আমাদের উগ্র ইসলামী এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা অনেকটাই ভারতের উপর নির্ভরশীল।ভারতে এ সম্পর্কে কোন ক্রিয়া হলে আমাদের দেশে এর ব্যপক প্রতিক্রিয়া হয়।উগ্র মুসলিম এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি সমূহ আসলে ভারতের বিরোধিতা নয়, বরং ভারতকে উপসনা করা উচিৎ। ভারতের ক্ষমতাসীনদের পা চাটা উচিৎ চেতনা জাগ্রত করার মাঝে মাঝে ক্রিয়া কর্ম করার জন্য। নইলে উগ্র ইসলামী এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা নিশ্বাস হয়ে যেতো এবং এই চেতনা বিক্রি করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে তাঁদের বেঁচে থাকা কষ্টকর হতো।
অতীতের বসনিয়ায় অমানসিক মুসলিম নির্যাতনের কথা উল্লেখই করলাম না। বর্তমানের দুটো ইস্যু নিয়ে উল্লেখ করি এখানে।
১। চীনে মুসলমানদের রোজা রাখতে নিষেধাজ্ঞাঃ
চীনের মুসলিম প্রধান এলাকা জিনজিয়াংয়ে রোজা রাখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবী, ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। খবর এএফপিও আল জাজিরা।রমজানে কেউ খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত, রাত্রি জাগরণ বা ধর্মীয় কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না।এর আগে জিনজিয়াংয়ের জিংহে কাউন্টির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রমজান মাসে খাবারের দোকানগুলোকে খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২। মায়ানমার সেনাবাহিনী অপহরন করে নিয়েছে বিজিবি সদস্য রাজ্জাককে। রাজ্জাককে হাত করা অবস্থায় বসিয়ে রেখে তার ফটো প্রকাশ করেছে মায়ানমার। যা অত্যন্ত অবমাননাকর।
এই দুটি ঘটনায় আমাদের দেশে কোন প্রতিবাদ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেই কোন ইভেন্ট। কেন নেই? কারন এই ঘটনার সাথে ভারত জড়িত নয়। মুসলিম নিগ্রহ বা সীমান্ত নিয়ে কোন ক্রিয়া যদি ভারত করে, তাতে ভারতের বিরুদ্ধে কিছু করাটা মনের একটা শান্তির ব্যাপার। মনে আরাম পায় আমাদের দেশের উন্মাদ গন।
খবর দুটো যদি এমন হতোঃ
১/ ভারতের মুসলিমদের রোজা রাখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের সরকার।
২/ বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যকে ধরে নিয়ে গিয়েছে।
এমন খবরের প্রতিক্রিয়া কি হতো এই বাংলাদেশে? বর্তমানে ঘুমিয়ে থাকা চেতনা লাফ দিয়ে উঠতো। সেই চেতনার তেজে কত হিন্দু মন্দির,হিন্দু বাড়ি ঘর পুড়ে যেত আল্লাহই জানেন। এমনকি চেতনা দন্ড হিন্দু রমণীদের মধ্যে প্রবেশে কেউ বাঁধা দিত বলে মনে হয়না।
আসুন আমরা প্রার্থনা করিঃ
হে আল্লাহ, আমাদের এই ধরনের চেতনা জাগ্রত করতে পারে একমাত্র ভারত। আর কোন দেশ পারেনা। আমরা আমাদের চেতনা জাগ্রত রাখার জন্য ভারতের নিকট কৃতজ্ঞ। ভারতকে কিয়ামত পর্যন্ত নাজিল রাখিও নইলে আমাদের চেতনা হারাইয়া যাইবে।
৪২টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
বাঙালি মুখে যতো কথাই বলুক, ভারতীয় জিনিস ছাড়া তাদের “জিনিস” তাজা থাকেনা। ভারতীয় বিজ্ঞাপনের বাংলা ডাবিং না দেখালে টিভির দর্শকপ্রিয়তা তাজা থাকেনা, সিরিয়ালের নামানুসারী পোশাক না হলে ফ্যাশন তাজা থাকেনা, ভারতীয় তেল না হলে চুল তাজা থাকেনা আর ভারতীয় ইস্যু না হলে চেতনা তাজা থাকেনা। সাব্বাশ হিন্দুস্তান! :c
জিসান শা ইকরাম
একমত আপনার সাথে।
চেতনা বহমান রাখার জন্যও ভারতকে লাগে আমাদের।
লীলাবতী
রোজা রাখা নিষেধ করা হলো চীনে,অথচ আমাদের ইসলামী চেতনাধারীরা কিছুই বলছে না?
মায়ানমার বিজিবি সদস্য কে অপহরন করলো,জাতীয়তাবাদীরা নিশ্চুপ?
এসব ভারত করলে নেটে প্রতিবাদের ঝড়,হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু হয়ে যেতো।ঠিকই বলেছেন,চেতনা রক্ষা করার জন্য ভারতকে প্রয়োজন।
জিসান শা ইকরাম
পণ্য বর্জন সহ কতকিছু হয়ে যেতো।
সারা দেশে হিন্দু নিপীড়ন চলতো।
প্রথম আলো উসকে দিত এসব।
ছাইরাছ হেলাল
বেমাক্কা দূরের বাদ্য বাজিয়ে কী লাভ? হাতের কাছে যদি পাওয়া যায়।
জিসান শা ইকরাম
ভারত ছাড়া চেতনায় আরাম লাগে না।
মেহেরী তাজ
ভারত দীর্ঘজীবী হউক,
আমাদের চেতনা অক্ষত থাকুক।
জিসান শা ইকরাম
আমীন 🙂
ব্লগার সজীব
ভারত না থাকলে এদের তো অস্তিত্বই থাকতো না।
জিসান শা ইকরাম
ভারত আছে বলেই এইসব চেতনাধারীরা টিকে আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D)
নানা আমি মনে করি, প্রতিটি ধর্ম রাজনৈতিক ভাবে জন্ম নিয়েছে। প্রত্যেকে নিজেদের রাজত্ত্বকে সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করতে চেয়েছে। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান এসব কি ধর্মের নাম? এসব একেকটি রাজনৈতিক দল। ধর্ম কি পুজা-পার্বণ-রোজা-নামাজ? ওসব হলো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা, নিয়মাবলী।
জিসান শা ইকরাম
খারাপ বলোনি।বর্তমানে যা হচ্ছে,তাতে এমন ভাবার সংগত কারন আছে।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা, দিলেন তো ভাইয়া একদম চেতনা মতো। জন্মগত, ধর্মগত ভারত চেতনার জয় হোক।
জিসান শা ইকরাম
ভারত না থাকলে চেতনাধারীরা না খেয়ে মারা যাবে।
রিমি রুম্মান
চীনে রোজা রাখায় নিষেধাজ্ঞার কথা জানা ছিল না। এটি ভারতে হলে শ’খানেক হিন্দু বাড়িঘর পোড়ানো হয়ে যেতো নিশ্চিত।
জিসান শা ইকরাম
ভারতে হয়নি তাই চেতনা ধারীরা নিশ্চুপ।
ঘুমে বেহুঁশ ।
মোঃ মজিবর রহমান
আওয়ামীলীগ গুস্টি উদ্ধার করে ফেলত বিএনপি ও জামাত মনা দল গুলো।
দিলেন একখান বাঁশ
জিসান শা ইকরাম
এই বাঁশে এদের কিছুই হবেনা,এদের লজ্জা নেই।
প্রজন্ম ৭১
এতে প্রমানিত হয় যে আমাদের দেশের ইসলামী এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা ভারতের কাছে গচ্ছিত।
জিসান শা ইকরাম
ভারত ছাড়া এরা অচল।
সানোয়ার
যে বাবে আবদুল আজ্জাকের ছবি প্রকাশ করা হয়ে মেনে নেয়া যায়না বিজিবি সদস্য রাজ্জাককে ধরে
নিয়ে গিয়ে তাঁর সাথে চরম
অমানবিকতা দেখিয়ে যাচ্ছে
তারা। আমাদের সার্বভৌমত্বের
প্রতীক বর্ডার গার্ড সদস্য
রাজ্জাককে রীতিমতো চোর
ছ্যাছড় ঠাওরে ভয়াল বন্দিত্বের
ছবি সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার দু:সাহসও
দেখিয়েছে শ্বাপদ জান্তারা। এর সবাই প্রতিবাত জানাই
জিসান শা ইকরাম
প্রতিবাদের গলায় কারো জোর নেই,ভারত এমন করলে জোর থাকতো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভারত বিরোধী করে লাভ নেই….ধাক্কা দিলেতো আমাদের বঙ্গপোসাগরে পড়তে হবে।
জিসান শা ইকরাম
ভারত বিরোধিতা করেই তো এরা রুটি রুজি সংগ্রহ করছে।
ইমন
সেই রকম ক্রিটিক্স 🙂
জিসান শা ইকরাম
হ
সীমান্ত উন্মাদ
১০০ ভাগ সহমত। ভুল রাজনীতির ইতিহাসে আছে এর প্রমান, যেমনঃ সাম্রাজ্যবাদ মুছে দিয়েছে মসলিন শিল্পকে, ধর্মান্ধতা মেরে ফেলেছে হাইপেশিয়াকে, জাতীয়তাবাদ পুড়িয়ে ফেলেছে পিকাসোর শিল্পকর্ম কে। যার সবই ইতিহাস সত্য হয়ে অক্ষরে লিখা আছে……..শুধু ভাবি, আরো কত কিই না শেষ হয়েছে আমরা হয়তো জানিও না। আর ভীত হই আমাদের দেশে যে জাতীয়তাবাদ আর ধর্মান্ধতার রাজনৈতিক পেশানী চলছে মামা সেটা এখন আর শুধু ভারত বিরোধীতায় নয়, ডেকে আনার চেষ্টা করছে আইএস আলকায়দার মত অশুভ শক্তিগুলোকে।
অনেক অনেক শুভকামনা ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
গতকাল এক পরিচিত বিএনপি নেতা বলছে যে তারা নাকি অপেক্ষা করছে আইএস এর।
কত বড় আহাম্মক আর জাতীয়তাবাদী এরা।
সীমান্ত উন্মাদ
আজকে তো ঘষেটি বেগম বাংলাদেশের ফাদার অফ জঙ্গিদের ইফতারে গেছে। আর বিএনপির সেই নেতা তার মাথা আগেই অন্যান্যদের মত আগেই বেচে দিয়ে বসে আছে। অতএব তারা এখন আইএস আলকায়দা, টিটিবি মানে তেহরিকে তালেবান বেবাকের জন্যই অপেক্ষা করবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, ভারতকেন্দ্রিক কোন ঘটনা ঘটলেই চেতনা জাগ্রত হয়।
অথচ, গত দুদিন আগে দেখলাম সৌদী সরকার তার সেনাবাহিনীকে রোজা রাখতে হবে না বলেছে, এ নিয়েও কোন কথা নেই।
জিসান শা ইকরাম
সৌদী সরকার তার সেনাবাহিনীকে রোজা রাখতে হবে না বলেছে,এটি তো জানি না।
ইসলাম ধর্ম তাহলে একমাত্র বাংলাদেশেই টিকে আছে সবল হয়ে।
স্বপ্ন
দিলেন তো এদের স্বরূপ উন্মোচন করে।
জিসান শা ইকরাম
হুম
খেয়ালী মেয়ে
ভারতকে কিয়ামত পর্যন্ত নাজিল রাখা হোক, বলুন সবাই আমিন :p
জিসান শা ইকরাম
আমিন আমিন আমিন 🙂
খেয়ালী মেয়ে
🙂
ইমন
সহমত 🙂
জিসান শা ইকরাম
-{@ ধন্যবাদ।
নুসরাত মৌরিন
হ্যাঁ জিসান ভাই,আমাদের জাতীয়তাবোধ কেন জানি বড্ড একপেশে।
জিসান শা ইকরাম
ভারত ব্যাতীত এটি জাগে না।
রাসেল হাসান
সব দোষ ভারত মাতার! 🙂
জিসান শা ইকরাম
চেতনা জাগ্রত করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ দিতে হয়।