হেই আমার সোনেলা!
কেমন আছ তুমি?
তোমাকে এভাবে এড়িয়ে কেন আমি!
আমি পাগল, মাতাল, পথভ্রষ্ট
আরো যা আছে সবই তুমি জানো।
আর জান বলেই অকপটে তোমায় সব বলে যাই।
তুমিও আমায় মুচকি হাসো… মেনে নাও, তুমি মানো।
পুচকে লেখাও তোমাকে দেব আজ
কিছু পুরাতন কিছুবা নতুন – হাতে যে অনেক কাজ!
১। আমাকে আর কিছু স্পর্শ করে না
নাহ!
আমাকে আর কিছু স্পর্শ করে না।
শরৎ যায়, বর্ষা চলে গেছে
শীত-গ্রীষ্ম সেও চলে যায়
কিছুই আমায় স্পর্শ করে না আর!
বসন্তে যেন কোথাও থমকে থাকা আমার
উদাস আমি – আমার দীর্ঘশ্বাস।
২। আমি তখন তাহার হব
টানছে আমায় সাগর
ডাকছে আমায় পাহাড়;
আমি ভেঙ্গে ধুলো হব
আমি হব তাহার।
তখন আমি সভ্য হব
আমি তখন আমাকে পাব
মাকড়শার জাল সব ছিঁড়ে ফেলে
আমি তখন তাহাতে রব।
…
১৮টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
এখন আমায় কিছুই স্পর্শ করে না
দুঃখ, সুখ আনন্দ অনূভুতি
আমি এখন নির্জীব মাত্র
তোমার বুকে এক যায়
মনে কথার আছড় যত।
অরণ্য
বেশ তো!
অরুনি মায়া
আহারে সাগর পাহাড়ের মত সোনেলাও যদি আপনাকে তীব্র ভাবে টানত ! তাহলে আপনাকে পাওয়া যেত ,,, 🙂
অরণ্য
ঘরে আমরা নিজেকে খুব কমই দেখতে পাই আমাদের মত করে। আমাদের টানে বাহির।
আমি সোনেলাকে পাই। আপনার মন্তব্য খুব ভাল লেগেছে। পড়েই মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে “ওয়াও!”।
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে দারুন কিছু অনুভুতি নিয়ে আসলেন। লেখায় মুগ্ধ হলাম অরণ্য ভাই।
আপনি ভাল লেখেন।
অরণ্য
ভাল না লিখলেও মুগ্ধতা কাজ করতে পারে। আমার এমন অনেক কিছু আছে, আমি বুঝি তা অনেক কিছু মিলিয়ে কিছু একটা যা আমাকে মুগ্ধ করে। জি শাই (ইচ্ছে করে ‘জি’ এর পরে একটা স্পেস দিলাম) নামটার প্রতি তেমনি আমারও কিছু একটা কাজ করে। ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি এগিয়ে আসছে কিন্তু!
ভাল থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
সহে না যাতনা, অবস্থা আমাদের, কোথায় গেলেন!! এই হাল্কা ঠান্ডায়!!
এত্তো এত্তো কাজের ই বা কী দরকার, সব জানি বলেই এমন করে ভাবি।
আপনার মতই সোনেলাকেও প্রিয় ভেবে সব না বলে থাকেত চাই, পারছি কৈ!! বলেই তো দিচ্ছি।
অরণ্য
আসলেই এতো কাজের দরকার নেই; তাইতো নিজেকে ভেঙ্গে ধুলো করতে চাই। সোনেলাকে খুবই স্পেশাল কিছু দেবার জন্য একটা কিছু হাতে পেয়েছি আজ। দিয়ে দেব আমার সোনেলাকে খুব তাড়াতাড়িই। কোন একদিন আমি চিরতবে হারিয়ে গেলেও যেন সোনেলা আমাকে খুজে পাই তার স্মৃতিতে, আর্কাইভে।
ভাল থাকবেন ছাইরাছ ভাই।
নাসির সারওয়ার
এই অল্প কদিন যা দেখছি, সোনেলাতো ভালোই আছে মনে হচ্ছে। গায়ে হেমন্ত আর বসন্তের বাতাস লাগাবেননা, তা কি করে হয়?
অরণ্য
হ্যাঁ, সোনেলা ভাল থাকবেই। আবহাওয়া সোনেলাকে কিছু করতে পারবে না, অনেক পরে জলবায়ুতে কোন ছোঁয়া লাগতেও পারে। ভাল থাকবেন নাসির ভাই। সোনেলায় আপনি আমার চেয়েও জুনিয়র, তাই না? হা হা 😀
ভাল থাকবেন নাসির ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
সবুজ অরণ্য এসব কিন্তু ঠিক না ভাইয়া।
এত্তোদিন কোথায় ছিলে?
প্রশ্নটি করেছি আমি
আগুণ জ্বালা চোখ তুলে :@ 😀
যাক অবশেষে তো পাওয়া গেলো তোমাকে। আমি তো ভাবছিলাম নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার। এভাবে ব্যস্ততা ঠিক না। মনে থাকে যেনো। আবার যদি হারাও তাহলে ঘরে ঘরে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তোমার লেখা মানেই অন্যরকম, অন্য অনেক কিছু পাওয়া।
ভালো আছি, ভালো থেকো। -{@
অরণ্য
নীলা আপু, তুমি আমায় কিচ্ছু বলো না। আর দু’দিন কিংবা একদিন তো অপেক্ষা কর! 🙂
তুমি খুব খুশি হবে আমি জানি। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
বাহ্ একটিতে দীর্ঘশ্বাস আরেকটিতে স্বপ্ন। 🙂
হাতে ঝুলঝাড়ু নে, জাল ঘন ভূতুড়ে হবার আগেই সব জঞ্জাল পরিষ্কার।
কিছুই স্পর্শ না করা একদিকে ভালোই কিন্তু। অনুভূতিকে মোটামুটিকে ভ্যাক্সিনেটেড করে ফেললে শুধুই শ্বাস, নো দীর্ঘশ্বাস। ভালো লিখেছিস 🙂
অই ব্র্যাকেটে ১/২ দেখলেই ভয় পাই, সবাই চালাক হয়ে গেছে। অপেক্ষা করাবার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
অরণ্য
ঠিক! ঠিক! ঠিক!
কিন্তু এ দশা কেন অরণ্যকে এক টানে আপনি থেকে তুই তে নিয়ে আসা! নট ব্যাড!
ভয় পাবার কিছু নেই… এই তো আমি। 🙂
এটা খেয়াল করিনি যে দুটো দুই মেরুর অনুভূতি। 😀
এবং শুন্যের চোখে তা পড়তেই পারে। 🙂
গুড! গুড! গুড! (y)
শুন্য শুন্যালয়
নট ব্যাড কি রে, তোর তো ডিমোশন হয়েছে।
আমার চোখে না হয় পড়লো তবে থিংক পজিটিভ কিন্তু তোর অগোচরেই পিছু নিয়েছে, নট ব্যাড।
ধুলো শব্দ টা দেখে নেকো শুভ্রদেবের একটা গান মনে পড়েছিল।
“ধুলো হয়ে আমি বাতাসে মিশে যেতে চাইনা”
শুন্য শুন্যালয়
লেখা দিয়েই পালিয়ে যাবার অভ্যাস মোটেও ভালো নয় বন্ধু। 🙂
অরণ্য
আরো অনেক কিছুই রহিয়াছে যাহা মোটেই ভাল নহে। খুব শিগগির আরেকটি পোস্ট দিয়া আমি ফের পালাইবো। না হয়তো চুপ থাকিব।
ভাল থাকিবেন। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
পালিয়ে যাওয়া বা চুপ থাকা চলবেনা। অরণ্যের ভারি ভারি সবুজ গাছ মন্তব্য আমরা কিন্তু মিস করি।
ভালো নহে দিয়ে ভালো নহে কাটাকাটি মোটেই ভালো নহে। খুব শিগগির কদিনে হয়?