বিকেল হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল থমকে,
ভুলেছে অস্ত রং অস্ত যাওয়ার পাট ভুলে।
সময়ের দুঃসময়ে নাকি
রীতি-নীতি না মেনে প্রচণ্ড পরিব্রাজকীয় অভিমানে?
ক্রম থেমে যাওয়া পাখির কোলাহলে
নাকি সংগোপনে কপট মায়াজাল শুশ্রূষায়?
বলছি না কলঙ্ক হবে এখানে এখন এভাবে দাঁড়ানোয়,
বলছি না হয়েছ দিগ্বিদিকের পথভ্রষ্ট।
নাকি দাঁড়িয়েছ
সাকাচৌ’র ‘ধন কেটে লাল’ করে দেয়া দেখতে!
তা যত খুশি দাঁড়াও, বস বা আধশোয়া হও,
হও,
তবে গুপ্তঘাতকিনীর দুর্নাম নিও না যেন,
এ শেষের বেলায়।
২৪টি মন্তব্য
অরণ্য
“তবে গুপ্তঘাতকিনীর দুর্নাম নিও না যেন,
এ শেষের বেলায়।” – বেশ লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথমেই পড়ে প্রশংসা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছি।
সীমান্ত উন্মাদ
সুপার মামা, খোঁচাটা ভালো হইছে। আপনার লিখায় শব্দের ব্যাবহার আমার খুবই ভালোলাগে। পরিব্রাজক শব্দটার ব্যাবহার করে কোন লিখা অনেকদিন পরে পেলাম। শব্দটা আমার খুবই প্রিয় কারন ছোট বেলায় আমি বিশ্ব দেখার মায়ায় পরিব্রাজক হতে চেয়েছিলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল হলে, ভাল লাগলে আমারও ভালই লাগে। মনের ইচ্ছেই লিখি যখন যা মনে আসে।
শব্দদের প্রতি আমার অসম্ভব টান, বুঝে না বুঝেও হতে পারে।
প্রায় আপনার মতই আমি এখনও পরিব্রাজক হতে চাই। আমার দেশটাকে বুঝতে চাই, এখানের পথে প্রান্তরে হেঁটে হেঁটে।চেষ্টাও করি । পড়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
গুপ্তঘাতকিনীর দুর্নাম তো ইতিমধ্যে নিয়ে ফেলেছে।
আগে এই হুমকি দিলে কাজের হৈত 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আগে বা পরে বলে কিছু নেই, কাজ হলেই হয়।
শুন্য শুন্যালয়
এবার বুঝি বিকেল ঘায়েল করলো আপনাকে? অস্ত যাবার পাটই ভুলে গেলো!! মোহনীয় আপনার এই একটু করে লেখা বিকেল। মায়াজাল শুশ্রুষায়, কিভাবে আসে এমন শব্দ? দূর্নাম তো দিতেই হচ্ছে, আপনার পই পই করে বলে দেয়া সত্বেও। সুন্দর সুন্দর।
ছাইরাছ হেলাল
যে ঘায়েল হয়েই আছে বা থাকে তাকে আর নূতন করে ঘায়েল হতে হয় না। কিন্তু আমি তো
তাঁকে দুর্নামের দুয়ো দিতে পারি না।
তাছাড়া অস্ত যাওয়া এত সহজ কোন কাজ নয় যে নাদুসনুদুস ইচ্ছে নিতে দুম করে তা করে ফেলা যায়।
মিথুন
বিকেল সবকিছু ভুলে গেছে আজ এক পথ ভোলা কবির দেখা পেয়ে। কে কাকে খুন করছে বোঝা মুশকিল। চমৎকার প্রথম দু’লাইন, শেষ দু’লাইন, না, পুরোটাই………
ছাইরাছ হেলাল
কবি-কুবি যে কই পান আপনি!
আমি কিন্তু ভাই খুনোখুনির বিপক্ষে, তবে রাম চিমটি বা নখরের তুমুল অভিজ্ঞতা আছে।
বলেন কী!! পুরোটাই চমৎকার!!
আর্বনীল
ধারুন…
আপনার এমন লেখার মাঝে বেশ কিছু নতুন শব্দ পাই। যেগুলো বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে…
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কিছু না, আপনি চাইলে আরও সুন্দর শব্দ নিজেই খুঁজে নিতে পারবেন।
ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
প্রথম ৪টা লাইন খুব ভালো লেগেছে… (y)
আপনার লেখায় নতুন কিছু শিখবো না, এটা কখনো হতেই পারে না 🙂
পরিব্রাজকীয় দিয়ে এখানে কি বুঝিয়েছেন ;?
ছাইরাছ হেলাল
যাক এবারে সান্তনা আমার, কঠিন হয়ে যায়নি দেখে।
নাহ্, আপনি এমনিতেই অনেক জানেন। আর ইচ্ছে থাকে যে কেউ ই শিখতে পারে।
এখানে পারিব্রাজকীয় বলে বোঝাতে চেয়েছি ……যে নিত্যনতুন অভিমান আবিস্কার করাই যার আনন্দ।
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ 🙂
স্বপ্ন
বিকেল কি নারী? সমস্ত সৌন্দর্য্য নারীদের দেয়া হয় কেন? মায়া ময় হয়ে থাকুক বিকেল (y)
ছাইরাছ হেলাল
নারী বা পুরুষ কিনা তা বলছি না, তবে মধুর যন্ত্রণাদায়ী কিছু একটি অবশ্যই।
মায়া ময় হয়ে থাকলে মন্দ হয় না, তার লক্ষণ তো দেখছি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
পরিব্রাজকীয় অভিমান!
কেন?
বিকেল থমকে থাকুক, তা নইলে কিভাবে এমন পংক্তির সৃষ্টি হবে?
সৌন্দর্য যে এমন বিদ্রূপাত্মকও হতে পারে, সে আপনার লেখা ছাড়া তো জানতেই পারতাম না।
এবার অন্যকিছু বলি?
নাহ, থাক!
চোখ দেখুক কেবলি
অনুভব করুক মন পংক্তিগুলি।
কবিতা (y) -{@
ছাইরাছ হেলাল
বিদ্রূপ করার মত সাহস পাচ্ছি না। তবে আপনি এটিকে সুগভীর খুনসুড়ির পর্যায়ে নিয়ে
দেখলে এ যাত্রায় রক্ষা পাই।
ধুর এগুলো কবিতার ক ও হয়নি হয় না।
আপনার কবিতার অপেক্ষায় আছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো সুন্দর মন্তব্য আমি তো আপনার মন্তব্যেরও ভক্ত। আজ সেটাও বললাম।
কবিতা ভয় পাচ্ছে আসতে কি করি বলুন তো!
ছাইরাছ হেলাল
কথা দিলে কথা রাখতে হয়। অবশ্য কথা না রাখাটি ও আর্টের পর্যায়ে আমরা নিয়ে গেছি চুড়ান্ত কৌশলে, যদিও আপনি তা নন কোন ভাবেই। দিয়ে দিন কবিতা তাড়াতাড়ি।
এখানে আমরা তো আমরাই।
আমি তো আপনার কবিতার ভক্ত।
নীলাঞ্জনা নীলা
কথা দিয়েছি যখন, কি আর করা!
একটু সময় আসছি নিয়ে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
হাতেগরম কবিতা পেতে অপেক্ষা কোন ব্যাপার ই না।
নীলাঞ্জনা নীলা
নিন, যদিও আমার লেখা নিজের খুবই অপছন্দ। কথার কথা নয়, খুবই সত্যি। মন থেকে বললাম।