বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব একশ’ কিলোমিটার, প্রশস্ততর মসৃণ রাস্তায় গড় গড় করে ছুটে চলা মজাই মজা। পটুয়াখালী পর্যন্ত একটি ফেরি। বড় নদী হলেও দু’দুটো বিশাল ফেরির কারণে তেমন মেজাজ ভঙ্গ হয় না সাধারণত।
যাওয়া হবে কী হবে না, এমন ভাবাভাবির মধ্যেই সব ঠিক হয়ে গেল, একটি বড় গাড়ী ও একটি ছোট গাড়ী, হোটেল বুকিং। সাকুল্যে দুই ড্রাইভার সহ এগারজন। তিন জন বুড়ো, আমি কনিষ্ঠতম, কুট্টি রকম পালের গোদা।
আগে থেকেই ঠিক ছিল ছেলেরা পটুয়াখালীতে টেনিস খেলবে। ধুম খেলা ও আপ্যায়ন শেষে রাত দশটায় কুয়াকাটার পথে রওয়ানা। তিন বুড়ো এক গাড়িতে বাকী ধাড়ী দুষ্টের দল অন্য গাড়িতে। সামান্য পথ চলার পর ই ফোন এলো ওদের ক্ষুধার উদ্রেক হয়েছে, পরাটা ও ডিম ভাজি খেতে চায়। অগত্যা গাড়ি থামিয়ে খোঁজ দ্যা শুরু হল, নো সুবিধা,
সময় নষ্ট করে আবার চলতে শুরু করা, ভাল কথা, সামনে দুটো ফেরি, একটি সামান্য বড় , এখানে এসে পাওয়া গেল কাঙ্ক্ষিত গরম পরোটা+ ডিম, সাথে বিখ্যাত রসগোল্লা। মার মার কাট কাট করে খাওয়া শুরু ও সেরাম ভাবেই শেষ। দূরত্বে বসে শুধুই দেখে যাওয়া। টাইম মেশিন অতীব দরকারি। ফেরি এপারেই, গাড়ির সংখ্যা অনধিক, তাই অপেক্ষার ফ্যা ফ্যা। বিশাল ব্রিজ আলো জ্বালিয়ে টিটকারি মারছে। কাজ শেষ, যেহেতু আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন হয়নি তাই চলাচল ও চালু হয়নি, অবশেষে পাড় হলাম অন্য ফেরিটিও, সেখানেও ব্রিজের কাজ শেষের পথে, কমপ্লিট ঝামেলা মুক্তি আসন্ন।
রাত একটায় হোটেলে গাট্টি ফেলে সবাই ভো দৌড় সি বিচে, আহা মড়ি মড়ি। ঘণ্টা খানেক পর সবাই ফিরলাম, আবার এক প্রস্থ খাওয়া খেয়ে,
আমার মন পড়ে রয় সাগর পাড়ে………………………………
সমুদ্র আমার প্রাণ, হোটেলে ফিরতে মন চাইছিল না। মনে মনে বললাম, আসব আবার একটু পরেই।
শুরু হল গপ শপ, কিসের ঘুম কিসের নিদ্রা, ঠিক হল খুব সকালে সূর্যোদয় দেখা এখানে এই বিচ থেকেই(আসলে ঠিকঠাক ভাবে সূর্যোদয় দেখতে হলে প্রায় ন’কিলোমিটার দূরে যেতে হয়)। পাশের রুম থেকে আওয়াজ আসছিল গানের জোরেশোরেই।
রাত বাকী থাকতেই কাউকে কিছু না বলেই একাকী ফিরে আসলাম আবার ও, প্রিয় সমুদ্রের কাছে, বসে থাকতে থাকে কখন যে সকাল হল জানি না, খেয়াল হল ওদের ডাকাডাকিতে।
সারাদিন টরেটক্কা, যে যার মত মার্কেটিং, ভাড়ার মটর সাইকেলে যত্রতত্র বিচরণ,(আমি কিন্তু কাছ ছাড়া হইনি/করিনি সমুদ্রের) সূর্যাস্তের সময় জনসমুদ্রে যেন সমুদ্র ভরে গেল, সে এক অভাবনীয় দৃশ্য, এত্ত এত্ত ভালোবাসা সমুদ্রকে ঘিরে!!
ফেরার পথে ফিরতে শুরু করলাম, আনন্দের বেদনা নিয়ে।
আসব আমি মেঘ হয়ে কোন এক রাতে, অপলক মৌনতার চরে কবিতারা স্বপ্ন মেলবে, নিঝুমের নিঝুম রাতে, এই ভেজা বালিয়াড়িতে; এইইই, নটি সমুদ্র, ছেনাল কান্না কেঁদোনা, ফিরে তো আসি তোমারই অলিন্দে, হাতে নিয়ে বিষের পেয়ালা আসব আবারো। নীরবে গড়ান তোমার দু’ফোটা লোনা জলে জলবৃষ্টি দিয়ে যাব, হারিয়ে যাব আবারো এমন করে, জনস্রোতের এই উৎসবে।
পুনশ্চ:
তলে তলে টেম্পু চালাও; গাড়ি, বাস, ঢাউস ট্রাক ও,
আমি কইলেই কও হরতাল!!
বুঝি, সব ই বুঝি,
অসভ্য সমুদ্র,
৪৭টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
ভ্রমণ কাহিনী আমার অতি প্রিয় বিষয়। নাওয়া খাওয়া ভুলে গড়গড়িয়ে পড়ে যেতাম। আপনার লেখায় দুই অংশটুকু দুজনের যুদ্ধে লিপ্ত। কোনটা বেশি ভাল বলা মুশকিল। তবে পুনশ্চ: টুকু খানিক বেমানান ছিল, এই এমন একটা কবিতার পরে। আহ্ মেঘ হয়ে রাতের আকাশে সমুদ্র পাহারা দেবেন বুঝি? লেখাটি তে প্রিয়র ঘরে ক্লিক পড়েছে। আপাতত এইটুকু ভাষা খুঁজে পেয়েছি। পরে পেলে আবার লিখবো। লিখা তেমন কঠিন কিছুনা, মুশকিল হলো এমন লেখায় কমেন্ট করা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার অতি মহৎ ক্ষমাসুন্দর মনোচোখ পুন্সশ্চঃ এর আবজাব হাবিজাবিটুকু নিজ গুনে পেরিয়ে যাবেন
তা ত জানি ই, যদি ও অতি দুষ্কে অতি বেদানায় এ ছাড়া আর কি ই বা লিখতে পারি!! হরতালকে ভয় পাই খুুউব!!!!
প্রিয় এর সাউন্ড পেয়ে চৌক্ষে পানি আসি গেল।
ক্যামনে কি?
কই যাইতাম আর কিতা ই বা কইতাম!!
বুঝতাম পারিনা কিছুই, আপনার মন্তব্য আপনার ই।
আসলে লেখা কোন ব্যাপার না আপনি ই শুধু বুঝলেন!! শান্তি পাইলাম!!
তবে মন্তব্যের উত্তর দেয়া যে কি কঠিন তা যদি জানতেন, ভাইয়া!!
শুন্য শুন্যালয়
বিদ্রুপ টুকু এড়ায় নি। কি আর করার? আমার এইসব হাবিজাবি লেখাই পছন্দ, বেশি ফিটফাট লাইক করিনা। আপনি বরং হেলাফেলায় এমন লেখা আরো লেখবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। ঝারিঝুরি দেবার সুযোগই দেননা, এইটা কিন্তু ঠিক না।
ছাইরাছ হেলাল
অধমের গোস্তাকি মাফ করে দেবেন আপনার অগুনপনায়, কষ্মিন কালেও বিদ্রুপের
সাহস দেখানোর দুঃসাহস অসম্ভব শুধু নয়, অভাব্য ও বটে।
ট্রাই করেছি জনাব ইতমধ্যেই, অভয় বানীর অপেক্ষা না করেই।
জিসান শা ইকরাম
আপনি তো ভালোয় ভালোয়ই সমুদ্র দেখলেন
আমার সমুদ্র দেখাটায় এবার বিশাল হ্যাপা
সমুদ্র দেখা দেখি চলুক 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না, সব হ্যাপার ই শেষ আছে।
দেখাদেখি চলবে।
জিসান শা ইকরাম
ভাবছি একবার আপনার সাথে সমুদ্র দেখতে যাবো
কিভাবে সমুদ্র দেখে শিখবো
অথবা আমি আমার মত, আপনি আপনার মত দেখবেন।
ছাইরাছ হেলাল
তা মন্দ বলেননি, একবার নয়, অনেক বার ই যাওয়া যেতে পারে।
তবে কাড়াকাড়ি না করে যে যার মত চালিয়ে যাওয়াই উত্তম পন্থা।
কাকস্য পরিদেবনার কিছু নেই। হবে হবে।
অনিকেত নন্দিনী
কুট্টিরকম পালের গোদা! :D)
ধাড়ি দুষ্টের দল! কেমন হয় তারা!! করেই বা কী!!! ;?
এইভাবে লোভ লাগানো ঠিক? ;(
ছাইরাছ হেলাল
সিনিয়রদের মধ্যে আমি কনিষ্ঠ, ছেলেদের সাথে আমার আবার বেশ জানাশোনা,
শুনুন বলছি, ওরা দলে ছ’জন, রেস্তরায় ঢোকার মুখে যে সব খাবার থাকবে হাতে নিয়ে খেতে খেতে ভেতরে ঢুকবে,
আবার খাওয়া, এটা না ওটা নানান কায়দা। আবার বের হওয়ার সময় আর এক বার হাতে নিতে এটা ওটা খাওয়া।
সকালে যা জানলাম, রাতে তাস খেলবে, সবাই খেলতে পারে না, একজন কে শিখিয়ে খেলতে বসিয়েছে, উদ্দেশ্য নূতন জনের
টাকা নেয়া, ফল উল্টো, শিক্ষানবিশ টি টেকা-টুকা ভালই নিছে, সেটি সমস্যা না। সমস্যা হল সে আর খেলবে না, কী আর করা আমার মধ্যস্ততায় আবার খেলা এবার আরো নুতন একজনকে বলে কয়ে বসালাম, যদি রাত পার্টির কিছু ফেরত হয়, আমি জাজ, এবারে সদ্য নূতন সব টাকা নিয়ে গেল, আবার খেলা নুতনরা কেউ আর খেলবে না। আবার বলে কয়ে বসালাম…………………এই সব।
খুব আনন্দ হয়, নানান রকম গল্প। এরপর সমুদ্র স্নান, চুবা-চুবি চলল। দল বেঁধে মার্কেটিং , কেউ কেউ বাইকে দুরে দেখতে গেল……………এই।
আপনার আর কী লোভ, আমার তো সাতদিন চব্বিশ ঘন্টা করে বিচে বসে থাকতে ইচ্ছে করে,
শ্যেন দৃষ্টি কৈ!!
শুন্য শুন্যালয়
কার্ডের নতুন প্লেয়াররা বরাবরই জেতে, এর রহস্যটা কিন্তু রহস্যজনক। প্রায় সবসময়ই এমন দেখেছি। বীচে একা বসে থাকা, আর দল বেঁধে মজা করা দুটোই লোভনীয়।
ছাইরাছ হেলাল
নূতনদের জেতার রহস্য রহস্যেই থেকে গেছে।
সবাই একা হতে পারে না, আবার দল ও বাঁধতে পারে না।
লোভ খুব ভাল।
ড্রথি চৌধুরী
এমন লিখা গুলোতে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখলাম আমার নিজের শব্দগুলো লজ্জা পেয়ে অলিগলিতে লুকিয়ে গেছে ! কি সুন্দর বর্ণনা এর পড়ে আর কোন কথা থাকতে পারে?
তবে নন্দিনী আপুর মত আমার ও জানতে ইচ্ছে করলো ধাড়ী দুষ্টের দল! কেমন তাড়া করেই বা কি ??
;?
বি দ্রঃ লোভ দেখানো ঠিক না পেটে পিলে হবে ;(
ছাইরাছ হেলাল
বাড়িয়ে বলা ঠিক না কিন্তু।
তাঁর মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি, দেখুন একবার।
পিলে হতে দিচ্ছি না মোটেই।
অরুনি মায়া
কখনো সমুদ্র দেখেনি আগুনে পোড়া এই দুটি চোখ |
সমুদ্রের বিশাল ক্ষতে কতটা কষ্টের নীল গুলিয়ে দিয়েছে বিধাতা তা এই অবুঝ মন বুঝতে অক্ষম |
আপনি দেখেছেন তাকে | হারিয়েছেন তার গভীরতায় | লবণাক্তের আদান প্রদানে অদ্ভুত এক প্রণয় সুখ উপভোগ করেছেন | নিরব কথার মালা গেঁথেছেন একে অপরের মাঝে বিলিন হয়ে | চাঁদের আলোয় হয়ত অসম্ভব রূপবতী হয়ে উঠেছিল সাগর কন্যা | আমি সমুদ্র দেখিনি, তাই প্রচণ্ড পিপাসায় একটু গলা ভিজাব এই আশায় আপনার লেখায় ডুবে যাওয়া |
ভ্রমণের কথা আর কি বলব বলুন | আপনি ভ্রমণ বিলাসী |বেড়াতে ভালবাসেন | উপভোগ করেন | সবকিছু মিলিয়ে চমৎকার একটা ভ্রমণ অভিজ্ঞাতা হল আপনার , যদিও ক্ষণিকের তবুও স্মরণীয় ,,,
ছাইরাছ হেলাল
ঘুরতে পছন্দ করি দু’চোখ মেলে, দ্বিতীয়বার আর আসব না এমন ভেবে নিয়ে গোগ্রাসে গিলতে
থাকি, একটি রঙিন ডানা মেলে উড়ে যাওয়া প্রজাপতি ও যেন ফাঁকি দিতে না পারে,
এরপর ও রয়ে যায় অনেক অদেখায়।
সমুদ্র আমার প্রাণের প্রাণ, যা লিখে বোঝাতে পারিনি, অসম্ভব চেষ্টাটি করার সাহস পাইনি।
বারে বারে বার বার ফিরতে চাই ঐ নীলাচলে আজন্ম।
রিমি রুম্মান
লেখাটি দেখে ভ্রমন কাহিনী লিখতে উৎসাহিত হলাম।
সমুদ্র দেখেছি, পাহাড় দেখেছি। জলপ্রপাত ! সেও দেখা হল।
গহীন অরণ্যও বাদ যায়নি। হয়তো লিখে ফেলবো কোন একদিন।
সুন্দর লেখা। শুভকামনা। -{@
ছাইরাছ হেলাল
কোন এক দিন মানে!! শুরু করে দিন শীঘ্র।
অনেক কিছুই দেখিনি, কবে যে দেখব ও লিখব কে জানে।
ইলিয়াস মাসুদ
সমুদ্রের কাছ থেকে ফেরার এক ধরনের কষ্ট আছে……
সেই কষ্ট হইত অনেকের ছোঁয় না
তবে কারো কারো ছুঁয়ে থাকে সমুদ্রের চেয়েও গভীর করে ।
অনেক ভাল লাগল ……
ছাইরাছ হেলাল
আমার সমুদ্র প্রীতি মারাত্মক, বুঝতেই পারছেন,
বারা বারে ফিরে যেতে চাই।
মিথুন
চল, সমুদ্রে যাই বলে একাই ঘুরে এলেন ভাইয়া? নাকি লেখা পড়িয়ে ঘুরিয়ে আনতে চাইছেন? ও, একা তো যাননি, সাংপাংগ ছিল।
রাত বাকী থাকতেই কাউকে কিছু না বলেই একাকী ফিরে আসলাম আবার ও, প্রিয় সমুদ্রের কাছে, বসে থাকতে থাকে কখন যে সকাল হল জানি না, খেয়াল হল ওদের ডাকাডাকিতে……এই একটি লাইনেই আপনার সমুদ্রপ্রীতি পুরোটা প্রকাশ পেয়েছে ভাইয়া, আমি সমুদ্রপাড়ে একটা ছায়ামূর্তিকে বসে থাকার দৃশ্য দেখতে পেলাম।
সব প্রিয় কিছু আমাদের প্রিয় মানুষটিকে উৎসর্গ করে দিতে ইচ্ছে করে, তাই হয়তো পুনশ্চঃতে তাকেই স্মরণ করেছেন।
লেখাটিতে ভীষন ভালোলাগার বুড়ি ছুঁইয়ে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
ছায়া-ফায়ার দরকার কী, জলজ্যান্ত হয়েই আসুন, ঘুরান্তিস দেই মহানন্দে।
প্রিয় সমুদ্রকেই সব সবকিছু দিতে চাই।
বুড়ি ছোঁয়াছুঁয়ির মজাই আলাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
হায়! সমুদ্র। তমাকে না দেখিলাম
ক্ষুধা থেকেই গেল, মিটাইলাম না।
আসলেইত লোভ দেখান কি ঠিক?
সংগে নিলে এমন কি হত?
ছাইরাছ হেলাল
হপে হপে সবই হপে।
মোঃ মজিবর রহমান
হায়। জীবন যায় যায় সবাই কয় হবে হবে কিন্তু কবে!
ছাইরাছ হেলাল
এই তো হল বলে।
মোঃ মজিবর রহমান
বরবাদ জীবন।
আসুক জগত
দেখা হবে একদিন
হিসাব বুইজা নিব।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই সুদ ও আসলে।
ব্লগার সজীব
এবার বুঝলাম লেখা লেখির জন্য সমুদ্র দেখা আবশ্যক। আপনি ভোর রাতে গিয়েছেন সমুদ্রের কাছে। আমি দেখবো সারা রাত। লেখারা-এবার পালাবে কোথায়? :p পুনশ্চঃ টি বেশ মজার 🙂
ছাইরাছ হেলাল
লেখারা পালাবে না সারা রাত থাকলে,
লেখাদের চাপে আপনি জান নিয়ে পালাবেন বাঁচার আশায়,
অবশ্যই মজার, আপনি যখন সক্ষম পুরুষ!!।
ব্লগার সজীব
আহা, এই প্রথম কেউ আমাকে সক্ষম পুরুষ বললেন 🙂 ব্লগের আপুদের আপনার এই সনদ দেখাবোই এখন হতে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মোটেই দেরি করা ঠিক না। কাজে নেমে পড়ুন।
আবু খায়ের আনিছ
কখনো দেখা হয়নি সমুদ্র। লঞ্চ এ উঠেছিলাম তাও ভুল করে একবার। যাই যাই করে কখানোই হয়নি যাওয়া।
সমুদ্র হচ্ছে আমার কাছে স্বর্গপুরির মত, মন ভালো আর খারাপ, সব কিছুই যেন এই পরিবেশের সাথে যায়। সবচেয়ে রুমান্টিক মানুষগুলোই সমুদ্র পাগল হয় বলেই আমার ধারণা।
ছাইরাছ হেলাল
গেলেন ই না, তাই অনুমানের উপর ছেঁড়ে দিলে তো হবে না।
ভুল করেই একবার চলে যান সমুদ্রের কাছে।
আবু খায়ের আনিছ
প্রাপ্তি, সংযোগ, সমন্নয় হলেই চলে যাব। ইচ্ছা আছে দীর্ঘ সময় থাকার, তবে চিরস্থায়ী নয়, তাহলে আবার ভিন্ন কিছু হয়ে যেতে পারে।
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছুর সমন্বয়ে আপনার ইচ্ছে একদিন পুরণ হবেই।
আবু খায়ের আনিছ
তাই যেন হয় ভাইয়া। ধন্যবাদ
শুভ্র রফিক
স্বল্প কলেবরে চমৎকার উপস্থাপন।আমার ইচ্ছে করছে কুয়াকাটায় গিয়ে কুয়া কেটে আসতে।
ছাইরাছ হেলাল
কাটাকাটি মন্দ নয়, ঘুরে আসুন সময় করে।
মরুভূমির জলদস্যু
এতো অলবে শেষ!! মন ভরে না।
ছাইরাছ হেলাল
এর থেকে বেশী আর কী ই বা লেখা যায়।
মরুভূমির জলদস্যু
ছবি টবি কিছু দেন
ছাইরাছ হেলাল
সাধারণত ছবি দেই না, পড়ে হয়ত কোন এক সময় কিছু ছবি দেব।
কামাল উদ্দিন
নিজেকে আমি চুনোপুটি ভাবতাম, কিন্তু কুয়াকাটা যাওয়ার পরিকল্পনার পর বুঝতে পারলাম আমি আসলে রাঘব বোয়াল টাইপের লোক। একবার হুজরদের প্যানপ্যানানিতে চরমোনাই মাহফিলে গেলাম। ওখান থেকে একজন যোগ্য সঙ্গি নিয়ে চলে গেলাম বরিশাল, বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার প্ল্যান। কিন্তু বাস কাউন্টারে যাওয়ার পরই আমাদের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল। ওরা বললো কালকে পিএম শেখ হাসিনা কুয়াকাটায় আসবে, সুতরাং ওদিকের সব গাড়ি বন্ধ। আশার গুড়ে বালি। ফিরে গিয়ে চরমোনাইর মাহফিলের বাদর নাচই দেখলাম।
দ্বিতীয় দফায় কুয়াকাটার পরিকল্পনা করে হোটেল বুকিং দেওয়ার জন্য পর্যটন কর্পোরেশনে ফোন দেওয়ার পর ওরা জানিয়ে দিলো আপনার নির্ধারিত দিনে প্রেসিডেন্ট আসবে এখানে। সুতরাং এখানে সব কিছুই নিরাপত্তার জন্য বন্ধ থাকবে আর কোন পর্যটক নট এ্যালাও। অন্য দুটি হোটেলে ফোন দেওয়ার পর ওরা জানালো বন্ধ থাকার কোন নোটিশ ওরা পায়নি। সুতরাং ওদের একটায় বুকিং দিয়ে ঢাকা থেকে লঞ্চে চড়ে বরিশাল হয়ে বাসে করে কুয়াকাটা উপস্থিত হলাম। এবারও স্বপ্ন ভঙ্গ, এখানে আসার পর জানতে পারলাম হোটেলে অবস্থান করা যাবে শুধু, বের হওয়া যাবে না। দুইদিন হোটেলে অবস্থান করে বসে খাওয়ার কোন মানে হয় না। লাগেজ নিয়া বরিশালের পথ ধরলাম।
বুঝলাম আমার সাথে টেক্কা দেওয়ার মতো দেশে পিএম আর প্রেসিডেন্ট ছাড়া কেউ নাই। সুতরাং আমাকে তো বোয়ালের কাতারে ফেলাই যায়, নাকি বড় ভাই? 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি অতি ভাগ্যবান।
আর একবার না হয় ট্রাই করুন, শতবার দেখতে বলছি না, তৃতীয় বার একটু দেখুন।
কামাল উদ্দিন
ঠিক আছে, দিন কাল ভালো হলে শেষ বারের মতো একটা চেষ্টা তো করা যেতেই পারে 😀
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, একবার ট্রাই অবশ্যই করবেন।