্ত প্রতিবছর নিউরোর চিকিৎসায় বিদেশে যাবার আগে প্রতিবার এয়ারপোর্টে বিদায় জানানো, বাচ্চাদের মত হাউমাউ করে কাঁদা, এখনো মন খারাপ করে জগতের সমস্ত দুশ্চিন্তায় মুখ কালো করে খোঁজ নেয়া – ‘ জিসান নিউরোর সমস্যাটি চলে গিয়েছে তো? আবার না হয় যাও ব্যংকক’ , আমার সমস্ত বিপদে পাশে এসে দাঁড়ান, এমনও হয়েছে লিভার অপারেশনের পর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি যাবো। সময়ের স্বল্পতায় দেখা করা সম্ভব না, ‘ জিসান আসতেছি আমি’, দুই ঘন্টার পথ ৩০ মিনিটে চলে আসা, চলন্ত যাত্রী বোঝাই ট্যাক্সি ক্যাব থামিয়ে, এটি তোর পক্ষেই সম্ভব রে, আমি এমনটা আর শুনিনি। মনে আছে তোর?, আমার স্নেহের একজন রাগ করে বাড়ি হতে চলে এলে, আমার অনুপস্থিতিতে তোর সব কাজ বাদ দিয়ে ৩ টা দিন ওর জন্য ব্যয় করলি। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে তোর মাঝে যে সক্ষমতা আমি দেখেছি এমন আর দেখিনি। মাঝে মাঝে ফোন পাই তোর মাসুদের যা এতদিন বলা হয়নি তোকে 🙂 ‘ জিসান ভাই আপনার বন্ধুর খুব মন খারাপ, তার মন ভাল করে দিন, ঢাকায় থাকলে ডাকুন তাকে, একমাত্র আপনিই পারবেন তার মন ভালো করে দিতে।’ পেত্নী তুই যদি এই কথা আবার মাসুদকে জিজ্ঞেস করো, দুই মাস কথা বন্ধের শাস্তি হবে তোর।
তুই কি নারী? এই প্রথম এমন প্রশ্ন তোকে। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু লম্বু আর টাকলু ( ইদানিং তিনি আবার কবি হতে চান), এদের থেকে তো আলাদা কিছু মনে হয়নি তোকে। বন্ধু তো বন্ধুই, এর আবার নারী পুরুষ ভেদাভেদ আছে নাকি? ছেলে মেয়ের বন্ধুত্বে হাগ করা, আই লাভ ইউ বলা নাকি বন্ধুত্বের প্রমাণ, প্রগতির লক্ষন, এমনকি বন্ধুকে চুমু খাওয়াও নাকি যায়। লম্বু আমার ছোট কালের বন্ধু, এরপর টাকলু বড় কালের বন্ধু। কোনোদিন তো তাদের লাভ ইউ বলিনি, হাগ করিনি, চুমুও দেইনি উম্মম্মম্মম্মম্মাহ ও না। তোকেও না, তুইও বলোনি। তাহলে কি আমরা বন্ধু হইনি এখনো? লাভ ইউ মুখে বলা কি জরুরী খুব? বন্ধু মানেই নির্ভরতা, তোদের তিনজনের মাঝেই তো আমি তা পাচ্ছি সমান ভাবে। তোদের নির্ভরতাও কি আমি হইনি? মাঝে মাঝে প্রান খুলে গেয়ে উঠি এখনো সেই গান, গুলশানের এক রেস্টুরেন্টের লনে বসে বিড়ি টানতে টানতে হেরে গলায় গেয়েছিলাম তুই আমি টাকলু ‘ ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেংগে ’ মনে আছে নিশ্চয়ই তোর।
তোকে দেখে পুরুষ যখন পিছলা খায় বসুন্ধরার ফ্লোরে তখন যেমন মজা পাই, ঠিক একই ভাবে মজা পাই টেনিস খেলুরে রাঙ্গা ইয়া লম্বুরে দেখে নারী যখন উষ্ঠা খায়। বন্ধুকে দেখে অন্যরা পিছলা বা উষ্ঠা খাবার দৃশ্য দেখার মজাই আলাদা 🙂
কত মায়া আছে তোর মাঝে কে জানে? আমার যতজন বন্ধু/পরিচিত/স্নেহের মানুষের সাথে আলাপ করিয়ে দিয়েছি তারা তোর ভক্ত হয়ে গিয়েছে। নীলা, মিতু, মুক্তা এখনো তোর কথা বলে। অথচ মাত্র দুদিন আড্ডা দিলি নীলার সাথে, মিতুর সাথে কয়েকদিন। মুক্তা তো তুই বলতে অজ্ঞান এখনো।
এক যুগের কথা কি একদিনে বলা যায়? অধিকারহীন অধিকারের বন্ধনে, অফুরান প্রাণের উৎস তোর মতন কেউ নেই। একজন মানুষের প্রকৃত একজন বন্ধু থাকাই যথেষ্ট। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে এমন বন্ধু আমার তিনজন। চারজনে এভাবেই থাকতে চাই হৃদয়ে জরা জরি করে একের অন্যের হয়ে, হাত হাত রেখে, জীবনের বাকী কটা দিন।
৫০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এ বলে শেষ না করা এক সুবৃহৎ উপাখ্যান, এত সে দিন, খবর পেল আমার চোখে অপারেশন,
অনেক নিষেধ সত্ত্বেও সেই দূর থেকে এসে উপস্থিত।
আমাদের ছেলে মেয়েদের জন্য কেনাকাটা করতে হবে? না চিন্তা, মার্কেটে গিয়ে তাঁর পিছনে একটু হেঁটে এক জায়গায়
বসে পড়ি, সে সামান্য পরিশ্রান্ত না হয়ে গোটা ত্রিশেক দোকান ঘুটে যা যা আমরা বলেছি হাসতে হাসতে নিয়ে এসে হাজির।
কী করে সম্ভব তা জানতে চেয়েছি, একটি ই উত্তর “আমরা দোস্ত তো”।
বলে শেষ করা যাবে না এ অসম্ভব আন্তরিকতার কথা।
জিসান শা ইকরাম
তিনি একজনই, তার মত কেউ নেই
অফুরান ক্লান্তিহীন প্রাণের উৎস সে।
এই ছোট লেখায় তাকে কোনভাবেই আনা সম্ভব না।
নাসির সারওয়ার
বন্ধু নিয়ে লেখার স্পর্ধা দেখে অনেক অবাকই হলাম! এমন করে মানুষ উপস্থাপন করে কী করে!!
এ জন্যই তো একটা আবেগ ব্যাংক খুলতে বলেছিলাম।
আর একটু চিন্তাইয়া আসি!!!
জিসান শা ইকরাম
আমার স্পর্ধা দেখে আমিও অনেক অবাক হয়েছি
তাকে কি এত ছোট লেখায় আনা যায়?
আবেগের ব্যংক আসলেই দরকার একটা 🙂
মৌনতা রিতু
মন্তব্য করতেও স্পর্ধা হচ্ছে না।শুধু নিজের বন্ধুদের কথা মনে করে গলা ভারী হয়ে আসছে।
এতো সুন্দর উপস্থাপন!
এক কথায় অসাধারণ।
জিসান শা ইকরাম
নিজের বন্ধুদের নিয়ে লিখে ফেলুন কিছু
আমরা জানি বন্ধুত্বের সুন্দর সম্পর্ক গুলো।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বন্ধু! শব্দটা ছোট্ট হলেও এর মহিমা বিশাল।
যদি থাকে টান, বন্ধু ভগবান।
জিসান শা ইকরাম
” যদি থাকে টান, বন্ধু ভগবান।” বাহ! এটি প্রথম শুনলাম (y)
খসড়া
বন্ধু ভাগ্য সবার হয় না আবার কেউ এমন বন্ধু ভাগ্য নিয়ে আসে সে ফিরে তাকায় না কিন্তু বন্ধু তাকে ছারে না। প্রকৃত বন্ধুকে কখনই বলতে হয়না আই লাভ ইউ বা তাকে মনে করিয়েও দিতে হয় না তুই আমার হৃদয়ের কোথায় আছিস। বন্ধু যেমন স্বর্গের পথ দেখায় তেমনি নরকের ও আবার বন্ধুই শ্বাস এবং বন্ধুই নাশ। এখানে প্রকৃত বন্ধুই খুজে পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার।এই জামানায় সব লোক দেখানো। আপনি আতি ভাগ্যবান। ভাল থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
এমন লেখায় আমি আপনার মতই মন্তব্য করতাম।
এমন বন্ধু পেয়ে আমি আসলেই অতি ভাগ্যবান।
দোয়া করবেন আমাদের বন্ধুত্বের জন্য।
অরুনি মায়া
একেই হয়ত বলে প্রকৃত বন্ধু | উনি আসলেই চমৎকার একজন মানুষ | খুব সামান্য সময়ের জন্য তাকে কাছ থেকে দেখে বেশ আন্তরিক মনে হয়েছে | ভাল বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার | আর বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় মেলে | তো আপু কি পড়বে তার বন্ধুর লেখা এই উপহার টি | উনাকে অবশ্যই বলবেন পড়ার জন্য | ভাল লাগবে উনার | কি লিখেছেন কেমন লিখেছেন তা বিষয় নয়, লিখেছেন এটাই আসল 🙂
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ খুব অল্প সময়ের জন্য আপনার সাথে দেখা হয়েছিল তার
আপনাকেও তার ভাল লেগেছে, আবার একদিন ভাল ভাবে আলাপ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে।
এই লেখা পড়ে কিনা কে জানে!
যে পেত্নির পেত্নি পড়লেও ভাব দেখাতে পারে পড়ে নাই 🙂
অরুনি মায়া
বেঁচে থাকলে হয়ত আবার দেখা হবে | আপুকে আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে দিবেন |
ভাব দেখালেও লুকাতে পারবেনা কিছুতেই | শিশু মনের মানুষরা লুকোচুরি পারেননা 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনার শুভেচ্ছা পৌছে দিয়েছি, আপনাকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছে সে।
দেখা হবে আপনার সাথে ইনশ আল্লাহ্।
” শিশু মনের মানুষরা লুকোচুরি পারেননা ” – কিভাবে লেখেন এমন করে? (y)
শুভকামনা -{@
অনিকেত নন্দিনী
“আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু লম্বু আর টাকলু ( ইদানিং তিনি আবার কবি হতে চান)” কথাটা পুরোপুরি সত্যি নয়। যদ্দুর মনে হয় লম্বুর মাথায়ও টাক আছে এবং তিনি তা ঢেকে রাখতে ফ্যাশনদুরস্ত টুপি পরেন। :p
বন্ধুত্ব তো দেখি অনেক কিন্তু সত্যিকারের বন্ধুত্বপূর্ণভাবে জীবনের অনেকগুলি বছর কাটিয়ে দেয়াটা সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার। সেক্ষেত্রে বলতে হয় আপনি এবং আপনার এই বন্ধুরা অনেক ভাগ্যবান।
বন্ধুকে নিয়ে লেখার স্পর্ধা দেখাতে ইতস্তত করলেও আমি কিন্তু মন্তব্য করার স্পর্ধা দেখিয়েই ফেললাম। 🙂
অরুনি মায়া
আপু ঢাকা জিনিষকে জোর করে আলগা করে দিয়ে হাটে হাড়ি ভাঙা ঠিক না | আহা উনি কি একটু ফ্যাশনও করতে পারবন না :p
অনিকেত নন্দিনী
আহা, জোর করে আলগা করে দিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলাম কই? ব্লগে এট্টু কইলাম আর কি! :p
ফ্যাশন করা ভালো তো, উনি ফ্যাশন করবেননা কেনো? অবশ্যই ফ্যাশন করবেন। 😀
অরুনি মায়া
এইবার বুঝেছেন আপু, ফ্যাশন টুপি পরে মাথা ঢেকে রাখেতো তাই চলতি পথে নারীরা উষ্টা খেয়ে পড়ে | সবই টুপির বাহাদুরি আর কিছু নয়
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , ঠিক ঠিক, ইহা তো ফ্যাশনই 🙂
জিসান শা ইকরাম
দুজনকে টাকলু সম্মোধন করলে শনাক্ত করনে সমস্যা হতে পারে, একারনে একজন লম্বু আর একজন টাকলু।
অবশ্যই আমি ভাগ্যবান এমন বন্ধুদের পেয়ে।
শুভকামনা।
আবু খায়ের আনিছ
আবেগের একটা বাক্স থাকা দরকার, না হলে মাঝে মাঝেই আমরা আবেগে বেশি সাহস দেখিয়ে ফেলি। আমি ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন এমন বন্ধুত্বের দেখা পেয়েছি।
ভাইয়া সবার জন্য অন্তর থেকে থাকল শুভ কামনা। সৃষ্টিকর্তা সবার সুস্থতা আর দীর্ঘায়ু দান করুক। মন বারবার এমন মানুষদের সান্নিদ্যে আসতে চায়।
জিসান শা ইকরাম
আপনি আমাদের চার জনকেই দেখেছেন।
ধন্যবাদ, শুভকামনা।
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ ভাইয়া, যা কখনোই পাওয়ার ছিল না তাও পেয়েছি।
জিসান শা ইকরাম
আমরা চারজনই আনিছকে আমাদের স্নেহের ছায়াতলে রেখে দিয়েছি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক অনেক অনেক বেশী ভালো একজন। নানা তুমি ভাগ্যবান খুব ভালো বন্ধু পেয়েছো।
দু’দিনের দেখায়, এখনও সেই ছবিগুলো আছে। গাছে ঝুলে, কতো আড্ডা-গল্প। ইস সব মনে আছে।
বন্ধু এই সম্পর্কটাকে আমি পুজো করি। আমি জানি বন্ধু কি। এই জীবনে এমন ভালো বন্ধু পাশে আছে আমার, সবাই যদি সরেও যায়। আমি কোনোদিন একা হবোনা। নাহ লিখতে হবে বন্ধু নিয়ে।
জিসান শা ইকরাম
আমি ছবিগুলো হাড়িয়ে ফেলেছি। আমাকে ছবিগুলো পাঠিয়ে দিও মেইলে।
বন্ধু সম্পর্ককে পূজো করো তা তোমার অহম তিরি লেখাতেই বুঝা যায়।
লেখো বন্ধুকে নিয়ে………
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
তা তো হারাবেই।
আচ্ছা পাঠিয়ে দেবো। কিন্তু ফেসবুকে তোমাকে ট্যাগ করেছিলাম তো ওসব ছবিগুলো সেই ২০১০ সালেই।
হুম লিখবো।
জিসান শা ইকরাম
২০১০ সনের কথা অর্ধ যুগ চলে গিয়েছে।
এর মাঝে ল্যাপটপ হারিয়ে ফেলেছি ২ টা,সব ফটো শেষ।
ফটো পাঠিয়ে দিও।
রিমি রুম্মান
বন্ধু নিয়ে কত সুন্দর করে লিখলেন, দাদা ভাই।
শুভকামনা রইল চারজনের প্রতি।
একটু নাড়া দিয়ে গেলো,
ইস্ কেউ যদি এমন করে লিখতো !!
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিই লিখে ফেলুন আপনার কোনো বন্ধুকে নিয়ে 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
বন্ধু এক গভীর ভাবনা।
এককথায় বন্ধুত্বেরের তুলনা বন্ধুত্ব।
রক্তহীন এক আত্মার সম্পর্ক। ঝড়তুফান যেখানে পরাস্ত বন্ধুত্ব ব্যাখ্যা আমার দ্বারা অসম্ভব ভ্রাতা।
আপনাদের বন্ধুত্ব চিরজাগ্রত থাকা আপন হৃদয়ে।
জিসান শা ইকরাম
রক্তহীন এক আত্মার সম্পর্ক। ঝড়তুফান যেখানে পরাস্ত (y) ভালোই বলেছেন মজিবর ভাই।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
অসাধারণ সুন্দর উপস্থাপন
প্রাণ ভরে গেল লেখাটা পড়ে। আসলেই, এমন বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার।
শুভকামনা -{@
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
জিসান ভাই, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে আপনার বন্ধুদের পরিচয়। উনারা কি সবাই সোনেলাতে লেখেন? আমি শুধু জানি হেলাল ভাইয়ের কথা।
জিসান শা ইকরাম
যার কথা এই পোষ্টে লিখেছি উনি এখানে লেখেন না
আমরা তিন বন্ধু লেখি এখানে 🙂
জিসান শা ইকরাম
আমার ভাগ্য অবশ্যই ভালো, এমন বন্ধু আছে আমার।
ধন্যবাদ মাহাবু।
ব্লগার সজীব
এমন বন্ধুর কথা গল্প উপন্যাসে পড়েছি। বেঁচে থাকুক আপনাদের এই বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের উদহারন হয়ে থাকবেন আপনারা।
জিসান শা ইকরাম
বাস্তবতা থেকেই গল্প উপন্যাস লেখা হয়
ধরুন আমাদের এই চারজনের একজনে বন্ধুত্ব নিয়ে গল্প লিখলো,
এমন বন্ধুত্ব পাবেন কিন্তু সে গল্পে 🙂
শুভকামনা -{@
শুন্য শুন্যালয়
হোক কোন প্রতীকি স্টেশন কিংবা জীবন সমুদ্র, নির্ভরতার একটি হাত, বন্ধুত্বের এমন এক জোড়া হাত যাদের আছে, পিছলে পড়বে না কখনোই। যার এমন তিনজন বন্ধু আছে তার স্পর্ধা তো আকাশ ছোঁয়া হবেই। বন্ধুর নাম তুলে রাখলে কি হবে, খোঁজ দ্যা সার্চ শুরু করে দিয়েছি। এই বন্ধুটিকে আমার চাই -ই চাই। টাকলু, লম্বুতে ভাগ বসালাম না।
আপনি কি জানেন আপনি কেমন লেখেন?
বাই দ্যা ওয়ে আপনার তিনজন বন্ধু বুঝি? 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনি খোঁজ দ্যা সার্চ লাগালে সে পাতালে থাকলেও খুঁজে পাবেন আমি জানি।
এই বন্ধুকে আপনার চাই বুঝলাম,
কিন্তু সমস্যা একটা আছে, সে এক মায়াবিনী ডাকিনী, আপনি তার মায়ার জালে আটকা পড়ে আমাদেরই তো ভুলে যাবেন,
তখন আপনাকে কি খোঁজ দ্যা সার্চ লাগাবো ? 😀
হুম জানি, আমার লেখা গুলো সব যৌগিক, কোণো মৌলিক লেখা লিখতে পারিনা আমি 🙂
বুঝেছি সিরিয়াল নাম্বার জানতে চাচ্ছেন অন্যভাবে,
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে যে কোন নাম্বার শুরু হবার আগে থাকে শুন্য।
শুন্য এক দুই তিন চার ………
সেক্ষেত্রে নাম্বারিংটা শুন্য শুন্যালয় হতেই কাউন্ট করা শুরু করুন, এবং কতজন হয় বলুন 🙂
শুভকামনা রাশি রাশি -{@
শুন্য শুন্যালয়
আপনার বন্ধুলিস্টে রেখে আমায় সম্মানিত করলেন, জোর করেও অনেক কিছু আদায় করা যায়, আমি জোর করতেই ভালবাসি 🙂
মৌলিক বলে কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই, নিজের লেখাকে চিনুন। আমি শুধু এটুকুই জানি, আপনার লেখার কারনেই আপনাকে চিনেছি আমি। লেখাটি অসাধারন হয়েছে। আপনার বন্ধুটিকে চাই আমি। খোঁজ শুরু করেছি, এমন বন্ধু পেলে সবাইকে ভুলেই না হয় যাব, সমস্যা কি। এমন বন্ধু থাকলে আর কিছুর দরকার নেই।
শুভকামনা আপনাকেও (3
জিসান শা ইকরাম
কেউ একজন জোড় খাটাক আমার উপর,তা আমিও চাই দারুণ ভাবে।
বন্ধুত্বে জোড়া জুড়ি,ফাইটিং,ঘুসাঘুস্ যুদ্ধ বৈধ 🙂
কি লেখি আমি নিজেই জানিনা, সোনেলায় গরগড়িয়ে একবারে লিখে পোষ্ট দেই,
লেখকদের মত নোটে লিখে সংগ্রহ করার ধৈর্য্য নেই আমার,
আপনারা যখন ভালো বলেন, কিছুটা লজ্জিতও হই আপনাদের বিনয় দেখে।
বুঝেছি আমাদের ভুলে যেতে হলেও তাকে চাই আপনার,কি আর করা, হয়ে যান তার বন্ধু।
নতুন বন্ধুত্বের জন্য শুভকামনা (3
শুন্য শুন্যালয়
তা এজন্যেই বুঝি আমাদের ভুলে গেলেন? সেইইইইইইইইইইইইইইইই কবে পোস্ট দিয়েছেন!!
বৈধতার ফাইটিং শুরু করে দেব নাকি? পোস্ট চাই, দিতে হবে।
ও হ্যাঁ বন্ধুটিকে খুঁজে পেয়েছি। রিকু দিলে আবার মাইরধইর দেয় কিনা ভয়ে আছি 🙂
জিসান শা ইকরাম
নিজ দায়িত্বে রিকু দিন
মাইরধইর এর সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অটুট থাকুক স্বার্থহীন নির্ভেজালে আপনার সারাটি জীবন -{@
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ মনির ভাই এত সুন্দর করে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য
আপনার জন্যও শুভ কামনা -{@
ইলিয়াস মাসুদ
বন্ধু নিয়ে লিখা তো দূরের কথা মন্তব্য করার স্পর্ধাও আমার হয়না
যখন এত সব সুন্দর সুন্দর বন্ধুর কথা শুনি কিচ্ছুক্ষন যেন আনমনা হয়ে যায়
হয়তো আমার বুকের ভেতরেও দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেঁচে আছে বন্ধু কেউ
খুব সুন্দর লেখা ও বন্ধু
শুভ কামনা
জিসান শা ইকরাম
সবারই কিছু একান্ত আপন বন্ধু থাকেন
আপনারও আছেন,লিখে ফেলতে পারেন তাদের কথা।
শুভকামনা -{@
স্বপ্ন
বন্ধু হচ্ছে সবচেয়ে ইনফরমাল সম্পর্ক। প্রকৃত বন্ধুর খোঁজ পাওয়া গেলে জীবন পরিপুর্ন হয়ে যায়। আপনারা সবাই এমনি বন্ধু হয়ে থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
ঠিকই বলেছেন স্বপ্ন।
আমি অনেক ভাগ্যবান এমন কয়েকজন বন্ধু আছে আমার।
মিথুনের খবর কি? দেখিনা যে অনেকদিন।
শুভকামনা।