যখন রাতের বেলা আমার খুব মন খারাপ লাগে তখন আমার একটা কথা খুব মনে হয় ” ইশ আমি যদি ছেলে মানুষ হতাম”। মন খারাপের এই সময়টাতে আমি ঠিক ঘর ছাড়া হতাম। রাত বিরাতে রাস্তা ধরে উদ্দেশহীন হেটে বেড়াতাম। গায়ে একটা টি-শার্ট সাথে থ্রি-কোয়াটার বা ফুল প্যান্ট। পায়ে হয়ত অনেক দিনের ব্যবহারে নষ্ট প্রায় চটি। সেও দেখা যাবে মাঝে রাস্তায় গিয়ে ছিড়ে গেলো। হাঁটাহাটি টা যখন উদ্দেশ্যহীন তখন জুতার আর কি বালায়!?
রাস্তা থেকে কখন ও বা কোন গলিতে ঢুকে পরবো।গলির শেষ মাথায় বিচ্ছিরি রকম অন্ধকার দেখে হয়্ত ভয় ভয় লাগবে। এই গলি সেই গলি করে করে আবার হয়ত রাস্তায় চলে আসবো। প্রায় শেষ রাত অব্দি খোলা থাকা অপরিচিত কোন চায়ের টং এর সামনে দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দেখবো দু একজন উদাস মুখে শুঁকনো বিস্কুট চিবোচ্ছে আর চায়ের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে। আমিও হয়ত কোন বাঁশের চাটায় পাতা কোন একটা মাচং এর উপর বসে এক কাপ চায়ের কথা বলে বিরস মুখে “অপেক্ষা” করবো। তার পর হঠাৎ মনে হবে আমার সাথে মানিব্যাগ টা নেই। এবার আবার নিরস মুখে চা বাতিল করে উঠে যেতেই খামখেয়ালিপনার প্রমাণ দিয়ে পকেটে ভাজের রাজা হয়ে একটা ২০ কিংবা ৫০ এর নোট পাবো। চায়ের দাম মিটিয়ে আবার উঠে পরবো সেই উদ্দেশ্যহীন পথ চলা। রাস্তার পাশে হাটাঁর সময় দেখবো সবে ১৮/ ২০ এ পা দেওয়া কিছু ছেলেপুলে বাইকের গিয়ার বদল করে আমায় ক্রস করে যাবার সময় ” ধুম মাচালে ” গান টা মনের আনন্দে গেয়ে উঠলো। ওদের শুনে হয়্ত আমিও ” হুস ওয়ালো কো খাবার কিয়া বেখুদি কিয়া চিজ হ্যায়” গানটা গুনগুন করে গেয়ে উঠবো।
হাটতে হাটতে আকাশের চাঁদ টাকে দেখে নেবো। ঠিক তখন ই মনে হবে আমার ও একটা ঘর আছে,সেখানে একটা বিছানা আছে, একটা বালিশ আছে। নরম বালিশে মাথা রেখে আমি আমার ঘর থেকেই চাঁদ দেখতে পারি। কিন্তু ঘরের কথা মনে পরতেই মন খারাপের আগুনটা আবার জ্বলে উঠবে। হয়ত একটু শীত শীত লাগবে।একটা চাদরের জন্য মনটা কেমন করে উঠবে। সেই ভাবনা মাথায় নিয়েই সামনে পা বাড়াবো। হাত দুটো ঘসে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করবো। পকেটে হাত রেখে আবার সামনে পা বাড়াবো। তারপর হয়ত হঠাৎ দূরে কোথাও থেকে আজানের শব্দ কানে আসবে। চারদিক আলোকিত হতে শুরু করবে। আমি হয়ত আবার কোন চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আবার এক কাপ চায়ের কথা বলে দুটো জিনিসের “অপেক্ষা” করবো। এক হলো “চা” আর অন্যটা হলো একটা নতুন “মন ভালো দিনের” ।
এই সমাজে মেয়েদের একা একা রাত বিরাতে হাটা হাটির নিয়ম নেই। মন খারাপের কোন সলিউশান ও নেই ।নেই টং এ বসে চা খাওয়ার নিয়ম । কিংবা চিৎকার করে গান গাওয়ার। এখানে সব নিয়ম মেয়েদের জন্যই। এখানে হুমায়রা থেকে হিমু হয় না এখানে হিমালয় থেকে হিমু হয়।
বি:দ্র: ওই যে একটা কথা আছে না গাছে উঠায়ে মই টান দেওয়া। বেপার টা অনেকটা সেই রকমই। আমি যার জন্য ব্লগ ছাড়া হয়েছিলাম তিনি হলেন ” লীলাবতী ” আপু। উনার জন্যই আমি লেখা হরতাল দিয়ে ব্লগ ছাড়লাম আর উনি আমায় ছেড়েই ব্লগে ঘরবাড়ি বানায়ে ফেলছিলেন,ঠিক বুঝেছি উনার ষড়যন্ত্র। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে এসেছি। এটি লীলাবতী আপুকে পচানো পোষ্ট,আপু যেমন করে অনিকেত নন্দিনী আপুকে পচিয়েছিলেন 🙂
৬৩টি মন্তব্য
অলিভার
অনুভূতির প্রকাশ চমৎকার (y)
মেহেরী তাজ
আপনাকে অনেক দিন পর ব্লগে দেখছি।
আপনার লেখাও নাই অনেক দিন।
নতুন লেখা দেন।
ব্লগার সজীব
অপ্রকাশিত একটি ইচ্ছের কথা জানলাম। সত্যি বলেছেন,এ সমাজে মেয়েদের একা রাতে হাটার নিয়ম নেই।সব নিয়ম মেয়েদের জন্য। অসংগতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।আপনার প্রতি শ্রদ্ধা।
মেহেরী তাজ
এরকম আরো কিছু উদ্ভট ইচ্ছে আছে জানতে পারবে।
ভাবতেছি এই নিয়ম গুলার জন্য আবার উল্টা কোন নিয়ম করা যায় কি না। অন্তত হাটা হাটির ব্যাপার টার জন্য।
ব্লগার সজীব
উদ্ভট ইচ্ছে গুলো ধীরে ধীরে জানান আমাদের সবাইকে সোনেলার মাধ্যমে।
মেহেরী তাজ
উক্কে। তুমি আমার জন্য দোয়া করে দিও যাতে উদ্ভট ইচ্ছে গুলো লিখতে গিয়ে ” না জানি কেমন কথা” ভেবে লেখা ছেড়ে না দেই।
জিসান শা ইকরাম
অব্যাক্ত ইচ্ছে প্রকাশ টা ভালো হয়েছে।
তোমার তো আরো কত কিছু ইচ্ছে আছে– বন্দুক হাতে প্রফাইল পিকচার দিয়েছিলে ফেইসবুকে।
ইচ্ছে প্রকাশ অব্যাহত থাকুক।
লীলাবতীকে পচাতে হবেই,সে অনিয়মিত হয়ে পরেছে ইদানিং।
মেহেরী তাজ
বন্দুক হাতে পেলে আমার আবার অন্য রকম একটা ইচ্ছে করে আর সেটা হলো ব্লগে যে আপু/ ভাইয়া আজ কাল রিগুলার না তাদের কাছে গিয়ে বলি ” আপু / ভাইয়া এটা হলো বন্দুক। আমার এইম কিন্তু খারাপ না। সে যাক আপনি আজ কাল ব্লগে আসেন না কেন? আপনাকে ব্লগে মিস করি”। ওহ্যা এটা আমার বন্দুক মেক্সিমাম টাইম আমার কাছেই থাকে। ” :p
লীলা আপুকে আসোলেই পচানো উচিৎ।
হিলিয়াম এইচ ই
এমন ইচ্ছে প্রকাশ কজনেই বা করে। ধন্যবাদ 🙂
মেহেরী তাজ
আমার তো করে। আপনাকেও ধন্যবাদ। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
দিলে তো কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা ছড়িয়ে। ছেলেপেলের জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেখতাম ফেসবুকে আর হিংসায় জ্বলে যেতাম, আর এ যে গোপন ব্যাদন। 🙁
এই ভেবে খুশী হও, আজকাল রাতে ছেলেরাও নিরাপদ নয়। পুলিশ এসে ড্রাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে থানায় নিয়ে যাচ্ছে, ঘটনা কিন্তু সত্যি।
এইবার বোলো, ছেলেরা কি পারে চোখের পানি কাজল দিয়ে ঢাকতে? তারা কি পারে শাড়ির আঁচল বাতাসে উড়িয়ে দিতে, কাঁচের চুড়ির রিনিঝিনিতে প্রিয় কারো ঘুম ভাঙ্গাতে? তারা কি পারে এই আমাদের মত করে ভালোবাসতে? পরজনমে আমি মেয়েই হবো রে!! মুখপোড়ারা রাতে একা একা হেঁটে বেড়াক, আমি একা ব্যালকনি হবো।
তুমি এত ভালো লিখলে আমার কিন্তু হিংসে হবেই, আমি অনেক হিংসুক। (3
মেহেরী তাজ
হুম আপু ঠিকই বলেছেন! সৃষ্টিকর্তা আমায় যতবার মানুষ বানাবেন আমি ততবার মেয়ে মানুষ হয়েই জন্মাতে চাই। কিন্তু রাস্তার ব্যাপার আমার বরাবর একটা দূর্বলতা আছে।
আপু আমার একলা ব্যালকনি নাই বলেই হয়তো রাস্তাটাকেই মন খারাপের সঙ্গী বানায়ে ফেলি। হুম আমার ব্যালকনি চেয়ে নিয়ে দেখতে হবে।
আসেন হিংসুক আপু আপনার ছুটিপুর এর সাথে এই লেখা টা বদলা বদলি করর ফেলি। :p :p :p
শুন্য শুন্যালয়
ওরে এই ছিলো তোর মনে!! শেষ পর্যন্ত ছুটিপুর কে নিজের করে চাইলি? যা যা সব দিলাম, এটার পরিবর্তে সব দেয়া যায়। রাস্তার ব্যাপারে আমারও খুব দূর্বলতা, আমার অনেক লেখায় পথ রয়েছে। সত্যি বলতে সব লেখাতেই শুরুতে পথ মনে আসে।
এই লেখা আর প্রজাপতির লেখা দুটা তোমার অন্যরকম। কিপিটাপ সুইটু।
মেহেরী তাজ
আপু আপনি এতো ভালো কেন?
আপনার সব লেখা আমার লাগবে না।
শুধু ছুটিপুর। যাতে আপনি ওটা আর লিখতে না পারেন তাই।
🙂 ইয়ে আপনার ভোর রিলেটেড লেখা গুলো একটু একটু ভালো লাগে ওখানে থেকে এক আদটা….. \|/
শুন্য শুন্যালয়
🙂 তুমি তো আমার প্রানে হাত দিয়ে দিলে। ভোর আমার রাক্ষসীর প্রান জমিয়ে রাখা পাখির মতো। দিয়ে দিলাম তোমাকে যাও। জানিনা আবার কোনদিন ভোরকে নিয়ে লিখবো কিনা। লিখলে সেটা তোমার জন্যেই থাকবো। আমি খুব ভালো নই, তুমি ভালো, তাই আমাকেও ভালো দেখ। ছুটিপুর লেখাটা আমি আরো লিখতে চাই, ইচ্ছে আছে। তবে কাউকে কষ্ট দিয়ে নয়। তুমি আমার চাইতে অনেক ভাল লিখছো ইদানিং। চেয়ে নেয়াটা আমারই বেশি হবে, বুইঝো কিন্তু।
মেহেরী তাজ
আপু আপনার প্রাণ পাখি আমার কাছে ভালোই থাকবে,বুকে হাত রেখে বলতে পারি। কে বেশি ভালো সেটা নিয়ে কোন কথা হবে না। আপনি বেশি ভালো ব্যাস। ছুটিপুর নিয়ে লিখুন আপু কিন্তু সেই লেখাতে আমি কেনো যেনো আপনাকেই কল্পনা করে ফেলি,ভয় লাগে।আপনি একবার চেয়ে দেখুন আমি সব আপনাকে দিয়ে দেবো।
মেহেরী তাজ
আপনার ভোর আপনার কাছেই বেশি ভালো থাকিবে। থাক ও নিয়ে আমি আর টানাটানি না করি। যে ভোরের জন্য আপনার সাথে আমার পরিচয় তাকে আর না নেই! আপনার ভোর আপনারই থাক। 🙁
আজিম
মেয়েদেরকে পরম করূণাময় অন্য অনেক কিছু দিয়েছেন, যা ছেলেদের দেননি। যেমন চঞ্চলা হরিনীর মতো দু’টো চোখ দিয়েছেন খোদা তাদের, যে চোখ দিয়ে তারা ইচ্ছা করলে অনেক কিছু দেখতে পারেন। আর দিয়েছেন উচ্ছ্বলতা, যেরকম উচ্ছ্বলতা ছেলেদের মধ্যে দেখা যায়না। মেয়েরা একটু বেশিই যেন নীতিবান বলে আমার কাছে মনে হয়। মনে কিছু গেঁথে গেলে ওরা সেটা মেনে নিয়ে সেব্যাপারে যদি কোন কাজ অথবা কিছু করতে হয়, তবে সর্বোচ্চভাবে মনপ্রান ঢেলে দিয়েই তা করে থাকেন। সমাজের প্রয়োজনেও কাজ করতে ওরা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি একাগ্র।
মেহেরী তাজ
হ্যা সব ঠিক আছে। কিন্তু রাস্তায় হাটতে চাই,পারমিশন চাই।নিয়ম চাই। কোন বারন করা যাবে না……!..
অরণ্য
গানটা হাইপার লিঙ্ক করে দে না!
https://www.youtube.com/watch?v=64eaPR31Nbw
তারপরের কথা … “DON’T DREAM IT, BE IT. BE CONFIDENT.”
প্রাণ খুলে লেখে যা, মন খুলে গেয়ে যা। (y)
মেহেরী তাজ
আমার ভাইয়া যখন বলেছে আমার আর ভয় কি? ) লিখবো, গাইবো….
ধিন্তাক ধিন…. 🙂
লীলাবতী
তাজ এতো মনে হচ্ছে আমার ভিতরের কথা তুমি লিখে দিলে।কত ইচ্ছেকে আমরা খুন করে ফেলি। প্রকাশও করিনা,কি হবে প্রকাশ করে এমন ভাবি।চিন্তা ভাবনা প্রকাশে দিন দিন পরিনত হচ্ছো তুমি।
মেহেরী তাজ
আপু সেদিন না আপনি আমার সাথে এবিষয়ে গল্প করলেন!! ভুলে গেছেন?? :p :p এতো আপনারই কথা।
হুম আমি আছি কাদের আশেপাশে দেখতে হবে না?? পরিনত তো হবোই। :v
মেহেরী তাজ
আচ্ছা আপু একটা আবদার করি! আমি আপনাদের পিচ্চি না!?!?! 😀 😀
আজ আপনি একটা লেখা দেন। যদি সম্ভব হয় আর কি।
প্লিজ প্লিলিইইইইজ
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, অনেকদিন পর লিখলেও দারুণ লিখছেন। আমি কিন্তু মেয়েদের পক্ষেই।
যত সীমাবদ্ধতার কথাই বলুন না কেন, তরা সত্যিই লক্ষ্মী।
ভালো হয়েছে কিন্তু।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া লক্ষী মেয়েদেরও কিন্তু রাস্তায় হাটতে মন চায়….. :p
মাঝে মাঝে মাথা ফাঁকা হয়ে যায় ভাইয়া,তখন হাজার চেষ্টা তেও লিখতে পারি না। 🙁
বড় মানুষ যখন বলেছেন ভালো হয়েছে তখন মেনে নিলাম। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
কতোশতো মেয়ের মনের কথা লিখে দিলে তাজ–কতো ইচ্ছে মনের ভিতর জন্ম নেয়, আবার খুব নীরবে মনের ভিতরই চাপা পড়ে একসময় বিলীন হয়ে যায় 🙁 ঠিক বলেছো এখানে হুমায়রা থেকে হিমু হয় না এখানে হিমালয় থেকে হিমু হয় 🙁
জানো আমার না খুব ইচ্ছে ফাঁকা রাস্তায় শাঁ শাঁ করে বাইক চালাতে–আগে মাঝে মাঝে খুব আবদার করলে ভাইয়া আমাকে তার বাইকের পেছনে করে আমার স্কুলে নামিয়ে দিতো-কিন্তু আমাকে বাইকে উঠালে ভাইয়া এতো আস্তে চালাতো, মনে হতো ঠেলাগাড়ি হয়তো এর চেয়েও জোরে চলে 🙁 আমার খুব ইচ্ছে, আমার একটা বাইক থাকবে ভাইয়াকে তার পেছনে বসিয়ে প্লেন গতিতে আমি বাইক চালাবো-আর ভাইয়াকে বলবো বাইক এভাবে চালাতে হয় 😀 ……………..কিন্তু আমার ইচ্ছে ইচ্ছেতেই রয়ে গেলো ;( ;( ;(
মেহেরী তাজ
হ্যা আপু আমি কেমন করে যেনো যেনেই গেছি অনেক মেয়ের মনের এই না বলা কথাটা।
আপু আমাদের ইচ্ছা গুলো পুরন না হোক প্রকাশ হওয়া দরকার। এগুলো ডাল পালা মেলে কত সুন্দর হয়ে ওঠে সেটা সঅঅব্বাইকে দেখানোও দরকার।
আপু জানেন বাইক চালানো টা আমার আর একটা ইচ্ছে। সেটা না হলেও মাঝে মাঝেই ঝড়ের বেগে সাইকেল চালিয়ে সেই ইচ্ছার কিছুটা হলেও পুরন করতাম এক সময়। এখন অনেক বড় হয়ে গেছি তাই আর পারি না। ;( ;(
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম ঠিক বলেছো পূরণ না হলেও প্রকাশ হওয়া দরকার 🙂
তোমার জন্য একটা চিমটি রেখে গেলাম–বিকজ আমিও যে এখনো সাইকেল চালাই, কিন্তু তুমি কত্তো বড় হয়েছো বেবি যে এখন আর চালাতে পারো না ;?
মেহেরী তাজ
চিমটি টা কিন্তু আস্তে দিবেন হ্যা…… 😀
আমি
অতি আস্তে বলছি হ্যা কেউ শুনবে না( হাতের কাছে সাইকেল পাই না তাই চালাই না)
ইয়ে আপনি বরং পিচ্চিই ডাকুন বেবী আবার কেনো ;(
খেয়ালী মেয়ে
যাক অবশেষে লাইনে আসছো 😀
মেহেরী তাজ
আপনারা সব উকিল আমি কই যাই…! 🙁
খেয়ালী মেয়ে
😀
সীমান্ত উন্মাদ
পচন পচানি খেলা দেখি ভালই চলছে, আমি শুরু করবো কিনা ভাবতেছি।
তবে আপনার অনুভূতির পাগলামি বেশ ভালই লাগে আমার।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
মেহেরী তাজ
যদিও লীলা আপুকে পচানোর কথা ছিলো কিন্তু কেউ পচালো না। 🙁
😮 আপনি এটাকে পাগলামো বললেন???
আচ্ছা ঠিক আছে যাইচ্ছে বলেন তবে রাস্তা আমি হাটবোই। 😀
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
কৃন্তনিকা
জানেন, আমারো রাতবিরাতে ঘোরার ভীষণ শখ?
আপনার প্রতিটি কথা জেন আমার মনের কথা…
সব মেয়ের মনেই কি গুপ্ত ইচ্ছে আছে নাকি???
অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে লেখাটি পড়ে…
মেহেরী তাজ
এটাই সম্ভবত টেলোপ্যাথি…… 😀
আপনি ভাবলেন আর আমি সেটা বুঝে/ জেনে গেলাম এবং লিখে ফেললাম…. 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কাল যখন বাসে বসে লেখাটি পড়ি, অনেক কথা মনে এসে গেলো। কি ইচ্ছে করতো আমার। বিশেষ করে রাতের বেলায়। তবে চা’ বাগানের বাসায় এলেই সেই শখটা একটু হলেও পূর্ণ হতো। মাঝরাতে উঠোনে, নয়তো বাসার সামনের মাঠে হাঁটতাম।
একবার থার্টি ফার্ষ্টে ঢাকায় ছিলাম, তখন মনে হয় ১৯৮৬ সাল। আমার বড়ো মাসীর বড়ো ছেলে বড়ো দাদা(আজ পৃথিবীর কোথাও নেই) এসে বললো, পিচ্চি চল তোকে নিয়ে আজ বের হবো। মামনি-মাসী সোজা না। এই দাদাটা আমার কোনো আবদার ফেলেনি। সেদিন এসে কানে কানে বললো পিচ্চি তোকে একদিন নিয়ে রাতে ঠিক বেড়াতে যাবো। নিজের পায়ে দাঁড়া। কেউ না করতে পারবেনা। এখন দাদা জানেনা, তার পিচ্চিটা রাত দুটার সময়ও একা একা পথ চলতে পারে। একা একা অনেক অনেক।
পিচ্চি আপু তুমিও বড়ো হও, একা একা রাতে বাইরে যাতে পারবে। এসব ইচ্ছেও পূর্ণ হবে। চাওয়ায় যদি সততা থাকে, মানুষ পায়। আমি জানি। বিশ্বাস আমার টুকরো হয়েছে কিন্তু একেবারে ভেঙ্গে যায়নি। টুকরোগুলোই জোড়া লেগে সম্পূর্ণ হয়েছে।
বেশ লেকচার দিলাম। আরোও লিখো আপু। অনেক লিখো। খুউব ভালো লেখা। দারুণ একটা পোষ্ট। (y) -{@ (3
মেহেরী তাজ
আপনার লেকচার খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম। ঠিক আছে আপু তাহলে বড় হওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
‘মেহেরী তাজ’ নামের সাথে এই সোনেলার ছবি দেখে গুলতি ছুঁড়ে মারা বালিকা বলে মনে হয় আর সেই এখন মনের গুপন বেদনা প্রকাশ করে এইভাবে?? হু কেয়ারস? বের হয়ে যান…আজকে অল্প একটু হাঁটাহাঁটি করলেন কাল আরেকটু… এভাবে এক সময় সবার চোখে সয়ে যাবে, মেনে নিবে আমাদের সমাজ… 😀
(চান্সে উপদেশ দিলাম ;? )
মেহেরী তাজ
আবার গুলতির কথা বলে! আমি কই যাই!? ;(
চান্সে উপদেশ খানা বুঝতেই পারছি। চেষ্টা করেছি,লাভ হয় নি। প্রথম দু একদিন সব ঠিক থাকে কিন্তু তৃতীয় দিনেই বাধে ঝামেলা। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
গুলতি হাতে নিয়ে হাঁটতে বেরুবেন… যেই কথা বলবে উন্য কিছু করবে সাথে সাথে সাঁই করে গুলতি গুলি ছুঁড়ে দিবেন 😀
মেহেরী তাজ
ভালো কথা বলেছেন তবে আপনার গায়েও কিন্তু গুলতি লাগতে পারে। :p
নীতেশ বড়ুয়া
আমার জীবনে পথ চলতে কোনদিন কোন মেয়ে পাশে তো দূর ছায়াতেও আসেনি… আর আপনি এলে গুলতি দেখে আমিও একটা নিয়ে আপনার সাথে সাথে বাকিদেরকে মারবো \|/
মেহেরী তাজ
গুলতি ভুত আপনি আমার মাথায় চাপাইছেন আর এখন আপনি মতলব আঁটছেন সবাই কে মারার। কাহিনী টা আগে বুঝলাম না কেনো!? ;?
নীতেশ বড়ুয়া
আপনি আমার গুরু… গুলতি চালানো ভুলে গেছি… প্লীজ শিখিয়ে দিন আবার 😀
মেহেরী তাজ
হুম ব্লগে তাহলে নীতেশ বড়ুয়া আমার দ্বিতীয় শিষ্য। :p
মনোযোগ সহকারে শিখতে হবে কিন্তু বাপু, আমি পচা শিষ্য পছন্দ করি না।
নীতেশ বড়ুয়া
ত্যক্ত করতে আমি উস্তাদ… শুধু গুলতি ছুঁড়ে ত্যক্ত করতে শিখিয়ে দিন ওস্তাদ 😀
মেহেরী তাজ
আচ্ছা শিখিয়ে দেবো। 🙂
প্রজন্ম ৭১
অনেক শক্তিশালী লেখা।লিখুন নিয়মিত।দিনদিন আপনার লেখা শানিত হচ্ছে।
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ ভাইয়া। লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 🙂
স্বপ্ন
মেয়েদের কত ইচ্ছে অপুর্ন থেকে যায়।ভালো লিখেছেন আপু।
মেহেরী তাজ
হ্যা ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ।
ইমন
ভালো লিখেছেন । এমন ইচ্ছের কথা আজকাল সবাই বলে যাচ্ছে । আশা রইলো ইচ্ছে গুলা আমাদের সব নারীর মদ্ধ্যে ছড়িয়ে যাক। সবাই সাহস করে নিজেদের ইচ্ছের বুনিয়াদ গড়ে তুলোক। শুভেচ্ছা আপনাকে। 🙂
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
অরুনি মায়া
মন খারাপের দিন গুলো সব লীলাবতী কে দিয়ে দাও,,, 🙂
মেহেরী তাজ
তিনি ফিরে আসলে মন খারাপের না মন ভালোর দিন রাত সব উনাকে দিয়ে দেবো। কিন্তু উনি কই???
অরুনি মায়া
ও আসে তো। কমেন্ট করতে দেখা যায়
মেহেরী তাজ
যারা বগুড়ার দই খায় তারা বলবেই সিরাজগঞ্জ এর দই খুব ভালো না।
বেপার টা অনেকটা সেই রকম। আমি ব্লগে এসে থেকে দেখছি লীলা আপু ব্লগে অনেক সময় দেন। এখন উনি আসেন মন্তব্য দিতে। তাহলে তো আমার মনে হবেই উনি “নাই”।
অরুনি মায়া
হয়ত লীলা ব্যাস্ত। তাই বেশি সময় পাচ্ছেনা। কিছুদিন পর দেখবে আবার চলে এসেছে,,,,,,
মেহেরী তাজ
হুম আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু পচাটা একবার বলে যাবে তো। তা না…….!!! 🙁
অরুনি মায়া
ওকে ফেস বুকেও দেখছি না,,,,
মেহেরী তাজ
হাহাহাহা হাসাইলেন আপু। উনি ব্লগেই নাই তো ফেসবুকে তো থাকবেন কি। ফেসবুক উনার অপশনাল। :D)