অনেকক্ষণ থেকে ভাবছিলাম আমার পুরোনো কিছু লেখা দেবো। যে লেখায় আবেগগুলো কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়নি। এই যে জীবন সকালে উঠে দৌঁড়ানো, কাজে যাওয়া। এরপর আবার ক্রেডিট বিল, এই হিসাব, সেই হিসাব। ছেলের দিকে খেয়াল দেয়া। ঘর-সংসার-স্বামী-সন্তান এসবের বাইরে এখন আমি নেই। কোনো নারী-ই থাকেনা। প্রতিটি মুহূর্ত এনজয় করি আমি। আমার কাজ হোম হেলথে। তো বাড়ী বাড়ী যেতে হয়। কতো মানুষের সাথে মিশতে হয়। কতো কিছু যে দেখি। জীবনে কতো ধরণের কাজই না করেছি। সকলেই গোপন করে বিদেশে তাদের চাকরীকে। আমি আবার ওসব হিপোক্রেসি পারিনা। দেশে যখন ছিলাম, হাইস্কুলে ছয় মাস চাকরী করেছি। মাষ্টার্সের রেজাল্ট দিতেই কলেজে। আমার কিছু মহাদুষ্টু বন্ধু আছে জিজ্ঞাসা করতো, “তোকে মানে তোর ছাত্র-ছাত্রীরা?” ওরা বিশ্বাসই করতে চাইতো না। একদিন বললো আমি যখন ক্লাশে থাকবো, একদিন গোপনে ক্লাশের পেছনের সিটে গিয়ে বসে আমায় জ্বালাবে। ওদের অসাধ্য কিছু নেই, বিশ্বাস করে নিলাম। কি যে ভয় গেছে। কলেজ মানেই রাজনীতি। এমন রাজনৈতিক আন্দোলনে সব শিক্ষককে যখন ক্লাশ থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, আমায় এসে অনুরোধ ক্লাশটা কি এখন শেষ করা যায়? প্রথম চাকরী স্কুলে সব শিক্ষকদের দেখতাম হাতে বেত নিয়ে ঢুকতো। এ জীবনের ওটা আমায় দিয়ে হয়নি। এলোমেলো কথা লেখা হয়ে যাচ্ছে।
এবার আসি অন্য চাকরীতে। বর পি.এইচ.ডিতে সুযোগ পেলো জাপানে। এলাম জাপান। একা বাসায় দমবন্ধ হয়ে আসতো। ছেলে নভোনীল চলে যেতো ডে-কেয়ারে। আমি একা। আর জীবনে চাকরী ছাড়া তো বসে থাকিনি শিক্ষাজীবন শেষ করার পর। যাক জাপানী ক্লাশে ভর্তি হলাম। ওখানে পরিচয় হলো ইউক্রেনের মেয়ে লানার সাথে। এতো ভালো মেয়ে, একদিন খুব শরীর খারাপ ক্লাশে যাইনি, বাসায় এসে রান্না করে আমায় খাওয়ালো। জাপানে এক বৌদি পেয়েছিলাম যে আমার জন্য অনেক করেছে। যাকে নিয়ে লিখতে গেলে লেখা শেষ হবেনা। বৌদির নাম তনুশ্রী গোলদার উনি জাপানে এন.এইচ.কে বেতারে সংবাদ পরিবেশন করেন এখনও। যাক এরপর বরকে বলে-কয়ে ঢুকলাম মোবাইল কোম্পানীতে চেকিং অপারেটর হিসেবে। জাপান থেকে যেসব পার্টস যেতো বাইরে, সেসব আমাদের ফ্যাক্টরীতে তৈরী হতো, আমরা সেগুলো চেক করতাম। কি যে কষ্ট। একদিন আট ঘন্টা দাঁড়িয়ে, একদিন আট ঘন্টা বসে। আমাদের সুপারভাইজার মহিলা যার নাম জলহস্তী দিয়েছিলো মুন ভাই। সুপারভাইজারের এসিটেন্ট ছিলেন উনি। জাপানী কিচ্ছু বুঝতাম না। মুন ভাই বুঝিয়ে দিতেন কি কি করতে হবে। তবে ওখানে যেসব বাঙালী ভাবীরা কাজ করতেন, তাদেরকে আমি প্রণাম করি। জীবনে অমন সহকর্মী কেউ যেনো না পায়। সত্যি বলতে কি জটিলতা-কুটিলতা আজও বুঝিনা আমি তেমন, আর তখন তো আমার সামনে প্যাঁচিয়ে বলে গেলেও ‘হা’ করে থাকতাম। ওখানে সেই ভোরে যেতাম আর ফিরতাম সন্ধ্যা সাতটায়। বর বললো এভাবে যদি কাজ করি, ছেলেকে দিতে-আসতে ওর পেছনে সময় দিতে গেলে ওর যে প্রফেসর বেশ বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন। যাক ছাড়লাম চাকরী। এবার কি করি! কাজের খোঁজে গেলাম ক্যারিয়ার সেন্টারে। কিন্তু যে চাকরিই দেখি জাপানিজ ভাষা মানে নিহঙ্গ পুরোপুরি জানতে হবে। আর আমি তো জাপানিজে অশিক্ষিত একজন। ফেরার পথে হঠাৎ দেখি একটা ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট। কতোদিন যে ফুচকা খাইনা। বললাম বরকে ওখানে খাবো। বললো সময় নেই। বেশ জোরাজোরি করে গেলাম। এক নেপালী ভদ্রলোক নাম ওম গুরুং সান(জাপানীরা নামের পেছনে ‘সান’ লাগায় সম্মান করে। আর ছোট্ট ছেলে শিশুদের নামের পেছনে ‘কুন’ আর মেয়েদের ‘চান’ বলে।)উনি ওই রেষ্টুরেন্টের ম্যানেজার। আমার কাছে জানতে চাইলো কাজ করবো না রেষ্টুরেন্টে? তরুণ মানে আমার বর জানতে চাইলো করবো নাকি? বললাম ভাষা জানিনা। উনি বললেন কাজ করতে করতে শিখে যাবো। হয়ে গেলো চাকরী। পার্ট-টাইম। পাঁচ বছর কাজ করেছি ওই ইন্টারনেশনাল ক্যুইজেন রেষ্টুরেন্টে। আমাদের মালিক ছিলেন পাকিস্তানী, কিন্তু অসম্ভব সম্মান করতেন আমায়। ভদ্রলোকের ষোলোটি রেষ্টুরেন্ট ওই টোকিওতে। আর প্রতিটা মারাত্মক ব্যস্ত। ওম গুরুং সান ছিলে পুরো কোম্পানির ম্যানেজার। আমায় কাজ শিখিয়েছিলেন খান ভাই। এতো ভদ্র একজন মানুষ। বকেছেন এরপর বলেছিলেন একদিন এই কোম্পানী আমাকে রাখতে চাইবে। আর সত্যি বলতে কি যখন জাপান ছেড়ে আসি বস আমায় ডেকে বলেছিলেন আমাকে ওয়ার্কিং ভিসা দেবেন। কিন্তু দেশে বরের চাকরী তাই ফিরতেই হলো। ওখানে কাজ করার সময় প্রায় প্রতিটি ব্রাঞ্চে আমায় ডাকতো। না বললেই নয় আমাদের ব্রাঞ্চের ম্যানেজার নাকাহাতা সানের জন্য আমার কোথাও যেতে মন চাইতো না। এতো মজা করতাম তার সাথে। আর আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিতেন। ওখানে আমার নিজেরই অনেক কাষ্টমার হয়ে গিয়েছিলো। লাঞ্চের সময় একসাথে দুইশ জন খাবার খেতে পারতো, এতো বড়ো আর ব্যস্ত ছিলো রেষ্টুরেন্টটা। আর আমি একটা কাজ নিজের থেকেই শিখে গিয়েছিলাম, কোনো কাষ্টমারকে ফিরে যেতে দিতাম না।
যাক ফিরে এলাম দেশে। এবার পুরোপুরি গৃহিণী। ছেলেকে পড়াও, স্কুলে নেয়া। মানে বিদেশের থেকেও ব্যস্ত। দেশ থেকে এক বছর পরই বর গেলো পোষ্ট-ডক্টরেট করতে বেলজিয়াম। সেখানে গিয়ে সারাদিন ফ্রেঞ্চ শেখার স্কুলে। তবে পাশাপাশি বাচ্চাদের গান-নাচও শেখানো শুরু করলাম। ফ্রেঞ্চ ক্লাশে পরিচয় হলো ফিলিপিনো মেয়ে লিজেল, ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে কিকি, আর মালয়েশিয়ার মেয়ে ইয়ান্তি। আরোও ছিলো জার্মানের নিনা, ইরানের বকথসাদ, কিউবার ভিরি। বেশ আড্ডা গল্প হতো। এ নিয়ে বিশাল গল্প পরে কোনো একদিন বলবো। ওখান থেকে এলাম কানাডায়। ইংরেজী কম-বেশী তো জানতাম। চাকরী হয়ে গেলো ম্যাকডোনাল্ডসে। বেশ ভালোই যাচ্ছিলো। আমায় অফার করা হলো ফুল-টাইমের জন্য। আমার পক্ষে তা সম্ভব ছিলোনা। ছাড়লাম সেই চাকরী। এবার শুরু হলো অন্য জীবন। মাংসের ফ্যাক্টরীতে কাজ। জীবনে যে কাজটি করতে গিয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে সময় যাচ্ছিলো, তা বুঝতে পেরেছিলো আমার বান্ধবী ঊর্মী। বকে-ঝকে ছাড়ালো চাকরীটা। শুরু হলো নার্সিং-এ ডিপ্লোমার জন্য প্রস্তুতি। অনেক কষ্ট এ চাকরীতে, দায়িত্ত্ব অনেক। কিন্তু কলেজের চাকরীর পর এই একটি চাকরী যা আমায় ক্লান্ত করলেও মনের ভেতরে একটা স্বস্তি জোগায়। ভালো আছি চাকরী নিয়ে।
কতো সংক্ষেপে লিখলাম। এর ভেতরের যে দীর্ঘশ্বাস মাংসের ফ্যাক্টরীতে রেখে এসেছি, জীবনে কাউকে যেনো এমন কষ্ট না করতে হয়। একটি কবিতা দিলাম, অন্তত বোঝা যাবে আমার সেইসব দিনগুলি।
শব্দের বৈচিত্র্য………..
পৃথিবীর মানচিত্র ঘুরে ঘুরে
ক্রমাগত শব্দ আর ভাষার বুননে একেকটি পংক্তির জন্ম দেই
খসে পড়ে তারারা আকাশ থেকে মাটিতে
কিন্তু ক্ষমতাশালী উল্কাপিন্ডের মতো কোনো গর্ত কিংবা ক্ষতের সৃষ্টি করেনা
রেশমী জ্যোৎস্নায় পাখীর চঞ্চুতে বিষাদের যে ম্রিয়মাণতা
তবুও ভোর হলে উদ্দাম গতিতে ছুটে চলে হাওয়া কেটে কেটে
ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে আনা একেকটি দীঘল স্বপ্ন বর্তমান হয়ে যায়
বুনোট ছন্দে এপাশ-ওপাশ
দিন-রাত্রির খেলা
পায়ের নীচের মাটি খুঁজতে সভ্যতার পর সভ্যতা পিষে ফেলে
পাওয়া যায় কেবল কংক্রিট
বেদুঈন-যাযাবর হয়ে মাধবকুন্ড থেকে নায়াগ্রা
ফুজিসান থেকে আল্পস
হিমালয় থেকে নিঃসঙ্গ আকাশ
পদ্মা থেকে টেমস , তারপর আটলান্টিক আলো-অন্ধকার
সময়ের হিসেব মেলেনা
একই জল ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে
বন্যা-সুনামী-টাইফুন বিভিন্ন শব্দের কারুকাজ একই
ভাসিয়ে নেয়
শুধু হলুদ ফসলের পাশে অকৃ্ত্রিম সবুজ আর বর্ষা ভেঁজা মাটি
প্রেমিকের দেয়া কদম
শুভ্র প্রেমিকা বেলী ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ
শব্দগুলোর অনুবাদ কোথাও নেই
যেমন নেই তোমার মতো একটি মন কোথাও।
**কানাডা আসার আগের দিন রাতে লেখা।**
ইতারব্যাক,ব্রাশেলস,বেলজিয়াম
৩০ জানুয়ারী, ২০১১ ইং।
কিছু ছবিতে নিজের মুখ দিলাম, লজ্জ্বা পাচ্ছি এমনভাবে নিজের ছবি পোষ্ট হিসেবে দেয়া। তবুও সেই সময়গুলো আমার সোনালী বন্ধুদের কাছে না রাখলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে সব।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১০ জুলাই, ২০১৫ ইং।
৩৪টি মন্তব্য
হিলিয়াম এইচ ই
বাহ!! ভালো লাগলো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ হিলিয়াম এইচ ই। 🙂
সাতকাহন
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম, আপনার লেখায় পাঠক ধরে রাখার রস আছে, পাণ্ডুলিপি রেডি করে ফেলুন; বের হয়ে যাক নেক্স বইমেলায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
বই? ওরে বাবা সেই সাহস নেই। আর তাও বইমেলায়। আমার এই ব্লগমেলা-ই ভালো।
এই যে আপনারা আছেন, পড়ছেন সময় বের করে সেটাই অনেক পাওয়া আমার। ধন্যবাদ সাতকাহন -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এ লেখায় মন্তব্য করার সাহস পাচ্ছি না। আপনি দেখছি বিশ্ব যাযাবর। নিয়ম করে এক এক জায়গার
ঘটনা গুলো একটি একটি করে লিখতে থাকুন, সাথে কবিতা চাই ই।
এখানে আপনি ছবি দিতে পারেন। সমস্যা নেই, আমরা তো আমরাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
এক এক জায়গার ঘটনা লিখতে গেলে আমায় আরেকবার জন্ম নিতে হবে। একসময় লিখতাম কোথাও গেলে। ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত লেখার জগতের বাইরে ছিলাম। ২০০৯ সালে ফেসবুকে এসে আবার লিখতে শুরু করলাম। তবুও লিখবো সংক্ষেপে জীবনের প্রিয়-অপ্রিয় সময়গুলো নিয়ে। সব তো মনে নেই, যা যা আছে লিখবো।
আর ধন্যবাদ প্রতিটি লেখার সাথে থাকার জন্যে। -{@
অরণ্য
গ্রেট! (y) -{@
তো, মাংসের ফ্যাক্টরীতে কাজ করার ছবি ছিল না? 😀
এই বুড়ো বয়সে আমি বোধহয় পাঠক হয়ে উঠছি। 🙂
সামথিং ডিফরেনট ইউ হ্যাভ ইন ইওর রাইটিং। (y) কিপ গোয়িং। এন্ড কিপ আস গোয়িং। -{@ -{@ 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বুড়ো বয়স কাকে বলে? ;? উত্তরটা জানতে চাই-ই চাই।
আর মাংসের ফ্যাক্টরীতে ছবি? ক্যামেরা নিয়ে তো কাজে যাওয়া হয়নি। আর তখন আমার সেলফোন ছিলোনা।
এত্তো বিশাল কমপ্লিমেন্ট! তাও আমার লেখায়!!
কি বলবো? অরণ্য কখনো বুড়ো হয়না। -{@
অনিকেত নন্দিনী
দিদি, কাজ করতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝেছি সহকর্মী হিসেবে অধিকাংশ নারীরা কোন অবস্থানে থাকে। সব দেখেশুনে মোটামুটি বোবা হয়ে থাকি।
আরও বিশদে চাই সব গল্প।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি ওই একটা জায়গাতেই মেয়েদের থেকে এতো কুটিল ব্যবহার পেয়েছি। সত্যি বলতে কি আমার জীবনে খুব কাছের বন্ধুরা ছেলে। মেয়ে বন্ধু যারা ঠিক আমার মনের মতো। সমালোচনা-ফ্যাশন এসব নিয়ে কথা বলতে আমার ভালো লাগতো না কোনো কালেই। এখনও না। আর তাই মেয়েদের সাথে আমার ঠিক মিশ খেতোনা।
ঠিক আছে লিখবো। জীবনের গল্প। নন্দিনীর জন্য নান্দনিক ফুল -{@
লীলাবতী
বর্ণাঢ্য আপনার চাকরী জীবন। মাংশ কাঁটার চাকুরীর বিস্তারিত জানতে চাই।আপু কানাডার নার্স এর ড্রেসে আপনাকে খুবই কিউট লাগছে।এই ড্রেস গায়ে দিয়ে জবে যাওয়া আসার সময় আপনি সোনেলায় ব্লগিং করেন,ভাবতেই ভাল লাগছে 🙂 অন্য ফটোগুলোও সুন্দর।আপনি একজন আসল সুন্দরী -{@
প্রবাসে বিভিন্ন জব নিয়ে অনেকেই লিখতে চান না।সাবলিল ভাবে আপনি লিখে ফেললেন।কত কষ্ট করেন প্রবাসিরা,আপনি তার একটি উদহারন।আপনার ধৈর্য্য আছে, নার্সিং ডিপ্লোমা করলেন শত ব্যস্ততার মাঝেও।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই রে সুন্দরী না ছাই। সুন্দর ছবি দিয়েছি।
ঠিক আছে মাংসের ফ্যাক্টরীতে কাজ নিয়ে লিখবো। চমকে উঠবেন ওখানে কাজের ব্যাপারে সব জানলে-শুনলে।
আর এই নার্সিং পোষাকের পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশী, তারা হলো আমার বান্ধবী ঊর্মী আর শিল্পী। ঊর্মী একদিনে মায়ের মতো শাসন-বকুনী দিয়েছে আর বন্ধুর মতো আদর-স্নেহ-ভালোবাসায় কাছে নিয়েছে। ও আমার ধ্রুবতারা। আর শিল্পী ফেসবুকে পরিচয়, চোখের সামনে এখনও আসেনি। নার্সিং-এ যখন ভর্তি হই, আটকে গিয়েছিলাম টাকার জন্যে। ও ভিয়েনা থেকে ৬০০ ইউরো পাঠিয়ে দিয়েছিলো। আজও শোধ করতে পারিনি। জীবনে এমন অনেক কিছু পেয়েছি যা অনেক না-পাওয়াকে ম্লান করে দিয়েছে।
লীলাবতী দিদির জন্যে -{@
ব্লগার সজীব
আপনাকে স্যাল্যুট দিদি। এতকিছুর মাঝেও লেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। লেখার প্রয়োজনে ছবি এসেছে। ছবি থাকায় লেখাটি আরো ভাল লেগেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক ভালোবাসা সজীব ভাইয়া। -{@
“সময় চলে গেছে
এবং চলছে
চলতি জীবনের গল্প বলছে…”(সুমনের গান)
তানজির খান
দারুণ (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
গ্রামের বাড়ীতে অনেক অনেক আনন্দে কাটুক সময়। ভালোবাসা ভাইয়া। -{@
শুন্য শুন্যালয়
নীলা আপুকে এই প্রথম দেখলাম, সেই পিচ্চি বয়সের পরে। আরেকটু দেখে নিই ভালো করে।
বুঝেছি এই সেই হাসি,
যা বুঝিনি, তুমি মেয়ে কয় পুরুষের গলায় দিয়েছ ফাঁসি?
পড়ে গেছি, পড়ে গেছি। নদীর ফ্লো তো থামেনা, এ লেখা থামে কেনো?
কবিতাটা অসাধারন আপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ফাঁসি তো নিজেই নিজেকে দিয়েছি।
আমার এখন সত্যি ভীষণ লজ্জ্বা লাগছে। :p
শুন্য শুন্যালয় আপুটার জন্য -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
আপনার জন্যেও আমার এত্তগুলো (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খড়সা ভাইয়া নীলাঞ্জনা নীলা আপু,মোখশ উম্মোচন হলো এবার আপনার পালা…শুণ্যশুন্যালয় -{@ সোনেলা পরিবারে সদস্যদের কোন কিছু লুকানো ঠিক নয় তাতে সোনেলা রাগ করবে এটাইতো জীবন।জীবনের অর্থ সারাটি জীবন খুজেঁ বেড়ানো -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
যত্ন করে রেখে দিলাম। 🙂 (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই 🌺🌺
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লেখায় A++++++++ -{@ আমিও বিদেশ বিভূয়ে ছিলাম।এক দিকে যেমন কষ্ট তার চেয়ে বেশী সুখের।সব কিছুই কেমন যেন নতুন নতুন লাগত অসহায় বোদ করতাম এক সময় সব নিজের হয়ে যায়।আপনার বিচিত্র জীবনের ইতিহাসগুলো ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য বই আকারে সংরক্ষিত করতে পারেন। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সবাই যেভাবে বলছেন, দেখি কখনো বই আকারে নিয়ে আসতে পারি কিনা। আসলে বই বের করার কথা ভাবনায় আসেনা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। 🙂
রিমি রুম্মান
ম্যাকডোনাল্ডসে আমারও কাজ করতে হয়েছিলো আমেরিকার প্রথম দিনগুলোতে। অনেক চড়াই উতরাই এর জীবন। তবুও সুন্দর । লেখার সাথে কবিতা ও ছবি চমৎকার রুপ দিয়েছে লেখাটিকে। সামনের দিনগুলো আরও সুন্দর হয়ে উঠুক, মাংসের ফ্যাক্টরির অভিজ্ঞতা বাদে। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রিমি রুম্মান।
জীবনের এসব অভিজ্ঞতা আসলে দেশে থাকলে বুঝতাম না। যা পেয়েছি সেটাই আজ সঞ্চয়। আর যা পাওয়া হয়নি তা আশা আর অপেক্ষায় রাখি।
অফুরান ভালোবাসা (3 -{@
মেহেরী তাজ
আপু এতো গুলা চাকরী বদলাইছেন? 😮
গোস্তের কাটিকুটি সহ ছবি দেখতে পেলে ভালো লাগতো। :p
আপু এর একটা কথা যে সময় গুলা তে আপনি ভালো ছিলেন সেই দুটা ছবি তেই আপনাকে অনেকটা ভালো দেখাচ্ছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু গো তখন ছবি! মরি নাই তা নইলে এখন তো ছবির মধ্যে মালা ঝুলতো। :p
আর আমায় চিনতেও তো পারতে না আপুমনি!
জিসান শা ইকরাম
সেই কত বছর আগে পরিচয়।
তোমার জীবন সংগ্রামের অজানা কাহিনী গুলো এই প্রথম জানলাম।
অসাধারন মানসিক শক্তি নিয়ে লড়াই করে কিভাবে ভালো ভাবে বেঁচে থাকা যায়,এর উদহারন তুমি।
ভালো থেকো প্রবাসি সময়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আজ পায়ে ব্যথা নিয়ে কাজ করেছি। আসলে কি জানো যখন ভাবি আমার আনন্দে হাসার জন্য মানুষ আছে, আর আমার কষ্টে পাশে থাকার জন্যও মানুষ আছে…তখন অনেক শক্তি পাওয়া যায়। আজ পায়ের ব্যথা যতো কষ্ট পেয়েছি তার অনেক বেশী আনন্দ পেয়েছি তুমি তারপর আমার বান্ধবী ওরা বারবার ম্যাসেজ করেছে কি অবস্থা! এই যে কেয়ার পাওয়া তখন সাহস তো হয়েই যায়। তাই না?
ভালো থেকো তুমিও নানা। পাশে থেকো স্নেহের ছায়া দিয়ে। -{@
ইমন
এই যে এতো ছোটা ছুটি ,দৌড় ঝাঁপ, ডলার, এই দেশ , সেই দেশ, রকমারী বন্ধু, রকমারী অভিজ্ঞতা, দিনশেষে অল্প সল্প ছোট ছোটো সুখ …. কিন্তু শান্তি !
দিদি, আপনাকে বিধাতা শান্তি দিক। ভালো থাকুন যেখানেই থাকুন। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকুন আপনিও।
মিথুন
আপু আপনি এতো কিউট? ২০০০ সালের ছবিটা দেখে আপনাকে বিরাজ বৌ এর মতো লাগছে। জানলাম আপনার অনেক অজানার একাংশ………
নীলাঞ্জনা নীলা
মানুষের চেহারা আর মনের সাথে অনেক পার্থক্য থাকে কিন্তু।
ধন্যবাদ!